![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
Do u know what is success.\nWhen ur signature becomes an autograph that\'s call success.
সাইকো-কিলার.
.
(ছোট বাচ্চার অবিরত কান্নার শব্দ)
.
হঠাৎ করে নিস্তব্ধতা চারদিকে, মামুন কিছুটা স্বস্ত্বির নিঃশ্বাস ফেললো।
.
জানালার দিকে তাকাতেই হঠাৎ কেন জানি অজানা ভয়ের আশাঙ্কায় বুকটা ধক ধক করে কেঁপে উঠলো, চারপাশে ঝিঁঝিঁ-পোকার ডাক, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি আর গহীন অন্ধকার ছাড়া কোন কিছুই দেখা যাচ্ছেনা,অমাবস্যা কিনা..??
.
-- এ্যাই, ওখানে কে...কে (গলাটা কেমন ধরে এলো)
-- কয়েকটা কুকুরের উৎকন্ঠামূলক চেচাঁমেচি ছাড়া আর কিছু ফিরে এলোনা প্রতিধ্বনি হিসেবে
-- যাই হোক,তাড়াতাড়ি কাজটা শেষ করতে হবে (মনে মনে বলে উঠে মামুন)
.
"TIROLL " ব্যাগটার একদম শেষের চেইনের জিপটা খুলে সদ্য ধার দেয়া চাপাতিটা বের করলো, একে একে চাইনিজ কুড়াল, পুরোনো জঙ্কার ধরা একটা "ছুড়ি",একটা খুর আর প্লাস,সাড়াশি।
.
সবশেষে একটা চেইন আর দুই লিটার কাঁচের বোতলের "ব্রান্ডি" ড্রিংকসটা বের করে ছিপিটা খুলে রাখলো। কেমন যেন একটা মাদকতাময়ী বিচ্ছিরি গন্ধে মৌ মৌ করছে ঘরটা।
.
বিছানার একপাশে সদ্য প্রসবকারী মহিলার নিথর দেহটা পড়ে আছে,চোখ দুটো বের হয়ে আসতে চাচ্ছে.. খুব ভয়ানকই বটে তবুও কেমন যেন উৎসুক হয়ে তাকিয়ে আছে মহিলাটার দিকে। চারপাশে মহিলাটার রক্তে ছড়িয়ে আছে।
.
মহিলাটার মৃত্যু ভয়ে হাসপাতালে সিজার করে যে বাচ্চাটা হওয়ার কথা ছিলো সেটা মামুনের মৃত্যুভয়ে নর্মালেই হয়ে গেছে কিন্তু "#বাচ্চাটা" বাঁচতে পারলো মামুনের হাত থেকে।
.
প্রসূতি মহিলার যৌনাংগ বাচ্চার মাথাটা বের হওয়ার সাথে সাথে দু'হাতে সজোড়ে টেনে বের করেছে বাচ্চাটাকে। নাড়ির বাঁধনটা পর্যন্ত কাটেনি, দাত দিয়ে টেনে ছিড়ে ফেলেছে, খুব সুন্দর ফুটফুটে ছিলো বাচ্চাটা।
.
একটু একটু করে মহিলাটার পা টেনে নিচে নামালো, প্রচন্ড ভারী মহিলার লাশটা আর বিছানার চাদরের সাথে ব্ল্যাড লেপ্টে লেগে যাওয়ায় নামাতে একটু কষ্টই হচ্ছিলো । মহিলার লাশটা একটু নাড়া-চাড়ায় মহিলাটার রক্তগুলো যেন সচল হওয়ায় চারপাশে আরো বেশি পরিমাণে ছড়িয়ে গেলো।
.
সদ্য প্রসবের কারণে কেমন যেন একটা আশঁটে গন্ধে কামনা জেগে উঠে মামুনের মনে। ভোঁতা চাকুটা দিয়ে মহিলাটার দেহের লোভনীয় অংশগুলো ধীরে ধীরে কেটে একটা সুসজ্বিত পিরিচে রাখলো, এরপর নিজের কামনা মিটালো আধা ঘন্টা ধরে। মারা যাওয়ার এতক্ষণ পরও কেমন যেন শরীরটা কাঁপছিল মহিলার।
.
মহিলাটাকে এবার টেনে ওয়াশরূমের দিকে নিয়ে বাথটাবের ভিতরে বসালো, গলাটা এরপর এক কোপ দিয়ে দ্বি-খন্ডিত করে ফেললো চাইনিজ কুড়াল দিয়ে সাথে সাথে রক্তে পুরো বাথটাব রঙিন হয়ে উঠলে কিছুটা রক্ত গ্লাসে নিয়ে রাখলো এরপর শাওয়ার অন করে।
.
(ফোঁটা ফোঁটা পানির শব্দ)
.
শরীরের সব রক্ত ধুয়ে গেলে, বাথটাবের অন্যপাশে রাখা ঘন সালফিউরিক এসিডটা ঠেলে দিলো আর তাকিয়ে তাকিয়ে একটা মানুষের শেষ হয়ে যাওয়াটা দেখে যাচ্ছিল। মোবাইলে তখন "দ্যা অ্যানিমাল" -এর ট্রাকটা বাঁজছে ।
.
সাড়াশি দিয়ে হাঁড় থেকে মাংসগুলো ছাড়িয়ে দিলো, একসময় নিঃচিহ্ন হয়ে গেলো দেহটা। হাঁড়গুলোকে নিয়ে খুব সুন্দর করে সাজিয়ে রাখলো নিজের শৌখিন জিনিষপত্র সাজিয়ে রাখার রূমে
.
আজ থেকে ঠিক পাঁচ বছর আগে ঠিক এমনভাবেই এক প্রসূতি মহিলাকে হসপিটাল থেকে তুলে এনে শেষ করে দেয়,মামুন। সময়টা ছিলো "মামুন",#সাইকো_কিলার, রাত হলেই বেরিয়ে পড়তো যুবতীদের বাসা,নাইট ক্লাব, পতিতালয়,হসপিটাল কিংবা কবর। এভাবেই, একের পর এক আশা,তমা,অবনী,টুম্পা,তানিয়া, নাতাশা সহ হাজারো জীবন। কি এক অদ্ভুত কারনে এ অপারেশনের পরপরই মামুন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে যায়...!!!
.
আজও অমাবস্যা, প্রতিটা অমাবস্যাই কাল হয়ে দাঁড়ায় মামুনের জন্য। এমনিতেই প্রতিরাতে সেই ছোট বাচ্চার কান্নার শব্দ শোনা যায় কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন "রাহ্ "খুঁজে বের করতে পারেনি। আর সেই অভিশপ্ত রাতের পর থেকে প্রতি অমাবস্যাতিথিতে বাচ্চাটার মা কোলে করে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে কিংবা মামুনের বিছানায় শুয়ে থাকে।
.
মামুনের চিন্তায় চিন্তায় এতটা চিন্তিত যে টানা গত একবছর ধরে পরিপূর্ণভাবে ঘুমাতে পারেনা। শরীর খুব দুর্বল আর দেহের প্রতিটা হাঁড় বাহির থেকে গুণে দেয়া যায়।
এখন যে কেউ দেখলেই বলে, মা মু ন..!! তুমি মৃত ব্যাক্তির মত খুব শুকিয়ে গেছো,কি হয়েছে এমন হসপিটালে যাও...;
.
হসপিটালে যাওয়ার কথা শুনলেই মৃত্যুভয়ে ককিয়ে উঠে। মনে হয়, কে যেনো ওকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে....
আজকের অমাবস্যাটা সত্যিই অন্যরকম চারদিকে সুন্দর বাতাস , সেই সাথে হালকা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও। ঝিঁঝিঁপোকার ডাক আর ব্যাঙের ডাকে ভালই লাগছে উঠোনে দাঁড়িয়ে একজনের কথা ভাবতে।
.
হঠাৎ ছোট্ট কোমলমতি মেয়েলি কন্ঠের কারণে ঘুম ভেঙে যায় মামুনের ফিরে দেখে ছোট্ট রাহি কান্না করছে অনবরত।
.
মেয়ের জন্য দুধ তৈরী করে নিয়ে আসার পথে দেখে,এক ছায়ামূর্তির প্রস্থান। সেই পাঁচ বছর আগের পুরোনো লাল দরজার উপর " The Restricted Room" টার দিকে চোখ পড়তেই দেখে দরজাটার তালা খোলা, মামুন কিছু বুঝে উঠতে পারেনা শুধু ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে........
আর আকাশের দিকে মুখ তুলে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে মনের অজান্তে বলে, হ্যাঁ আজ অমাবস্যা,সেই মধ্যরাত....;
.
------
অন্ধকার আকাশ্
------
.
#অভ্র
২| ১৩ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৭
মোঃ জাহিদুল ইসলাম (অভ্র) বলেছেন: হুম,কিছুটা অগোছালো নিজের মন থেকেই কষ্টসাধ্য করা। "A Journey Of Oddessy,2001" থেকে অনুপ্রাণিত
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই মে, ২০১৫ রাত ২:৫৪
অপ্রতীয়মান বলেছেন: খুন করার ভয়াবহ বর্ণনা
রহস্যটা পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারি নি।