নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পড়াশোনা করি। লেখালেখি করি। চাকরি করি। লেখালেখি করে পেয়েছি ৩টি পুরস্কার। জাতিসংঘের (ইউনিসেফ) মীনা মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড ২০১১ ও ২০১৬ প্রথম পুরস্কার। জাদুর ঘুড়ি ও আকাশ ছোঁয়ার গল্পগ্রন্থের জন্য অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০১৬।

বিএম বরকতউল্লাহ

জানতে চাই।

বিএম বরকতউল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বড়োদের ছোটোগল্প: প্রেম ও রিম্যাণ্ড

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০২

আমার ক্লাসমেট মতি একটি প্রেম করেছিল। ছোট্ট একটি প্রেম। ছোট্ট বলছি এই কারণে যে, প্রেমটি তার হৃদয়ে অঙ্কুরিত হওয়ার পর চারাগাছের মতো যত্ন-আত্তি করে বড় করে তুলতে পারেনি। পরিবারের সদস্যদের গণপিটুনি, বন্ধু-বান্ধবদের টিটকারী-তিরষ্কারে অতিষ্ঠ হয়ে প্রেমটি ফুড়ুত করে উড়ে গেল।
যেখানে বাঘের ভয়-সেখানেই রাত হয়-এমন একটি কথা আছে আর স্রষ্টা মতিকে দিয়ে এ কথাটি পুনরায় প্রমাণ করিয়ে ছাড়লেন। নইলে যে ভাইটিকে সে দাদা বলে ডাকে; যে কিনা সবার চেয়ে রাগী, যাঁকে সবচেয়ে সমীহ করে, ভয় পায়, তিনি যে পথ ধরে হাঁটেন, চলেন, মতি ভুল করেও সে পথ মাড়ায় না, অথচ কীভাবে জানি তার একটুখানি প্রেমের কথা বিরাট বড় গল্প হয়ে সেই দাদাটির কানে গিয়া উঠল।
মতি ধরা পড়ে গেল, কঠিন ধরা। বাঘের খপ্পরে অসহায় হরিণের দশা হলো তার। দাদাটি তাঁর গায়ের সমস্ত শক্তি ঢেলে তাকে বেদম পিটুনি দিলেন। আর বললেন, জীবনের মত প্রেম শিখিয়ে দেবো, কলেজে পড়তে দিয়েছি-প্রেম করতে দেইনি, কত্তবড় দুঃসাহস তোর, বজ্জাত কোথাকার... এই সমস্ত বলে দাদা হাঁপাতে লাগলেন। দাদাটি ক্লান্ত না হলে মতির দফা রফা হতো। দাদার ক্লান্তি তাকে সাময়িক মুক্তি দিল।

মতি পরেরদিন সমস্ত পিটুনির দাগ পিঠে নিয়ে বীরদর্পে কলেজে গিয়ে উঠল। ছোট্ট শিশু কষ্ট পেয়ে যেমন মাকে শুনিয়ে আদর-আশ্রয় লাভ করে মতিও তার প্রিয়তমা কোকিলাকে দুঃখের কথা বলে আশ্রয় লাভ করতে চাইল।
মতি কোকিলাকে হৃদয় বিগলিত করে তার সকল কথা খুলে বলল। যতটুকু ঘটেছে ততটুকু এবং যতটুকু ঘটেনি ততটুকুও বলল। বলে আর ফাঁকে ফাঁকে পিঠের জামা তুলে রাগী দাদার চরম পিটুনির দাগ দেখিয়ে কোকিলার সামনে মোমের মত গলে পড়ল। তার সমস্ত কিছু বলার মধ্যে ভালবাসায় দুঃখ-কষ্ট সহ্য করে প্রিয়তমার কাছে ফিরে আসার যেমন বীরত্ব ছিল-তেমনি ছিল প্রিয়তমার বেদনামিশ্রিত ভালবাসা গভীর ভাবে পাওয়ার নীরব প্রত্যাশা।

প্রিয়তমা কোকিলা অভিভাবিকার মত মলিনমুখে তার সকল কথা শুনল। কোকিলা ধীরে ধীরে মতির বেদনাক্রান্ত পিঠে হাত বুলিয়ে আদর মাখিয়ে দিল। অতঃপর তাকে দুই বাহুতে টেনে কাছে নিয়ে তার কপালের ঠিক মাঝখানটায় চোখ বুঝে ছোট্ট অথচ গভীর একটা চুম্বন রেখা টেনে দিল। মতি এটাকে নিছক চুমুই নয় ‘ভাগ্যচুম্বন’ মনে করল এবং তার সমস্ত শরীর চনমন করে উঠল। মনে হলো কোকিলা তার সমস্ত দুঃখ-কষ্ট মুছে-পুছে, ঝেড়ে ফেলে দিয়ে হৃদয়ে গ্রহণ করে নিল। মতিও আলোক তরঙ্গে তার মাঝে কোকিলাকে শোষণ করে নিল।

কোকিলার কলেজ বন্ধ হয়ে গেল। সে আর কলেজে আসছে না। বড় ছট্ফট্ করতে লাগল মতি। অপরিণত বয়সের অপরিণত প্রেম-ভালবাসা করে শেষে ঠকে গেলে কিংবা ধরা খেলে যে যন্ত্রণা হয় তা নীরবে হজম করা ছাড়া আর উপায় থাকে না। প্রিয়তমাকে পাবার জন্য মনের ভেতরে যে সাধ জেগে ওঠে তার সাথে পাল্লা দিয়ে যদি সাধ্যটুকু জাগাতে না পারে তা হলে একটি কাজই করার থাকে। তা হলো, হা আর পিত্তেস। মতি তাই করতে লাগল।

মাসখানেক পরে একটি চিঠি পেলো মতি। কোকিলার চিঠি। ‘আমি বিয়ে করেছি এবং স্বামীর ঘর করছি। তোমাকে নির্মম পিটুনি ও কষ্ট হতে নিষ্কৃতি দিয়েছি। প্রেম করে পিঠে যে আঘাতের চিহ্নগুলি দেখিয়েছিলে, সেই চিহ্নগুলি যেমন ক্রমান্বয়ে এতদিনে মুছে গেছে; তুমি সেভাবে তোমার মন হতে আমাকে মুছে ফেলিও। এই আমার মিনতি।’

মতি চিঠিটি পড়ল। তার দু’চোখ ঝাপসা হয়ে এলো। সে অনেক কষ্ট করে হৃদয়ের গোপন প্রকোষ্ঠ হতে কোকিলাকে টেনে বের করল। অতঃপর তার জীবন হতে সে চোখের জলে কোকিলাকে চিরতরে মুছে দিল।


দ্বিতীয় পর্ব

মতি বিদ্যাবুদ্ধি অর্জন করে বেশ উপযুক্ত হয়েছে এবং উপযুক্ত একটি বিয়ে করে সংসার-ধর্ম করছে। সে ছেলে-মেয়ে নিয়ে সুখ-দুখের ভেলায় ভাসছে। সংসার জীবনে স্বামীতে স্ত্রীতে ছোটোখাটো ঝগড়া, মান-অভিমান, রাগারাগি, ঘটনা-রটনা এসব নানান বিষয় নিয়ে যখন তোলপাড় শুরু হয় তখন সংসার সমুদ্রে একটু ঢেউ খেলে যায়। অতঃপর পরষ্পর ছাড় দিয়ে, আপোস-মীমাংসা করে, ভালবেসে, আদর করে, গালের টোল কমিয়ে আবার সব ঠিকঠাক করে চলে।


কিন্তু ইদানীং মতির একটা সমস্যা শুরু হয়ে গেল। এখন কেন জানি কোকিলার কথা মনে করে বুকটা হুহু করে কেঁদে উঠছে তা ঠিক বলতে পারে না মতি। শুধু বলতে পারে, তাকে মনে পড়ছে এবং খুব করে মনে পড়ছে।
দীর্ঘ তিরিশ বছর আগের ছোট প্রেমখানি কেমন করে কোনখানে কীভাবে রয়ে গেল, কীভাবে তার সকল কাজে সকল চিন্তা-চেতনাকে ফাঁকি দিয়ে হৃদয়ের কোন পোরতে ঘাপটি মেরে রইল, আবার কী মনে করে এতদিন নীরব থাকার পর এখন সরব হয়ে উঠল, তা মতির জ্ঞানের অতীত।

মতির বয়স বাড়ার সাথে সাথে মনে হয় প্রেমটিও পাল্লা দিয়ে তার অজান্তে কোনো গোপন কুঠরিতে অল্প অল্প করে শাখা-প্রশাখা মেলছে। এখন হঠাৎ করে তার বুকের ভেতরে যখন একটু একটু করে প্রেমের অস্তিত্ব টের পাচ্ছে, তখন নারীর নতুন মা হওয়ার মত এক ধরনের পুলক অনুভব করছে সে। নারীগর্ভে সন্তান আগমনে মায়ের যেমন গর্ব হয় তেমনি পরম আনন্দ অনুভব করে। এত দুঃখ, কষ্ট আর বিপদ সহ্য করে সন্তান ধারন করে নারী হয় ধন্য।

এখন মতির ভেতরে একটু একটু করে প্রেম গজিয়ে উঠছে আর সে অনেক বড় করে আনন্দ ও গর্ব বোধ করতেছে। কিন্তু প্রেম গর্ভে ধারণ করে যেভাবে হাত-পা সিটকিয়ে, হই-হুল্লোড় করে আনন্দ প্রকাশ করার কথা; সে সেভাবে আনন্দ করার কোনো সুযোগ খুঁজে পাচ্ছে না। একা একা এবং নীরবে দুঃখ করা যায়, আনন্দ করতে হয় অনেকের মধ্যে অনেককে নিয়ে। দুঃখ কারও মধ্যে ভাগ করে দেওয়া যায় না; আনন্দ ভাগ করে দেওয়া যায়। মতির দুর্ভাগ্য সে এর কিছুই করতে পারছে না।
মতি ঘরে এসে তার স্ত্রী ও সন্তানের কাছ থেকে তার পুরনো প্রেমের নতুন উচ্ছ্বাস যতই গোপন করে রাখতে চায় ততই নিজেকে প্রকাশ করে ফেলে। তার চোখ-মুখ হতে গোপন প্রেমের আনন্দ ষ্ফুলিংগের মতো প্রকাশ হয়ে যেতে চায়।



তৃতীয় পর্ব

অবশেষে স্ত্রীর সন্দেহের তালিকায় এক নম্বরে মতি মিয়ার নাম উঠে গেল।
স্ত্রী বলল, কিছুদিন যাবৎ তোমাকে ভাল করেই লক্ষ করছি, তোমার মতিগতি ভাল ঠেকছে না আমার।
মতি ক্ষেপে গিয়ে বলে, কীসব আজাইড়া কথা কও তুমি?

স্ত্রী আঙুল নাচিয়ে বলল, আজাইড়া কথা না বাছাধন, আজাইড়া কথা না। ইদানীং তোমার সংসারে মন নাই, আমার প্রতি টান নাই, ছেলেমেয়ের প্রতি নজর নাই। তোমার শরীরে, মনে ফুর্তি ঢেউ খেলছে। সব দেখতেছি আমি-সব। কারে ফাঁকি দিতে চাও তুমি, শুনি? মতির বউকে ফাঁকি দেওয়া এত্ত সহজ না মতি মিয়া, কইয়ে রাখলাম। আসল কথা কও, কী হয়েছে তোমার। তোমার চলায় ছন্দ, কথায় ছন্দ, নেচে নেচে ওয়াশ রুমে যাও, শিস মার, গান গেয়ে ওয়াশ রুম গরম করে ফেলছ, ওসব কি? মনে করছ কিছুই বুঝি না আমি? এনে হয় নতুন প্রেমে পড়েছ। প্রেমের সাধ মিটিয়ে দিমু আমি। কোথায় কার সাথে লটন-পটর করতেছ, সব খবরই লইতেছি-বলে তার স্ত্রী শরীর ঝাকিয়ে, একটা ঝেংড়া মেরে উঠে চলে গেল। যে-গতিতে গেলো তার লক্ষ্মণ খুব সুবিধের নয়।

নারী সবকিছু সহ্য করতে পারলেও নিজের স্বামীকে বিভক্ত করার কাল্পনিক যন্ত্রণাও সহ্য করতে পারে না-পারা ঠিকও না। তা হোক বাস্তব আর হোক তা কাল্পনিক।
মতির স্ত্রীর অসম্ভব বাড়াবাড়িতে তার পুরানো প্রেম কল্পজগতে আরো মোচড় দিয়ে উঠছে। কেন এমন হচ্ছে, তার ব্যাখ্যা সেও জানে না, কল্পনাতেও আসে না। কেবল এক ধরনের শূণ্যতা, এক ধরনের স্মৃতি বারেবারে মনের ভেতরে রোমন্থিত হয়ে তাকে আড়ষ্ট করে ফেলছে। যেই কোকিলাকে নিয়ে এতকিছু, সেই কোকিলা তার কিছুই জানে না। সে হয়তো এই গভীর রাতে তার প্রিয় স্বামীটির বোগলতলায় মাথাটি ফেলে অবুজ শিশুর মতো বেঘোরে শান্তির ঘুম পাড়ছে।

সংসারে শুরু হয়ে গেল অশান্তি। স্বামীর পুরানো প্রেম বনাম স্ত্রীর সন্দেহ। স্ত্রীধন প্রতিদিন প্রতিক্ষণ তার পিছনে আঠার মত লেগে আছে। কথায়, আচরণে, খাওয়ায়, পরায়, ওঠা-বসায় সন্দেহের বিষাক্ত তীর ছুড়ে মারছে, জেরা করছে...। ক্যু বের করার জন্য অন্ধিসন্ধি করে বেড়াচ্ছে মতির স্ত্রী। মতির অবস্থা ত্রাহিমধুসূদন।



চতুর্থ পর্ব

সংসার কাননের এই সংবাদটি আর চুপ করে বসে থাকল না। দিনে দিনে এটা অস্বাভাবিক ও বেপরোয়া হয়ে উঠল এবং এর মাঝে অসম্ভব গতি যোগ হলো, ঘটনাটি বাতাসের আগে আগে ভিড় ঠেলে, চিপাগলি দিয়ে, এঁকে বেঁকে এমনভাবে এমন সকল জায়গায় গিয়ে প্রবেশ করল যে, মুখ দেখাবার আর কোন জায়গা রইল না। মতি নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ল।


গতকাল মতিকে কয়েকবার ফোন দিলাম। ফোন ধরল না। আজ আবার করলাম। অনেকক্ষন রিং হওয়ার পরে তার কলেজ পড়ুয়া ছেলেটি ফোন রিসিভ করল, কথা বেশি সুবিধার মনে হলো না।

ছেলেটি ধমকের সুরে বলল, কে আপনি? কাকে চান?
বললাম, আমি তোমার আব্বুর বন্ধু। তাকে একটু দেওয়া যাবে?
না দেয়া যাবে না, রাখি।
শোনো শোনো বাপু, একটু জরুরী কথা ছিল, একটু দাও তো তোমার আব্বুকে।
যতই জরুরী কথা হোক, আব্বু এখন কিছুতেই কথা বলতে পারবেন না, সে রাগতঃ স্বরে বলল।

কেন, কোনো সমস্যা? সহানুভূতি দেখিয়ে বললাম আমি।
ছেলেটি বলল, বাসায় বিরাট গ-গোল। আব্বু ধরা পড়ে গেছে।
অবাক হয়ে বললাম, বলো কি, ধরা পড়েছে! কোথায়? কেনো? কী হয়েছে? একটু খুলে বলো তো বাবা।
আঙ্কেল এসব বিষয় খোলাসা করে বলা যায় না। আব্বু নাকি গোপনে ইয়ে... করে, আম্মুকে আসল কথা বলতেছে না। এবার আব্বুকে ধরেছে টাইট করে। বুঝবে এবার মজা।
হায় হায় কও কি এসব! এখন তাহলে কি অবস্থা তার?
অবস্থা আবার কি? খুব খারাপ। আম্মু পেটের কথা মুখ দিয়া বার করার জন্য আব্বুকে রিম্যাণ্ডে নিয়েছে।

রিসিভার রেখে দিলাম।


মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


কষ্টকর মানসিক সমস্যা

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:১৯

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: এত সমস্যার ভেতরেও প্রেম বেচে-বর্তে থাকে!

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: মতির সাথে আমার বেশ মিল আছে।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৪

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: কোকিলার সঙ্গে ভাবির মিল থাকলেই হয়!

৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৪

নীল আকাশ বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: মতির সাথে আমার বেশ মিল আছে। সুরভি ভাবী কি ভাইকেও রিমান্ডে নিয়েছিল নাকি?
লেখা পড়ে মজা পেয়েছি। ঘরের শান্তি মহা শান্তি। যার নাই সেই এটা হাড়ে হাড়ে বুঝে!

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপনি। আমার শুভেচ্ছা নিন।

৪| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: হৃদয় ছোঁয়া লিখনী

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৪৫

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: শুভ কামনা।

৫| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৭

জাহিদ হাসান বলেছেন:

৬| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৫

সাগর শরীফ বলেছেন: ভাল লেগেছে স্যার।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.