নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একাকি ভাবনা

বাদশা মিন্টু

সাধারণকে দেখি অসাধারণ হিসেবেসাধারণ সবাই আমার আপনআমি সাধারণের ভিড়ে খুঁজি সেই অসাধারণকেযাকে নিয়েই জীবন যাপন।

বাদশা মিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের ত্রাস হয়ে সাইব্রিডরা আসছে!

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৯



মানুষ আর কুকুরের জিন মেশানো হলে এরকম প্রাণী হতে পারে।



ভাবুন তো, আপনার দুটো পাখা বা একটি বানরের মতো লেজ আছে! কেমন লাগে? ভবিষ্যতে মানুষ ও পশুর পাশাপাশি তৃতীয় আরেকটি গোত্রের প্রাণীর সম্ভাবনা অমূলক নয়। কেমন হবে তারা? বুদ্ধিমান নাকি গাধা টাইপের তা ঠিক করে দেওয়ার ক্ষমতা বিজ্ঞানীদের হাতে।

নতুন প্রজাতির প্রাণী নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে যাচ্ছেন। এটা মানুষের জন্য ভালো হবে নাকি মন্দ? ভীতিকর নাকি আশাপ্রদ, এ নিয়ে সম্ভাবনা ও সংশয় থেকে যাচ্ছে।

মানুষের ডিএনএর সঙ্গে পশুর ডিএনএ মিশিয়ে নতুন ভ্রূণ তৈরির বিষয়টিতে নানা নৈতিক বাধা রয়েছে বিজ্ঞানীদের। কিন্তু করপোরেট বিশ্বে নিজ স্বার্থ হাসিলে গোপন গবেষণা থেমে আছে কি? যেমন এখন প্রকাশ্যেই জাপানের গবেষকেরা প্রাণীদেহে মানুষের অঙ্গ তৈরির বিষয়টি নিয়ে কাজ করার কথা জানিয়েছেন। জাপানের গবেষকেরা মানুষ ও প্রাণীর জিন ব্যবহার করে নতুন একধরনের ভ্রূণ তৈরি করতে চান। তাঁরা বলছেন যে, মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তৈরিতে কাজে লাগানোর জন্য গবেষণা করতে চান তাঁরা। এটাকে বলে ‘সিমেরিক এমব্রায়ো’ নিয়ে গবেষণা। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ‘সিমেরিক এমব্রায়ো’ তৈরির এমন একটি প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছেন, যাতে প্রাণীর ভ্রূণের সঙ্গে মানুষের স্টেম সেল স্থাপন করা হয়। এতে করে প্রাণীর শরীরে ‘মানুষ ও পশুর হাইব্রিড’ তৈরি হবে, যা থেকে মানুষের চিকিত্সায় ব্যবহূত অঙ্গ পাওয়া যাবে। গবেষকদের পরিকল্পনা অনুযায়ী, মানুষ ও প্রাণীর মিশ্রিত ভ্রূণ গর্ভাশয়ে স্থাপনের পর স্বাভাবিক জন্মগ্রহণ করে হাইব্রিড প্রাণী। এরপর সেই হাইব্রিড প্রাণীদেহে উত্পাদিত অঙ্গটি সংগ্রহ করবেন গবেষকেরা এবং মানুষের শরীরে তা প্রতিস্থাপন করবেন।

এখন পর্যন্ত ‘সিমেরিক এমব্রায়ো’ তৈরির বিষয়টি বৈধ; তবে কোনো প্রাণীর গর্ভে তা স্থাপন করার বিষয়টি বৈধ নয়। জাপানের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অনুমোদন দেওয়ার কথা ভাবছে। জাপানের গবেষকেরা বলছেন, তাঁরা অনুমোদন পেলে এক বছরের মধ্যেই প্রাণীদেহে মানুষের অঙ্গ তৈরির বিষয়ে সাফল্য পাবেন।



এসপ্লাইস মুভির দৃশ্য



বিজ্ঞানের সাহায্যে অসম্ভবকে সম্ভব করতে পেরেছেন গবেষকেরা। বিজ্ঞানের কাল্পনিক যে কাহিনি চিত্র আমরা হরহামেশাই দেখে আসছি, তা সত্যি হতে চলেছে। গবেষকেরা নতুন করে ‘মানুষ ও পশুর হাইব্রিড’ তৈরির বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধান করতে কাজ চলছে। আজ থেকে দুই বছর আগে ২০১১ সালে যুক্তরাজ্যের অ্যাকাডেমি অব মেডিকেল সায়েন্সেস একটি সাড়াজাগানো প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল; যাতে বলা হয়েছিল, দেশটির গবেষকেরা মানুষের বৈশিষ্ট্যযুক্ত প্রাণী পরীক্ষাগারে জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছেন। সিমেরিক এমব্রায়ো তৈরির গবেষণার ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যেই আইন মানা হয়েছিল। গবেষকেরা এ সময় পশুর ডিম্বাণুর সঙ্গে মানুষের শুক্রাণু মিলিয়ে তৈরি করেন ‘সাইব্রিড’। এই সাইব্রিড যদি কখনও পরীক্ষাগার ছেড়ে উন্মুক্ত পৃথিবীতে এসে পড়ে তবে তাঁরা হবে অদ্ভুত এক প্রাণী।





ইঁদুরের ও শূকরের দেহে তৈরি হচ্ছে মানব দেহের বিভিন্ন অংগ



মানুষ ও পশুর ভ্রূণ তৈরির বিষয়টি সব সময় বিতর্ক তৈরি করেছে, নৈতিকতার প্রশ্ন উঠেছে। যুক্তরাজ্যের গবেষকেরা নৈতিকতার প্রশ্নে গবেষণার কাজ এগিয়ে নিতে পারেননি। এ রকম দুটি গবেষণার ক্ষেত্র হচ্ছে মানুষের শুক্রাণু বা ডিম্বাণুধারী কোনো হাইব্রিড ও মানুষের মস্তিষ্ক বা বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন হাইব্রিড। এখন পর্যন্ত কোনো ভ্রূণকে ফিটাস পর্যায়ে রূপান্তর করা যাবে না। ভ্রূণ তৈরির ১৪ দিন পরেই তা ধ্বংস করে ফেলতে হয়। কল্পনা আর বাস্তবের মধ্যে অনেক ফারাক। আমাদের কল্পনাকে হার মানাতে পারে এমন কিছু নিয়েও হয়তো কোনো গোপন গবেষণাগারে চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। মানুষের ডিএনএর সঙ্গে অন্য কোনো প্রাণীর ডিএনএ মিশিয়ে নতুন কোনো প্রাণী তৈরির প্রচেষ্টা। নিশ্চয় বায়োটেকনোলজির সাহায্যে মানুষের বৈশিষ্ট্যযুক্ত প্রাণী তৈরির বিষয়টি গা ছমছমে এক বিষয়। ভয় বা আশঙ্কা কোনো ‘ফ্রাংকেনস্টাইনের’ (দানবের নাম)। একদিন আমাদের সঙ্গে কারা সহবস্থান করবে তা নিয়ে তৈরি হচ্ছে ভয়। কোনো এক বিজ্ঞানী বলেছিলেন, এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণীদের নিয়ে ভয় নেই, আমাদের মধ্যেই এলিয়েন আছে তাকে নিয়েই ভয়।



ডলি যেভাবে তৈরি হয়েছে সেভাবেই উন্নত গবেষণায় ভেড়ামানব অসম্ভব নয়



কর্পোরেট কোনো প্রতিষ্ঠানের গোপন অন্ধকার কুঠুরি থেকে একদিন হয়তো সূর্যের আলোয় বেরিয়ে পড়বে উড়ুক্কু মানুষ, চারপেয়ে মানুষ, কুকুরের মত দেহ কিন্তু প্রজননক্ষমতা মানুষের মতো। ভয়ের নাকি সম্ভাবনার?

বিশ্বাস করুন, আর নাই করুন, ওরা আসছেই! ড্রোন বা চালকবিহীন বিমান নয়, এরপর মানবজাতিকে পঙ্গু করতে আসছে নতুন ত্রাস! হাইব্রিড ও সাইব্রিড!





মানুষ আর বানর তৈরির পথে নতুন সাইব্রিড



মাছের সঙ্গে ঘোড়ার জিন



নতুন প্রজাতির প্রাণী নিয়ে বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে যাচ্ছেন। এটা মানুষের জন্য ভালো হবে নাকি মন্দ? ভীতিকর নাকি আশাপ্রদ, এ নিয়ে সম্ভাবনা ও সংশয় থেকে যাচ্ছে।

মানুষের ডিএনএর সঙ্গে পশুর ডিএনএ মিশিয়ে নতুন ভ্রূণ তৈরির বিষয়টিতে নানা নৈতিক বাধা রয়েছে বিজ্ঞানীদের। কিন্তু করপোরেট বিশ্বে নিজ স্বার্থ হাসিলে গোপন গবেষণা থেমে আছে কি?



মানুষের বাচ্চা হবে মুরগির মতো!

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

দয়াল সাহেব বলেছেন: ভয়ংকর ব্যাপার । মানুষের বাচ্চা যদি মুরগীর বাচ্চার মতো হয় তবে সে বংশ বিস্তার করবে কিভাবে ?

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৫

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
এইটা কি দেখাইলেন ভাই! :/

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৩

আলিফ টিএসইউ বলেছেন: B:-) B:-) B:-)

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:২৮

শায়মা বলেছেন: কি বাজে !!!
ভয়ংকর!!!!


আমার মৃত্যুর পর এসব হোক......


আমি দেখতেও চাইনা এসব :( :( :(

৫| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৫

ছিরা কবি বলেছেন: interesting ....এদের আবেগ অনুভুতির ব্যাপারে জানার ইচছা আছে,,,,,,,,,, B-) B-) B-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.