নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা কিছু ভালো, সত্য ও সুন্দর; তার সাথে।

বরতমআন

সাগর কবির

বরতমআন › বিস্তারিত পোস্টঃ

এপিজে আবদুল কালামের ১০টি স্মরণীয় উক্তি

২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:১৭

এপিজে আবদুল কালাম একজন ভারতীয় বিজ্ঞানী যিনি ২০০২ থেকে ২০০৭ খ্রিস্টাব্দ পর্য্যন্ত ভারতের একাদশ রাষ্ট্রপতি থিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পদার্থবিজ্ঞান ও বিমান প্রকৌশলবিদ্যা সম্বন্ধে অধ্যয়ন করে তিনি পরবর্তী চল্লিশ বছর রক্ষা অনুসন্ধান এবং বিকাশ সংগঠন এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ভারতের অন্তরীক্ষ কর্মসূচী ও সামরিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত তাঁর গবেষণার কারণে তাঁকে ভারতের ক্ষেপনাস্ত্র মানব হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে। তিনি ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে সংগঠিত ভারতের পোখরান-২ ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষার ব্যাপারেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় জনতা পার্টি ও ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের সমর্থনে কালাম ভারতের একাদশ রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন এবং পরবর্তী পাঁচ বছর এই পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ ও ভারতরত্ন সহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সম্মান লাভ করেন।

আবুল পাকির জয়নুল-আবেদিন আব্দুল কালাম ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই অক্টোবর ব্রিটিশ ভারতের মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত রামেশ্বরম নামক স্থানে একটি তামিল মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা জয়নুল-আবেদিন একজন নৌকার মালিক এবং মাতা আশিয়াম্মা একজন গৃহবধূ ছিলেন।

তিনি খুব গরীব পরিবারের সন্তান ছিলেন এবং খুব অল্প বয়সেই তাকে জীবিকার প্রয়োজনে বিভিন্ন পেশায় কাজ করতে হয়েছিল। বিদ্যালয়ে ছুটির পর তিনি সংবাদপত্র বিক্রি করে রোজগার করতেন।গণিতশাস্ত্রে আগ্রহী উজ্জ্বল ও কর্মঠ কালাম বিদ্যালয়ে একজন মধ্যম মানের ছাত্র ছিলেন। রামনাথপুরম সোয়ার্জ ম্যাট্রিকুলেশন বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা সমাপন করে ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে কালাম মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে তিরুচিরাপল্লীতে অবস্থিত সেন্ট জোসেফ’স কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক হন।

১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে বিমান প্রকৌশলবিদ্যা সম্বন্ধে শিক্ষালাভ করেন। এই প্রতিষ্ঠানে পড়ার সময় তাঁর পঠনপাঠনের অগ্রগতিতে অখুশি ডিন তিনদিনের মধ্যে প্রকল্প শেষ না করলে বৃত্তি বন্ধ করে দেওয়ার ভয় দেখালে কালাম নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে তাঁর প্রকল্প সম্পন্ন করেন। আটটি পদের জন্য পরীক্ষায় নবম স্থান লাভ করায় ভারতীয় বিমান বাহিনীতে যুদ্ধবিমানের চালক হিসেবে তাঁর স্বপ্ন খুব অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়।

২০১৫ খ্রিস্টাব্দের ২৭শে জুলাই মেঘালয়ের শিলং শহরে অবস্থিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট নামক প্রতিষ্ঠানে বসবাসযোগ্য পৃথিবী বিষয়ে বক্তব্য রাখার সময় ভারতীয় প্রমাণ সময় সন্ধ্যে ৬:৩০ নাগাদ হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন। তাঁকে বেথানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে সন্ধ্যে ভারতীয় প্রমাণ সময় ৭:৪৫ নাগাদ তাঁর মৃত্যু ঘটে।

সেই এপিজে আবদুল কালামের ১০টি স্মরণীয় উক্তি:

১. স্বপ্ন সত্যি হওয়ার আগেই তোমাকে স্বপ্ন দেখতে হবে।

২. উৎকর্ষ একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া এবং এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়।

৩. জীবন এক কঠিন খেলা। এই খেলায় জয় তখনই সম্ভব, যখন তুমি ব্যক্তি হিসেবে জন্মগতভাবে পাওয়া অধিকারকে ধারণ করবে।

৪. জীবনে সমস্যার প্রয়োজন আছে। সমস্যা আছে বলেই সাফল্যের এতো স্বাদ।

৫. যে হৃদয় দিয়ে কাজ করে না, শূন্যতা ছাড়া সে কিছুই অর্জন করতে পারে না।

৬. শিক্ষাবিদদের বিচক্ষণতা, সৃজনশীলতার পাশাপাশি উদ্যোগী হওয়ার ও নৈতিক নেতৃত্বেরও শিক্ষা দেওয়া উচিত। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজেকে পথিকৃৎ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার যোগ্যতা অর্জন করা উচিত।

৭. আকাশের দিকে তাকাও। আমরা একা নই। পুরো মহাবিশ্ব আমাদের প্রতি বন্ধুসুলভ। এবং এই মহাবিশ্ব তাকেই অকাতরে দিতে প্রস্তুত, যে স্বপ্ন দেখে ও কাজ করে।

৮. যদি একটা দেশকে সম্পূর্ণরূপে দুর্নীতিমুক্ত ও একটা জাতিকে সুন্দর মনের অধিকারী করতে হয়, তাহলে আমি বিশ্বাস করি, তিনজন ব্যক্তি এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারেন- বাবা, মা ও শিক্ষক।

৯. তরুণদের প্রতি আমার বার্তা, ব্যতিক্রম চিন্তা, আবিষ্কার, অচেনা পথে চলার, অজেয়কে জয় করার ও সমস্যা মোকাবেলার সাহস রাখতে হবে। তাহলেই সফলতা আসবে।

১০. আমরা তখনই স্মরণীয় হয়ে থাকবো, শুধুমাত্র যখন আমরা আমাদের উত্তর প্রজন্মকে উন্নত ও নিরাপদ ভারত উপহার দিতে পারবো।

সেই এপিজে আবদুল কালামের ১০টি স্মরণীয় উক্তি:

১. স্বপ্ন সত্যি হওয়ার আগেই তোমাকে স্বপ্ন দেখতে হবে।

২. উৎকর্ষ একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া এবং এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়।

৩. জীবন এক কঠিন খেলা। এই খেলায় জয় তখনই সম্ভব, যখন তুমি ব্যক্তি হিসেবে জন্মগতভাবে পাওয়া অধিকারকে ধারণ করবে।

৪. জীবনে সমস্যার প্রয়োজন আছে। সমস্যা আছে বলেই সাফল্যের এতো স্বাদ।

৫. যে হৃদয় দিয়ে কাজ করে না, শূন্যতা ছাড়া সে কিছুই অর্জন করতে পারে না।

৬. শিক্ষাবিদদের বিচক্ষণতা, সৃজনশীলতার পাশাপাশি উদ্যোগী হওয়ার ও নৈতিক নেতৃত্বেরও শিক্ষা দেওয়া উচিত। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজেকে পথিকৃৎ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার যোগ্যতা অর্জন করা উচিত।

৭. আকাশের দিকে তাকাও। আমরা একা নই। পুরো মহাবিশ্ব আমাদের প্রতি বন্ধুসুলভ। এবং এই মহাবিশ্ব তাকেই অকাতরে দিতে প্রস্তুত, যে স্বপ্ন দেখে ও কাজ করে।

৮. যদি একটা দেশকে সম্পূর্ণরূপে দুর্নীতিমুক্ত ও একটা জাতিকে সুন্দর মনের অধিকারী করতে হয়, তাহলে আমি বিশ্বাস করি, তিনজন ব্যক্তি এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারেন- বাবা, মা ও শিক্ষক।

৯. তরুণদের প্রতি আমার বার্তা, ব্যতিক্রম চিন্তা, আবিষ্কার, অচেনা পথে চলার, অজেয়কে জয় করার ও সমস্যা মোকাবেলার সাহস রাখতে হবে। তাহলেই সফলতা আসবে।

১০. আমরা তখনই স্মরণীয় হয়ে থাকবো, শুধুমাত্র যখন আমরা আমাদের উত্তর প্রজন্মকে উন্নত ও নিরাপদ ভারত উপহার দিতে পারবো।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:১১

দ্বিধারঞ্জন বলেছেন: Dr. APJ Abdul Kalam's demise is a huge loss! He epitomised sheer selfless dedication towards the betterment of this world! Deeply saddened.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.