![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যারা ভালবাসার মানুষটিকে কোনভাবেই হাতছাড়া করতে চান না কিন্তু পরিবার থেকে সম্পর্ক মেনে নিচ্ছেনা, এমন অবস্থায় অনেকেই কোর্ট মেরেজ বা কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করার কথা ভাবেন।
দুই জনের সম্পর্কের মাঝে যখন অনিশ্চয়তা আসে অনেকেই মনে করেন কোর্ট ম্যারেজ করবেন, চলে যান কোর্টে! আসলে কোর্টে কোর্ট ম্যারেজ হয়না। কোর্টে আপনি যাবেন ঠিক তবে কেবল আপনার কাজীর
কাছে করা বিয়ের আইনি নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে। এক্ষেত্রে আগেই আপনাকে কাজীর
কাছে রেজিস্ট্রী কাবিনমুলে বিয়ে করে, কোন নোটারী পাবলিকের (সরকারী রেজিস্টার্ড উকিল)
কাছে গিয়ে আপনারা প্রাপ্তবয়স্ক এবং স্বজ্ঞানে, স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছেন এই মর্মে ১০০ বা ২০০ টাকার
স্ট্যাম্পে একটি হলফনামায় সই করে রাখতে হবে। এই হলফ নামাই বিয়ের পর নানান সমস্যার ক্ষেত্রে আপনাদের রক্ষা কবজ হবে।
যাকে বিয়ে করবেন অর্থাৎ বর/কনে দুই জনের বয়স কি বিয়ের জন্য আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট কোটা পার হয়েছে!
বিয়ের বয়স অবশ্যই মেয়ের বেলায় ষোলো ও ছেলের ক্ষেত্রে আঠার বৎসর হতে হবে।
প্রমাণ হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র যদি থাকে তা কাজীর কাছে নিয়ে যেতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র যদি না থাকে তবে এসএসসি পাশের সনদ কিংবা জন্মনিবন্ধন পত্র সাথে নিয়ে গেলেই হবে। আর ছেলে/মেয়ে দুইজনের দুই কপি করে পাসপোর্ট সাইজ ছবি লাগবে।
সাক্ষী লাগবে অবশ্যই। বিয়ের জন্য প্রাপ্ত বয়স্ক ২ জন পুরুষ অথবা ১ জন পুরুষ ও ২ জন মহিলা সাক্ষী থাকতে হবে।
কাবিন নামার খরচ যেকোনো বিয়ের ক্ষেত্রে একই। মুসলিম বিয়ের ক্ষেত্রে একজন বিয়ে রেজিস্ট্রার নমোহরের
পরিমাণের উপর ভিত্তি করে একটি বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের ফি নির্ধারণ করে থাকেন। ধার্য্যকৃত দেনমোহরের প্রতি হাজার বা তার অংশবিশেষের জন্য ১০ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি। তবে রেজিস্ট্রেশন ফি এরপরিমাণ ১০০ টাকার কম হবে না এবং ৪০০০ টাকার উপরে হবে না। উল্লেখ্য রেজিস্ট্রেশন ফি পরিশোধের দায়িত্ব
বরপক্ষের।
সরকার সময়ে সময়ে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই ফি পরিবর্তন ও ধার্য্য করে থাকে।
বিয়ে আপনি করতে পারেন যেকোনো কাজী অফিসে। সাধারণত যেকোনো ওয়ার্ড, পৌরসভায় কাজী অফিস থাকেই। আপনি এসব কাজী অফিসে আপনার বিয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র এবং সাক্ষী নিয়ে গেলেই কাজী আপনার বিয়ে পড়াবে।
আর হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা এক্ষেত্রে নিজ নিজ ধর্ম মতে বিয়ে করতে পারবেন। এবং নোটারী পাবলিকের (সরকারী রেজিস্টার্ড উকিল) কাছে গিয়ে সার্টিফিকেট নিয়ে বিয়ের নিবন্ধন করতে পারবেন।
এছাড়া যারা ভিন্ন ধর্মে বিয়ে করতে চান তাদের জন্য রয়েছে বিশেষ আইন। এক্ষেত্রে এক পক্ষ হিন্দু বা মুসলিম
বা অন্য ধর্মের হলেও, ধর্ম পরিবর্তন না করেই বিয়ে করা সম্ভব। Special Marriage Act-III of 1872 এর আওতায়। এর জন্য কাজীর মত আলাদা ম্যারেজ রেজিষ্টার আছেন।
২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০৫
তামিম ইবনে আমান বলেছেন: আশা করি এই পোস্ট কখনো কাজে লাগবে না
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৬
আহ্সান হাবীব আকন্দ বলেছেন: "বিয়ের বয়স অবশ্যই মেয়ের বেলায় ষোলো ও ছেলের ক্ষেত্রে আঠার বৎসর হতে হবে"
এটা কি কার্যকর হয়েছে ??
হয়ে থাকলে সূত্র দিন..............
তবে ধন্যবাদ আপনাকে একটি তথ্যমূলক পোস্টের জন্য.............