নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যা কিছু ভালো, সত্য ও সুন্দর; তার সাথে।

বরতমআন

সাগর কবির

বরতমআন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিদের লেখা পংক্তিমালায় মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা

২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:১২



বাঙালির জাতীয় জীবনে দেশভাগের পরবর্তী সময়ের আবর্তে ইতিহাসের পরিবর্তনের ধারায় ঊনসত্তরের গণ-অভ্যত্থান, বায়ান্নোর ভাষা-আন্দোলন ও একাত্তুরের মুক্তিযুদ্ধ আত্মপরিচয়ের চেতনায় জাতিকে বদলে দিয়েছিলো নতুন সমাজ নির্মাণে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বৃহত্তর সমাজ নির্মাণে একটি জাতি সত্তাকে নতুন আশা ও আকাঙক্ষা নিয়ে যে পথ দেখায়, সেই পথ নির্দেশনায় জাতীয় সংস্কৃতিতে পালন করে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকার মধ্য দিয়ে। শিল্প-সংস্কৃতি যেমন একটি দেশের মুক্তির সংগ্রামকে ত্বরান্বিত করে তুলে তেমনিভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন সমাজ গড়ে উঠে শিল্প-সাহিত্যের বিকাশের ধারায়। যুদ্ধোত্তরকালের মুক্তি সংগ্রামের চেতনাকে ধারণ করে আমাদের সাহিত্য ও সংস্কৃতির অঙ্গন হয়েছে নতুন ভাবনা ও মূল্যবোধ সমৃদ্ধ, সঞ্চারিত হয়েছে নতুন সৃষ্টিতে উজ্জ্বল। স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন বাংলাদেশের কবি, সাহিত্যিকরা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এক একজন হয়ে উঠেছিলেন প্রতিবাদী শব্দযোদ্ধা।

সমকালীন সময়ে সমস্ত বেদনাবোধ, বিক্ষোভ, উত্তাপ, সন্তাপকে ধারণ করে বাংলাদেশের কবিদের হাতে কবিতা প্রস্ফূটিত হয়ে উঠে নিজস্ব অনুভূতির চেতনায় শানিত হয়ে। কবিদের লেখা পংক্তিমালায় তখনকার সময়ের মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যা, নির্মম অত্যাচার, লুণ্ঠন, নির্যাতন ছাড়াও উঠে এসেছে মুক্তিযোদ্ধাদের রণযুদ্ধের গৌরবগাথা। স্বদেশ প্রেম তাদের কবিতার পংক্তিতে উচ্চারিত হয়েছে অসীম সাহসে ও মুক্তির চেতনায়। যুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিযুদ্ধের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বাংলা সাহিত্যের প্রধান কবি শামসুর রাহমান বলে উঠেন-ঊনিশ’শো একাত্তরের মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে একটি ছবি দেখেছিলাম পত্রিকায় রাস্তার ধারে একজন গুলিবিদ্ধ মানুষ নিজের রক্ত দিয়ে লিখছেন শ্লোগান তার দেশের স্বপক্ষে, দেশবাসীর স্বপক্ষে। সেদিন গুলিবিদ্ধ মানুষটিকে স্বাধীনতার নকীব বলে মনে হয়েছিলো আমার। এই ছবি উজ্জ্বল হয়ে ফিরে আসে আমার কাছে। এই একাত্তুরের এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে আমার গ্রাম পাড়াতলিতে এক দুপুরে পুকুর পাড়ে বসে লিখে ফেললাম। ‘স্বাধীনতা তুমি’ ও তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা’ কবিতা দুটি। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে লেখা চেতনা জাগানিয়া কবিতাগুলো প্রকাশের প্রয়োজন দেখা দিলেও কবির জীবন বিপন্ন হতে পারে এই ভাবনা, ও দ্বিধার থেকে বেরিয়ে আসার পথ দেখালেন মূলত উর্দুভাষী বাঙালি লেখক, সমালোচক, বুদ্ধিজীবী আবু সায়ীদ আইয়ুব। তিনি কবির ছদ্মনামে (মজলুম আবিদ) কবিতাগুলো প্রকাশের ব্যবস্থা করলেন এবং কবিতাগুলো দিয়ে বন্দী শিবির থেকে কাব্য গ্রন্থের প্রথম সংস্করণ ১৯৭২ সালে পুনেন্দু পত্রীর প্রচ্ছদে অর্চনা প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়।

যেমন-স্বাধীনতা তুমি

রবি ঠাকুরের অজর কবিতা, অবিনাশী গান

স্বাধীনতা তুমি

পতাকা শোভিত শ্লোগান মুখর ঝাঝালো মিছিল

স্বাধীনতা তুমি

রোদেলা দুপুরে মধ্য পুকুরে গ্রাম্য মেয়ের অবাধ সাঁতার।

(স্বাধীনতা তুমি-শামসুর রাহমান)

তোমাকে পাওয়ার জন্য, হে স্বাধীনতা, তোমাকে পাওয়ার জন্য

আর কতকাল ভাসতে হবে রক্তগঙ্গায়?

আর কতকাল দেখতে হবে খাণ্ডবদাহন?

পৃথিবীর এ প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে জলন্ত

ঘোষণার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলে,

নতুন নিশানা উড়িয়ে, দামামা বাজিয়ে দিগ্বিদিক

এই বাঙলায়

তোমাকে আসতে হবে, হে স্বাধীনতা

(তোমাকে পাওয়ার জন্যে হে স্বাধীনতা-শামসুর রাহমান)

একাত্তুরের যুদ্ধ শিবিরে মুক্তিযুদ্ধের সময় উদ্দীপনামূলক কবিতা মুক্তিকামী মুক্তিসেনাদের প্রাণে আগুন জ্বেলে দেয়, যে আগুন ঝলসে উঠে তাদের রাইফেলের প্রতিবাদী শব্দে। গ্রামের সামান্য স্কুলে শিক্ষা পাওয়া তরুন দামাল ছেলেরা উদীপ্ত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে। এই দামাল ছেলেদের প্রতিরোধের কথা ছড়িয়ে গেছে বাংলার ঘরে ঘরে। সেই ছেলেদের প্রত্যাশার নাম গেরিলা। গেরিলা কেউ নয়, গেরিলা তাদের প্রাণ প্রিয় সন্তান। সেই গেরিলাদের গৌরবগাথা নিয়ে কবি শামসুর রাহমান উচ্চারণ-করেছেনণ্ড

“দেখতে কেমন তুমি? অনেকেই প্রশ্ন করে, খোঁজে

কুলুজি তোমার, আঁতিপাতি। তোমার সন্ধ্যানে ঘোরে

ঝানু গুপ্তচর, সৈন্য, পাড়ায়, পাড়ায়। তন্ন তন্ন

করে খোঁজে প্রতিঘর। পারলে নীলিমা চিরে বের

করত তোমাকে ওরা, দিত ডুব গহন পাতালে।

তুমি আর ভবিষ্যৎ যাচ্ছো হাত ধরে পরস্পর।

সর্বত্র তোমার পদধ্বনি শুনি দুঃখ তাড়ানিয়া।

তুমি তো তোমার ভাই, হে নতুন সন্তান আমার।

(গেরিলা-বন্দী শিবির থেকে)

বাঙালির মুক্তির আকাঙক্ষা ও আত্ম-পরিচয়ের জাগরণ ও মুক্তিযুদ্ধের সময়ে অত্যাচার ও মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার ইতিহাস কবি হাসান হাফিজুর রহমানের কবিতায় উঠে এসেছে। যেমন-

ঝোপঝাড়, নদীনালা, ফসলের ক্ষেত

সমস্ত বাংলাই আজ কঠোর ত্র্যামবুশ।

সবুজ মানুষেরা আচম্বিতে আজ প্রত্যেকেই গেরিলা,

..........................................................

বাংলার আপদে আজ লক্ষ কোটি বীর সেনা

ঘরেও বাইরে হাঁকে রণধ্বনি, একটি শপথে

আজ হয়ে যায় শোর্য ও বীর গাঁথার মহান

সৈনিক, যেন সূর্যসেন, যেন স্পাটাকাস স্বয়ং সবাই।

(হাসান হাফিজুর রহমান)

যুদ্ধোত্তরকালে গণযোদ্ধাদের মৃত্যু, শত্রু হননের উল্লাস বিজয়ের স্বপ্ন নিয়ে যে সকল কবিরা যুদ্ধক্ষেত্রে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করেছেন তাদের লেখায় ফুটে উঠেছে রক্তের অক্ষরে লেখা প্রতিবাদী কবিতা।

কবি মাহবুব সাদিকের যুদ্ধভাসান, আবু কায়সারের জার্নাল ৭১, হুমায়ূন কাবিরের ‘লাল বলের মত গ্রেনেট’ খন্দকার আশরাফ হোসেেনর বাউসি ব্রিজ, আলতাফ হোসেনের’ অষ্টগ্রামে সমবেত মুক্তিযোদ্ধা ও জনতা’, অসীম সাহার ন্যায়যুদ্ধ, আসাদ চৌধুরীর রিপোর্ট ৭১, ফজল শাহাবুদ্দীনের এপ্রিলের একটি দিন, সিকদার আমিনুল হকের নেকড়ের মুখে, দিলওয়ারের যুদ্ধ যখন মানবতার পরিত্রাণ, বেলাল চৌধুরীর স্বদেশভূমি, হাসান হাফিজুর রহমানের তোমার আপন পতাকা, রফিক আজাদের নেবে স্বাধীনতা, আবিদ আজাদের এখন যে কবিতাটি লিখব আমি, রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর বাতাসে লাশের গন্ধ, অন্যতম দ্রোহের কবিতা।

কবি সিকান্দার আবু জাফর স্বদেশ প্রেমের কবি। তিনি সমাজ সচেতন, সমাজের নানাবিধ সংগতি-অসংগতি তারমনে দোলা দেয় নিত্য। ব্যক্তি মানুষের অসহায়তা, সমাজের মানবিক চেতনা, জনগণের জাগরণ ও চেতনার স্বরূপ কবির মনে আশা ও সাহস জুগিয়েছে। তিনি মাতৃভূমি ও শৃংখলিত জনগণের ভালোবাসার অনুপ্রাণিত হয়ে তার মনোলোকে যে সত্য উচ্চারিত হয়েছে যে তিনি মানব মুক্তির কথা বলেছেন সর্বদাই। উনসত্তুরের গণ আন্দোলনের সময়েও তিনি রচনা গণমুখি চেতনা সমৃদ্ধ কবিতা রচনা করেছেন। একাত্তুরের মুক্তিসংগ্রামের দিনে সিকান্দর আবু জাফরের ‘বাঙলা ছাড়ো’ ও ‘জনতার সংগ্রাম চলবেই’ গানের পংক্তিমালা মুক্তিকামী মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হয়েছে। স্বৈরাচারী পাক শাসকদের লক্ষ্য করে তার লেখা ‘বাঙলা ছাড়ো কবিতাটি দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ৭ই মার্চ ১৯৭১ সালে। কবিতার চরণে চরণে তিনি উচ্চারণ করেছেন ক্ষোভ, মুক্তির চেতনার দিক নির্দেশনা। যেমনণ্ড

‘রক্ত চোখের আগুন মেখে ঝলসে যাওয়া

আমার বছরগুলো

আজকে যখন হাতের মুঠোয়

কণ্ঠন্‌ালীর খুন পিয়াসী-ছবি

কাজ কি তবে আগলে রেখে বুকের কাছে

কেউটে সাপের ছবি।

আমার হাতে নিলাম আমার

নির্ভরতার চাবি

তুমি আমার আকাশ থেকে

সরাও তোমায় ছায়া

তুমি বাঙলা ছাড়ো’।

(বাংলা ছাড়ো- সিকান্দার আবু জাফর)

স্বদেশ, সমাজ, স্বকাল ও প্রবাহমান রাজনীতির বিশ্বস্ত চালচিত্র, ব্যক্তি মানুষের নানান জাগতিক চেতনা সার্থকরূপে ফুটে উঠেছে কবিতায়। মুক্তি সংগ্রামের সংকটময় সময়ে মুক্তিকামী বাঙালির মনে যে প্রেরণা, উদ্দীপনা জুগিয়েছে। তাইতো মুক্তির পক্ষের সাহসী সৈনিক তিনি। মুক্তিযুদ্ধ ও জনতার অক্লান্ত সংগ্রাম, শোষণ ও নিপীড়নের প্রতিবাদী উচ্চারণ মুক্তিকামী স্বাধীনতা পিয়াসী মানুষের স্বপ্ন, সাধ ও যুদ্ধ- পরবর্তী মানবিক বোধের উচ্চারণ ধংসস্তূপের মধ্য ফেলার আনন্দ-বেদনা, স্বজন হারানো বেদনা ও হতাশার উচ্চারণ কবিদের কবিতায় উঠে এসেছে নানান অক্ষরে। যুদ্ধ-পরবর্তী দেশের স্বজন হারানোর আর্তনাদ, রাজনৈতিক অবস্থান ও পাওয়া না পাওয়ার বেদনা, হতাশা কবিকে করেছে ব্যথিত। তাইতো কবি আবুল হোসেন উচ্চারণগুলো শোকের কবিতায় স্বাধীনতা পরবর্তী স্বজন হারানোর বেদনার কথা উচ্চারণ করেছেন এভাবেণ্ড

‘অনেক যুদ্ধ গেলো

অনেক রক্ত গেলো

শিমুল তুলোর মতোন সোনা-রুপা ছড়ালো বাতাস



ছোট ভাইটিকে আমি

কোথাও দেখিনা

নরম নোলক পরা বোনটিকে

আজ আর কোথাও দেখিনা

কেবল পতাকা দেখি

কেবল উৎসব দেখি

স্বাধীনতা দেখিনা।

(রাজা যায় রাজা আসে-আবুল হাসান)

কবি নির্মলেন্দু গুণ বাংলা কবিতায় নিজের প্রেমিক চেতনায় স্বাধীনতাকে উপলব্ধি করেছেন বিপ্লবীর চোখে। তারুণ্যের উদ্দীপনায় স্বাধীনতার জন্য অনিঃশেষ ভালোবাসায় লিখেছেন হুলিয়া নামক অসামান্য কবিতাটি। কবিতার মধ্য দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র যুদ্ধ সূচনা হওয়ার অব্যবহিত পূর্বের প্রেক্ষাপট। বাংলার ভবিষ্যৎ, স্বাধীনতার কথা, চেতনার দিনগুলোতে যুদ্ধোত্তরকালে রচিত হয়েছে একগুচ্ছ কবিতা। যে কবিতা শরীর ও মনে উচ্চারিত হয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা যেমন-

‘ওরা প্রতে্যেক জিজ্ঞেস করবে ঢাকার খবর

আমাদের ভবিষ্যৎ কি?

আইয়ুব খান এখন কোথায়?

শেখ মুজিব কি ভুল করছেন?

আমার নামে কতদিন আর এ রকম হুলিয়া ঝুলবে?

আমি কিছুই বলবো না, আমার মুখের দিকে চেয়ে থাকা

সারি সারি চোখের ভেতরে

বাংলার বিভিন্ন ভবিষ্যৎকে চেয়ে দেখবো’।

(হুলিয়া-নির্মলেন্দু গুন)

১৯৭১ সালে শত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি বিশ্বের বুকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি অর্জন করে। ১৯৪৭ সালের পর থেকে পূর্ব বাংলা পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তান নামধারী বাঙালি অধ্যুষিত ভূখণ্ডের মানুষ পশ্চিম পাকিস্তানী শাসকদের দ্বারা অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সর্বোপরী মানবিক জীবনযাপনের নানারকম বৈষম্য ও নির্যাতনের শিকার হয়। ফলস্বরূপ ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। বাংলাদেশ ও বাঙালিদের আত্মত্যাগের চিত্র কবিদের করেছে ব্যথিত ও চেতনায় জেগেছে স্বদেশের মমতা। তাদের লেখায় আবেগময়ী চেতনাবাহী কবিতা, স্বপ্নভূমির নতুন করে জেগে এ ছাড়াও নতুন জাতির জাগরণের স্বাক্ষরে কবিতায় তুলে এনেছেন তাদের নতুন শব্দাবলির নির্মাণে। সকল কবির কবিতায় আবহমান বাংলার আত্ম-পরিচয়ের অভিজ্ঞান ঐতিহ্যের সংগ্রামের করুণ চিত্রাবলী, হত্যা নির্যাতনের চিত্রাবলীর স্বরূপ।

যে সকল কবির কবিতায় মুক্তিযুদ্ধ সক্রিয় হয়ে উঠেছিলো তাদের মধ্যে অন্যতম কবি জসিম উদ্দীন, সুফিয়া কামাল, ফররুখ আহমদ, আহসান হাবীব, হুমায়ুন কবির, সিকান্দার আবু জাফর, আবুল হোসেন, শামসুর রাহমান, দিলওয়ার, জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী, বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, আল মাহমুদ, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, হাসান হাফিজুর রহমান, মাহবুবুল আলম চৌধুরী, সৈয়দ সামসুল হক, বেলাল চৌধুরী, শহীদ কাদরী, সিকদার আমিনুল হক, আহমদ ছফা, ফজল শাহাবুদ্দিন, মোহাম্মদ মাহফুজ উল্যাহ, আবদুল মান্নান সৈয়দ, ওমর আলী, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, আসাদ চৌধুরী, নির্মলেন্দু গুন, রবিউল হুসাইন, মহাদেব সাহা, রফিক আজাদ, মুহাম্মদ নুরুল হুদা, আবু হেনা মোস্তাফা কামাল, জিয়া হায়দার, ময়ূখ চৌধুরী, মাহবুব সাদিক, শামসুল ইসলাম, শিহাব সরকার, অসীমসাহা, রবীন্দ্র গোপ, হেলাল হাফিজ, রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, খোন্দকার আশরাফ হোসেন, আবুল হাসান, ত্রিবিদ দস্তিদার, মিনার মনসুর, নাসির আহমেদ, রুবী রহমান, জুবাইদা গুলশান আরা, আনওয়ার আহমেদ প্রমুখ। অনেক কবির কবিতায় বাঙালি চেতনার সমস্ত অবয়ব, প্রকাশ পেয়েছে যেমনিভাবে তেমনিভাবে বাংলাদেশের কবিতার অবিতায় বাঙলি চেতনার সমস্ত অবয়ব, প্রকাশ পেয়েছে যেমনিভাবে তেমনিভাবে বাংলাদেশের কবিতার অন্তর জুড়ে সঞ্চারিত হয়েছে তেমনিভাবে মুক্তিযুদ্ধকে ঘিরে নানান অনুসঙ্গ রূপ পেয়েছে কবিতায়। কবিতার শরীর ও ধমনীতে সঞ্চারিত হয়েছে তীব্রতা, ক্ষোভ, আর্তি ও বেদনার স্বপ্ন গাঁথা। তেমনিভাবে কবি রফিক আজাদ তুলে এনেছেন বাঙালির মুক্তি চেতনা, মার্চের ছাব্বিশ, প্রিয়তম নারীর আর্তি ও মানবিক আহ্বান। যেমনণ্ড

‘নেবে স্বাধীনতা নাও, তোমাকে দিলাম

নাও, তোমার দু’হাতে তুলে দিচ্ছি

পঞ্চাশ হাজার বর্গমাইলের ভিতরে যা কিছু

এদেশ স্বাধীন করেছি আমি, আমার দু’হাত

এ আমার একমাত্র অহংকার।

(নেবে স্বাধীনতা- রফিক আজাদ)

তাই মুক্তিযুদ্ধের কবিতায় বাংলাদেশের কবিরা সমকালের সংকট ও প্রত্যয়কে শুধু তুলে ধরেননি বাংলা কাব্য নতুন মূল্যবোধকে তুলে এনেছেন এবং স্থাপন করেছেন নতুন দিক নির্দেশনা। তাই মুক্তিযুদ্ধের কবিতা মুক্তির চেতনা বিকাশে হয়ে উঠেছে অনিবার্য পংক্তিমালা।
- See more at: Click This Link

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১০:০৬

বিজন রয় বলেছেন: একটি সুন্দর পোস্ট।
প্রিয়তে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.