নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়াশোনা করি। লেখালেখি করি। চাকরি করি। লেখালেখি করে পেয়েছি ৩টি পুরস্কার। জাতিসংঘের (ইউনিসেফ) মীনা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড ২০১১ ও ২০১৬ প্রথম পুরস্কার। জাদুর ঘুড়ি ও আকাশ ছোঁয়ার গল্পগ্রন্থের জন্য অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০১৬।

বিএম বরকতউল্লাহ

জানতে চাই।

বিএম বরকতউল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পালোয়ান ভূত!!

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৮

জঙ্গলে বাস করে পালোয়ান ভূত
আছে তার সাতখানা পাগলাটে পুত
রাত হলে পুতেরা হানা দেয় গ্রামে
সারারাত ইতরামী ভোর হলে থামে।

আঁধার রাতে তারা ঘোরে-ফিরে একা
ঘর থেকে বেরুলে হবে ঠিক দেখা
নাক মুখ চোখ কান বড় অশালীন
ভেংচি,থুতু মেরে হঠাত বিলীন।

পুতেদের ডেকে ভূত করেছে আদেশ
ডরে ভয়ে গেঁয়োদের পাঠাবি বিদেশ
নানারূপে রাতভর ঠিকমত জ্বালাবি
গ্রামজুড়ে ধুমধাম সন্ত্রাস চালাবি।

একটি মানুষ যেন না থাকে সুখে
দেখব এসব আমি নিজের চোখে।

খুশি হয়ে সাতপুত ত্রাস করে গ্রামে
সন্ত্রাসী ভূত দেখে ছোটে ডানে বামে
ঘুম নেই সারারাত ভূতে দেয় হানা
তাড়াবার ফন্দিটা নেই কারো জানা।

ভয়েতে গুটি-শুটি গেরামের লোক
বাঁচবার চাও যদি এনে দাও ভোগ।

কেঁদে কেঁদে সবিনয়ে বলে লোকজন
চারদিকে সন্ত্রাস বিপদ এখন
পালোয়ান হেসে বলে,ভোগ দাও আগে
ছাড়ব না বাছাধন এনেছি বাগে।

বেঁচে আছে এইভাবে গেরামের লোক
হতাশায় ঘরে ঘরে বেড়ে গেছে শোক।
ক্ষুধা নিয়ে পেটে ওরা ভূতকে খাওয়ায়
ধমকে কাঁপে বুক মুক্তি চাওয়ায়।

আমরা মানুষ হব ভূত হবে মানুষে
মানবে না এ আদেশ,বলে কোন সাহসে?
এই বলে গর্বে নেচে ওঠে পালোয়ান
বড় সে মানুষেরও এই তার অভিমান।

কাজ করে মানুষে বসে খাবে ভূত!
সইবে না এ নিয়ম ভূঁইয়ার পুত
লোকজন জড়ো করে মশাল হাতে
হামলে পড়ে সে গভীর রাতে।

বেগতিক ভাব দেখে পালোয়ান ভূত
ডেকে ডেকে হয়রান,কই গেলি পুত
সাত পুত সাত দিকে পালিয়ে বাঁচে
ঠ্যালা পেয়ে পালোয়ান ব্যাঙ হয়ে নাচে।

সময়-সুযোগ পেলে ভূতেরা জ্বালায়
পাবলিক ক্ষেপে গেলে দৌড়ে পালায়
আমাদের আশপাশে আছে যত ভূত
বসে আছে তার পাশে ভূঁইয়ার পুত!

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৩

নিরবতার ঝি ঝি পোকা বলেছেন: অসাধারন..................

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৮

খেলাঘর বলেছেন:


পড়লাম

৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার। আপনার লেখা আগেও পড়েছি। বেশ ভালো!!

৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৫

তানজীব তন্ময় বলেছেন: চমৎকার লেখা । সংগীতের মত মৃদু ছন্দে চমৎকার সরলতায় হাস্যরসের মাধ্যমে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন ।

আসলেই আমাদের সমাজে রুই কাতলা নামধারী ভূত গুলো চাইলে আমরাই তাড়াতে পারি ।
জন সমুদ্রের ঢেউ সমুদ্রের ঢেউয়ের চেয়েও ভয়ংকর ।

৫| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১১

কলমের কালি শেষ বলেছেন: চমৎকার ছন্দময় ।

৬| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:০৬

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: বেঁচে আছে এইভাবে গেরামের লোক
হতাশায় ঘরে ঘরে বেড়ে গেছে শোক।
ক্ষুধা নিয়ে পেটে ওরা ভূতকে খাওয়ায়
ধমকে কাঁপে বুক মুক্তি চাওয়ায়।
+++++

ছড়ার হাস্যরসে কি নিদারুন কথা বলা হয়ে গেলো! কবে এই ভুতেদের হাতে থেকে মুক্তি পাবে গ্রামবাসী! ভুঁইয়ার পুতেদের খুব দরকার!

ভালো থাকবেন।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.