![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার হৃদয় যেন এক কোমল পাপোশঃ লাল , নির্বিকার ও নিঃসঙ্গ ;
পাট আর দড়ির সুচারু নকশার ভিতর কেবল নিরানন্দ ও নৈঞবাদ
ছাড়পোকার আদলে চলাফেরা করে ফ্যাসিস্টদের মতন ;
অর্থময় ডানার প্রজাপতি কিম্বা খুকির বিড়ালছানা যেই বা বসে এই জমিনে
সহসা প্রজাপতি ফের রূপান্তরিত হয় কীটে আর বিড়ালছানা ঘেয়ো কুকুরে ;
বুঝামাত্রই যাবতীয় সব আমোদ আর আনন্দ চলে গেলে ছাড়পোকার গ্রাসে
আমি কেবল শুনতে থাকি ফেরেশতাদের মর্মন্তুদ আর্তনাদ ;
বিষণ্নতার ব্ল্যাকআউটে চারদিক ভরে গেলে জলপাই অন্ধকারে
পাপোশের লাল পটভূমি ঢেকে গেলে সজীব রক্তের উজ্জ্বলতর লালে
পক্ষাঘাতগ্রস্তের মতন আমি শুয়ে থাকি ঘূণেধরা দরোজার সামনে ;
কোথাও আমার ভিতরে ধীরে ধীরে এক পৃথিবী মরে যায় ;
উপস্থাপিত শূন্যতা ভরে যেতে থাকে ততোধিক শূন্যতায় ;
কেউ যদি আমাকে পাশ কাটিয়ে চলে যায় তা কি খুব অস্বাভাবিক ?
কে সাধ করে দিবে পা এই পচা শামুকে ? কার এত উদ্বৃত্ত সময় ?
কে দিবে পা এই অশুভ টেক্সটাইলে ? কার এত উদার পদযুগল ?
এই হৃদয় ভরে গেছে জমে গেছে অপ্রতিরোধ্য স্নায়ুখেকো পিপীলিকায়
স্বাভাবিক আনন্দ-আমোদ আর ভালোবাসার সব তন্ত্র আর শিরা গেছে ছিড়ে ;
এখন যদি বার্বিডলের কোমল সু এসে ভর দেয় তবে নেই কোনো হর্ষ
এই পাজরের কোমলতাসৃষ্ট যাবতীয় সুখ আস্বাদনের ক্ষমতা নষ্ট হয়ে গেছে ;
এই হৃদয় এখন শুধু নিষ্ঠুরতম ক্ষুরধার বেদনার ভাষা বুঝে ;
এই শহরে তবু জানি আছে কেউ কেউ যারা বিনাস্বার্থে ব্যথা দিতে ভালোবাসে
যাদের চার ইঞ্চি উচু চকচকে কালো হাইহিল কেবল কোমলতা ছিন্ন করতে চায়
যাদের ক্ষুরধার পেন্সিল হিল যন্ত্রণাদায়ক চাপ দেয়ার জন্য দাঁড়িয়ে থাকে প্রতীক্ষায় ;
আমার এই অভিশপ্ত পাপোশ-হৃদয় এই চরম আত্মঘাতী সুখের লোভে তাই শুয়ে থাকে
এই শহরের নিষ্ঠুরতম প্রতিটি মহিলার দরোজার সামনে পূজারীর মত প্রতীক্ষায় ;
আপাতত শুয়ে আছি ; অনুভব করছি নিরানন্দ আর নৈঞবাদের যথারীতি কার্যক্রম ;
দেখছি এই পাট আর দড়ির জমিন সিক্ত হয় নিরর্থক জীবনের লালে ;
অনুভব করছি আমার সবগুলো আঁশ , রোম রূপসীর পায়ের জন্য খাড়া হতে থাকে ;
প্রতীক্ষা করছি কখন তার হৃদয় ভরে যাবে অবহেলার কালো মেঘে ;
কবে তার হৃদয় তথা হাইহিল ভরে গেলে বেদনাদাত্রী কালো মেঘে
আমার সমগ্র শূন্যতার লাল রঙ ভরবে বেদনার গাঢ় গভীর নীলে ।
আমি আমার অবচেতনে কেবলি শুনি ,
ঠক ঠক ঠক ঠক ঠক ঠক ।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৪
আশিক হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ। সাথে থাকবেন আশা করি। শুভেচ্ছা রইল।
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১০:৪৭
আমিই মিসির আলী বলেছেন:
আমি আমার অবচেতনে কেবলি শুনি ,
ঠক ঠক ঠক ঠক ঠক ঠক ।
ভালো লাগলো।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৭
আশিক হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ। আর ঠক ঠক ভালো লাগে না যদিও। শুভেচ্ছা রইল ।
৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৫২
বৃতি বলেছেন: ভালো লাগলো কবিতা
একটি টাইপো পেলাম, "জৈনিকা" শব্দটির পরিবর্তে "জনৈকা" হবে মনে হয়।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৫
আশিক হোসেন বলেছেন: জ্বী আপু। মিস্টেক করে ফেলেছিলাম। ধন্যবাদ ধরিয়ে দেবার জন্য। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা।
৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সুন্দর কবিতা
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৭
আশিক হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:১১
নিরল হৃদয় বলেছেন: ব্লগে নতুন। এইতো কটা দিন হলো আসা কিন্তু এখন ভাবী কেন কটাদিন আগে আসলাম না। কত ভালো ভালো লেখায় লেখারণ্য হয়ে আছে চারিদিক অথচ আসতামইনা।
যাইহোক খুব ভালো লেগেছে পড়ে।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৪৯
আশিক হোসেন বলেছেন: হ্যা ভাই। আমারো এই অনুতাপ আছে। আইলসামির পাহাড়ের নিচে চাপা পইড়া থাইকা অনেককিছু পড়া হয় না জানা হয় না। আবার এইটা কাটায়া উঠাও সহজ নয়। আলস্য এক প্রকার আসক্তিও বটে। আপনার আর আমার আরোগ্য কাম্য ।
৬| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫২
সাইয়্যিদ মুজাদ্দিদ বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ কবিকে
১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫৫
আশিক হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা।
৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:৫২
রোদ বৃষ্টি কাব্য বলেছেন: সুন্দর
১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪
আশিক হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ
৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০৯
মির্জা বাড়ির বউড়া বলেছেন: আসেন দেখেন ব্লগের সবচেয়ে পুরান নাটকের পুন:প্রচার। শরণার্থী নিকে ব্যাপক ল্যাদানির পরও মনমত সাড়া না পাওয়ায় অগ্নিসারথি গতকালকে নিজেই খুলেন বেলের শরবত নামে এক ইচিং ব্লগিং ক্যারেক্টার, তারপর সারাব্লগ ভাসিয়ে দেন নিজেই নিজেকে গালি দিয়ে কমেন্ট করে যেন মানুষের সহানুভূতি আদায় করে ভোট পাওয়া যায়। নিজের গোমর নিজেই গভীর রাতে ভুলে ফাঁস করে ফেলেন পোস্ট দিয়ে যে তিনি ববস.কমে জিতে চাকরি ছেড়ে রেসিডেন্ট ব্লগার হতে চান এই ব্লগের। মারহাবা।
৯| ২৪ শে জুলাই, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪
সিগনেচার নসিব বলেছেন: কবিতা ভাল লেগেছে কবি
অনিঃশ্বেস শুভেচ্ছা জানুন
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:১৩
ইসমাইলহোসেন০০৭ বলেছেন: অসাধারণ হয়েছে। ভালো লাগলো। প্রথম ++++++=