নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়াশোনা করি। লেখালেখি করি। চাকরি করি। লেখালেখি করে পেয়েছি ৩টি পুরস্কার। জাতিসংঘের (ইউনিসেফ) মীনা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড ২০১১ ও ২০১৬ প্রথম পুরস্কার। জাদুর ঘুড়ি ও আকাশ ছোঁয়ার গল্পগ্রন্থের জন্য অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০১৬।

বিএম বরকতউল্লাহ

জানতে চাই।

বিএম বরকতউল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজার অসুখ

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:১২


রাজার অসুখ। তাবিজ-কবচ, ওঝা-বৈদ্য, ডাক্তার-কবরেজ সব করা হয়েছে। কিন্তু রোগ সারে না রাজার। সারাদিন চুপচাপ বসে থেকে সময় কাটে নিঃসন্তান রাজার।
একদিন কোতোয়াল এসে বলল, মহামান্য রাজা, আপনার অসুখ সারছে না। আপনি চিকিৎসা বাদ দিয়ে একমনে ইবাদত-বন্দেগী করুন। বাকি দিনগুলে আরামে কাটুক।
রাজা বললেন, আচ্ছা।
মন্ত্রী এলেন রাজার ঘরে। কুর্ণিশ করে বললেন, রাজামশাই আপনার অসুস্থতার কথা শুনে রাজ্যটাও কেমন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এখন রাজ্যটা শাসন করবে কে? এর একটা বিহিত করলে হয় না রাজামশাই? এ ব্যাপারে আপনার সামান্য ইশারা পেলেই...
রাজা বললেন, আচ্ছা।
তারপর এলেন সেনাপতি। তিনি রাজাকে কুর্ণিশ না করেই বললেন, হে দুঃখিত রাজা, আপনি যদি অসুখে- ক্লান্ত হয়ে এভাবে পড়ে থাকেন, তাহলে রাজ্যটা চলে কীভাবে? আপনার সুস্থতার জন্য সব চেষ্টাই তো করা হলো। সুস্থ হওয়ার কোন লক্ষèণ নেই। আপনি জীবিত থেকেও মৃত। রাজ্যের কল্যানে নতুন রাজার নাম ঘোষণা করা দরকার। আপনি সম্মতি দিলেই আমরা এগুতে পারি।
রাজা বললেন, আচ্ছা।
ঢোল-কাসরে বাড়ি পড়ল। তুড়ি-ভেরি, শঙ্খ-শিঙা বেজে উঠল। রাজবাড়িতে শুরু হয়ে গেল রাজাবদলের উৎসব। নতুন রাজার নাম ঘোষণা করা হবে। রাজদরবারে বইছে আনন্দের জোয়ার।
রাজামশাই জানালা ফাঁক করে দেখছেন ওসব। তাঁর আশেপাশে কেউ নেই। সবাই আনন্দে মাতোয়ারা।
এরই মধ্যে প্রজারা রাজবাড়ির সামনে এসে চিৎকার করে কান্না শুরু করে দিল।
প্রজারা বলল, আমাদের প্রিয় রাজাকে কিছুতেই বদল করা চলবে না। নতুন রাজা চাই না আমরা। আমাদের গায়ে এক ফোঁটা রক্ত থাকতে এই মহান রাজাকে বদল করতে দেব না।
সেনাপতির নির্দেশে কোতোয়াল প্রজাদের ধরে প্রচন্ড মারধর করতে লাগল। তবুও প্রজারা তাদের দাবি ত্যাগ করল না।
রাজা আর সহ্য করতে পারলেন না। তিনি নিচে এসে ধমকের সুরে বললেন, কী হচ্ছে এসব। রাজা বদলের আনন্দ-আয়োজন চলছে বুঝি?
রাজার মেজাজ দেখে সবাই ভয় পেয়ে গেল। তাঁরা ছেড়ে দিল প্রজাদের।
রাজা বললেন, আমি অসুস্থ নই। রাজকর্মচারিদের পরীক্ষা করার জন্য আমি অসুস্থতার ভান করেছি।
রাজা লোভী রাজকর্মচারিদের বন্দী করার আদেশ দিলেন। আর তাদের পরিবর্তে প্রজাদের নিয়োগ করলেন। কেউ মন্ত্রী, কেউ সেনাপতি, কেউবা কোতোয়াল-সিপাই পদে অধিষ্ঠিত হলো।
রাজা বদলের আনন্দ-আয়োজন-অকৃতজ্ঞ কর্মচারি বদলের উৎসবে পরিণত হলো।




মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৩৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: শুধু রাজার প্রতি ভালোবাসার কারণেই পদ পাওয়াটা ভয়ানক ব্যাপার।

১৭ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৫৭

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপনি। ধন্যবাদ।

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: রাজা তো ভীষন চালাক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.