![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি জানি আমি একজন মানুষ। এছাড়া আমি নিজে কি, তা আমি জানি না। আমি নিজেকে প্রতিনিয়ত আবিষ্কার করছি এবং করেই যাচ্ছি। মানুষ মানেই রহস্য।
চারিদিকে শুধু আগুনের লেলিহান শিখা জ্বলছিল। বনের ভেতর সব গাছ পুড়ে যাচ্ছে। আগুনকে নেভাতে প্রাকৃতিক উপহার হিসেবে বৃষ্টির আগমন। তার মাঝে ছোট্ট একটি আগুন জ্বলছে
আগুন টি তার নিজের অবয়ব দিতে থাকলো। দুটি হাত আর দুটি পা। হঠাৎই খেয়াল করলো তার পাশেই কিছু পানি, যেখানে প্রাণের আলোড়ন দেখা যাচ্ছে।
পানিটা নিজের অবয়ব দিতে থাকলো, আগুনের মতো। আগুন অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিল। পানি আগুনের মতো হয়েই তার দিকে তাকিয়ে হাসতে লাগলো। আগুন তার ঘোর ভাঙ্গলো, লজ্জাও পেল বটে।
দুজনেই কাছে আসে, বারিয়ে দেয় তাদের হাত। একটু ছোঁয়ার আশায়। কিন্তু না, আগুন আর পানির মিলন যে হয় না। তাহলে তো তারা দুজনই নিঃশেষ হয়ে যাবে। তাই আগুন পানির মন খারাপ।
পানির কাছাকাছি আসতে না পারায় আগুনের মন খারাপ। ঠিক তখনই দেখলো একটা পাথরের টুকরো। এটাকে ধরেই হয়তো দুজনে কাছাকাছি আসা যাবে।
আগুন নিভে গিয়েছে। চারপাশের গাছ গুলো পাতা শূন্য। কিছু অবশিষ্ট নেই, ধোয়ায় চারপাশ আচ্ছন্ন।
বিশ্রাম নেয়া প্রয়োজন। দূরে একটা জায়গা পেল আগুন। সেখানেই বসা যাক। আগুন, পানির দিকে তাকিয়ে রয়েছে। হয়তো দেখছে, সৃষ্টিকর্তার কি অপরূপ সৃষ্টি।
পানি খেয়াল করলো। আগুনের দিকে তাকালো। চোখে চোখ পড়তেই আগুন মাথা ঘুড়িয়ে নিল। পানির সেই কি হাসি। আর আগুন?? সে তো লজ্জায় লাল।
ধীরে ধীরে দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত এলো।
রাতের পরেই সকাল। সূর্যের মিষ্টি আলো চারিদিকে আছড়ে পড়লো। আর তাতেই আগুনের ঘুম ভাঙ্গলো। আগুন ঘুম ঘুম চোখে পানির দিকে তাকালো।
আগুন বুঝতে পারলো যে পানি ধীরে ধীরে ছোট হয়ে যাচ্ছে। আরে, পাথরটা!!পাথরটা কই?? একটা পিঁপড়ে পাথরটা নিয়ে যাচ্ছে।
পাথরটা কে নেয়ার জন্য আগুন পিঁপড়েটাকে ধাওয়া করলো। একসময় পাথরটা হাতের নাগালে এলোও বটে। কিন্তু না, সামনে লাঠি হাতে এ কে??
পাথরটা পড়ে রইলো।
আগুনকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে একটি মানুষ তার মশালে। আগুন পিছনে তাকিয়ে রইল, আগুনের পানি তার অপেক্ষায়।
লোকটা আগুনকে বন্দী করে রেখেছে, একটা আগুনদানীতে। আগুন পানিকে দেখতে পেল। তার জন্যই পানির ছুটে আসা। পানির আগমনে আগুন অনেক খুশি। তারা এখন কাছাকাছি।
পানি আগুনদানীর পাশে বসে রইলো। রাত ঘনিয়ে এলো। রাতের আকাশের জ্বলজ্বলে তারা গুলো কতো সুন্দর, এই তারা গুনে শেষ করা যাবে না। কতো ভালবাসি এটা কি বলে শেষ করা যাবে? এ তো তারার সংখ্যার মতোই, বলে শেষ করা যাবে না।
রাত গভীর থেকে গভীরতর হতে লাগলো। ইতোমধ্যেই পানি ঘুমিয়ে পড়েছে। আগুনের ঘুম পাচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ খেয়াল করলো পানি ধীরে ধীরে বাষ্প হয়ে যাচ্ছে।
আগুন সবকিছু ভেঙ্গে বেরিয়ে আসতে চাইলো। চাইলো তার ভালবাসাকে বাচাঁতে। কিন্তু তা সম্ভব হলো না। কিছুই করার নেই আগুনের। চোখের সামনেই পানি মারা গেল।
কে?? পিছনে কে??
আরে!! এতো সেই লোকটা। লোকটা তো চাবি তে হাত দিচ্ছে। আলতো করে চাবিটা ঘুড়িয়ে দিল। আগুন নিভে গেল। আগুনের ধোঁয়া উড়ছে। তার আত্না। তার সেই. আত্মা খুজেঁ ফিরছে তার পানি কে। অবশেষে পানির দেখা পেল আগুন। পানির আত্মার।
এখন তাদের মাঝে আর কোন বাধাঁ নেই। তাদের বিপরীত ধর্মীতা এখানে হার মানে। এখানে কেও নেই যে তাদের ভালোবাসার মাঝে বাধাঁ হয়ে আসে। এখানে শুধু আগুন আর পানি। দুজন দুজনার হাত ধরে উড়ে বেরাচ্ছে। তারা একে অপরের কাছাকাছি, আরও পাশাপাশি।
[গল্প বর্ণনায় ভুল হয়ে থাকলে বলবেন। ধন্যবাদ ]
২৬ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:১৪
হিলিয়াম এইচই বলেছেন: এটা ছবি ব্লগ না আসলে। ছবির সাথে গল্প। আবার ছবি ব্লগও। হবে কিছু একটা।
ধন্যবাদ আপনাকে
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪৩
রুমি৯৯ বলেছেন: লেখাটি বেশ ভালো হয়েছে ! এর আগে আমি কখনো ছবি ব্লগ পড়িনি , তাই বেশ আগ্রহ নিয়ে পড়লাম | ছবির ব্যবহার আমাকে যথেষ্ট মুগ্ধ করেছে ; ভাবছি আমিও লেখার চেষ্টা করে দেখব নাকি :-) :-) :-)