![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গুগলে ‘অনুমতি’ লিখে সার্চ দিলে এক নাম্বারে যেই ছবিটা আসে সেটা হলো মির্জা ফখরুল সাহেবের ছবি। ওনার নেতৃত্বে ওনাদের দল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার জন্য এত এত সংখ্যকবার অনুমতি চেয়েছে যে, এখন অনুমতির সমার্থক শব্দ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিএনপি তথা মির্জা ফখরুল সাহেব।
এত সংখ্যকবার অনুমতি চাইলেও একটিবারের জন্যও তাদেরকে সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। এক্ষেত্রে সরকার টিকিয়ে রাখা পুলিশ বিভিন্ন ছলছাতুরির আশ্রয় নিয়েছে। অনুমতি না পেয়ে প্রত্যেকবারই বিএনপি এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ ঘোষণা করেছে। সেই বিক্ষোভেও মেলেনি অনুমতি, যেই গুটিকয় যায়গায় কিছু জনশক্তি রাস্তায় নামতে চেয়েছে সেগুলোতেও দেয়া হয়েছে বাধা। অনেক যায়গায় ছাত্রলীগ যুবলীগ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলেও পড়েছে।
শুধু সভা সমাবেশ নয়, গাঞ্জার ব্যবসা থেকে শুরু করে নিজের যায়গায় বাড়ি করা, ব্যবসা করা, হকারদের ফুটপাতে বসতে হলেও আওয়ামী লীগের অনুমতি লাগে। নইলে গুলিস্তানের মত ছাত্রলীগের অস্ত্রের ধাওয়া খাওয়া লাগে। মোটকথা গুম খুন অপহরন নির্যাতন থেকে রেহাই পেয়ে সহিহ সালামতে বাঁচতে হলেও আওয়ামী লীগের অনুমতি লাগে। নইলে তারেক সাঈদের মত কসাই জামাইদের ১১-১২ টি করে করা গুমের মধ্যে যেকোনো সময় ঢুকে যেতে হবে!!
তবে গুম খুন থেকে বেঁচেও দেখছি এখন রেহাই নেই। একটু শান্তিতে কবরে যাবেন? তাতেও তাদের বাধা। সবখানে বাধা দিতে দিতে ওনাদের সাহসের মাত্রা এতটা বেড়েছে যে, কবরে যেতে হলেও এখন তাদের অনুমতি লাগে। অনুমতি না নেয়া হলে লাশ বহনকারী খাটিয়ায় ধাক্কা মেরে তাড়িয়ে দেয়া হয়!!! নাটোরে আজকে এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে।
ধরে নিলাম এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। সাগর রুনি হত্যাকান্ড, নারায়নগঞ্জের ৭ খুন, এমপি লিটন হত্যা, কয়েকজন বিদেশি হত্যা ইত্যাদি বিচ্ছিন্ন ঘটনার যুগে ‘লাশ দাফনে আ. লীগ নেতার বাধা’ তো কোনো ঘটনার মধ্যেই পড়ে না!!
তবে বিচ্ছিন্ন এই ঘটনার মাধ্যমে এটা সহজেই অনুমেয় যে, আওয়ামী লীগাররা নিজেদেরকে দেশের মালিক ভাবার পাশাপাশি কবরেরও মালিক ভাবা শুরু করে দিয়েছেন। তাদের অনুমতি ব্যতিত দেশে যেমন থাকতে পারবেননা, তেমনি শান্তিতে কবরেও যেতে পারবেন না। এতদিন কথায় কথায় বলতো, (আওয়ামী স্বৈরাচারিত্ব) পছন্দ না হলে পাকিস্তান চলে যাও। এখন হয়তো বলবে পাকিস্তান গিয়া মরেন!!
তবে আওয়ামী রাজত্বে লাশ শীতলক্ষায় ভাসার চেয়ে কিংবা ইলিয়াস আলী, আল মোকাদ্দাস, ওয়ালিউল্লাহ, চৌধুরী আলমদের মত হারিয়া যাওয়ার চেয়ে অনুমতি নিয়ে বনে বাদাড়ে লাশ দাফন করতে পারাটাও অনেক অনেক শ্রেয়!!
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫৫
আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: এখন থেকে আর দুরুদে ওনার নাম নিতে ভুল হবে না।
২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
আওয়ামী লীগের প্রতি স্তরে, প্রতি নেতার পেছনে কিছু লোকজন আছে, যাদের কোন চাকুরী নেই; লীগ এদের চাকুরী দিতে পারেনি; কিন্তু এরা চাকুরীজীবিদের থাকে বেশী আয় করে, এরা ঘরবাড়ী তুলছে, ব্যবসা বাণিজ্যে যাচ্ছে; এ টাকা আসছে কিভাবে?
এটাকে বাধা দেয়ার জন্য দরকার ছিল পার্টির ভেতর থেকে, তা ঘটেনি; আরেকটা পথ ছিল, যদি শক্ত বিরোধী দল থাকতো; বিরোধী দলে আছেন বেগম এরশাদ, যিনি এগুলোর গুরু।
দেশে আরেকটি আধুনিক দল না আসলে, বা আওয়ামী লীগ নিজের থেকে না শোধরালে এ অবস্হা চলতে থাকবে।
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:১৮
আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রয়োজন, যেই নেতৃত্ব জনতাকে নিয়ে স্বৈরাচারিনীর বিরুদ্ধে হুংকার তুলবে।
৩| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০৩
রাফা বলেছেন: ছি ,আওয়ামি লীগ এত খারাপ।এটা ব্যান্ড করে দেওয়া উচিত।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:২৪
আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: আওয়ামী চাটুকাররা নিপাত যাক.....।
৪| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬
ধ্রুবক আলো বলেছেন: দেশ স্বাধীন হইছে ঠিকই কিন্তু মুক্তি এখনও পাইলাম না!!!
অদূর ভবিষ্যত কি যঘ হবে কে জানে???
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৯
আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: হুমমম
৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৪
মুন্সি পালোয়ান বলেছেন: সাগর রুনি সহ অল্প কয়েকটা খুনের বিচার ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রেই প্রকৃত খুনিদের ধরে বিচার হচ্ছে। বাংলাদেশের মতো একটি দেশে যা ১০ বছর আগেও কল্পনা করাও যেতো না। ২০০১-২০০৬ সালে এক ভয়াবহ অবস্হা ছিলো বিএনপি জামাতের কারণে। ২০০৬ এর অক্টোবরে কয়েকটা জামাত ক্যাডারকে পিটায়ে মারার ঘটনা প্রমাণ করে দেশের মানুষ কতটা ক্ষেপে ছিলো।
২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৭
আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: ২০০১-২০০৬ এর চেয়ে শতগুন বেশি ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে এখন। এক তারেক সাঈদ একাই করেছেন ১১টির অধিক গুম(এই সংখ্যা কেবলই প্রকাশ পেয়েছে যেগুলো, অপ্রকাশিত যেগুলো আছে সেগুলোর হিসেব তো আলাদা)। মানুষের নিরাপদ মৃত্যুর কোনো গ্যারান্টি নেই। মিডিয়ায় ব্যপকভাবে আলোচিত হয় যেই হত্যাকান্ডগুলো সেগুলোরই কেবল লোকদেখানো বিচার হচ্ছে। চূড়ান্ত রায় কার্যকর হচ্ছেনা। হাজারো বিরোধী নেতাকর্মীদের ঘর থেকে এনে এনে হত্যা করা হয়েছে। সেগুলোর বিচার তো দূরের কথা কেউ মুখেই নিচ্ছে না। আর ২০০৬ সালে জামাত ক্যাডারদেরকে সাধারণ মানুষ পিটিয়ে মারেনি, মেরেছে আওয়ামী ক্যাডাররা। শুধু মারেনি লাশের উপর হায়েনার মত নৃত্যও করেছে। যা দেখে পুরো বিশ্ববাসী হয়েছিলো বাকরুদ্ধ। এই নির্মম হত্যাকান্ডের বিচারও আজ পর্যন্ত হয়নি।
৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
"আর ২০০৬ সালে জামাত ক্যাডারদেরকে সাধারণ মানুষ পিটিয়ে মারেনি, মেরেছে আওয়ামী ক্যাডাররা। শুধু মারেনি লাশের উপর হায়েনার মত নৃত্যও করেছে। যা দেখে পুরো বিশ্ববাসী হয়েছিলো বাকরুদ্ধ। এই নির্মম হত্যাকান্ডের বিচারও আজ পর্যন্ত হয়নি। "
-১৯৭১ সালে গণ-হত্যার জল্লাদেরা ২০০৬ সালে মাঠে নেমেছিল কোন সাহসে? এরা জল্লাদ
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫০
আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: আপনার কথিত যেই জল্লাদদের সেদিন সাপের মত পিটিয়ে মারা হয়েছিলো, তাদের বয়স ছিলো ১৮-২৪, ৭১ এর বহু পরে তাদের জন্ম। আপচোচের ব্যপার হলো, আপনাদের মত ভন্ড মানবতাবাদিদের এই ডাবলস্ট্যান্ডার্ডের দরুন ভবিষ্যতে যখন আপনাদের ওপরও আরেকটি ২৮ অক্টোবর নেমে আসবে তখন সহমর্মিতা পাওয়ার মত লোক খুঁজে পাবেন না।
৭| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৪
মুন্সি পালোয়ান বলেছেন: লেখক বলেছেন: ২০০৬ সালে জামাত ক্যাডারদেরকে সাধারণ মানুষ পিটিয়ে মারেনি, মেরেছে আওয়ামী ক্যাডাররা। শুধু মারেনি লাশের উপর হায়েনার মত নৃত্যও করেছে। যা দেখে পুরো বিশ্ববাসী হয়েছিলো বাকরুদ্ধ।
পুরো বিশ্ববাসী পাইলেন কই? বিশ্ববাসী বাংলাদেশ খুব একটা নিয়ে আগ্রহী নয়, আর বিশ্বের অনেক মানুষই বিশ্বমানচিত্রে বাংলদেশের অবস্হানই জানে না। এ ঘটনায় বড়জোড় পাকিস্তান আর তুরষ্কের টাইপের কিছু মানুষ হা হুতাস করসিলো।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫
আস্তিক এলিয়েন বলেছেন: আপচোচের ব্যপার হলো, ভবিষ্যতে যখন আপনাদের ওপরও আরেকটি ২৮ অক্টোবর নেমে আসবে তখন বিপক্ষগ্রুপ হয়তো আপনাদের মতই এমন বানানো ব্ক্তব্যগুলো তুলে ধরবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৫২
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন:
দুরুদ সহি করে পাঠ না করলে হাদিয়াটকু যায়গামত পৌছায় না!