নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়াশোনা করি। লেখালেখি করি। চাকরি করি। লেখালেখি করে পেয়েছি ৩টি পুরস্কার। জাতিসংঘের (ইউনিসেফ) মীনা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড ২০১১ ও ২০১৬ প্রথম পুরস্কার। জাদুর ঘুড়ি ও আকাশ ছোঁয়ার গল্পগ্রন্থের জন্য অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০১৬।

বিএম বরকতউল্লাহ

জানতে চাই।

বিএম বরকতউল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কঙ্কাল

০৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:১৭

সমস্ত গ্রাম যেন তেতে উঠেছে। শান্তিতে নেই-স্বস্তিতে নেই; সবাই আছে দৌড়ের ওপর। একজনের সাথে আরেকজনের দেখা হতেই হন্ত-দন্ত রহস্যের প্রশ্ন -‘ভাই রাতে-বিরাতে কী সব ঘটছে শুনেছেন তো? এমন আজব ঘটনা তো বাপ জনমে শুনিনি! এ আবার কীশের আলামত!‘ এ ভয়ার্ত প্রশ্নটি যাকে করা হলো তিনিও এ রকম প্রশ্ন নিয়েই ছুটছিলেন। গ্রামের ছোট-বড় সবাই এক রহস্যময় ভয়-ব্যাধি ধারণ করে আছে। যতই দিন যাচেছ ততই বাড়ছে রহস্য। এ রহস্যের ঝটও খুলছে না, প্রশ্নের জবাবও মিলছে না

শীর্ণ নদীর তীরে ছোট একটা গ্রাম দরগারবন। গভীর রাতে একটি কঙ্কাল এসে ঘোরাফেরা করে এ গ্রামে। লম্বা লম্বা কদম ফেলে বাড়ি-ঘরের সম্মুখ দিয়ে নীরবে হাঁটা চলা করে কঙ্কালটি। চলার পথে একটু পর পর অদৃশ্য হয়ে গিয়ে আবার দৃশ্যমান হয়। হাঁটার সময় কঙ্কালের হাড়গুলো একটার সাথে আরেকটার ঘর্ষণে চূড়্ড়াং-চড়্ড়ত- চ্রং ধরনের শব্দ শোনা যায়। গাঁয়ের ছোট ছোট পাড়ার ভেতর দিয়ে আঁকাবাঁকা সরু পথ ধরে এঁকেবেঁকে চলে কংকালটি। এ রহস্যময় ভয়ংকর ঘটনায় গ্রামের ছোট-বড় সবার ঘুম হারাম হওয়ার যো হয়েছে!

সন্ধ্যার আগে যে শিশুটি প্রাণচঞ্চল থাকে, সন্ধ্যার আগমনে সেই শিশুটি নীরব হয়ে যায়। জোরে কথা বলে না, কারণে-অকারণে ভাই-বোনেরা ঝগড়ায় মেতে ওঠে না। কার পাতের ডিমটা ছোট, না মাছটা বড় তা পরখ করে অভিমানে গাল ফুলিয়ে পাল বানিয়ে রাখে না। যাকে যা দিবে তাই খাবে, যা বলবে তাই শুনবে। একদম চুপচাপ! রাতে যে কংকালটি এসে নীরবে ঘোরা -ফেরা করে সে যদি কারো গলার আওয়াজ শুনে কোনো উছিলায় ঘরে মাথা ঢুকিয়ে শিশুটির কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করে, তখন উপায়!

রক্ত নেই, মাংস নেই, লোম নেই, চামড়া নেই; শুধু শুকনো সাদা হাড়! ধণুক বাঁকা শূণ্য খাঁচার মত বুক! মোটা চিকন ছোট বড় বাঁকা-ত্যাড়া গ্রন্থিত হাড়, কড়ি ভাঙ্গা সরু আঙ্গুল, মাথার ফাটা খুলি, উঁচু কপাল, চোঙ্গার মত চোখের গভীর গর্ত, ল্যাপ্টা-চ্যাপ্টা নাক, খিল আঁটা বত্রিশ দাঁত। উফ্ কী ভয়ানক বিশ্রী ব্যাপার! ভাবতেই ভয়ে বুকটা ধুক ধাক করে; কলজে শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়। এর সামনে পড়ে মরতে যাবে কোন পাগলে!

কংকালের ভয়ে সন্ধ্যার পরে সহজে কেউ ঘর থেকে বেরোয় না। একা চলাফেরা করে না। এতদিন যা খুবই স্বাভাবিক ছিল এখন আর তা স্বাভাবিক রইল না। ইঁদুর চিকার দৌড়াদৌড়ি, চামচিকার ফুড়ুত-ফাড়ুত উড়াউড়ি, শুকনো পাতার মচমচানি, হুতোম পেঁচার ভয়ার্ত ডাক, শিকারী বিড়ালের ইঁদুর ধরার পাঁয়তারা, হালকা হাওয়ায় গাছের পাতা নড়া-চড়ার শব্দ এসবই মনে হয় কংকালের নীরব আনাগোনা।

কংকাল ভয়ে ঘরে ঘরে নানান সমস্যা ও জটিলতা শুরু হয়ে গেছে। রাতের বেলার বাইরের কাজগুলো সারা হচেছ ঘরে। প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে কেউ দরোজার খিল খুলে আর প্রকৃতির কোলে গিয়ে বসে না; লোটা বদনা আর মাটির পাতিলা নিয়ে বসে পড়ে ঘরের কোণায়। এভাবে আর কত দিন!

গ্রামের ময়মুরুব্বীরা এ সমস্যা সমাধানের জন্য নানান চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছেন। তাঁরা শলা-পরামর্শ করে কঙ্কাল তাড়াবার যতগুলো বুদ্ধি-কৌশল আবিস্কার করে এর অধিকাংশই পালিয়ে যায় কঙ্কালের ভয়ে। যেটুকু অবশিষ্ট থাকে, তা দিয়ে কঙ্কাল তাড়ানোর সাহস করা যায় না হেঁটে বড়জোর ঘরে ফেরা যায়।

কঙ্কালের ভয়-উপদ্রব থেকে শিশুদের রা করার জন্যে কেউ কেউ মসজিদের ইমাম হুজুরের শ্মরণাপন্ন হয়েছে। ইমাম হুজুর তাদের কথার তেমন আমল দিলেন না। বল্লেন, এগুলো কিচছু না; মনের ভুল থেকে ভয় জেগেছে। এ কথায় কারো মন ভরল না; ভয়ও গেল না। গ্লাস, লোটা, বদনা, বালতি ও কলসীর স্বচছ পানিতে ফু দিতে হলো ইমাম হুজুরকে। শিশুদের সামনে পড়াপানির গ্লাস ধরতেই ওরা ভয়মিশ্রিত আগ্রহে বড় বড় চোখে গডু গডু করে পানি খায়। সন্ধ্যার আগে আগে মুরুব্বিরা বিড়বিড় করে ঘরের চারপাশে ও দরোজার চৌকাঠে পড়াপানি ছিটায়। শোবার আগে পড়াপানির ঝটকানিতে চোখ বন্ধ করে ঘুমুতে যায় শিশুরা। এতে কাজের কাজ কিছুই হলো না বরং অস্বাভাবিক পানি খেয়ে ঘুমের ঘোরে শিশুদের পিশাবে কাঁথা ভিজে সয়লাব। ভোর বেলা মায়েরা আঁচলে নাক চেপে কাঁথা নিয়ে পুকুর ঘাটে যায়। তারা কাঁথা ধুয়ে রোদে ছড়িয়ে দিয়ে সম¯ শরীর ঝাকিয়ে গাঁয়ের কাপুরুষদের ভর্তসনা করতে করতে ঘরে ফিরে।

ঘরে-বাইরের এত যšত্রণা আর সহ্য হয় না। এর একটা বিহিত করতেই হবে। এ গ্রামে আর ঢুকতে দেয়া যাবে না কঙ্কালটাকে। গাঁয়ের পুরুষেরা ঘরে ঘরে ুব্দ নারীদের তীব্র গুঁতো খেয়ে সাহসী হয়ে উঠল। তারা শুরু করে দিল কঙ্কাল তাড়াবার নানান উদ্যোগ-আয়োজন।

সব উদ্যোগ ব্যর্থ হলো। এ নিয়ে মুরুব্বীরা গ্রামের মাথা সিরু মন্ডলের কাছে গিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও শলা-পরামর্শ করলেন। সিরু মন্ডল এত সমস্যা ও বিড়ম্বনার কাহিনী শুনে অনেকটা উত্তেজিত হয়ে বল্লেন, একটা কঙ্কাল গাঁয়ের মানুষকে নাস্তানাবুদ করবে, সারা রাত ভয় জাগিয়ে শিষ মেরে ঘুরবে, আর তোমরা বসে বসে আঙ্গুল চুষবা, তা তো হতে পারে না! রাখ, সারা রাত পাহারা দেয়ার ব্যবস্থা করছি। কঙ্কালটি দেখামাত্র পিটিয়ে ছাতু বানিয়ে ফেলতে হবে; তারপর কি হয়, সে আমি দেখব।” -এ কথা বলে মন্ডল রাগে কাপতে লাগলেন।

মুরুব্বি গোছের একজন ভয়ে অভিমানে আঙ্গুল খাড়া করে বল্ল, ”অবস্থা কিন্তুক বেগতিক। ঘরের ভেতরে খাওয়া-দাওয়া, পিশাব-পায়খানা সমানতালে চলছে। আপন ঘরের মহিলারা পরের মত আচরণ করছে, আর আমাদের কাপুরুষ বলে গাল পাড়ছে। আজ থেকেই পাহারার ব্যবস্থাটা করে ফেলতে হবে, মন্ডল।”

”কে কে পাহারা দিবা, নাম বলো। লাঠি, শরকীর ব্যবস্থা করে দিচিছ।” সিরু মন্ডলের এ আহ্বানে সবার চোখ গোল হয়ে গেল। ভয়ংকর কঙ্কালটাকে পিটিয়ে ছাতু বানাবে কেÑএ নিয়ে উপস্থিত লোকজনের মধ্যে মুখ চাওয়া-চাওয়ি ও মৃদু গুঞ্জরণ শুরু হলো। কারো নাম প্র¯তাব পাওয়া গেল না।

খানিক অপোর পর সিরু মন্ডল নড়ে চড়ে বসে তাচিছল্যের হাসি দিয়ে বল্লেন, “তোমরা ঘরে হাগবা, পাতিলায় মুতবা কিন্তুক রাতে ঘর থেকে বেরোবে না। হুহ্, বিলাই দিয়ে বুঝি কুত্তা খেদানো যায়! বোঝা গেছে, এ কাজ তোমাদের দিয়ে হবে না। ডাক দেখি বইদ্দাকে। ওই নচছার বইদ্দাকে ছাড়া এ বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার কোনো বাও নেই।” এ রকম সরস কথায় অনেকটা নির্ভার হয়ে সবাই মাথা ঝাকিয়ে হ হ, হ্যা হ্যা করে উঠল। কয়েকজন সোতসাহে বইদ্দাকে ধরে নিয়ে আসার জন্যে হন হন করে বেরিয়ে গেল।

এখানে বইদ্দা সম্পর্কে দুটো কথা না বল্লে হয় না। বইদ্দা এ গ্রামের বাসিন্দা। বয়স কম-বেশি চল্লিশ। তার কাম-কাজ, খাওয়া-দাওয়া, চলাফেরা, কথা-বার্তা, জীবন-যাপন স্বাভাবিক নয়, অনিয়ন্ত্রিত, বল্গাহীন। ভয়শূণ্য, বেতাল-বেসামাল। সে কারো ধার ধারে না, জাত-পাত মানে না, কাউকে তোয়াক্কা করে চলে-বলে না। কারো ভয়ে মিথ্যা কথা কয় না। তাকে দিয়ে অনেকেই সামান্য কিছুর বিনিময়ে অসামান্য কাজ আদায় করে নেয়। ভরা ল্যাট্রিনের পায়খানা ফেলতে বইদ্দার ডাক পড়ে। এলাকার ওঝা-কবিরাজেরা মাত্র এক ছিলিম গাজার বিনিময়ে তাকে দিয়ে অসাধ্য সাধন করে। গভীর রাতে দিগম্বর হয়ে একাকী গোরস্থানের মাটি ও শ্মশানঘাটের ছাই এনে দেয় এ বইদ্দা। তার এ রকম বহু উপকারের ও নানা দুঃসাহসিকতার কাহিনী আছে কিন্তু স্বীকৃতি নেই। সমাজের লোকজনেরা সভ্য-ভব্যতার খাতিরে বদিউজ্জামানকে বইদ্দা বলে ডাকে। এ সমাজ-সংসারে বইদ্দা অপাঙক্তেয়।

তরিতকর্মা পুরুষেরা বইদ্দাকে নিয়ে এল মন্ডলের সামনে। আলুথালু, ঢুলাঢুলি ভাব। সে নির্বিকারভাবে বল্ল, বইদ্দার ডাক পড়ল যে মন্ডল, ঘটনা কি?

মন্ডল বল্লেন, ”সহজে তো আর কেউ তোকে ডাকে না; একটা দুঃসাধ্যকে সাধ্য করতে হবে। সে কাজের জন্যে তোকে ডাকা। কঙ্কালটাকে হয় শেষ করবি; নয় তো জন্মের মত গ্রাম ছাড়া করবি। কোনটা করবি তুই ক।“
বইদ্দার তাতক্ষণিক জবাব- ”অসম্ভব, একাজ আমি করব না, মন্ডল।” মন্ডল অবাক হয়ে বল্লেন, ”তোর আবার সম্ভব-অসম্ভব কি রে? এ কাজের বিনিময়ে তুই কি চাস, তাই আগে বল; পারব না বল্লে তো হবে না। জীবন মরণ সমস্যা। টাকা-পয়সা, নেশা-টেশা সব দিব তোকে।” একজন আগ বাড়িয়ে হাত নাচিয়ে বল্ল, ”যত চাস তত দেব, নগদ চাস নগদেই দিব। কি কন মিঞারা? ”সবাই সমস্বরে জবাব দিল, ”তা আর কইতে হয় বুঝি, আগে কঙ্কালটা শেষ করে আমাদের জানটা বাঁচাক না।”

বইদ্দা হুঙ্কার ছেড়ে হাত নেড়ে বল্ল, “টেকা-পয়সার লোভ দেখাবেন না। আজ রাতেই খতম করে দেব কঙ্কালটাকে। বিনিময়ে শুধু একটা জিনিস দিতে হবে আমাকে।”

মন্ডল কৌতূহলের সাথে গলা বাড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, ”এবার বল তো দেখি বইদ্দা, এর বিনিময়ে কি দিতে হবে তোকে?”
বইদ্দা দৃঢ়তার সাথে বল্ল“ আমাকে বীরের মর্যাদা দিতে হবে।“
টাকা-পয়সা, নেশা-টেশার পরিবর্তে বইদ্দার মুখে এ রকম অকল্পনীয় দাবির কথা শুনে সবাই হা করে রইল। খানিক নীরবতার পর মন্ডল মাথা তুলে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বল্লেন, ”হে ঠিক আছে। তুই আগে কঙ্কালটা খতম কর, তোকে বীরের মর্যাদাই দেয়া হবে।”
বইদ্দা হনহন করে চলে গেল।

সুবেহ সাদিকের আগে আগে গোরস্থান থেকে অদ্ভুুত চিতকার-চেঁচামেচির শব্দে গ্রামের ঘুমš মানুষের কান খাড়া হয়ে গেল। হুড়মুড়িয়ে মানুষজন বাইরে এসে বলছে, এই রেÑ, মনে হয় ধরে ফেলেছে। বইদ্দা-বইদ্দা বলে গোরস্থানের দিকে সভয়ে এগুচেছ কেউ কেউ। হঠাত গোরস্থানে একটা আগুনের কুন্ডলী পাক খেয়ে উপরে উঠে দপ্ করে নিভে গেল। বইদ্দার লাঠির তীব্র আঘাতে কঙ্কালটি আগুনের কুন্ডলী পাকিয়ে আকাশে মিলিয়ে গেল কি না! আতঙ্কে থমকে দাঁড়াল সবাই। বইদ্দা গোরস্থান থেকে চিতকার করে বলছে, খতম, খতম। শেষ করে দিয়েছি, শেষ করে ফেলেছি। ভয় নেই, আর ভয় নেই। সবাই ঘুমাও। তারপর একটা শব্দ এলো। ধপ করে পতনের শব্দ।

চারদিক থেকে লোকজন উর্দ্ধশ্বাসে ছুটে এলো গোরস্থানে। বইদ্দাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে সবাই। বইদ্দা উপুড় হয়ে পড়ে আছে মাটিতে। আশপাশের লতাপাতা, গাছগাছালি ও বইদ্দার সারা গায়ে ধস্তাধস্তির অসংখ্য ছাপ। তার মুখ থেকে সাদা ফেনা বেরিয়ে আসছে। থরথর করে কাঁপছে তার সমস্ত শরীর। ভীড় ঠেলে সিরু মন্ডল এলেন। বইদ্দা, বইদ্দা বলে ডাক দিতেই কষ্টে মাথাটা তুলে বইদ্দা বল্ল, “আমি আমার কথা রেখেছি মন্ডল।“

মন্ডলের ইশারায় কয়েকজন তাকে পাঁজাকোলা করে নিয়ে গেল প্রাইমারি স্কুলের মাঠে। লাল গাইয়ের টাটকা দুধে গোসল করানো হলো বইদ্দাকে। কৌতূহলী লোকে লোকারণ্য স্কুল মাঠ। মন্ডল ভীড় ঠেলে বইদ্দাকে নিয়ে একটা টেবিলের উপর গিয়ে দাঁড়ালেন। আবেগে কৃতজ্ঞতায় সিক্ত মন্ডল বইদ্দার কাঁধে ডান হাতটা রেখে আšরিকতার সাথে ধীরে-সুস্থে বল্লেন এই বইদ্দা আমাদের ভয়মুক্ত করল। চরম অশান্তি থেকে নিষ্কৃতি দিল।

অসাধ্যকে সাধন করল। এখন থেকে আমরা ভয় মুক্ত। চিন্তামুক্ত। আমি সিরু মন্ডল গ্রামের সবার প থেকে ঘোষণা করছি যে, “জীবন বাজী রেখে গ্রামের মানুষকে ভয়-ভীতি থেকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে দুঃসাহসিক অবদান রাখার জন্য জনাব মোঃ বদিউজ্জামান ওরফে বইদ্দাকে দরগারবন গ্রামের বীরপুরুষ খেতাবে ভূষিত করা হলো।” এ ঘোষণা শেষ হতে না হতেই উচ্ছ্বসিত জনতা মুহুর্মুহু করতালিতে বীর বদিউজ্জামানকে ফুলের পাঁপড়ি ছিটিয়ে হৃদয়ে বরণ করে নিল। জনতার মুখ থেকে আওয়াজ উঠল-বীর বদিউজ্জামান - দীর্ঘজীবী হোক।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: এই প্রথম আপনার কোন গল্প পড়লাম। ছড়ার পাশাপাশি আপনার গল্প লেখার হাতও জম্পেশ!

২| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১০

ঢাকাবাসী বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

৩| ০৬ ই জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৬

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: চমৎকার হয়েছে গল্পটা, কিন্তু আশায় ছিলাম শেষে কোন টুইস্ট জাতীয় কিছু পাব। কিন্তু সহজ সুন্দর সমাপ্তি সেই আশা হতাশ করে দিয়েছে ;)

ভালো থাকুন, শুভকমনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.