![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্ধকারে যাচ্ছে হেঁটে আলোক মিয়ার পুত
বনের ধারে যেতেই তার সঙ্গি হলো ভূত!
আলতো হাতে খোঁচা মেরে বলছে ভূতে দাঁড়া
ভয়ে-ডরে শরীরটা তার দিচ্ছে ভীষণ ঝাড়া।
হঠাৎ করে ভূতটা তেড়ে সামনে এসে বলে-
অনেক দূরে নিয়ে যাব নানান ছলে বলে।
এইনা শুনে আলোকপুতে দিল জোরে হাঁটা
থুতু-ফেনায় ভিজিয়ে দিল ভয়কাতুরে গাটা।
শর্দি-জ্বরে কাঁপছে পুতে করছে আবোল-তাবোল
ডাবের পানি ফল-ফলারী খাচ্ছে ডাবল ডাবল
আলোক মিয়া ক্ষেপে গিয়ে আনলো কবিরাজ
ঝাড়ূর বাড়ি জুতাপেটায় হচ্ছে নাকি কাজ।
কদিন বাদে ব্যথার গতর উঠছে বেজায় ফুলে
ঘুমকাতুরে ছেলেটি তার চায় না দু চোখ তুলে।
হেসে বলে কবিরাজে হচ্ছে ভীষণ কাজ-
ভূত পালালে ছেলেপেলে দেখায় এমন লাজ।
হঠাৎ ক্ষেপে ধরল চেপে কবিরাজের টুটি
আলোক পুতের কিল ঘুষিতে খাচ্ছে লুটুপুটি।
খিল লাগিয়ে বেন্দা হাতে আচ্ছারকম মারে
কবিরাজি করব না বাপ বলছে বারে বারে।
বলছে সবাই ও কবিরাজ একি তোমার হাল!
রক্ত ঝরে নাকে মুখে, উঠে গেছে ছাল!
মারলো নাকি ভূত পেরেতে কওনা খুলে আজ
নরম সুরে দীর্ঘশ্বাসে বলছে কবিরাজ-
ভূত পেরেত নাইরে কিছু, মানুষ আসল ভূত
এ কথাটার পষ্ট প্রমান আলোক মিয়ার পুত!
©somewhere in net ltd.