![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্লাসের সুন্দরী শান্ত মেয়ে রিয়া। কারো সাথে
তেমন কথা বলে না।চোখ দেখলে সব ভূলার মত
অবস্থা সবার। আর তার ঠোট তো ছিল রক্তে লাল,
অবশ্যই মেয়েটা হালকা গোলাপি লিপষ্টিক ব্যবহার
করত। অন্য আরেক টি ছেলে জয়। পড়ালেখায় ও
ভালো। প্রথম ক্লাসেই রিয়া কে দেখে কেমন যেন
ভালো লেগে যায়। কিছু দিন পর দেখতে দেখতে
ভালোবাসায় রৃপ নেয়। এরই মধ্য রিয়া দিকে অবাক
ভাবে তাকিয়া থাকার কারনে বন্ধুরাও বুঝে যায়
জয় রিয়াকে ভালোবাসে। জানা জানি হতে হতে
তা রিয়া ও জানতে পারে। তবে তার কোন
প্রতিক্রিয়া ছিল না। এভাবে যেতে যেতে
নীলয়ের সাথে দেখা রিয়ার। নীলয় তার এক
সেমিষ্টার উপরের হলেও বয়সে অনেক বড়। মেয়েদের
অনেক প্রস্তাব পেত প্রেমের। কিন্তু নীলয় রিজেক্ট
করে বন্ধুদের কাছে বাহাদুর সাজত। যদিও বাহাদুর
সে। হঠাৎ তার রিয়া কে দেখে ভালো লেগে যায়।
দেখতে দেখতে প্রপোজ ও করে ফেলে। কিন্তু
রিয়া রাজি হয় না। ২ বছর ঝুলানোর পরে আবার নীলয়
প্রপোজ করে। এবার কোন মতে বন্ধুদের জন্য রাজী
হয়ে যায়। যদিও আগে থেকে সে রাজী ছিল।
নীলয়কে নিয়ে যখন বন্ধুরা কথা বলত তখন
গোপনে ভাবত ভালোলাগার কথা। এর ই মধ্যে
তাদের বিষয় জানাজানি হয়ে যায়। আর সেই জয় ও
জানতে পারে।
প্রথমে অনেক কষ্ট পায়। পরে কষ্টের মাঝে ও চায়
তার প্রিয় মানুষ টি সুখে থাকুক। পড়ালেখায় আর মন
নেই।
এতো প্রেমের ব্যার্থতার কষ্ট! চিন্তা করে অন্য
কারো সাথে প্রেম করবে। কিন্তু তার চিন্তার
জগতে ভালোবাসার আসনে অন্য কেউ আসছে না।
তাদের প্রেম শুরুর কিছুদিন পর থেকে রিয়া কেমন
বদলে যেতে লাগল। অনেক শুকিয়ে গেছে মেয়েটা।
সারাদিন কি যেন চিন্তা করে। ঠিকমত খেতেও
পারে না। নীলয়ের সাথে তেমন কথা ও
বলতে পারে না। রিয়ার পরিক্ষা শেষ। তার বিয়ে
কথা চিন্তা করছে তার মা বাবা। শিক্ষিত পরিবার
আর আধুনিকতার ছোঁয়ার কারনে তার পরিবার রাজী
হল তাদের বিয়ে তে। নীলয়ের বাবা ছিল না। মা
ছিল শিক্ষকা।
তিনি রিয়াকে আগে থেকে চিনেন। তাই রাজি
হয়ে গেলেন। ইদানীং রিয়ার শরীর আরো খারাপ
হতে থাকে। এবং ডাক্তারের কাছে যায়। যদিও
আগে অনেক বার গিয়েছিল। তবে তার এসব খারাপ
লাগার কথা বলে নি। ডাক্তার অনেক চেকআপ করে।
পরে জানা যায় রিয়ার ব্লাড ক্যান্সার!!! একথা শুনে
নীলয় ও কেমন পাল্টে যায়।আগের মত দেখা করে না
কথা বলে না। আর রিয়ার ও বাঁচার কোন রাস্তা
নেই। চিকিৎসার জন্য তার বাবার তেমন অর্থ ছিলনা।
তাদের ব্যবসাটাতে তো এখন অনেক লস্ হচ্ছে। রিয়া
নীলয়ের বদলে যাওয়ার জন্য আরো খারাপ হতে
থাকে। হঠাৎ কিছুদিন পরে ডাক্তার ফোনে বলছে,
রিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে। ডাক্তারের কাছ
থেকে রিয়ার বাবা পরে জানতে পারে এর ব্যবস্থা
জয় করেছে। সুস্থ হওয়ার পরে নীলয় ও আসে দেখতে।
রিয়া ভাবছিল যে ছেলে টা গায়ের রং দেখে
রিয়ার গৃনা হত, যার চেহেরাটা খটাসের মত লাগত,
যার নাক চাকমাদের মত মোটা লাগত সেই জয়
ছেলেটা আসবে। কিন্তু আসে নি। তারা অনেক ধনী।
তাই এই সাহায্য হয়তো তাদের জন্য কিছুই না।
যাইহোক রাতে তারা জয়ের বাসায় গেল। জয়ের মা
কান্না করছে। তাদের একমাত্র পুত্র সন্তান জয়।
রিয়া কে দেখে জয়ের মা আরো কান্না শুরু করে।
এবং বলতে থাকে “তোমার জন্য আজ আমার ছেলে
মরতে বসেছে, সে এখন হসপিটালে।”সবাই চোটে
হসপিটালের দিকে। জয় তো শুয়ে আছে। তার
শরীরের অধিকাংশ রক্ত রিয়ার শরীরে। রিয়ার জন্য
সব রক্ত জোগাড় হয় নি। বাকী টুকু জয় দিয়ে ছিল।
কিন্তু সে ভান করে অতিরিক্ত রক্ত দিল রিয়ার
জন্য। এই সেই ছেলে যে পাগলের মত রিয়া কে
ভালোবাসে। হঠাৎ রিয়া বলে উঠল, “জয় i love u”
-মানে কি? তোমার সাথে আমার কয়েক দিন পরে
বিয়ে! (নীলয়)
-যে আমার বিপদে চলে যায়, যে আমার দুঃখের সাথী
নয় সে আমার জীবন সাথী হতে পারে না কিন্তু
জয়ের কপালে ভালোবাসা নেই। সে রিয়ার কথা
শুনে হাসি মুখে চলে গেল না ফেরার দেশে। আর
খারাপ লাগবে না জয়কে দেখে। জয়ের কুৎসিত
চেহেরা দেখে!
লাস্ট বেঞ্ছ স্টুডেন
©somewhere in net ltd.