নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা সত্য তাহা চিরন্তন সত্য

www.facebook.com/Wahabism.cleaner

বাতিল ক্লিনার

সত্য উম্মোচন করা প্রত্যেকেরই দায়িত্ব.আর সত্য'র পথে চলার চেষ্টা করা উচিত। আর সত্য'র পথে বাধা আসা স্বাভাবিক তাই বলে কি পিছনে হেটে যাওয়া কি আমাদের ঠিক হবে..?

বাতিল ক্লিনার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবসেবায় এক উৎকৃষ্ট উদাহরন দেখিয়েছে ইসলাম..

০২ রা মে, ২০১৫ বিকাল ৪:০১

ইসলাম মানবসেবার ধর্ম।মানবতার ধর্ম’র এক উৎকৃষ্ট উদাহরন হল ইসলাম কেননা হুজুর(সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)এর নুরানী জীবনের অন্যতম আদর্শ হচ্ছে মানবসেবা।তিনি আমাদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন মানবসেবার মাধ্যমে আল্লাহ্ তা’য়ালার সর্বোচ্চ সন্তুষ্টি কিভাবে অর্জন করা যায়।একজন অপর জনের বিপদের সময় সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেবে, অন্যের সমস্যা সমাধানে নিজেকে উজাড় করে দেবে, দুঃখের সময় সহমর্মিতার পরিচয় দেবে। ইসলামের এসব উৎসাহিত করা হয়েছে।
*
হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলে করিম(সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি মুমিনের পার্থিব কষ্ট সমূহ থেকে কোনো কষ্ট দূর করবে, আল্লাহ তা’য়ালা তার কিয়ামতের কষ্টসমূহ থেকে একটি কষ্ট দুর করবেন। যে ব্যক্তি কোনো অভাবীকে দুনিয়াতে ছাড় দেবে, আল্লাহ তা’য়ালা তাকে দুনিয়া ও আখিরাতে ছাড় দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুমিনের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ তা’য়ালা দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন। আর আল্লাহ তায়ালা ততক্ষণ বান্দাকে সাহায্য করতে থাকেন, যতক্ষন সে তার ভাইয়ের সাহায্য করতে থাকে”
(মুসলিম, আবু দাউদ ও তিরমিযী শরীফ)
*
রাসুলে পাক(সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) তার সমগ্র জীবনে অকৃপণভাবে সাহায্য প্রার্থীর প্রতি হাত প্রসারিত রেখেছিলেন।কখনো কাউকে বিমুখ করেননি। এ বিষয়ে হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু বলেন, “প্রিয় নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)জীবনে কখনো কোনো সাহায্য প্রার্থীকে না বলেন নি। মানবসেবাকে তিনি তার জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। কোনো অবস্থাতেই তিনি এ ব্রত থেকে একটুও বিচ্যুৎ হননি”।
হুজুর(সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত থাকা সত্ত্বেও কখনো বিলাসী জীবন-যাপন করেননি।
*
রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে নবীজির নিকট কোনো উপহার আসলে তিনি তা গরীব-দুঃখীদের মাঝে বিলিয়ে দিতেন। ইসলামে মানবসেবাকে কতটা গুরুত্ব দেয়া হয়েছে তার প্রমাণ হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’য়ালা আনহু থেকে বর্ণিত একটি হাদিস শরীফে পাওয়া যায়। নবী করীম(সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)ইরশাদ করেন, “বিধবা ও অসহায়কে সাহায্যকারী ব্যক্তি আল্লাহ’র রাস্তায় জিহাদকারীর সমতুল্য”। বর্ণনাকারী বলেন, আমার ধারণা নবীজি আরো বলেন, “এবং সে ওই সালাত আদায়কারীর ন্যায় যার ক্লান্তি নেই এবং ওই রোযা আদায়কারীর ন্যায় যার সিয়াম সাধনায় বিরতি নেই”।
(বুখারী ও মুসলিম শরীফ)
*
স্বয়ং আল্লাহ তা’য়ালার প্রিয় হাবীব(সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) এর ওফাতের সময় তার পরিবারের জন্য দু’দিন পেট ভরে খাওয়ার পরিমাণ রুটি পর্যন্ত রেখে যাননি।এমনকি এরকম সময় অতিবাহিত হয়েছে যে তিন দিন পর্যন্ত নবীজির ঘরের চুলা জ্বালানো সম্ভব হয়নি; অর্থাৎ রান্না করার মত সরঞ্জাম ছিল না। তাহলে দেখুন! নবীজির মানবসেবা কোন পর্যায়ের ছিল।নবীজির সর্বোত্তম আদর্শের মাধ্যমেই আল্লাহ তা’য়ালা আমাদেরকে মানবসেবার প্রতি উৎসাহিত করেছে। তাই ইসলামে মানবসেবার গুরুত্ব অপরিসীম।
*
এখন পাঠক লক্ষ করুন যে নবী পুরো বিশ্বের বাদশাহে পেয়েও সাধারন জীবন যাবনকে আপন করেছেন, যে দোজানের বাদশা নবী বাদশা হয়েও যিনি ছেড়া কাথাকে নিজের বিছানা করেছিলেন, যে নবী নিজের কাছে থাকা সামান্যতুটু সম্পদকে অন্যের কল্যানে ব্যয় করেছিলেন, যে নবী নিজের পরিবারের জন্য ভবিষ্যত ২ দিনের খাবারো রেখে যান নি, যে নবী বাদশা হয়েও যার ঘরে ৩ দিন চুলা ধরে না…..তাহলে আজ পৃথিবীর সকল ধর্মের মানুষ বিশ্বাসী কিংবা অবিশ্বাসী হউন একটু হলেও ভাবেন তো এই সেই নবীর প্রতি আজ যারা বিভিন্ন অপবাদ দেয় তা কতটুকু মানানসই..?
*
Batil Cleaner –(Slave of ahle sunnat)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.