নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

You are the light of lights, while I wait blind in darkness, You are great and unfettered, while I am enclosed by seas.

তানজিল মোহাম্মাদীন

হিলিয়াম এইচই

আমি জানি আমি একজন মানুষ। এছাড়া আমি নিজে কি, তা আমি জানি না। আমি নিজেকে প্রতিনিয়ত আবিষ্কার করছি এবং করেই যাচ্ছি। মানুষ মানেই রহস্য।

হিলিয়াম এইচই › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্টিফেন হকিং সম্পর্কে কিছু ধারণা!!!

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:৫৫

বর্তমান পদার্থ বিজ্ঞানের অন্যতম প্রধান ব্যক্তি হলেন স্টিফেন হকিং। চলুন দেখে আসি তাকে নিয়ে কিছু তথ্য।



(১) জন্মঃ তাঁর জন্ম হয় ১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি। যা গ্যালিলিও এর ৩০০ তম মৃত্যুবার্ষিকীর দিন।



(২) স্কুলে ছিলেন খারাপ ছাত্রঃ যখন তার বয়স ছিল নয় বছর তখন তিনি ছিলেন ক্লাসের সর্বশেষ

মেধাক্রমের ছাত্র অর্থাৎ পেছনের দিক থেকে প্রথম। (সূত্রঃ লার্সেন)



(৩) ডাক নাম ছিলো আইনস্টাইনঃ যদিও পরীক্ষায় কম পেতেন তবুও তাঁর বুদ্ধির তীব্রতায় শিক্ষকদের কাছে ছিলেন অত্যন্ত প্রিয়। বিজ্ঞান সর্ম্পকে আগ্রহের কারণে শিক্ষক আর বন্ধুরা আদর করে ডাকতেন আইনস্টাইন।



(৪) অক্সফোর্ডে চান্স পাওয়াঃ বাবার ইচ্ছে ছিলো ছেলে ডাক্তারি পড়বে নয়তো.অক্সফোর্ডে পড়বে অথচ টাকা ছিলো না। স্টিফেন হকিং তাই অংশগ্রহণ করলেন স্কলারশিপ পরীক্ষায় এবং টিকেও গেলেন সফলতার স্বাক্ষর রেখে।



(৫) বেছে নিলেন কসমোলোজিঃ ছোটোবেলা থেকে প্রচন্ড আগ্রহ ছিলো গণিতে অথচ অক্সফোর্ডে এসে বেছে নিলেন ফিজিক্সের একটি অপ্রচলিত শাখা কসমোলজি।



(৬) ছিলেন রেসিং বোট টিমের সদস্যঃ আত্মজীবনী লেখক ক্রিস্টিন লার্সেন এর ভাষ্যমতে স্টিফেন হকিং ভার্সিটি জীবনের প্রথম

দিকে ছিলেন অনেক বেশি নিঃসঙ্গ। তাই হয়তো একাকীত্ব দূর করতেই যোগ দিয়েছিলেন কলেজের বোট রেসিং টিমে। সবচেয়ে মজার কথাটি হলো তাঁর দায়িত্ব ছিল রেসের সময় নৌকার হাল

ধরে রাখা এবং এই কাজটি তিনি এতো সফলতার

সাথে করেছিলেন যে অল্পকিছুদিনেই হয়ে উঠেছিলেন পুরো অক্সর্ফোডে বিপুল জনপ্রিয়। সপ্তাহে ছয়দিন সন্ধ্যায়. প্র্যাকটিস করতে হতো বোট চালানোর । যা তার পড়ালেখায় মনোযোগের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিল।



(৭) প্রণয় ও পরিণয়ঃ গ্রাজুয়েশন শেষ করে ক্রিসমাসের ছুটিতে বাড়ি আসতেই তার পরিবারের সদস্যরা তার অসুস্থতার বিষয়টি খেয়াল করেন। সেই সময়ই. নিউ ইয়ার পার্টিতে দেখা হয় জেনির

সাথে।তার একুশ সপ্তাহ পর যখন ডাক্তারের পরীক্ষায় তিনি জানতে পারলেন তিনি ল্যাটেরাল স্ক্লেরেওসিস এ আক্রান্ত। তখন তার ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যায় কারণ তাকে বলা হয় তার বেঁচে থাকার সময়মাত্র কয়েকবছর। কিন্তু সেখানে লিউকেমিয়ায় মরনাপন্ন এক শিশুকে দেখে তিনি ফিরে পান বেঁচে থাকার প্রেরণা। তাই জেনিকে নিয়ে শুরু হয় প্রণয় জীবনের।



(৮) সবচেয়ে বড় আবিষ্কারঃ ১৯৮৩ সালে জিম হার্টলের সাথে আবিষ্কার করেন মহাবিশ্বের

আকার আকৃতি সর্ম্পকে অজানা তথ্য।



(৯) লিখেছিলেন ছোটোদের বইঃ ২০০৭ সালে স্টিফেন হকিং তার মেয়ে লুসি হকিং এর সাথে মিলে লিখেছিলেন ছোটোদের বই "George's secret Key to the Universe" যা জর্জ নামের

ছোটো বালকের কাহিনী কিন্তু যাতে রয়েছে ব্ল্যাকহোলসহ নানা বৈজ্ঞানিক ধারণা। ২০০৯

সালে বের হয়েছে এই বইয়ের পরবর্তী পর্ব।



(১০)নোবেল পুরস্কার : জীবনে বহু পুরষ্কার পেলেও নোবেল পুরস্কারটা এখনো তাঁর থেকে গেছে অধরা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.