নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবোন্ধ কবি

আশিক হোসেন

কবোন্ধ কবি আমি। কবিতা দেইখা চোখ মুখ চিনা লন।

আশিক হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুর্বর জমানায় দাঁড়িয়ে

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১১

এতদিন পৃথিবীতে বেচে থেকে মানুষ যখন সব মহাদেশে দিয়েছে উড়িয়ে
মাংসল উপস্থিতিময় বিজয় নিশান ; বীজাণুর বিস্ফোরণের মতন
মানবতা ছড়িয়ে পড়েছে মাটি ও জলের বিবিধ বিন্যাসে ,
সন্তানদের অন্তহীন পিপাসার কাছে হার মেনে হয়ে গেছে রুগ্ন দুগ্ধশূন্যপ্রায়
বসুন্ধরার স্তন ; সহসা মুখোমুখি এই আকালে সদা সম্মুখগামী আদম সমাজ
ভ্রূণের লাগামহীন ঘোড়াকে টেনে ধরতে বাধ্য হলে আচমকা মন্থর হয়ে পড়ে
যতিহীন প্রসবের রথ ; উজ্জ্বলতম মানব সন্তানেরা ঘোষণা দেয় যে ,
চতুষ্পদ জন্তুর মতন জাতক না বাড়িয়ে সীমিত বংশধরে যে জন বাঁচে
সেই প্রকৃত প্রস্তাবে আদর্শ মানুষ ; এবং সাথে সাথে মেধাবী মানব সন্তানেরা
কাগজে কলমে দেখালেন যে, মুখ কমালে কম খাটুনিতেই চালানো যায় সংসার,
বাড়ে অবসর , সাফল্য আর সঞ্চয়ের অপার সম্ভাবনা । ফলে উপর মহলের
এই পরামর্শ সুবোধ বালকের মতন মেনে নিয়ে আমাদের আগের প্রজন্ম ঠিক করলেন
দুই একটা বীজ বাদে সব বীজ ফেলে দেয়া হবে পৃথিবীর শীতল ভাগাড়ে ।

এই প্রতিষ্ঠিত নীতি মনে রেখে আমার পক্ষে সঙ্গত নয় তাই
হৃদয়ের রহস্যময় কলকল শুনে আবেগে নদী পাড়ি দেয়া
তুমুল তুফানে মজবুত তরীবিহীন। প্রকৃতির ক্ষুদ্রতম খেয়ালে
নিমজ্জিত হয়ে যেতে পারি কামনার জটিল জলজ ঘূর্ণাবর্তে ;
এই বিষম সলিলসমাধি থেকে উঠে আসতে পারলেও ততদিন
মান , অর্থ , জীবন আর কুমারত্ব হারিয়ে হতে হবে হাসির পাত্র
চৌকস মাঝি মাল্লায় ভরা আমার সতীর্থদের মাঝে এবং হতে হবে বোঝা
অর্থনীতি স্নাতক মাতাপিতার কাছে ; আবার এইদিকে ঈশ্বরও বসে আছেন
ধর্মের খড়্গ হাতে ; অনেকদূর মানুষ এগোলেও এখনো ঈশ্বর আসেন তার কাছে
বুঝে নিতে প্রাচীন আমলের ঋণের বোঝাপড়া ; হাজার হাজার বছর সন্তান , রক্ত,
অর্থ , যুদ্ধ দিয়ে অনন্ত কিস্তির পরেও হয় নাই সেই দেনা চুকানো ; কিঞ্চিত বাকি বৈকি
তাই কিশোর কিশোরী আর যুবক যুবতী চোখ আর কানের সামনে মেতে উঠলে
গভীরতম ক্রীড়ায় ; পাড়ার অসুখী বৃদ্ধ দারোয়ানের মত তেড়ে আসেন ঈশ্বর
তার খাকি কোর্তার বাম পকেটের উপর থাকে লেখা ' ধর্ম '।

সামনে পিছনে তাই দরোজা বন্ধ ; চাবি ডুবে গেছে
পিতামাতা এবং ফাদারের ছানি পড়া চোখের গভীরে ;
এবং টেলিফোনে প্রেমের কবিতা চালাচালি করেও
যায় না আকাঙ্ক্ষার অন্তহীন দাবি পূরণ ; তাই অগত্যা
প্রিয়তমার আধারে ধার্যকৃত বেশিরভাগ আধেয়
বাগাট্টা খাওয়া ঘুড়ির মতন পতিত হয় পৃথিবীর নির্বিকার গর্ভে
সন্তানদের এই কীর্তিকলাপে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই মা ধরণীর
প্রসবে প্রসবে অসার পৃথিবীর জরায়ু এখন মাচুপিচুর মতন বিরান

ইস্রাফিল আর আমার দিকে তাকিয়ে সে কেবলি তসবি গোনে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:১৬

বিজন রয় বলেছেন: সন্তানদের অন্তহীন পিপাসার কাছে হার মেনে হয়ে গেছে রুগ্ন দুগ্ধশূন্যপ্রায়
বসুন্ধরার স্তন।

দারুন লেখা।
++++++

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১১

আশিক হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ । আরো ভালো লেখার চেষ্টা করব ।

২| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৭

ডাঃ প্রকাশ চন্দ্র রায় বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। গভীর কল্পনা শক্তির ছন্দায়িত বহিঃপ্রকাশ। কিভাবে সম্ভব এত দীর্ঘ তাল মিলিয়ে লেখা চালিয়ে সামন্জস্য রক্ষা করা । সহস্র প্রণতি কবি তব প্রতি এই দীন পাঠকের ।।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১২

আশিক হোসেন বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ। দোয়া করবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.