নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একাকি ভাবনা

বাদশা মিন্টু

সাধারণকে দেখি অসাধারণ হিসেবেসাধারণ সবাই আমার আপনআমি সাধারণের ভিড়ে খুঁজি সেই অসাধারণকেযাকে নিয়েই জীবন যাপন।

বাদশা মিন্টু › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন যখন তেজপাতা

২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৪



দেশের হলো টা কী? বাসে আগুন... পোশাক কারখানায় আগুন...ভবন ধ্বস...হরতাল..অবরোধ... গুলি...মৃতু্... জীবনের নিশ্চয়তা নেই।

কোথায় চলেছি আমরা? মৃক্তির কী উপায় আর কে দায়ী?

কী অপরাধ আমাদের...আমজনতার? সাধারণ মানুষের জীবনের দাম কী তেজপাতা?

তেজপাতার তো তেজগুণ আছে...আর আমাদের?

গাড়ি পোড়াবি পোড়া...পাবলিক পরিবহন কেন? অবরোধ কেন রাজপথে? কোনো নেতা-নেত্রীর কোনো ক্ষতি দেখলাম না!

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় মাকে নিয়ে রিকশাভ্যানে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন আসবাবের দোকানের তরুণ কর্মচারী মোহাম্মদ সাহেদ। অবরোধকারীরা ককটেল ছুড়ে মারলে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে মারা যান সাহেদ। অবরোধের দ্বিতীয় দিন বুধবার রাতের ঘটনা এটি।



অবরোধের প্রথম দিন কুমিল্লার লাকসামে ওষুধ নিয়ে ফেরার পথে মারা যান রিকশাচালক বাবুল মিয়া। রাজধানীর শাহবাগে বাসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দগ্ধ করা হয় ১৯ যাত্রীকে।



বিরোধী দলের তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচিতে যে ২০ জন মারা গেছেন, তাঁদের মধ্যে ১৪ জনই সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ। অবরোধ চলাকালে জীবিকার তাগিদে তাঁরা বের হয়েছিলেন। অন্য পাঁচজনের মধ্যে তিনজন আওয়ামী লীগের, একজন বিএনপির ও একজন জামায়াতের কর্মী। অবরোধের প্রথম দুই দিনেই মারা যান ১৮ জন, দুই জন মারা যান গতকাল।



সারা দেশে রাজনৈতিক সহিংসতায় ১১ মাসে এ নিয়ে প্রাণ হারালেন ৩৪৭ জন। এর মধ্যে শুধু হরতাল এবং অবরোধ কর্মসূচিতেই মারা গেছেন ১৯৬ জন। ২৬ অক্টোবর থেকে গতকাল পর্যন্ত এক মাসে মারা গেছেন ৫৮ জন। হরতালের আগুন, পেট্রলবোমা ও ককটেল বিস্ফোরণে ১৫ শিশুসহ ১০৯ জন আহত হয়েছেন। হতাহতদের বেশির ভাগই সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ।



বিএনপি বর্তমানে তত্ত্বাবধায়ক বা নির্দলীয় সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে। এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। এর আগে ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করে। ১৯৯৬ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত সময়ে ২১ দিন হরতাল করেছে আওয়ামী লীগ। ১৯৯৬ সালে বিএনপি একতরফা নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিলে আওয়ামী লীগ প্রথমে সেই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ৮ ও ৯ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডাকলেও তা উপেক্ষা করেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ শেষ করে বিএনপি। এরপর ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ও নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। তার পরও নির্বাচন করে বিএনপি। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় তিন দিনের অসহযোগ। এরপর ৯ মার্চ থেকে বিএনপি সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে আওয়ামী লীগ। টানা ১৭ দিন পর ১৯৯৬ সালের ২৬ মার্চ খালেদা জিয়া সংসদে নির্দলীয় সরকারের বিল পাসের পর অসহযোগ আন্দোলন শেষ হয়। টানা এ আন্দোলন চললেও ১৯৯৬ সালে রাজনৈতিক সহিংসতা এত ভয়াবহ ছিল না। ওই এক বছরে রাজনৈতিক সহিংসতায় মারা যান ৪৯ জন। ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে কোনো দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলন হয়নি। তবে ২০০৬ সালে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সাবেক প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানকে প্রত্যাখ্যান এবং নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠনের দাবিতে আন্দোলন করে। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি সরকারের শেষ দিনে ঢাকায় সহিংসতায় ১১ জন প্রাণ হারান। একপর্যায়ে রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ নিজেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হন। এরপর দেশে জরুরি অবস্থা জারি হয়। নির্বাচন হয় ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে। এ সময় কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু ২০১৪ এর নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সহিংসতা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

সাম্প্রতিক রাজনৈতিক হানাহানিতে সাধারণ মানুষ কেন লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে? এ প্রশ্ন সবার।

জর্জ অরওয়েল একসময় মন্তব্য করেছিলেন, রাজনীতিকদের ভাষা আমাদের নিত্যদিনের ভাষা থেকে ভিন্ন। তাঁদের কাজই হলো মিথ্যাকে সত্য বানানো, দরকার হলে দিনে-দুপুরে খুনকেও ‘সম্মানজনক’ কাজ বলে প্রমাণ করে ছাড়া। এমনকি একদম শুদ্ধ বাতাসকেও তাঁরা ভারী ওজনের জিনিস বানাতে পারেন।

দেশের ঘৃণ্য গুটিকয়েক অসৎ রাজনীতিবিদদের কারণে পুড়ছে আমাদের সোনার দেশ।

এদের কী বলা যায়? আমাদের দুর্ভাগ্য এমন যে, এই সব কুশিক্ষিতরাই আজ আমাদের রাজনীতিতে ফ্যাক্টর। এরা কমপিউটার চালাতে জানে না, ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারে না, ফেসবুক, টুইটার, লিঙ্কড ইন, ইউটিউব, গুগল, ইয়াহু কিছুই চেনে না..এরা জানেনা দেশের তরুণ প্রজন্ম কি চায়? এদের দিকে আমরা কোন সমাধানের কোনো ডিজিটালের দিকে যাব?

যারা মানুষ পোড়ায়, মানুষ পোড়ানোর জন্য প্ল্যান বানায়, অর্থ জোগান দেয়... তারা যদি আন্দোলন করতে চায়..ক্ষমতায় যেতে চায়..আন্দোলন অন্য পথে নিয়ে গেলেই তো হয়। মানুষ পোড়ানোর দরকার কী? শুধু মানুষের হাতে প্রযুক্তি সুবিধা পৌঁছে দেওয়ার আন্দোলন করলেই ক্ষমতা নিশ্চিত।

এরা ভিন্ন আন্দোলনে যেতে ভয় পায় কোনো?

আর যারা ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চায়...তারাই বা মানুষ পোড়ানোর এ বিভৎসতায় কোনো আনন্দ পাচ্ছে? মানুষকে সচেতন করতে তারাই বা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না কোনো?

জনগনকে সোচ্চার করতে পারলে...জনসমর্থন পক্ষে রাখতে পারলে আন্দোলন করা লাগেনা... আন্দোলন করা লাগেনা.. আন্দোলন জন্ম হয়।প্রতিরোধের, প্রতিশোধের আর ক্ষমতার আন্দোলন আমজনতাই করে এসেছে চিরকাল...যারা আজ পুড়ছে তারাই একদিন সোনার মতো খাঁটি আন্দোলন করবে সব দুর্নীতিবাজ, চামচা আর মানুষখেকোদের ক্ষমতা থেকে নামাবে... আড়ালে লুকিয়ে সাধারণ মানুণষকে জালিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের মুখে আগুন ঢুকিয়ে দেবে।

সবাই সাবধান। শুধু একটু অপেক্ষা। জনরোষ বাড়ছে...বিস্ফোরণের সময় আসন্ন...মনে রাখতে হবে সাধারণ মানুষের ক্ষমতা অপরিসীম। কাউকে ক্ষমা করেনা... তারা।

যতো বড়ই ক্ষমতাবান হোক, যত বড়ই ষড়যন্ত্রী হোক যেদিন মানুষ জাগবে সেদিন রাজপথে বণ্যা হবে...

আমাদের দেশে সেই লগ্ন আসন্ন

Turning and turning in the widening gyre

The falcon cannot hear the falconer;

Things fall apart; the centre cannot hold;

Mere anarchy is loosed upon the world,

The blood-dimmed tide is loosed, and everywhere

The ceremony of innocence is drowned;

The best lack all conviction, while the worst

Are full of passionate intensity.



Surely some revelation is at hand;

Surely the Second Coming is at hand. William (Butler Yeats (1865-1939)

THE SECOND COMING)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৫

সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেন: আমরা আসলেই দুর্ভাগা জাতির, দুর্ভাগা নাগরিক !!!

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৮

বাদশা মিন্টু বলেছেন: পরিবর্তন আসন্ন...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.