![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
নবরত্ন মন্দির – সিরাজগঞ্জ।
সিরাজগঞ্জ জেলায়, প্রায় পাঁচশ বছরের পুরানো প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন হাটিকুমরুল নবরত্ন মন্দির। উল্লপাড়া উপজেলার হাটিকুমরুল ইউনিয়নে এই মন্দিরের অবস্থান।
সিরাজগঞ্জ-বগুড়া মহাসড়কের হাটিকুমরুল বাস স্টেশন। দুইপাশের ধান ক্ষেতের বুক চি্ড়ে, সেখান থেকে ছোট্ট একটি মেঠো পথ আঁকাবাঁকা হয়ে চলে গেছে উত্তর পূর্ব দিকে। এই পথে প্রায় এক কিলোমিটার গেলেই দেখা মিলবে পোড়ামাটির কাব্যে গাঁথা অনন্য এক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। এই পথে বর্ষাকালে গাড়ি নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এই এলাকার মাটি রৌদ্রে শুকিয়ে গেলে সিমেন্টের মত শক্ত হয়ে যায়, আবার একটু বৃষ্টি পেলেই হাঁটু পর্যন্ত কাদা হয়ে যায়। এই মন্দির সংস্কার এবং রক্ষনাবেক্ষন করছেন স্বয়ং প্রত্নতত্ব অধিদপ্তর! রাস্তা সংস্কারের দায়িত্ব কাদের, আল্লাহ্ই জানেন!
নবরত্ন মন্দির – সিরাজগঞ্জ।
তিনতলা বিশিষ্ট এই মন্দিরের চারপাশের দেয়ালে পোড়ামাটির অলঙ্করণে ভরপুর, বাইরে থেকে দেখতে অনেকটাই কান্তজীর মন্দিরের মতো। স্থানীয়ভাবে দোলমঞ্চ নামে পরিচিত, এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নবরত্ন মন্দির।
বাংলাদেশে প্রাচীন যেসব হিন্দু মন্দির দেখতে পাওয়া যায় সেগুলোর অন্যতম একটি এই হাটিকুমরুল নবরত্ন মন্দির। হিন্দু স্থাপত্যের উজ্জ্বল নিদর্শন কারুকার্যমন্ডিত নবরত্ন মন্দিরটি উঁচু একটি বেদীর উপর নবরত্ন পরিকল্পনায় নির্মিত, মন্দিরের প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য ১৫.৪ মিটার এবং প্রস্থে ১৩.২৫ মিটার। ক্রমহ্রাসমান তিনতলা বিশিষ্ট, এই স্থাপনার উপরের রত্ন বা চূড়াগুলো প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। মূল মন্দিরের বারান্দার বাইরের দিকে ৭টি এবং ভিতরের দিকে ৫টি খিলান বা প্রবেশ পথ। মন্দিরের মূল কক্ষটি বেশ বড়। নীচতলায় ২টি বারান্দা বেষ্টিত একটি গর্ভগৃহ। গর্ভগৃহের পূর্ব ও দক্ষিন দিকে ২টি প্রবেশ পথ রয়েছে। মন্দিরের ২য় তলায় কোন বারান্দা নেই। ভিতর থেকে মূল ভবনের উপরের ছাদ গোলাকার গম্বুজে আচ্ছাদিত। বর্গাকার এই মন্দিরের আয়তন ১৫ দশমিক ৪ বর্গমিটার। একসময়ে মন্দিরে নয়টি চূড়া ছিলো বলে নবরত্ন মন্দির হিসেবে এটি পরিচিতি পায়।
নবরত্ন মন্দির – সিরাজগঞ্জ
মূল অবস্থায় মন্দিরটি পোড়ামাটির চিত্রফলক দ্বারা সজ্জিত ছিল। এখনও মন্দিরের গায়ে সামান্য কিছু চিত্রফলকের চিহ্ন দেখা যায়। মন্দিরটির ছাদপ্রান্ত আংশিক বাঁকানো।
মন্দিরের নির্মাণ সময় সম্পর্কিত কোনও শিলালিপি পাওয়া যায়নি। তবে কিছু পাঠজাত বিবরণ থেকে জানা যায় যে, নবাব মুর্শিদকুলি খানের শাসনামলে, রামনাথ ভাদুরী নামে জনৈক তহসিলদার ১৭০৪-১৭২৮ সালের মধ্যবর্তী সময়ে, মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন। অনেকের মতে রামনাথ জামিদার ছিলেন।
(পরের পর্বে সমাপ্ত)
আরও বিস্তারিত সুএ http://www.lighthome24.com
©somewhere in net ltd.