নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রহরীর বার্তা

অতন্দ্র প্রহরী

সবকিছু দেখেত পাই সবকিছু শুনতে পাই কিছু বলতে পারিনা।

অতন্দ্র প্রহরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষক নয় ধষির্তা যেখানে সাজা পায়..(সৌদি আরবে কোর্টের কথা)

১৮ ই নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:৩১

একুশ শতকের এই সভ্য দুনিয়াতে নারীদের বিচারের বাণী আজো কাদে। নীরবে নয়, প্রকাশ্যে। আর এই অন্যায়ের উর্বরভূমি হচ্ছে সউদি আরব। যেখানে বিচারের জন্য নারীদের আদালতে যাওয়াটাই অন্যায়। কোর্টের দৃষ্টিতে তা জঘন্য অপরাধ।

এমনই ঘটনা ঘটেছে সউদি আরবের ধর্ষিত নারীর ক্ষেত্রে। দেড় বছর আগে পূর্ব অঞ্চলীয় কাতিফ শহরে ১৯ বছরের এক সংখ্যালঘু শিয়া নারী ১৪ বার গণধর্ষণের শিকার হন। ধর্ষিতা সেই নারী কোর্টে মামলা করলে সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। কোর্ট ধর্ষণকারীদের এক থেকে পাচ বছর মেয়াদে জেল দেয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ্যে কোর্টে উত্থাপনের অপরাধে ধর্ষিতাকে ৯০টি বেত্রাঘাতের রায় দেয়া হয়।

কোর্ট আরো বলেছে, ধর্ষিতা যখন ধর্ষণকারীদের খপ্পরে পড়ে তখন সে বেগানা পুরুষ অর্থাত পরপুরুষের সঙ্গে গাড়িতে যাচ্ছিল। যা সউদি আরবের আইনে ধর্তব্য অপরাধের মধ্যে পড়ে।

ধর্ষিতার আইনজীবী আবদেল রহমান আল লাহেম ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে আপিল করলে কোর্ট ধর্ষিতার সাজা দ্বিগুণ করে ২০০টি বেত্রাঘাত ও ছয় মাসের জেল দেয়। বিচারক রায়ে বলেছেন, মিডিয়ার সামনে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ করে কোর্টকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালানোয় এ সাজা দেয়া হলো। ধর্ষিতার মামলা পরিচালনার অপরাধে কোর্ট তার আইনজীবী লাহেমের লাইসেন্সও বাতিল ঘোষণা করে এবং তাকে ডিসিপ্লিনারি সেশনের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দেয়।

আইনজীবী লাহেম বলেন, আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে দেয়া রায় সম্পূর্ণরূপে ইসলামী শরিয়া ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থী। তিনি বলেন, যেখানে শুধু ধর্ষণকারীদের সাজা দেয়ার কথা সেখানে কোর্ট ধর্ষিতাকে সাজা দিয়ে সউদি আরবের প্রচলিত আইনও লঙ্ঘন করেছে।

লাহেম বলেন, এমন একটি ঘৃণ্য অপরাধের বিচার না পেয়ে আমি হতাশ। আমি উচ্চ আদালতে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো। তিনি তার লাইসেন্স বাতিলের রায়কেও অবৈধ বলে দাবি করেন।



সূত্র- যায়যায়দিন

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +৪/-২

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:৩৭

নাজিরুল হক বলেছেন: এই রিপোর্টির সত্যতা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। আপনার কথা মানতে পারলাম না। ক,দিন আগেও রিয়াদের ধর্ষন ও পরে হত্যার দায়ে ৩ জনকে গলা কাটা হয়েছে।
নারীদের ক্ষেত্রে সউদি সরকার খুবই সতর্ক। একটা মেয়ে যদি মিথ্যা করেও বলে যে এই ছেলেটা আমাকে টিজ করেছে। সেই কেইস পুলিশ হাতে নিয়ে কাজ শুরু করবে তৎক্ষনাত।

তবে এ কথা সত্য যে শিয়াদেরকে অন্যান্য সউদিরা হেয় করে।

২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:৪৬

অতন্দ্র প্রহরী বলেছেন: জনাব, আপিন জেনেছেন ক"দিন আগে ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়েছে। তাহলে আপনাকে প্রথমে মানতে হবে ধর্ষন হয়। সব ধর্ষনের বিচার সঠিক হবে তা আপনি ভাবলেন কি করে। এ পৃথিবীতে মুখতার মাই জলন্ত সাক্ষি সেটা কি আপনি জানেন না। মুসলিম দেশ হয়েও পাকিস্তান তাকে কি করেছে।

৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:৫১

মুহিব বলেছেন: ৫

৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১২:৫৭

ইরতেজা বলেছেন: ইরান, ইরাক, আফগানিস্তানেও একি অবস্তা

৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:২০

মামু বলেছেন: কোর্ট ধর্ষিতাকে কেন সাজা দিল?
>ধর্ষণ হবার কারনে তো দেয় নাই।
ধর্ষিতাকে যে ধারায় সাজা দিল সেটা তো "ধর্ষিতা হবার কারনে না"। পর পুরুষের সাথে গাড়িতে যাবার অপরাধে।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে সেই মেয়েটি সৌদি আইন লঙ্ঘন করেচে।

( কোর্ট আরো বলেছে, ধর্ষিতা যখন ধর্ষণকারীদের খপ্পরে পড়ে তখন সে বেগানা পুরুষ অর্থাত পরপুরুষের সঙ্গে গাড়িতে যাচ্ছিল। যা সউদি আরবের আইনে ধর্তব্য অপরাধের মধ্যে পড়ে।)

* উচ্চ আদালত আবার কেন শাস্তি দিল?
> সৌদি আইনে মিডিয়ার সামনে ধর্ষর্ন প্রকাশ নিষেধ।
সুতরাং এই অপরাধে আবার শাস্তি হল।

(বিচারক রায়ে বলেছেন, মিডিয়ার সামনে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ করে কোর্টকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চালানোয় এ সাজা দেয়া হলো।)
-----------------------------------------------
সৌদি আদালতে তো সৌদি আইনে বিচার করব, নাকি বাংলা আইনে বিচার করব?

উদারহরন হিসাবে বলা যায়ঃ
ইংল্যন্ডে আত্বহত্যা করা অপরাধ, কিন্তু আত্বহত্যা করার চেষ্টা অপরাধ না।
আর বাংলাদেশে আত্বহত্যা করা অপারাধ না কিন্তু আত্বহত্যা করার চেষ্টা অপরাধ।
যা সম্পূর্ন একে অপরের বিপরিত।

৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৪৮

দিগন্ত বলেছেন: খবরটার সত্যতা নিয়ে আমার কোনো সংশয় নেই। লিঙ্কগুলো দেখুন -
আরব নিউস
মালয়েসিয়া সান
আর
ওপেক এ সৌদি সমালোচনা

৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৫০

দিগন্ত বলেছেন: মামু, সৌদি আইনের অযৌক্তিকতা দেখানোই পোস্টের লক্ষ্য। আপনি যা বলেছেন সেটা সবাই জানে।

৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ১:৫৩

মৈথুনানন্দ বলেছেন: নতুন কথা নয় - ক্যাঙ্গ্যারু কোর্ট।

৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:০১

মামু বলেছেন: একটা মানুষ অপারাধের শিকার হওয়া সত্বেও সে একটা অপরাধ করতে পারে, তাই বলে সেই ভূক্তভূগীর অপরাধের শাস্তি হওয়া উচিত কি না?
নাকি ভূক্তভূগী বলে তার অপরাধ মাপ করে দেওয়া উচিৎ?

চোর, চুরি করেছে বলে তাকে মেরে ফেলাটাও একটা অপরাধ।

১০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:০৩

মামু বলেছেন: ধর্ষিতা হবার আগেই সে পরপুরুষের সাথে ভ্রমন করে একটা অপরাধ করে ফেলেছে, নায্য বিচারে সেটারও কি বিচার হওয়া দরকার না?

১১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:১০

আওরঙ্গজেব বলেছেন: সালাম,
১. খবরটির হেডিং দেখুন, বিভ্রিন্তি ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ভেতরের নিউজে বলা হয়েছে, ধর্ষক ও ধষির্তা উভয়ে নিজ নিজ অপরাধের জন্য শাস্তি পেয়েছে, অথচ হেডিং: 'ধর্ষক নয় ধষির্তা যেখানে সাজা পায়..(সৌদি আরবে কোর্টের কথা)'।

আর খবরেরে হেডিং এর ব্রাকেটে 'সৌদি আরব' ইউজ করার উদ্দেশ্য স্পষ্ট, ইসলাম ও মুসলিম দেশকে হেয় করা।

যায়যায়দিনের হেডিং ও সেইম:
সউদি আরবের কোর্ট ধর্ষণকারী নয় ধর্ষিতাই যেখানে সাজা পায়

২. যায়যায়দিনের রিপোর্টটি সোর্স বিবিসি, যা প্রায়ই খবর টুইস্ট করে ইসলাম ও মুসলিম দেশে গুলোর বিরুদ্ধে লিখে। এজন্য বিবিসির গ্রহণযোগ্যতা এখন আগের মতো নেই।

৩. সহমত, @নাজিরুল হক ও @মামু।

৪. পরপূরুষের সাথে চলাচল ইসলামে নিষেধ আছে। সৌদি আইনে এটি অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। [আমাদের দেশে এই আইন নেই।] মেয়েটিকে ধর্ষিত হওয়ার জন্য শাস্তি দেয়নি, দিয়েছে পরপূরুষের সাথে চলাচল করার জন্য।

১২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০০৭ দুপুর ২:২০

দিগন্ত বলেছেন: আমি তো আরব নিউস আর মালয়েসিয়া সান থেকেও লিঙ্ক দিলাম।
আর সৌদির আইন কিরকম সেটা দেখাই যায় পোস্টে।

১৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫

অতন্দ্র প্রহরী বলেছেন: আমি খুব অবাক হচ্ছি আপনারা কেন এখানে সাম্প্রদায়িকতাকে আনছেন। এখানে সৌদি কিংবা আমেরিকার ব্যাপার নয়। ব্যাপারটি ধর্ষণ ও ধর্ষকের, এটা প্রথমে বুঝতে হবে। যায়যায়দিন অবশ্যই মুসলিমদের বিরুদ্ধে লিখেনি। সে শুধুমাত্র অনুবাদ করেছে এবং একটি অবিচারের কান্ডকে সবাইকে জানাতে চেয়েছে। কোরআনের কোন স্থানে আছে ধর্ষণ হলে কাউকে বলা যাবে না, আমাকে অনুগ্রহ করে দেখাবেন। মেয়েটি বেগানা পুরুষের সাথে ঘুড়েছে বলতে পারবেন আপনি কোন মেয়ের সাথে ঘুরেনি? তাছাড়া মেয়েটি যে ছেলেটির সাথে ঘুড়েছে সে যে তার কোন আত্তীয় নয় তার গ্যারান্টি কে দেবে। আমি আপনাদের সাথে তর্ক করছি না। আমাদের সকলেরই উচিত সত্যকে প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করা। আর একটি জিনিস মনে রাখতে হবে একটি মেয়ে এরকম একটি অপবাদের কথা কখন বলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.