![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মনে করি নিজের সম্পর্কে লেখার মত বয়স,সময় বা যোগ্যতা কোনটাই আমার এখনও হয় নি ।তাই কিছু না লেখাই ভাল নয় কি ।তবে ব্লগে এসে একেবারে কিছু না লিখলে কেমন হয় ।আসলে নামটা দেইভাবে দেয়ার উদ্দেশ্য হল শুধু বাকের ভাই নামে তো অনেকেই আছে তাই শেষে রিটার্ন লাগিয়ে নিজে থেকে একটু ভিন্নতা দেয়ার ট্রাই করলাম ।তেমন ভাল কিছু আমার মাঝে নেই ।মারাত্মক বদরাগী আর ডানপিটে স্বভাবের ছেলে ।সত্যের ক্ষেত্রে নিজের বাপকেও ছাড় নেই ।এই তো অবসর সময়ে আসলে বর্তমানে সারাটা দিনই আমার অবসর বলে বিবেচিত ।সারাদিন ভার্চুয়ালেই কেটে যায় ।আর এটা ছাড়া কাজ বলতে আমার প্রিয় কিছু কবুতর রয়েছে তাদের সাথে দিনে তিনবার সময় কাটানো,খাবার দেয়া কিছুক্ষন খেলা করা ।এই তো ফেবু আর কবুতর এই নিয়েই আমার সারা বেলা ।আপ্তত এইটুকুই থাক ।সময়ে অসময়ে পরিবর্তন হবে বলে আশাবাদি ।
অভিনন্দন মনোয়ারা বেগম ক্লার্ক তোমাকে, তোমার জন্মসনদ লাভের জন্য। বিজয়ের মাসে এর চেয়ে মহান এর চেয়ে সুখের খবর কী হতে পারে তোমার জন্য, আমাদের জন্য, সকৃতজ্ঞ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত বাঙালির জন্য! একজন দেশমাতার সন্তান তুমি মনোয়ারা বেগম ক্লার্ক, ৪৩ বছর পর অর্জন করলে তোমার জন্মসনদ। তোমাকে অভিবাদন।
মনোয়ারা, বোন আমার, এবার তুমি বিশ্বকে উঁচিয়ে দেখাও, বলো, দেখো, সারা বিশ্ব দেখো আমার জন্ম-সনদ। জন্মসূত্রে আমি বাংলাদেশের নাগরিক। আমি একজন মনে প্রাণে বাঙালি। আমি একজন শহীদ- কন্যা। আমার অজানা মাবাবা ছিলেন বাঙালি। তাঁরা একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধে নাম-না-জানা শহীদ। আমার জন্মভূমি আছে। যে ভুমিতে আমার মা-বাবা মিশে আছেন। সেই দেশই আমার মা। আমার দেশমাতার কাছ থেকে আমি আত্মপরিচিতি লাভ করেছি। সেটাই আমার জন্মসনদ।
জন্মসনদ অর্জনের পর হয়ত এরকম বিপুল আনন্দে আমাদের বোন মনোয়ারা তার কন্যাকে জড়িয়ে ধরছে। তার পাপ্পিকে (দেশমাতার পথ থেকে কুড়িয়ে নেওয়া কুকুর) আদর করছে। প্রাণখুলে হাসছে। প্রেশার কুকার থেকে শব্দ করে যেমন ধোঁয়া বের হয় তেমনি করে দীর্ঘ ৪৩ বছরের চাপা বুকের কষ্টগুলো ছাড়ছে।
মনোয়ারা বাংলাদেশে এসেছিলেন নভেম্বরের ১৯তারিখে, আত্মানুসন্ধানে। মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরে নিজের সম্পর্কে লিখিত সেই দালিলিক প্রমাণ তথা ইতিহাসের একটা টুকরো পেয়ে আত্মআবিষ্কারের খুশিতে মনোয়ারা ক দিন আগেই বিস্মিত হয়েছিলেন। তাঁর আত্মবিশ্বাস জেগেছিল, মনে আশা জেগেছিল, জয় তার হবেই, জাতি তার স্বীকৃতি ও জন্মসনদ দিয়ে তাকে সম্মানিত করবে।
সেই জন্ম গত ১১ ডিসেম্বর ২০১৪ মিলেছে তার হাতে। আত্মানুসন্ধানের অভিযাত্রা সফল হল তার। আজি প্রাতে সুর্য ওঠা সফল হল তোমার বোন আমার।
মনোয়ারা বেগম ক্লার্ক তোমার জীবন সুন্দর হোক। তুমি এগিয়ে যাও। মনে কোনো দীনতা নিও না্। আমরা তোমাকে সম্মাননা জানাই। তোমার মুখে হাসি লেগে থাক। তোমার মনে শহীদ-কন্যার গর্ব ও আত্মতৃপ্তি প্রবাহিত হোক। তুমি সুখো থাকো, পৃথিবীর যেখানেই থাকো বাংলাদেশের জন্ম পরিচয় নিয়ে বাঙালি কৃষ্টি, লাল-সবুজ জাতীয় পতাকা নিয়ে এগিয়ে যাও।
বোন, তোমার জন্মসনদ পাওয়ার ক্ষেত্রে যারা অবদান রেখেছে তারা আমাদের পক্ষ থেকে তোমার মায়ের কাছে, তোমার কাছে ৪৩ বছর ধরে জমে থাকা কিছু ঋণ শোধ করেছে। তাই সেসব ভাইবোনকেও জানাই কৃতজ্ঞতা
কৃতজ্ঞতা: ছবিগুলো সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল ও হুমায়ুন কবির ঢালীর সৌজন্যে প্রাপ্ত।
লেখা সংগ্রহঃ- সময়ের কণ্ঠস্বর থেকে।
©somewhere in net ltd.