![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্য উম্মোচন করা প্রত্যেকেরই দায়িত্ব.আর সত্য'র পথে চলার চেষ্টা করা উচিত। আর সত্য'র পথে বাধা আসা স্বাভাবিক তাই বলে কি পিছনে হেটে যাওয়া কি আমাদের ঠিক হবে..?
আজ থেকে শুরু পবিত্র মাস মাহে রমজান, আর রমজান মাসে চ্যানেল আই এর জনপ্রিয় ইসলামি অনুষ্ঠান “কাফেলা” অনুষ্ঠানকে যে শুধু দেশবাসী নয় বাঙ্গালী যেখানেই আছে তারা আজ ফারুকী সাহেবকে খুব মনে করবে…… আমরা খুব মিস করবো ঘরে বসে দেখা ইসলামিক ঐতিহাসিক স্থান এবং তার ইতিহাসকে যেটা ফারুকী হুজুর সাবলীলতার সহিত উপস্থাপন করতেন……
তিনি ছিলেন শান্তির ধর্ম ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যাকারী।যা বলতেন দলিল সহকারে বলতেন, তার ক্ষুরদার যুক্তি যখন ইসলামের সঠিক দিক তুলে ধরেছ, সুফিবাদের অহিংস নীতির এই উদ্ধান দেখে কট্টরপন্থি সাম্প্রদায়িক কথিত মুসলমান দাবীদার ফতোয়াবাজদের আর সইলো না। কারন ফারুকী হুজুর দেখিয়ে দিয়ে ছিলেন যে এরা মুসলমান ছদ্দরুপী জানোয়ার যাদের মনে শুধু হিংসা ছাড়া আর কিছু নয়, এরা কোথায় কোথায় ফতোয়াবাজী করে কখনো বলে কিয়াম হারাম, কখনো বলে মিলাদ হারাম, আবার কখনো বলে তারবীর নামাজ ৮ রাকাত আবার বলে বিতির নামাজ ১ রাকাত……..।
অথচ ফারকী হুজুর প্রকাশ্যে টিভি পর্দার সামনে লক্ষ টাকার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তাদের ফতোয়াজীর প্রতি কড়া জবাব দিয়ে বলে ছিলেন, আসো প্রকাশ্যে প্রমান করে যাও যে মিলাদ কিয়াম হারাম, ইসলাম শান্তির ধর্ম তোমাদের এই উগ্রবাদ কখনো ইসলাম সমর্থন করে না। কিন্তু আহলে হাদিস কট্টরপন্থি উগ্রবাদীরা ফারুকী হুজুরের চ্যালেঞ্জ গ্রহন করাতো দুরের কথা, তারা দেখলো দিন দিন তার জনপ্রিয়তা এবং ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যায় আমাদের পথ রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে, মানুষ আমাদের আসল চেহরা চিনতে পারতেছে, তারা ফারুকীর বৌদলতে জানতে পেরেছে যে উগ্রবাদের স্থান, মৌলবাদের স্থান ইসলামে নাই, তাই মুসলমি ছদ্দবেশি মুসলিম দাবীদার আহলে হাদিস ইসলামের অপব্যাখ্যাকারী কট্টরপন্থিরা ফারুকী হুজুরের যুক্তির সামনে টিকতে না পেরে তাকে নির্মমভাবে শহীদ করলো, কিন্তু আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত নামক অহিংস দলের এই সুফিবাদীর অহিংস ফারুকীকে তারা শহীদ করে কি মনে করেছে তাদের পথে আর কি বাধা নেই..? যেসব খলনায়করা এইটা ভাবতেছেন তারা হয়তো মহা ভূলে বসবাস করতেছেন, কারন ফারুকী হুজুরের অহিংস সুফিবাদের প্রচার আজ লক্ষ লক্ষ মানুষের মনে গেথে গেছে…. তাই ফারুকী হুজরের ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যাকে মনে লালন করে আসুন শান্তির ধর্মের অপব্যাখ্যাকারী কট্টরপন্থিদের অপব্যাখ্যা থেকে মুসলিম মিল্লাতকে সজাগ রাখতে এইসব ধান্দাবাজ ওহাবীদের বিরুদ্ধে কলমী জিহাদ, তাদের হিংস্র চেহরা সবার সামনে তুলে ধরার জিহাদ অব্যাহত রাখি।
*
তারপরেও ফারুকী হুজুরের সাবলীল উপস্থাপনায় ‘কাফেলা’ অনুষ্ঠানকেকে খুব মিস করবো…………আল্লাহ যেন এই কট্টরপন্থিদের হেদায়দ নসীব করুক, আর হেদায়ত যদি নসবী না থাকে তাহলে এরা যেন সমুলে ধংশ হউক………
২| ১৯ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:০৯
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: কাফেলা অনুষ্ঠানটা আসলেই ভালো ছিলো !
৩| ২০ শে জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৩৭
নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: মৃত মানুষ নিয়ে কিছু বলতে নেই, কিন্তু উনি ছিলেন একজন মার্কামারা আওয়ামী দালাল। ধর্মীয় আলোচনার সময় ওনার আসল উদ্দেশ্য থাকত দেশে প্রতিষ্ঠিত হক্কানী আলেমদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা। পীর ও মাজার পূজাকে ইসলামীকরণে তার প্রচেষ্টা ছিল অনুকরণীয়। মিলাদের মত একটা বিদ্যাতকে সুন্নত প্রমাণের জন্য অবিরাম চেষ্টা চালিয়েও সফলতা লাভ করতে পারেননি উনি।
যাই হোক, আল্লাহ তাকে ক্ষমা করুন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:১২
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আমি কাফেলা অনুষ্ঠানের নিয়মিত দর্শক!
সত্যিই ফারুকী সাহেবকে খুব মনে পড়ছে আজ!