![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কবিতা লিখতে আসিনি,ভুল গুলো ক্ষমা করবেন ।। চেষ্টা করি আমার লিখায় যেন সর্বহারার আর্তনাদ থাকে
“আমার দৃঢ় বিশ্বাস মা
তুমি বাংলা বলতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ কর
কথা দিচ্ছি মা -
তবে বাংলা-ই হবে আমাদের রাষ্ট্রভাষা!!”
এমনই সরল মন্ত্র ও স্থির মনোবলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন ১৯৫২’র ভাষাসৈনিকেরা। তাঁদের মধ্যে সিলেটের কিশোর ভাষাসৈনিক ফখরুদ্দৌলা তাপাদার ও আজিজ আহমদ চৌধুরী আনা মিঞা ছিলেন দেশমাতার দুই বিশিষ্ট সূর্যসন্তান।
ফখরুদ্দৌলা তাপাদার ২৫শে ফেব্রুয়ারি ১৯৩০ সালে সিলেটের বিয়ানীবাজার থানার মুল্লাপুর ইউনিয়নের মুল্লাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম আলহাজ্ব মৌলানা মছদ্দর আলী তাপাদার ও মাতা মরহুমা ময়মুননেছা বেগমের ১৪ জন পুত্র-কন্যার মধ্যে ফখরুদ্দৌলা ছিলেন দ্বিতীয়। ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১৯৪৮ থেকেই এবং পর্যায়ক্রমে ১৯৫২’র ফেব্রুয়ারির প্রথম থেকেই বৃহত্তর সিলেট পুরো উদ্যমে সভা-সমাবেশ-বিক্ষোভ মিছিলের মধ্য দিয়ে ঘুরে দাঁড়ায়। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার লক্ষ্যে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রদের পাশাপাশি মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল ছাত্ররাও এগিয়ে আসে। স্কুল ছাত্রদের মধ্যে রাজা জি.সি.হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র ফখরুদ্দৌলা তাপাদার ও একই শ্রেণির ছাত্র জকিগঞ্জ থানার বারহাল এহিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের আজিজ আহমদ চৌধুরী নেতৃত্বের ভূমিকা পালন করেন। আজিজ আহমদ চৌধুরী ও ফখরুদ্দৌলা তাপাদারের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। আজিজ আহমদ চৌধুরী ১৯৩৭ সালের ৫ আগস্ট সিলেটের জকিগঞ্জ থানার (সাবেক করিমগঞ্জ) ঐতিহাসিক বীরশ্রী বাঘেরসাঙ্গন গ্রামের সুপ্রসিদ্ধ জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম আলহাজ্ব নজিব আলী চৌধুরী ও মাতা মরহুমা বদরুননেছা চৌধুরীর চার সন্তানের মধ্যে আজিজ আহমদ চৌধুরী ছিলেন সবার বড়। পরবর্তীকালে তাঁর পিতা তাঁদের বিয়ানীবাজারস্থ জমিদারির অন্তর্ভুক্ত কাদিমলিক গ্রামের কাছারি বাড়িকে বসতবাড়ি বানিয়ে সেখানে স্থায়ীভাবে স্থানান্তরিত হন। বয়সে ছোট হওয়ায় ফখরুদ্দৌলা তাপদারকে আজিজ আহমদ চৌধুরী দৌলা ভাই বলে ডাকতেন। ফখরুদ্দৌলা ১৯৪৮ সাল থেকেই ভাষা আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ায় নানাভাবে সরকারি হয়রানির শিকার হন। এজন্য তিনি পড়াশুনায় খানিকটা পিছিয়ে পড়েন এবং যদিও তিনি ৫২’র ভাষা আন্দোলনের সময় যুবক ছিলেন কিন্তু স্কুলছাত্র হওয়ার কারণে তাঁকে কিশোর ভাষাসৈনিক হিসেবেই সবাই জেনে এসেছে। এখানে উল্লেখ্য যে, ফখরুদ্দৌলা রাজা জি.সি. হাইস্কুলের ছাত্র হিসেবে ইতোপূর্বে কয়েকবার মেট্রিকুলেশন পরীক্ষায় অংশ নিলেও রাজনৈতিক কারণে ব্যর্থ হন। অবশেষে সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মেট্রিকুলেশন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন। একই সাথে কম্পাউন্ডারি পরীক্ষা দিয়েও সফল হন। আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি রাজা জি.সি. হাইস্কুলের ছাত্র হিসেবেই সমধিক পরিচিত ছিলেন।
তখন, ২১শে ফেব্রুয়ারির আগেই সিনিয়র নেতাদের সহযোগিতায় গঠিত হলো ‘সিলেট জেলা মাধ্যমিক স্কুল রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি।’ বৃহত্তর ‘সিলেট জেলা রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি’র আহ্বায়ক পীর হাবিবুর রহমান দু’জনকেই ভালোবাসতেন। তিনি সিনিয়র হিসেবে ফখরুদ্দৌলাকে সভাপতি করতে চাইলে ফখরুদ্দৌলা স্বেচ্ছায় অনুজপ্রতীম আজিজ আহমদ চৌধুরীর নাম প্রস্তাব করেন। কারণ, আজিজ আহমদ চৌধুরী নবীন হলেও তুখোড় বক্তা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞার অধিকারী ছিলেন। তাই শেষপর্যন্ত আজিজ আহমদ চৌধুরীকেই উক্ত ‘সিলেট জেলা মাধ্যমিক স্কুল রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটি’র সভাপতি মনোনীত করা হয় এবং সম্পাদক মনোনীত হন ফখরুদ্দৌলা স্বয়ং। ফখরুদ্দৌলা তাপাদার ও আজিজ আহমদ চৌধুরী সিলেটের বিভিন্ন থানার মাধ্যমিক স্কুলসমূহে ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটে বেড়ান ও ২১ ফেব্রুয়ারির কর্মসূচিকে বাস্তবায়নে ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করতে থাকেন। ১১ ফেব্রুয়ারি বড়লেখা থানার পিসি হাইস্কুল প্রাঙ্গণে বক্তৃতা দানকালে পুলিশ কর্তৃক আজিজ আহমদ চৌধুরী ও ফখরুদ্দৌলা গ্রেফতার হয়ে থানা-হাজতে যান এবং পরদিন মৌলভীবাজারের সিনিয়র ভাষাসৈনিক মৌলভী আবদুল আজিজের হস্তক্ষেপে তাঁরা থানা-হাজত থেকে মুক্তি পান। তারপর বিভিন্ন অঞ্চলে গোপনে গোপনে প্রচারকার্য চালিয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি তাঁরা নিজ নিজ বিদ্যালয়ে ফিরে যান। ২১ ফেব্রুয়ারি তাঁরা নিজ নিজ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে অবস্থান করেন। দুপুরের পর আজিজ আহমদ চৌধুরী নিজ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছাত্র-জনতার এক সমাবেশে বিপ্লবী বক্তৃতা দেন। এই দিন বিকেলে ঢাকায় ছাত্র-জনতার উপর পুলিশের গুলিবর্ষণে সালাম, বরকত, জব্বার, রফিক প্রমুখ শহীদ হন। এর প্রতিবাদে পরদিন বিকেল ৪টায় সিলেটের গোবিন্দচরণ পার্কে এক সভায় ফখরুদ্দৌলা তাপাদার ও আজিজ আহমদ চৌধুরী অংশগ্রহণ করেন। এই সভাতে আজিজ আহমদ চৌধুরী অগ্নিঝরা ভাষণ দেন। ২১ ফেব্রুয়ারির গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে ২০-২৫ দিন পর্যন্ত সিলেটের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে বিক্ষিপ্তভাবে ধর্মঘট হয়। আজিজ আহমদ চৌধুরী ও ফখরুদ্দৌলার নির্দেশে সিলেট সদর, ঢাকাদক্ষিণ, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ, বড়লেখা, বিশ্বনাথ, বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ প্রভৃতি অঞ্চলের মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্ররা ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ সপ্তাহ কালো ব্যাজ ধারণ করে পূর্ণ ধর্মঘট পালন করে।
বিপ্লবী কিশোর ভাষাসৈনিক ফখরুদ্দৌলা তাপাদার ও আজিজ আহমদ চৌধুরী আনা মিঞা যেমন ভাষার দাবিতে সোচ্চার ছিলেন, তেমনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়েও নিজেদেরকে মেলে ধরেছেন জাতির জন্যে - জাতির মুক্তির জন্যে। ২৬ মার্চ ১৯৭১-এ শুরু হয়ে গেল আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। ২৮ মার্চ বিয়ানীবাজার থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে গঠিত হয় ‘বিয়ানীবাজার মুক্তিসংগ্রাম কমিটি।’ তদানীন্তন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবীণ জননেতা এম.এ. আজিজ ও সম্পাদক খ্যাতিমান কথাসাহিত্যিক আকাদ্দস সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত এ কমিটিতে ভাষাসৈনিক ফখরুদ্দৌলা ও আজিজ আহমদ চৌধুরী আনা মিঞা অন্যতম সদস্য ছিলেন। এই কমিটিতে আরও অনেকেই সদস্য ছিলেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলেন: আলীনগর ইউনিয়নের চন্দগ্রামের আজিজ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী (স্বাধীনতাউত্তর ইউ/পি চেয়ারম্যান), চারখাই ইউনিয়নের দাহাল গ্রামের সুলতান আহমদ চৌধুরী, শেওলার দিগেন্দ্রকুমার দাস, কুড়ারবাজার ইউনিয়নের গোবিন্দশ্রী গ্রামের সিরাজ উদ্দিন এশু মিঞা, আকাখাজনা গ্রামের আবদুল আহাদ (কলা মিয়া), দুবাগ ইউনিয়নের চিত্তরঞ্জন দাস, তিলপারা ইউনিয়নের আবদুল জলিল, মুল্লাপুর ইউনিয়নের আবদুল বাতিন তাপাদার, বিয়ানীবাজারের শ্রীধরা গ্রামের আবদুল লতিফ, তাজউদ্দিন আহমদ, বড়দেশ গ্রামের ফয়জুর রহমান ফৈয়াজ প্রমুখ। তাঁদের অনেকেই আজ আমাদের মধ্যে বেঁচে নেই।
যাইহোক, সংগ্রাম কমিটিতে তৎকালীন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সমন্বয়ের অভাবে স্থবিরতা দেখা দিলে নেতৃবৃন্দের অনেকেই ভারতে পাড়ি দেন। ফখরুদ্দৌলা জীবন বাজি রেখে আত্মগোপনে থেকে স্থানীয় যুবকদেরকে সংগঠিত করে ট্রেনিংয়ের জন্য ভারতে পাঠাতে থাকেন। অপরদিকে, আজিজ আহমদ চৌধুরী আনা মিঞা ২০ এপ্রিল স্ত্রী ও দুই শিশুপুত্রকে গোলাপগঞ্জের কদমরসুল গ্রামে নিরাপদে রেখে বগুড়ায় তাঁর মামাদের আশ্রয়ে চলে যান। সেখান থেকে তিনি মামা বগুড়ার শিল্পপতি তাহির চৌধুরীকে সঙ্গে নিয়ে দিনাজপুর জেলার হিলি বর্ডার দিয়ে ভারতে চলে যান। সেখানে তিনি ভারতের তদানীন্তন কেবিনেট মন্ত্রী ড. ত্রিগুণা সেনের অনুকম্পা লাভে সক্ষম হন এবং তাঁরই বিশেষ সহযোগিতায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলাস্থ সোনামুড়া প্রশিক্ষণ ক্যাম্প থেকে বিডিএফ-এর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার মেজর আবদুল ফাত্তাহ চৌধুরী ও মেজর খালেদ মোশারফের অধীনে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
প্রশিক্ষণ শেষে আজিজ আহমদ চৌধুরী পরীক্ষামূলকভাবে সর্বপ্রথম ১৫ জুন ১৯৭১-এ ৩ নম্বর সেক্টরের ক্যাপ্টেন নুরুজ্জামানের নেতৃত্বে হবিগঞ্জের শাহজীবাজার রেলসেতু অপারেশনে অংশগ্রহণ করেন। এরপর তিনি কলকাতায় ফিরে গিয়ে ড. ত্রিগুণা সেনের অধীনে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ-বিষয়ক শাখায় সহকারী য্দ্ধুসরঞ্জাম সরবরাহ কর্মকর্তা হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীকালে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে ২১ অক্টোবর ৪ নম্বর সেক্টরের অধীনে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ থানার ধলাই চা-বাগানে কুখ্যাত পাক্-ক্যাপ্টেন শের খান হত্যা অপারেশনে সাহসিকতার পরিচয় দেন। এরপর তিনি কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ৫ নম্বর সেক্টরে চলে যান। এই সেক্টরের অধীনে ৩য় বেঙ্গল রেজিমেন্টের অধিনায়ক মেজর শাফায়াত জামিলের নেতৃত্বে ২৯ নভেম্বর আজিজ আহমদ চৌধুরী সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার আলীরগাঁওয়ে পাক্-শক্রর এক শক্ত ঘাঁটিতে ৫৩ জন মুক্তিযোদ্ধার একটি দলের কমান্ডার হিসেবে এক গেরিলা আক্রমণ চালিয়ে বীরত্বের স্বাক্ষর রাখেন। দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত তিনি ৫ নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিলেন।
মাতৃভূমি স্বাধীন হলে আজিজ আহমদ চৌধুরী নিজ বাড়িতে স্ত্রী-সন্তানদের মাঝে ফিরে আসেন এবং সমাজ গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। মাস চারেক বাড়িতে কাটিয়ে তিনি আবারও চলে যান বগুড়ায় তাঁর মামাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের হিসাবরক্ষণের দায়িত্ব নিয়ে। সেখানে বছর চারেক অবস্থান করে আবার বাড়ি ফিরে আসেন। এরপর ১৯৮১ সালে তিনি পবিত্র মক্কায় চলে যান এবং পরপর দু’বার হজ্বব্রত পালন করেন। সুদীর্ঘ আট বছর মক্কায় কাটিয়ে ১৯৮৮ সালে বাড়ি ফিরে আসেন এবং দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসে আক্রান্ত থেকে বিগত ৬ জানুয়ারি ১৯৯১-এ সিলেট ওসমানী হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে রামদাবাজার সংলগ্ন পারিবারিক গোরস্থানে সমাহিত করা হয়। আর সংগ্রামী বীরপুরুষ ফখরুদ্দৌলা স্বাধীনতা পরবর্তীকালে গ্রামের বাড়ি ফিরে আসেন এবং স্বাধীনতাউত্তর মুল্লাপুর ইউনিয়নের প্রথম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। একপর্যায়ে তিনি সিলেট শহরের দরগামহল্লায় বাসা নির্মাণ করে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকেন। বিগত ১৮ এপ্রিল ২০১৪ সিলেট দরগামহল্লায় তাঁর নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় হযরত শাহজালাল (রঃ)-এর মাজারে সমাহিত করা হয়।
তথ্যসহায়ক:
১. বাংলাদেশ ইতিহাস সমিতি কর্তৃক প্রকাশিত ‘সিলেট ইতিহাস ও ঐতিহ্য’, জুলাই ১৯৯৯, ঢাকা
২. সিলেটের বারহাল এহিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক আবদুল হামিদ কর্তৃক ২১ ফেব্রুয়ারি
১৯৭৪-এ স্কুলের সভায় পঠিত প্রবন্ধ ‘ভাষা আন্দোলনে আমাদের বিদ্যালয়’ (অপ্রকাশিত)
৩. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের প্রফেসর ড. রংগলাল সেন কর্তৃক ১৩ মে ২০০৫-এ ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ
জাদুঘরে গুরুসদয়ের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় পঠিত স্বলিখিত প্রবন্ধ ‘গুরুজীর
দেশপ্রেম’
৪. আবদুর রউফ খান মিষ্টু সম্পাদিত ‘মুক্তিযুদ্ধে বিয়ানীবাজার:সংগঠকদের কথা’ ২৬ মার্চ ২০১০, ঢাকা
৫. কবি ফজলুল হক সম্পাদিত ‘বীরমুক্তিযোদ্ধা আজিজ আহমদ চৌধুরী স্মারকগ্রন্থ’, ২৬ মার্চ ২০১১, সিলেট
৬. মরহুম মুক্তিযোদ্ধা আজিজ আহমদ চৌধুরী আনা মিঞার সহযোদ্ধা যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মিয়া,
মুক্তিযোদ্ধা মইন উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমান, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা খলিলুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা
লুৎফুর রহমান চৌধুরী প্রমুখের স্মৃতিচারণ, ১৬ ডিসেম্বর ২০১২, সিলেট
৭. মাসিক ‘সিলেট ভিউ’, ফেব্রুয়ারি ২০১৩
৮. মাসিক ‘ভাটির শিকড়’, জুলাই ২০১৩
৯. বাংলাদেশ ব্রতচারী সমিতির বার্ষিক মুখপত্র ‘ব্রতচারী আহ্বান’, মহান বিজয় সংখ্যা-২০১৩, সিলেট
১০. মরহুম ভাষাসৈনিক ফখরুদ্দৌলার পৌত্র মাজহার আমানের টেলিফোনিক সাক্ষাৎকার, ১৩ মে ২০১৪,
সিলেট
লেখক: কবি ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক। বিবিএ (সম্মান), হরগঙ্গা সরকারি কলেজ, মুন্সীগঞ্জ।
...........অয়ন সাঈদ
_____________
সিলেটের পূর্বাঞ্চলের সাপ্তাহিক
"দিবালোকে"
২৫ মে,২০১৪(রবিবার);বর্ষ-০৭;সংখ্যা-১৯ এ প্রকাশিত হয়।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করি "বাংলাদেশ ব্রতচারী সমিতি"-র প্রেসিডেন্ট "হাবিব আহমদ দত্তচৌধুরী" ভাই এর প্রতি।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
উনাদের অবদানের কথা জানলাম।