![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্কুলগামী তরুণদের প্রায় ৭৭ শতাংশ পর্নোগ্রাফি দেখে। বাংলাদেশের শিশুপরিস্থিতি নিয়ে একটি বেসরকারি সংস্থা জরিপ উপস্থাপন করে। স্কুলগামী ৫০০ জনের ওপর জরিপটি চালানো হয়। তাদের মতে, ছাত্ররা পর্নো দেখার সুযোগ নিচ্ছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এগুলো তারা নিচ্ছে ইন্টারনেট থেকে। ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে এর প্রথম ধারক ও বাহক মোবাইল ফোন। কমবয়সী এসব স্কুলগামী যেসব পর্নো দেখছে, সেগুলোর পাত্রপাত্রীও ১৮ বছর বা তার কমবয়সী। অর্থাৎ এর সাবজেক্টও অনেক ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীরা। জরিপকারীরা পর্নোগ্রাফি নিয়ে নিজেদের একটি দৃষ্টিভঙ্গি পরোক্ষভাবে প্রকাশ করেছেন। তা হচ্ছে ‘শিশুরা’ এটি দেখতে পারে না। এটা তাদের জন্য ক্ষতিকর। তারা শিশুদের যৌনশিক্ষার কথা বলছেন। তাদের মতে, যৌনশিক্ষায় কোনো বিকৃতি নেই। যৌনতা আমাদের সমাজে অত্যন্ত গোপনীয় একটি বিষয়। ক্রমেই আমাদের মধ্যে পরিমিতি বোধ ও শালীনতার সীমা ভেঙে অশ্লীলতা ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি স্পষ্ট।
স্কুলগামীদের ওপর এমন জরিপ চালানোর পর গোটা সমাজে পর্নো দেখার প্রবণতা নিয়ে তারা জরিপ করবে কি না তা বোঝা যায় না। তবে বাস্তবতা হচ্ছেÑ মোবাইল, কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের ওপর ভর করে পর্নোগ্রাফির বিস্তৃতি ঘটেছে সব জায়গায়, সব বয়সীদের মধ্যে। শুধু স্কুলগামীরা নয়, একই বয়সী সব শ্রেণীর মধ্যে এ প্রবণতা উচ্চ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এর মূল কারণ পরিবেশ থেকে এর প্রতি তারা প্রতিনিয়ত উদ্দীপনা গ্রহণ করছে। যেদিকে তাকানো হোক, নারী-পুরুষের সম্পর্ককে প্রধান বিষয় করা হয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, গোপনে পর্নো ধারণ করা হচ্ছে। এগুলোর বেশির ভাগই স্থূল প্রেম-ভালোবাসার ওপর ভর করে গড়ে ওঠা সম্পর্ক-কেন্দ্রিক। নারী চরিত্রটি জানে না এসব ভিডিও হচ্ছে। অজান্তেই নারীদের ব্লাকমেইল করা হচ্ছে। আবার এমনও রয়েছে, পাত্রপাত্রী উভয়ের অজান্তে তা ধারণ করা হচ্ছে। তৃতীয় কেউ ঘাপটি মেরে থাকে এসব দৃশ্য ধারণ করার জন্য। তারপর ইন্টারনেট বা মেবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে তা ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।
অপরিণত বয়সে তরুণ-তরুণীরা অনেক বেশি কৌতূহলী হওয়ায় পর্নো তাদের মধ্যে দ্রুত ছড়ায়। ইন্টারনেট ও মোবাইল পর্নোপ্রাপ্তিকে সহজ করে দিয়েছে, সুযোগ পেয়ে তারা এতে অসক্ত হয়ে পড়ছে। এ ধরনের অবস্থায় স্কুলগামীদের ব্যাপারে অভিভাবকদের উচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের পরিবর্তে অসচেতনতা বেশি প্রকাশ পাচ্ছে। তারই ফল পাওয়া গেল জরিপে। অভিভাবকেরাই সন্তানকে মোবাইল সেট সরবরাহ করছে। মমতা দেখাতে গিয়ে অনেকে তাদের দিচ্ছেন প্রয়োজনাতিরিক্ত টাকা। এ টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে, সেটার খবর নিচ্ছেন না। একইভাবে কেউ খেয়াল রাখছেন না মোবাইলটি কমবয়সী সন্তান কী কাজে লাগাচ্ছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে তারা কী উপকার নিচ্ছে, সেটাও দেখা হচ্ছে না। ইন্টারনেট ও মোবাইল কমবয়সীদের অনেক দরকারে আসে। গাফিলতি ও সতর্কতার অভাবে এটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ক্ষতিকর ব্যবহার হচ্ছে। অন্তত জরিপের ফলাফল তাই বলছে। ৭৭ শতাংশ সন্তানের অভিভাবকদের কয়জন জানে তাদের সন্তান পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হয়েছে। জানার পর সম্ভবত অভিভাবকদের কেউ সন্তানদের পর্নোগ্রাফি দেখতে দেবেন না।
এসব পর্নো দেখে জরিপকারীরা বলছেন, শুধু স্কুলগামীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যদিও এ ক্ষতির মাত্রা ও ব্যাপকতা তার চেয়ে অনেক বেশি। এমনকি এর ফাঁদে পড়ে অনেকে মানসম্মান সব হারিয়ে বসছেন। যে ধরনের পর্নো এখন ছড়াচ্ছে তা গোপনীয় বিষয়। এতে করে যারা এর শিকার হচ্ছেন, তাদের জীবনে নেমে আসছে ঘোর অমানিশা। একবার এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে গেলে সেই দাগ জীবনেও মোচন সম্ভব হয় না। উচ্চ চাহিদার কারণে পর্নো তৈরি করে ছেড়ে দিচ্ছে এক শ্রেণীর দুষ্কৃতিকারী। তাদের সাথে জড়িত রয়েছেন ব্যবসায়ীরাও। অনেকে কৌতূহলী হয়ে এমন ভিডিও ধারণ ও ছড়িয়ে দেয়ার জন্য কাজ করছেন।
বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে যখন পর্নো দেখার ক্ষতির কথা উচ্চারণ করা হচ্ছে, তখন জাতীয়ভাবে আমরা এ ব্যাপারে লাগাম ছেড়ে দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। নাটক, সিনেমা, আইটেম সংয়ের নামে শালীনতার সীমা অতিক্রম করা হচ্ছে। নারীদেহের প্রদর্শনীর মাধ্যমে দর্শক টানার প্রচেষ্টা সব সময় দৃশ্যমান। এমনকি পণ্যের বিজ্ঞাপনে অঙ্গাঙ্গিভাবে বিষয়টিকে টেনে আনা হচ্ছে, কমবয়সীদের যৌন আচরণের জন্য যা উসকানি দিচ্ছে। এর সাথে ভারতীয় ফিল্ম ও টেলিভিশনের সোপ অপেরা আগুনে ঘি ঢালার ব্যবস্থা করছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এসব অনুষ্ঠানের চরিত্রগুলো অশ্লীলতা ছড়াচ্ছে। বোম্বে ফিল্মের পোশাক এখন সেই দেশের সোপ অপেরার মধ্যেও চালু হয়েছে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের সমাজে নারীদের পরিধেয় বস্ত্রে পরিবর্তন এসেছে।
প্রথম আমরা ভারতীয় ছবির অর্ধনগ্ন দৃশ্যের শুধুই দর্শক ছিলাম। কেউ তা অনুসরণ করত না। যারা অগ্রগামী হয়ে এমন পোশাক পরে ভাবভঙ্গি নিত, তাদের প্রতি ধিক্কার পড়ে যেত। সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়ে গেছে।
পর্নোগ্রাফি নিয়ে আরো বিস্তারিত জানতে এই লিংকটিতে
ভিজিট করে দেখে আসতে পারেন। http://www.bestlove9.blogspot.com
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৩৬
এস এম আশিকুজ্জামান আকাশ বলেছেন: Tnx a lot.u have speck the truth.we should anylisis all the porn site in net and closed all the porn and porn related site for making a best porn free genaration.....
২| ০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৪১
কানিজ রিনা বলেছেন: খুব ভাল একটা লেখা দিয়েছেন। এইসব
ব্যবসা যারা করে নেট পর্যবেক্ষন মাধ্যমে
তাদের সায়েস্তা করতে হবে।
৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:৪০
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
পর্ণ সাইটগুলো বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ। নয়তো পরবর্তীতে অনেক বেশি প্রবলেমে পড়তে হবে।
জৈবিক এই কাজ সম্পর্কে একদিন জানতেই হবে - জানার মাধ্যমটা এত নোংরা না হয়ে যেন, সচেতন ভাবে হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে।
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৪১
এস এম আশিকুজ্জামান আকাশ বলেছেন: yes bro...our government should closed it permanently by forcing law .besides,its very essential to raising awerness....tnx
৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:৪১
সজীব মোহন্ত বলেছেন: কি আর বলব।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৮:২৮
এস এম আশিকুজ্জামান আকাশ বলেছেন: really we can not tell anything.....
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:৪১
কানিজ রিনা বলেছেন: খুব ভাল একটা লেখা দিয়েছেন। এইসব
ব্যবসা যারা করে নেট পর্যবেক্ষন মাধ্যমে
তাদের সায়েস্তা করতে হবে।