নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একাকি ভাবনা

বাদশা মিন্টু

সাধারণকে দেখি অসাধারণ হিসেবেসাধারণ সবাই আমার আপনআমি সাধারণের ভিড়ে খুঁজি সেই অসাধারণকেযাকে নিয়েই জীবন যাপন।

বাদশা মিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঝোলগুড় বনাম আদিখ্যেতা...পক্ষপাতের সীমা থাকা উচিৎ!

২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৫৬

যতই ভারত ভারত করে গলা ফাটান না কোনো ওরা যে নিজেদের ঝোলগুড়টাকেও সেরা মনে করে সেটা আবারও প্রমাণ করে দিল। ভারতের চ্যানেলে বিজ্ঞাপন..বলিহারি...

পুরো মিরাক্কেলজুড়ে ভারতের সব প্রতিদ্বন্দিগুলো যা জমিয়েছে তা চেয়ে বাংলাদেশের পারফরমাররা অনেক ভালো করেছে। ইচ্ছাকৃতভাবে প্রথম থেকেই বাংলাদেশি পারফরমারদের বাদ দেওয়া হয়েছে। নাটোরের একটা ছেলে শুভাশিষের চেয়ে অনেক বাংলা প্যারোডি গান গাইত। কিন্তু ওই ছেলেটা বাংলাদেশের প্যারোডি গানগুলোকে জনপ্রিয় করছিল বলে ওরা শুভাশীষকে বাঁচাতে ওকে আগে বাদ দিল। এরপর এমন কিছু পারফরমারকে দিয়ে দীর্ঘদিন খাওয়ানোর চেষ্টা করলো যে, তাতে মনে হল...

যাই হোক প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ব্যাপার না.... কিন্তু শুভাশীষ কেমনে চ্যাম্পিয়ন হলো?? ভারত যেমন কোনোদিন ফিক্সিং বা পক্ষপাতিত্বহীনতা থেকে বের হতে পারেনি তার প্রমাণ আবার দিল। ওরা কখনও ভালো মন্দের পার্থক্য করতে পারেনি...বিচার প্রক্রিয়ায় যে, ফিক্সিং করেছে তা বলার কী অপেক্ষা রাখে?? যদি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে প্রোগ্রাম করা হয়, তবে যেন কোনো জাতিগোষ্ঠী খাটো না হয় সেটা খেয়াল রাখা উচিত ছিল। এখানে পারফরমেন্স তো বিচার হয়নি....এখানে শুধু বাংলাদেশি পারফরমাদের প্রতি ভারতীয়দের বরাবরের মতে হিংসার প্রতিফলন দেখা গেছে। বাংলাদেশের শাকিব খান, ঠিকই বলেছিল..ভারতের যেসব অভিনেতা-অভিনেত্রীরা একটু সুযোগ পেতে বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে থাকতো...তারা এখন পক্ষপাত শুরু করেছে... দায়টা আমাদের কম নয়। ভারতের টিভি চ্যনেলগুলোর নিয়ন্ত্রণ নেই, বাংলাদেশের প্রোগ্রামগুলোর প্রচারণা নেই...আরে ভাই..আমাদের ক্লোজআপ ওয়ানের প্রথম দিককার অনুষ্ঠানগুলো এত জনপ্রিয় ছিল যে..কিন্তু এখন অনুষ্ঠানের মান হারানোর জন্য দায়ী আমাদের সস্তা মানসিকতা। ভারতের এসব ফিক্সিং প্রোগ্রামগুলোকে বয়কট করে এর বিপরীতে আমাদের কোনো অনুষ্ঠানের জমজমাট প্রচারণা চালিয়ে কিছু একটা সৃষ্টিশীল করা যায়। অপমান কত্তদিন। টাকা ওয়ালা বাংলাদেশি নির্মাতারা চাইলেই পারে....কিন্তু চামড়া পুরু হয়ে গেছে বলেই শুধু ভারতের অনুকরণে ব্যস্ত। আমরা নতুন কিছু করলে দেখবেন ওরা নকল করতে শুরু করেছে। আর বাংলাদেশি পারফরমার না পেলে কলকাতার কোনো চ্যানেল জমবে না। বাংলাদেশের এতো চ্যানেল...দুচারটা বস্তাপচা বিজ্ঞাপনভর্তি নাটক বাদ দিয়ে সৃষ্টিশলি কিছু রিয়েলিটি শো, মানুষকের নিয়ে জীবনধর্মী বিনোদন কিছু করলেই বাংলাদেশের পাবলিক খাবেই। খাবে মানে হুমড়ি খাবে। দরকার শুধু সদিচ্ছা। আরে ভাই, কেউ একটা বড় কিছুর উদ্যোগ নিয়ে তো দেখুক....কলকাতার পক্ষপাত বিচারকদের চেয়ে বাংলাদেশের সাধারন মানুষ আন্দোলন করবে প্রোগ্রামের জন্য। এর প্রমাণ কী আমাদের কাছে একটা আছে?ভারতের জি-বাংলা চ্যানেলের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘মীরাক্কেল আক্কেল চ্যালেঞ্জার-৭’ এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন শুভাশীষ মুখার্জী। প্রথম রানার আপ মিঠুন রায়। বাংলাদেশের পাবনার জামিল আহমেদ সেকেন্ড রানার আপ হয়েছেন। গ্র্যান্ড ফিনালে বেস্ট ফাইন্ডস হয় তপদ্যুতি দত্ত।মৃন্ময় দাস হয়েছেন চতুর্থ, পঞ্চম হয়েছেন কৃষ্ণ ব্যানার্জী আর ষষ্ঠ হয়েছেন বাংলাদেশের ঢাকার শাওন মজুমদার।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: থুঃ অনুষ্ঠান এখনো দেখা হয়নাই। শুভাশিষ কীভাবে চ্যাম্পিয়ান হলো
নাটোরের ঐ ছেলেটার নখের পরিমাণও যোগ্যতা নেই শুভাশীষের।
উনাকে একটা পর্বে খারাপ করায় বাদ দেয়ার পর, এমনকি বাদ দেয়ার পর যে একটু কথা বলতে দেয়া হয়,তারও সুযোগ দেয়া হয়নি। তখনি বুঝা গেছিলো কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। কারণ গতবার রনি চ্যাম্পিয়ান হয়েছিলো. তাই মনে হয় ওরা চাইছিলো না, এবারও কেউ এদেশের চ্যাম্পয়ান হোক।

তবে মীরের মেধা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। অসাধারণ মেধাবী একজন মানুষ।উনাকে সশ্রদ্ধ সালাম।

২| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:১১

বাদশা মিন্টু বলেছেন: মেধার চেয়ে ওদের সমস্যাটা হল...ওরা অন্যের ভালোটা দেখতে পারে না। প্রচন্ড হিংসুটে।

৩| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৩৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: তানভির সরকারের পারফরমেন্স দেখেন-

২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

বাদশা মিন্টু বলেছেন: সত্যিই তানভীরের পারফরমেন্স ভালো ছিল.. ওরে সুযোগ ও গাইড করলে সবার চেয়ে ভালো হতে পারতো।

৪| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:৪৫

এমদেশ বলেছেন: বাংলাদেশের জামিল যেরকম পারফর্ম করেছে তাতে জামিলেরই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা ছিল।
পশ্চিম বাংলার মিঠুনও ভালো করেছে।
কিন্তু শুভাশিষ কীভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়? হয়নি, তাকে জোর করে চ্যাম্পিয়ন করা হয়েছে।

বাদশা মিন্টু যথার্থ বলেছেন. মেধার চেয়ে ওদের সমস্যাটা হল...ওরা অন্যের ভালোটা দেখতে পারে না। প্রচন্ড হিংসুটে।

ভারতীয়রা শুধু হিংসুটে নয়, চরম দুর্নীতিবাজ, ধড়িবাজ এবং দুই নম্বরী। বাংলাদেশের প্রাণ গ্রুপ লাখ লাখ টাকার বিজ্ঞাপন দিয়েছে এই মীরাক্কেল অনুষ্ঠানে। মূলত বাংলাদেশী বিজ্ঞাপন পাওয়ার জন্যই ভারতীয়রা এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

বাদশা মিন্টু বলেছেন: ধন্যবাদ। ওদের মানসিকতার আগে আমাদেরটাও বদলানো দরকার।

৫| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৫:২১

বাংলার হাসান বলেছেন: ভারত যেমন কোনোদিন ফিক্সিং বা পক্ষপাতিত্বহীনতা থেকে বের হতে পারেনি তার প্রমাণ আবার দিল।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৪

বাদশা মিন্টু বলেছেন: সহমত

৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ ভোর ৬:২৮

nurul amin বলেছেন: এ সকল অনুষ্ঠান বর্জন করা উচিত।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

বাদশা মিন্টু বলেছেন: স্টার জলসা, স্টার প্লাস, জি বাংলার অনুষ্ঠান আমাদের কী শেখাচ্ছে?

৭| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৭:৪০

পানকৌড়ি বলেছেন: শুভাষিস চাম্পিয়ান হওয়াতে আমি পুরোপুরি হতাশ । সত্যি কথা বলতে কি, যখনই তার পর্ব আসতো আমি চ্যানেল পাল্টে দিতাম , বিশেষ করে নাটোরের ছেলেটা বাদ যাবার পর থেকে । আমি ধরে রেখেছিলাম জামিল অথবা মিঠুনকে আর শুভাষিস ১০ এর বাইরে । যার মধ্যে মেধা নাই শুধু প্যারোডি গাই সেই আবার প্রথম ! পক্ষপাতদুষ্ট ফলাফল ।
আসল কথা হলো, ওরা চাইনি আরেকজন বাংলাদেশী চ্যাম্পিয়ান হোক ।

২৬ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

বাদশা মিন্টু বলেছেন: সহমত

৮| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ রাত ১২:২৯

রেজা এম বলেছেন: আমি হারে হারে বুজি ইনডিয়া কেমন কম্উনাল ।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

বাদশা মিন্টু বলেছেন: আপনি যথার্থ বুঝেছেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.