নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আসসালামুয়ালাইকুম,ধন্যবাদ আমাকে ভিজিট করার জন্য। আমি বর্তমানে পড়াশোনা করছি নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনলজি, খুলনাতে। আমি একজন কোম্পিউটার সাইন্সের স্টুডেন্ট। অনেকদিন থেকে লেখার তগিদ থেকে লেখা শুরু করছি। জানি না লেখা কেমন লিখি, তবে লিখতে ভালো উপভোগ করি

মোঃ আসিফ আমান আপন

হাই! আমি আসিফ আমান, বাসা যশোর। পড়াশোনা ওঠাবসা সব যশোরেই। নিজের কিছু ভাবনা শেয়ার করার উদ্দেশ্য নিয়ে ব্লগ লেখা শুরু করছি।

মোঃ আসিফ আমান আপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হঠাৎ যাত্রা

৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:২৬

৩০/০৪/২০২২
বিকালে ৩ টার পর কি মনে করে রাকিবের ফোন ধরলাম। গল্প করতে করতেই ২০ মিনিট কথা বলার পর বলে বসলো আজ ইফতার আছে। ট্রেন ৪ টায় আর আমি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলাম যশোর ঠিক ৩ টা বেজে ২৫ মিনিটে। বড় রাকিব, লোমাত, সুমাইয়া, আর ছোট রাকিব সবাই আসছে। যা বোঝা সেই কাজ ট্রেন সাগরদাঁড়ি ঠিক ৪ টা ছাড়বে কাছে যা সময় আর টাকা আছে হয়েই যাবে তো দেরি কিসের? বাসায় কিছু বুঝিয়ে বেরিয়ে গেলাম ইজিবাইকের থেকে নেমে দেখি হাতে ৩ মিনিট আর প্ল্যাটফর্ম বেশ দূর। কাউন্টারে টিকিট শেষ তো দৌড় এক মাত্র রাস্তা আর দিতে হবে বিনা টিকিটের ট্রেন ভ্রমণ যা অবৈধ একচুয়ালি :p। তো যাই হোক ট্রেনটা ধরতে আমি পারলাম উঠলাম আর ছাড়লো। ৭০ টাকার ভাড়া পড়লো ১০০। একটা ছেলে একটা বই ট্রেনে ফেরিও্য়ালার কাছ থেকে নিয়ে নেড়ে দেখে, রেখে দিলো। আমার দয়ার শরীর একে বই আর দুইয়ে ছেলেটা কিশোর নিজের ছোটবেলার স্ট্র‍্যাগল মনে পড়তেই (আমি কোনভাবেই বলছি না এখন স্ট্রাগল করছি না) কিনে দিলাম বইটা দামাদামি করে। নেমেই জাজমুন রেস্টুরেন্টে যেয়ে দেখা ফাহাদ ভাইদের সাথে। ব্যাসিকালি ওনারাই আমাদের ইফতারটা করতে দিলো না মানে ওনাদের আগেই বুক করে রাখা ছিলো। ওরিয়েন্টেও হলো না। গেলাম চিলাক্সে এবার আর হতাশ হতে হয়নি। অর্ডার দিয়ে বসলাম সবাই আসলো আড্ডা দিলাম সবাই। এই শহটায় কিছু একটা আছে যা আমার মন ভালো করে দেয়। ইফতার করে বের হতে গিয়েও পারলাম না। বাজার ঘুরে চাঁচড়া গেলাম আম্মুর ওষুধ নিতে। ওটার জন্য বেচারা ডাক্তারের ছেলেটাকে বেশ ঘুরিয়েছি। ঘুরে আবার আসলাম মনিহার সাথে রাকিব তো ছিলোই। বেচারা বৃষ্টির মধ্যে ফেসে গিয়ে যদি জ্বরে যেন না পড়ে। কথা দিয়েছিলাম বৃষ্টির মধ্যে পড়লে তোরে ২০ টাকা বিকাশ করে দিবো। জ্বরে আবার এক্সট্রা চার্জ। তো বিষয়টা হলো যে হ্যাঁ বৃষ্টিতে আমি ফেসে গেছি। বাসের মধ্যে লোকজন ড্রাইভার পেটাচ্ছে আর আমি ব্লগ লিখছি আমার ফোন দিয়ে। আমার একটা প্রশ্ন আছে যদি প্যাসেঞ্জাররা এতো ভালো গাড়ি চালাতে পারে তো পরের গাড়িতে ওঠার কি দরকার! ভাবলাম ঘটনাটা লিখে রাখি। এখন ১০ঃ১৬ আর আমি লোকালে কিছু পর পর গেয়ে উঠছি হায়দার হোসেনের এভারগ্রীন ক্লাসিক, "আমি ফাইস্যা গেছি"। ঈদের বাজারটা করে নিলাম একটা ফ্লিপ ফ্লপ কিনে যশোর থেকে (ভাই ঈদ বলে যা ছিলো তার আপিল আমার কাছে আর নাই তাই কেনাকাটা নিজের বলতে কিছুই নেই।)
বাই দ্যা রাস্তা লেখার শেষে একটা অপ্রাসঙ্গিক টিপস দেই ঈদের। পারলে তেল কিনে রাখুন নয়তো ঈদে সিন্ডিকেট বড় ধান্দা করছে সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে বিক্রির। যশোর ঘুরে যা টের পাচ্ছি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.