নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জয় করবো বাংলাদেশ ।।

বাংলাদেশপন্থী ।।

Aabid

মানুষের স্বভাব হচ্ছে পিছন দিয়ে টেনে ধরা ।সে চায়না তার সামনে দিয়ে কেউ এগিয়ে যাক ।খুব অল্প সংখ্যক মানুষ এই স্বভাবের বাইরে থাকতে পারে ।যুগে যুগে তারাই মহাপুরুষ হয়েছে,হচ্ছে,হয়ে যাবে ।।(প্রথম লাইনটা আমার স্কুল জীবনের প্রিয় শিক্ষক জাবেদ স্যারের ।পরের লাইনগুলি আমার লেখা)

Aabid › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশ নিয়ে দুটি কথা...

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:২৪

মানুষ হিসেবে দেশ নিয়ে
কিছু লেখার মতো বয়স ও
অভিজ্ঞতা কোনটাই আমার
নেই ।
তারপরো দেশ নিয়ে ভাবি,
দেশের কথা লিখি ।
আমার নিজের মা'কে
আমার মনে নেই তাই
দেশটাই আমার মা,
দেশটাকে তাই বড্ড
বেশি ভালবাসি ।

"দেশ নিয়ে দুটি কথা"
শিরোনামে সাত সকালে
লিখতে বসলাম ।
মানসিকতা বিধ্বংস্ত
তারপরো লিখছি,
যে সময় যে লেখা মাথায়
আসে তা লিখতে না পারলে
অস্বস্তি লাগে ।

"দেশ নিয়ে দুটি কথা"তে
আমি আওয়ামীলীগের
গত ৭ টি বছরের (২০০৮-২০১৫) শাসন নিয়ে
আলোচনা করবো ।
আলোচনা শুরুর পূর্বে
একটা কথা বলে রাখা
উচিত যে-
আমি দেশের প্রচলিত ও
জননন্দিত রাজনৈতিক
দলগুলির সদস্য
বা সমার্থক নই ।
তবে আমি একটি
রাজনৈতিক মতাদর্শে
বিশ্বাসী ।
আর তা হচ্ছে-সমাজতন্ত্র/
কমিউনিজ্যম/বামপন্থী ।
তাই অনেকটা নিরপেক্ষ
ও দেশের প্রতি ভালবাসা
রেখে এই স্ট্যাটাস লিখতে
বসেছি কারন বামপন্থীরা
এদেশীয় রাজনীতিতে
অসহায় বটে তবে পাও চাটা
বামপন্থীদের কথা ভিন্ন ।।

জাতির অন্যতম শ্রেষ্ঠ
সন্তান (আরো অনেক শ্রেষ্ঠ
সন্তান রয়েছেন-৭ জন বীরশ্রেষ্ঠ,ভাষাশহীদেরা,
আরো অনেক আছে ।) ও
বাঙ্গালী জাতির জনক
শেখ মুজিবুর রহমানের
কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্ব
উপমহাদেশের অন্যতম
ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক
সংগঠন আওয়ামীলীগ
২০০৮ সালে বিপুল
সমার্থন নিয়ে দেশের
ক্ষমতায় আসে ।

শেখ হাসিনার ভোটের
অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া
ও ১০ টাকায় চাল স্লোগান
দেশের আপামর জনতা
সাদরে গ্রহণ করেছিল কারন
আওয়ামীলীগের প্রতি বিশ্বাস
এদেশের জনগনের ১৯৫৪
সালের নির্বাচনের মাধ্যমেই
প্রকাশ পেয়েছে এবং একটি
বিশ্বাসের জন্ম এ যাবত্‍কাল
চলে আসছে যে-
"অসহায়,নিপীড়িত মানুষের
অধিকার আদায়ের হাতিয়ার
হচ্ছে আওয়ামীলীগ ।"

সেই বিশ্বাস থেকে
আওয়ামীলীগকে বিপুল
সমার্থন দিয়েছে গোটা
জাতি ।

তবে আওয়ামীলীগ সরকার
ক্ষমতা পাওয়ার ১ বছরের
মাথায় ২০০৯ সালে জাতি
নির্বাক,বাকরুদ্ধ,স্তব্ধ হয়ে
যায় ।
জাতির শ্রেষ্ঠ ৫৭ জন
সেনা অফিসারকে অত্যন্ত
নির্মমভাবে হত্যা করা
হয়েছে ।
বাঙ্গালী জাতির জন্মের
পর জাতির মেধাশূণ্য
হওয়ার এটাই সবচেয়ে বড়
নজির ।
তবে এ হত্যাকান্ডের
বিচার করে আওয়ামীলীগ
সরকার প্রমাণ করেছে তারা
এর সাথে যুক্ত নন তবে
নিঃসন্দেহে একটি বড়
চক্র এর সাথে জড়িত যেটা
জাতি আজো জানতে পারেনি ।

ক্ষমতার একদম শেষ
পর্যায়ে অর্থাত্‍ ২০১৩
সালে রানা প্লাজা ধ্বস
ও আরো কিছু বিচ্ছিন্ন
ঘটনা ছাড়া বেশ
সফলতার সাথে আওয়ামীলীগ
সরকার দেশ পরিচালনা
করেছে ।
তবে মেয়াদ শেষে তারা
যে জনগনের ভোটের
অধিকার কেড়ে নিয়েছে
সেটা জাতিসহ গোটা বিশ্ব
দেখেছে ।
নিঃসন্দেহে আওয়ামীলীগের
মতো একটি ঐতিহ্যবাহী
রাজনৈতিক দলের জন্য এটা
একটা কলংক বটে ।
কারন আওয়ামীলীগ
জনগনের স্বাধীনতায়
বিশ্বাস করে এবং সেটাই
১৯৪৮ সাল পরবর্তী
সময়ে ঘটেছে ।

যা হোক,
৫ জানুয়ারির নির্বাচন
সম্পর্কে সবাই-ই কমবেশি
অবগত আছেন ।
ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হন
১৪৯ জন সংসদ সদস্য !
বাংলাদেশের রাজনৈতিক
এমনকি পৃথিবীর ইতিহাসে
এরকম ঘটনা এটাই প্রথম,
হয়তো এটাই শেষ ।

নির্বাচন হয়ে গেলে অত্যন্ত
ক্ষিপ্রতার সাথে শেখ হাসিনা
মন্ত্রীপরিষদ গঠন করেন
এবং দেশ পরিচালনা
করছেন ।

এবার একটু ঘাঁটাঘাঁটি
বাদ দিয়ে বর্তমান
পরিস্থিতিতে ফিরে আসি ।
বাংলাদেশ এখন তার
অস্তিস্ত সংকটে আছে ।
আওয়ামী সরকার ৫
জানুয়ারী পরবর্তী সময়ে
আমেরিকা ও ইউরোপীয়
অন্যান্য রাষ্ট্রের সাথে যে
উদ্যত আচরণ করেছে
তার একটা নেগেটিভ
প্রভাব জাতির উপর
পড়বে এটাই স্বাভাবিক এবং
পড়া শুরু করেছে ।
আমাদের ভুলে গেলে চলবেনা,
আমেরিকা কি ও আমেরিকা
কাকে বলে ?
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ অর্থাত্‍
১৯৪৫ সাল পরবর্তী
সময়ে আমেরিকা গোটা
পৃথিবীতে যে সাম্রাজ্যবাদী
জাল বিছিয়েছে তা দুধের
শিশুরও অজানা নয় ।
গুটি কয়েক রাষ্ট্র
(কিউবা,ভেনিজুয়েলা,
ইরান,উত্তর কোরিয়া,
রাশিয়া,লেবানন) বাদে
বিশ্বের সব রাষ্ট্র আমেরিকার
কাছে অসহায় ।
কাড়ি কাড়ি অর্থ,শক্তিশালী
অস্ত্র ও ক্ষমতার বলয়ে তাবত্‍
বিশ্বকে আমেরিকা আঁটকে
ফেলেছে ।
যারা সহজে তাদের বশে
আসতে চায়নি তাদের
অবস্থা কেমন হয়েছে
সেটাও দুধের শিশুর কাছে
অজানা নয় ।
২০০০ সালের পরে
ইরাকের কি অবস্থা করেছে
আমেরিকা তা গোটা বিশ্ব
চেয়ে চেয়ে দেখেছে ।
আবার আফগানিস্তান,
প্যালেস্টাইন (ফিলিস্তিন)
এর কি ভয়াভহ অবস্থা
হয়েছে এবং হচ্ছে সেটাও
কারো অজানা নয় ।

৫ জানুয়ারি পরবর্তী
সময়ে শেখ হাসিনা ও
তার সরকার আমেরিকা
বিরোধী যে কঠোর মনোভাব
এবং সে দেশের দূত ও
বার্তাবাহকের যে অবমূল্যায়ণ
করেছেন তার ফল ভালো
হওয়ার নয় ।
আর প্রেক্ষিতে আজ গোটা
জাতি আইএস আতংকে
ভুগছে ।
ইরাককে ধ্বংস করতে
আমেরিকাই আল কায়েদার
জন্ম দিয়েছিল,গোটা
মুসলিম বিশ্বকে ধ্বংস
করতে আমেরিকা-ইসরায়েল
জন্ম দিয়েছে আইএস (IS-Islamic State) এর ।
আপনি আওয়ামীলীগ এবং
আপনি দুর্দান্ত ক্ষমতাসীল
কিন্তু আপনাকে মনে রাখতে
হবে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয়
বৃহত্তম মুসলিম দেশ এবং
আমেরিকা-ইসরায়েল বিশ্বের
ক্ষমতাধর দুই রাষ্ট্র এবং
তাদের সৃষ্ট আইএস,আল
কায়েদা এবং তালেবান ।
এসব দলের সাথে ইসলামের
কোনো সম্পর্ক নেই শুধুমাত্র
সাম্রাজ্যবাদী চেতনা থেকে
আমেরিকা-ইসরায়েল এদের
জন্ম দিয়েছে ।
আওয়ামী সরকারকে তাদের
সাথে দেশের স্বার্থে সম্পর্ক
ভালো রাখতে হবে ।
মনে রাখতে হবে যে,
আমেরিকা তাদের নীতি
প্রতিষ্ঠায় বদ্ধ পরিকর এবং
তারা মাথা নুয়াতে অভ্যস্ত
নয় ।
পৃথিবীতে ইহুদী-মুসলিমের
অনুপাত হচ্ছে একঃএকশো
অর্থাত্‍ একজন ইহুদীর
বিপরীতে ১০০ জন
মুসলিম আছে তবু ইহুদীদের
কাছে মুসলমানরা অসহায় ।

আমাদের মনে রাখতে হবে
যে,
বিশ্বের দ্বিতীয় মুসলিম
দেশ হওয়ার জন্য আমরা
অত্যন্ত স্বাভাবিকভাবেই
আমেরিকা-ইসরায়েলের
চোখে পড়ে যাবো এবং
গিয়েছি ।
অতিদ্রুত তাদের সাথে
সম্পর্ক উন্নয়ন করা না
হলে বাংলাদেশকে
আফগানিস্তান অথবা
ফিলিস্তিনের পরিণতি ভাগ্যে
আনতে হতে পারে ।
ব্যাপারটা চিন্তা করতেই
আমার গা শিহরে উঠছে !!

দেশে আইএস আসুক না
আসুক সরকারকে তত্‍পর
হতে হবে,আবালের মতো
বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উড়িয়ে
দিলে চলবেনা ।
আপনাদের পাপের বোঝা
জাতি নিবে কেন !
Do something,
এবং অতিদ্রুত কিছু
করতে হবে ।
আমরা আফগানিস্তান,
ফিলিস্তিন হতে চাইনা ।।

"বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক"

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.