নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মৃত্যুর মহাসড়কে বাংলাদেশ

৩১ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৪১




অনেক অনেকদিন আগের কথা। ইংল্যান্ডে নতুন এসেছি। একটা চাকুরীতে জয়েনও করেছি। একদিন কফি কর্ণারে দাড়িয়ে কফি খাচ্ছি (উল্লেখ্য, এখানে অনেক অফিসেই স্টাফদের জন্য ক্যাফেটারিয়া ছাড়াও একাধিক কফি কর্ণার থাকে। দেশের মতো পিওনের সুবিধা নাই, তাই এই ব্যবস্থা) আর এক কলীগের সাথে গল্প করছি। হঠাৎ বিকট শব্দে এলার্ম বেজে উঠলো। এই শব্দ আগে শুনিনি, তাই সহকর্মীর দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালাম। ও বললো, এটা ফায়ার এলার্ম। চলো, এখন বিল্ডিং এর ভিতরে থাকা যাবে না, বাইরে যাই। আমি হায় হায় বলে ডেস্কের দিকে দৌড় দেয়ার উপক্রম করতেই ও বললো, ওদিকে কই যাও? আমি বললাম, আমার ল্যাপটপ পুড়ে গেলে সর্বনাশ হয়ে যাবে, নিয়ে আসি! ও মুচকি হাসি দিয়ে বললো, এটা ফলস এলার্ম। তোমার ল্যাপটপ আনতে হবে না।

ঘটনা বিস্তারিত পরে জানলাম। এই ফলস এলার্ম র‌্যান্ডমলি বাজে। যে কোনও দিন যে কোনও সময়ে। যখন বাজবে, তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফায়ার এক্সিট ডোরগুলো খুলে যাবে। সবাই বাইরে নিরাপদ জায়গায় চলে যাবে। দিকবিদিক ছোটাছুটি না করে সবাই কোথায় যাবে এমনকি সেটাও নির্দিষ্ট করে দেয়া আছে। এই এলার্ম কেউ বন্ধ করতে পারবে না। অগ্নি-নির্বাপন বাহিনীর লোকজন আসবে। তারা সবকিছু চেক করে এলার্ম বন্ধ করবে। শুধুমাত্র তারপরই সবাই আবার ভিতরে যেতে পারবে। যদি সত্যিই কোন বিপদের কিছু না থাকে, তাহলে এটা একটা ফায়ার ড্রিল হিসাবে রেকর্ড করা হবে। আরো অনেক কায়দা-কানুন আর ঘটনা আছে। সেগুলো আর না বলি।

তবে সেদিন আমার সহকর্মী একটা কথা ঠিক বলেনি। ওটা ফলস এলার্ম নাও হতে পারতো। যেহেতু ১০০ বার এলার্ম বাজলে ৯৯ বারই সেটা ফলস হওয়ার চান্স থাকে, সম্ভবতঃ সেই বিশ্বাস থেকেই সে ওটা বলেছিল। সে যাই হোক, এটা হলো একটা উন্নত, ধনী দেশের সিস্টেম।

কিছুদিন আগে চকবাজারের চুড়িহাট্টায় যে অগ্নিকান্ড হলো, তখন মনকে প্রবোধ দিয়েছি এইসব বলে যে; ওটা হলো পুরানো ঢাকার ঘটনা। সরু গলি, দু’টা রিকসাই ঠিকমতো ক্রস করতে পারে না, দমকল বাহিনী যাবে কিভাবে? এত ঘিন্জি এলাকা, বাহিনীর লোকজন তো ঠিকমতো নড়াচড়াই করতে পারবে না, আগুন নেভাবে কি? পুরানো সব বিল্ডিং, তৈরীর সময় বিল্ডিং কোড মানা তো দুরের কথা, এমন কোন কোডের অস্তিত্বের কথাই বাড়ীওয়ালা জানতো কিনা সন্দেহ। যাক, কিছু মানুষ অসময়ে মারা গিয়েছে, দেশে তো এমন প্রতিদিনই কতো নিরীহ মানুষ মারা যায়, দেশে-বিদেশে এটা নিয়ে কে আর মাতামাতি করতে যাবে! এমনি আরো অনেক কিছু।

কিন্তু এখন? নতুন ঢাকার বনানীর মতো জায়গায়, যেখানে বিদেশীরা তো বটেই, দেশী বিগশটদের প্রতিনিয়ত আসা-যাওয়া? পুরাতন জীর্ণ কোন ভবন না, ২৩ তলা একটা আধুনিক টাওয়ার যার দু’পাশেই চওড়া রাস্তা! এখন কি বলে মনকে প্রবোধ দেব!!

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বনানীর এফ আর টাওয়ার বিল্ডিং কোড মেনে তৈরী করা হয়নি। আচ্ছা! সিরিয়াসলি বলছেন!! এরপর এক্স ওয়াই জেড টাওয়ারে আগুন লাগলে আরেক মন্ত্রী বলবেন, এই টাওয়ারটাও কিন্তু বিল্ডিং কোড মেনে তৈরী করা হয়নি। কি তামশা! তো বিল্ডিং কোড মানানোর দায়িত্ব কার? আর নাই যদি মানে, আর বিল্ডিং যদি আপনাদের চোখের সামনে স্ব-মহিমায় এভাবে খাড়াইয়া থাকে, তাহলে এর দায় কার? ইন্সপেকশান, ইনভেস্টিগেশান, ফলোআপ ইত্যাদি ইত্যাদি কতকগুলো শব্দ যে আছে তা-কি এনারা জানেন?

মানছি, উন্নত দেশের সিস্টেমের সাথে তুলনা করা ঠিক না। দেশ মাত্রই উন্নয়নের মহাসড়কে উঠেছে, দারিদ্রতাই তো এখনও ঠিকমতো কাটিয়ে উঠতে পারেনি। কাজেই আর্থিক দৈন্যদশা সব সেক্টরেই থাকতে পারে। কিন্তু সদিচ্ছা, স্বচ্ছতা আর সু-নীতির দৈন্যদশা কেন থাকবে? আগেও আমি বলেছি, এগুলো দুর্ঘটনা নয়, হত্যাকান্ড। অবশ্য আমি বললেই কি আর না বললেই কি? আমি তো বালস্য বাল, কোন এক হরিপদ পাল! এই ব্লগের অনেক গুনি ব্লগাররাই বলেছেন.....বলছেন। এখন মাননীয় পূর্তমন্ত্রীও বলছেন। এই সুযোগে মন্ত্রীকে একটা আন্তরিক ধন্যবাদ দিতেই হয় যে, ইনি অন্ততঃ সত্যি কথাটা বলেছেন, কোন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে হাজির হননি।

কান টানলে মাথা অবশ্যই আসবে। তেমনি এদেশের এমন প্রতিটা হত্যাকান্ডের পিছনে একটা করে দূনীতির গল্প বেড়িয়ে আসবে। দেশ ধনী না, তাই দূর্নীতি বন্ধ করা যাচ্ছে না, নাকি সদিচ্ছার অভাবের কারনে দূর্নীতি বন্ধ করা যাচ্ছে না; এটা নিয়ে বিতর্ক করা যেতেই পারে, কিন্তু যেটা নিয়ে বিতর্ক করার বিন্দু পরিমান উপায় নেই সেটা হলো, এসব হত্যাকান্ড এখনই বন্ধ করা উচিত। আমাদের দেশে দূর্নীতি কি 'পয়েন্ট অফ নো রিটার্ন' পর্যায়ে চলে গিয়েছে? তাহলে প্রচার-মাধ্যমে ঘোষণা দিয়ে দেয়া হোক, বাংলাদেশ যতোই উন্নয়নের মহাসড়কে উঠুক, আর ডিজিটাল হোক না কেন, ঘুষ-দূর্নীতি আমরা কিন্তু বন্ধ করতে পারবো না.......স্যরি। এটা আমাদের সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশ! ইটস অ্যা প্রমিজ ফ্রম ভুয়া মফিজ, সেদিন থেকে এ’ব্যাপারে ভুলেও কোন কথা কোনদিন বলবো না এবং আমি নিশ্চিত, আরো অনেকেই 'দূর্নীতি বন্ধ করো'............'দূর্নীতি বন্ধ করো' বলে ঘ্যান ঘ্যান করা বন্ধ করবেন।

দুর্ঘটনা উন্নত, অনুন্নত যেমন মানেনা, স্থান-কাল-পাত্রও মানেনা। কিছুদিন আগেও লন্ডনের অভিজাত পাড়া কেনসিংটনের গ্লেনফেল টাওয়ার অগ্নিকান্ডের কথা সবাই জানেন। সেটা ছিল একটা দুর্ঘটনা। জেনে রাখবেন, এর আগে লন্ডনে, আবাসিক এলাকায় এমন অগ্নিকান্ডের ঘটনা ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, তাও জার্মান বিমান বাহিনীর বোমা বর্ষনের ফলে। তাছাড়া, তদন্তের মাধ্যমে যেসব ফ্যাক্টস এবং ফাইন্ডিংস এসেছে তার উপর ভিত্তি করে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। কি সেসব পদক্ষেপ এবং কতোটুকু তা বাস্তবায়িত হয়েছে / হচ্ছে, যে কেউ চাইলে জানতে পারে। এটার নাম হচ্ছে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা। আমাদের দেশের মতো তদন্ত রিপোর্ট বা কর্মকর্তারা শীতনিদ্রায় চলে যায়নি। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, অন্ততঃ সনাক্তকৃত কারনসমূহের কারনে ভবিষ্যতে একই ধরনের অগ্নিকান্ডের সম্ভাবনা খুবই সীমিত। আর আমরা? দেশের আম-জনতা কোনদিন কোন তদন্ত রিপোর্ট চর্মচক্ষু দিয়ে দেখেছে? নাকি জানে এটা দিয়ে কি হয়? খায় নাকি পিন্দে?

থাক, দুঃখের কথা বেশী না বলি। ভয় লাগে। কেউ কেউ আবার বলে ফেলতে পারেন, ভুয়া মফিজের কথা বলেন? ওইটা তো মফিজ, তার উপরে ভুয়া......দেশের শত্রু তো বটেই, গনতন্ত্রেরও শত্রু! বিদেশে বইসা খালি বড় বড় বুলি কপচায়! দেশে আইসা একটা তদন্ত রিপোর্ট বাইর কইরা দেখাক! তাইলে না বুঝুম কত্তো মুরোদ!!!

ছবিসূত্রঃ গুগল।


পুনশ্চঃ দু’টা বিষয়;

অনেকেই বিকল্পপথে ব্লগে আসার উপায় জানিয়ে হেল্প পোষ্ট দিয়েছিলেন। সংরক্ষণের অভাবে সেগুলো হারিয়ে গিয়েছে। আমি তিনটা লিঙ্ক দিলাম। এখন থেকে আমার সব পোষ্টের শেষেই এটা কপি/পেষ্ট করবো। অন্যরাও চাইলে পোষ্টের শেষে দিতে পারেন। তাহলে এগুলো চোখের সামনেই থাকবে। যারা দুই একবার কষ্ট করে কোনমতে ব্লগে আসেন, তারা উপকৃত হলেও হতে পারেন।

ব্লগার মাহমুদুর রহমানের পোষ্ট (১৯ ফেব্রুয়ারী) view this link
ব্লগার মা.হাসানের পোষ্ট (২৮ ফেব্রুয়ারী) Click This Link
ব্লগার সামু পাগলা ০০৭ এর পোষ্ট (২৭ মার্চ) Click This Link

- আপনাদের বিনোদনের জন্য একটা গানের লিঙ্ক দিলাম। হেমন্ত মুখোপাধ্যয়ের গান। কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না যেন! https://www.youtube.com/watch?v=2JRnY0QNEqg

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৩৩

আরোগ্য বলেছেন: ঘরে /কর্মস্হানে আগুনের ভয়, রাস্তায় বাসচাপার ভয়।

৩১ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিল্ডিং এখন মৃত্যুকুপ, রাস্তায় আছে মৃত্যু দূত.......দেশের মানুষ এখন কোন দিকে যাবে? আমি না হয় দেশে থাকি না, আমার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব আর সামু পরিবারের অনেকেই তো দেশে থাকে। সবসময় একটা আতংকে থাকি.....কখন কোন দুঃসংবাদ শুনি!! :(

গানটা শুনেছেন নাকি? :)

২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৫৯

আরোগ্য বলেছেন: আর বইলেন না ভাই। টর ব্রাউজার প্রশাসনের মতই স্লো। শুনতে পারলাম না। পরে চেষ্টা করবো।

৩১ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: দুঃখজনক। :(

ওকে, সুযোগমতো শুনবেন অবশ্যই। গানটা খুবই মজার। :)

৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:১৩

রাজীব নুর বলেছেন: এখন ডায়লোগ হওয়া উচিত এরকম- বিজ্ঞান জানুন আগুন থেকে বাঁচুন।

৩১ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:১৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: বিজ্ঞান জানলে আগুন থেকে বাচা যাবে? তাহলে যারা মারা যাচ্ছে সবাই কি মানবিক আর বানিজ্য শাখায় পড়ালেখা করা মানুষ? :(

৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৪৪

করুণাধারা বলেছেন: গানটাই শুনলাম। আগে কখনো শুনিনি। প্যারোডি মনে হচ্ছে!

৩১ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: না, প্যারোডি না; মৌলিক গানই হবে। হেমন্ত মুখোপাধ্যয় কোন প্যারোডি গেয়েছেন বলে শুনিনি তো!

৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৫৮

তারেক ফাহিম বলেছেন: ঘরে থাকতে পারিনা অগ্নিকান্ডের ভয়
রাস্তায় বেরুলে বাস চাপার ভয়।

৩১ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:০৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আসলেই সমস্যা!
কি আর করবেন......আল্লাহর নামে চলাফেরা করেন, আর যতোটা পারেন সাবধানে থাকেন।

৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৫০

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: রাজুক থেকে সাইন করা প্ল্যান নিয়ে যায়, গিয়ে বিল্ডিং বানায় ইচ্ছা মতো!
রাজুক ও একটা ২২ তালা বিল্ডিং বানানোর পর গিয়ে চেক করে না, প্ল্যান মতো বানানো হয়েছে কিনা। তাদের মনে হয়, মনে থাকে না, চাবনপ্রাস খাওয়াইতে হবে :|

৩১ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৫

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমি যতোদূর জানি, রাজউক চেক করে, বেশ কয়েক বারই করে। আর প্রত্যেকবার মোটা টাকা নেয়। এই টাকা নীচ থেকে উপর পর্যন্ত পদবী অনুযায়ী ভাগ-বাটোয়ারা হয়।
সেজন্যেই বলেছি, সব দুর্ঘটনার পিছনেই একটা দূর্ণীতির গল্প থাকে। ;)

৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৫১

হাবিব বলেছেন: জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ অবস্থা।

৩১ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:১১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঠিক তাই......কোন দিকে যাবেন? :)

৮| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ঢাকার ১০ তলা, তার চেয়ে উঁচু সব দালান, ও সব কারখানা ইনস্পেকশন করতে কতদিন সময় লাগতে পারে?

৩১ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:১৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সব তথ্যই রাজউকের কাছে আছে গাজীভাই। ওখানে পিয়ন থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান পর্যন্ত সবাই ঘুষ খায়। ইনস্পেকশন করাবে কাকে দিয়ে? সিস্টেমটাকে ঠিক করলে, সঠিক জবাবদিহিতা থাকলে আর অনিয়মের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করলে সব দালান, কারখানার ইনস্পেকশন করার দরকার হয় না।

কয়েকটাকে ধরে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিলে বাকীরা এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে।

৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে, অনেক অনেক কথা বলেছেন, ভালো; তবে, সেগুলো আমি আপনার থেকে জানতে চাইনি! পারলে, এবার প্রশ্নটার উত্তর দেন।

৩১ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার প্রশ্নের উত্তর অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। তবে এক কথার উত্তর হলো, জানি না:P

১০| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০১

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমার এইখানেই বছরের শুরুতেই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিস আদালতে এই ফায়ার ড্রীল হয়। আগুন লাগলে বা টেরোরিস্ট এটাক হলে কি করতে হবে সেটার রিহার্সাল আর কি।

৩১ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনি কোথায় থাকেন জানি না, তবে সব খানেই হওয়া উচিত।

আর আমার মতে এটা কোন নির্দিষ্ট সময় হওয়া উচিত না.....কারন এতে একটা মানসিক প্রস্তুতি থাকে।
হঠাৎ করে হলে বরং বোঝা যায়, মানুষ আকস্মিক বিপদের জন্য কতোটা প্রস্তুত। বিপদ তো আর বলে কয়ে আসবে না।

আপনার কি মনে হয়?

১১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৪

ওমেরা বলেছেন: ঢাবিয়ান বলেছেন: আমার এইখানেই বছরের শুরুতেই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিস আদালতে এই ফায়ার ড্রীল হয়। আগুন লাগলে বা টেরোরিস্ট এটাক হলে কি করতে হবে সেটার রিহার্সাল আর কি
জী , আমাদের এখানে ও এটা হয় ।

৩১ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনাদের ওখানে তো হবেই। ইন ফ্যাক্ট, উন্নত দেশগুলোতে এটা ম্যান্ডেটরী। সেজন্যেই উনি কোথায় থাকেন এমনটা ইঙ্গিত দিয়েছি। কারন, বাংলাদেশে থাকলে এটা অত্যন্ত এপ্রিশিয়েট করার মতো ব্যাপার!

১২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩১

জুন বলেছেন: পুনশ্চ দুটি বিষয়ের উপর যে সাড়ে তিন লাইন লিখছেন ঐটাই ওনাদের মনের কথা :P

৩১ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পুনশ্চ দুটি বিষয়ের উপর যে সাড়ে তিন লাইন লিখছেন ঐটাই ওনাদের মনের কথা :P মাথার উপর দিয়ে গেল!! :((

ওনাদের মানে, কাদের?

১৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪২

জুন বলেছেন: এত সহজ বিষয়টি মাথার উপর দিয়া গেলু ভুয়া :-* :| B:-)

৩১ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: হ, গেল তো!!! :((

ব্যাখ্যা করেন দেহি আফা!

১৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:

আপনি বলেছেন, "লেখক বলেছেন: আপনার প্রশ্নের উত্তর অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে। তবে এক কথার উত্তর হলো, জানি না। "

-এটা উত্তরের মাঝে পড়ে; সব সময়, প্রশ্নের উত্তর দেবেন, এটা ব্লগারদের বড় এবং বিশেষ গুণ।

৩১ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এটা উত্তরের মাঝে পড়ে; সব সময়, প্রশ্নের উত্তর দেবেন, এটা ব্লগারদের বড় এবং বিশেষ গুণ। আপনার উপদেশ শিরোধার্য। :)
তবে প্রশ্নের সরাসরি উত্তর না দিয়ে আশপাশ দিয়ে বিচরন করা কিন্তু আপনার কাছ থেকেই শেখা। ;)

১৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৫

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মফিজ ভাই,

আপনি অত্যন্ত সুন্দর আলোচনা করেছেন। আমাদের এখানে কলকাতাতেও বড় বড় বহুতলে মাঝে মাঝে আগুন লাগে। এমনকি কয়েক বছর আগে ঢাকুরিয়া আমরিতেও আগুন লেগেছিল। সেখানে অবশ্য বেশ কিছু পেশেন্ট অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিল। তবে নরমাল ভাবে কোন বহুতলে বনানীর মতো এতো সংখ্যক প্রাণহানির খবর তেমন চোখে পড়ে না। হ্যাঁ প্লাস্টিক কারখানা বাজি প্রস্তুতকারী কারখানাগুলোতে অবশ্য কিছু করার থাকে না ।তাই বলে বহুতল গুলিতে একটা নির্দিষ্ট অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা থাকাটাই বাঞ্ছনীয়। কলকাতার বড়বাজারের মতো জনবহুল এলাকাতে অবশ্য কয়েক বছর আগে অগ্নিসংযোগে বেশ কিছু প্রাণহানির খবর ছিল। যাইহোক প্রশাসনকে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ল্যাডার , জল-সংযোগের মতো বিষয়গুলো সর্বদা মজুদ রাখতে হবে।

৩১ শে মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ভালো কথা বলেছেন। আগুন নেভানোর জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি অবশ্যই দরকার।

তবে আমার মতে প্রিভেনশান আরো বেশী জরুরী। আগুন কেন লাগে, আর না যেন লাগে তার জন্য কি করা দরকার সেটা। সবকিছু যদি নিয়মমাফিক হয়, নয়-ছয়কারীদেরকে যদি শায়েস্তা করা যায় তাহলে আগুন লাগার হার এমনিতেই কমে যাবে, যেটা উন্নত দেশগুলোতে হয়ে থাকে।

অসুখ হওয়ার পর চিকিৎসা দেয়ার থেকে অসুখ না হওয়ার ব্যবস্থা করাটাই তো উত্তম, তাই না!

১৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১৯ রাত ৯:৫৫

স্বপ্নীল ফিরোজ বলেছেন: লেখক বলেছেন: সব তথ্যই রাজউকের কাছে আছে গাজীভাই। ওখানে পিয়ন থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান পর্যন্ত সবাই ঘুষ খায়। ইনস্পেকশন করাবে কাকে দিয়ে? সিস্টেমটাকে ঠিক করলে, সঠিক জবাবদিহিতা থাকলে আর অনিয়মের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করলে সব দালান, কারখানার ইনস্পেকশন করার দরকার হয় না।

কয়েকটাকে ধরে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিলে বাকীরা এমনিতেই ঠিক হয়ে যাবে।

লাখ কথার এক কথা বলেছেন। এবং ইহাই সত্য। ইহার কারণেই দেশে কিচ্ছু হবে। ১০ মন ঘিও পুড়বে না। রাধা্ও নাচবে না।
তবে আমজনতা ঠিকই্ পুড়ে পুড়ে মারা যাবে।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ সকাল ১১:২৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনার কথা হতাশায় পরিপূর্ণ......তবে এটাই বর্তমানের বাস্তবতা। সহসা এর পরিবর্তনের কোন সম্ভাবনা আমি অন্ততঃ দেখছি না।

মনে-প্রানে চাই.....আমরা সবাই অবশ্য তাই চাই যে, আপনার কথা ভূল প্রমানীত হোক!!!

আমি নিশ্চিত, আপনিও তাই চান।

১৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১২:৩৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: ভুয়া মফিজ,



ভুয়া কতা কৈলেন একটা - " আমাদের দেশে কি দূর্নীতি "পয়েন্ট অব নো রিটার্ণ" পর্যায়ে চলে গেছে ?" :(
কেন আপনি ঝানতেন না ? :P
আপনি দেশে থাকতেই তো তা চলে গেছে আর এখন তা যে কোথায় গেছে দূর্নীতিবাজরা নিজেরাও তা জানেনা। :((

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১২:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ঝানতাম.....কনফার্ম হওয়ার চেষ্টা করছি! =p~

১৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
রাস্তায় দানব যান
ভবনে আগুন
কোথা যাবে মানুষ
বিপন্ন জীবন!!

যায় যদি যাক প্রাণ
হিরকের রাজা ভগবান
মন্ত্রপুতে চেতনার বাণী
কে কথা বলে কার ক’টা প্রাণ?

আতংকে স্থবির জীবন
ন্যায় বিচার কেঁদে মরে
মিথ্যা প্রতারণায় রাজ
আমজনতা মরে অঘোরে।

পূঁজিবাদের বিষ ছোবলে
মানুষ্যত্বের হচ্ছে মরণ
দূর্ণীতি আর অন্যায়ে রোজ
ডুবছে যেন নূহের প্লাবন!

ফিরে এসো আপন মাঝে
আপন সত্য ধর্মে সত্য সাজে
ফিরবে আবার শান্তি সূখ
ঘরে ঘরে এই সমাজে।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ বিকাল ৫:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মন্তব্যে কবিতা দিলে না পইড়া উপায় কি ভৃগুদা! ''পরেছি মোগলের হাতে, খানা খেতে হবে সাথে'' এমন অবস্থা!!

যাকগে, কবিতা পাঠে যতোটুকু বুঝলাম....তাতে করে ঢাকার তথা বাংলাদেশের পুরা চিত্রটাই তুলে ধরেছেন। দ্বি-মত পোষণ করার কোন সুযোগই রাখেন নাই দেখছি!! :)

ফিরে এসো আপন মাঝে
আপন সত্য ধর্মে সত্য সাজে
ফিরবে আবার শান্তি সূখ
ঘরে ঘরে এই সমাজে।

শেষের এই আহ্বানটুকু সত্য হয়ে উঠুক, এটাই একমাত্র চাওয়া।

১৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৪৩

আখেনাটেন বলেছেন: 'আইনের শাসন' বলে একটি ক্লিশে কথা প্রচলিত রয়েছে। এটাকে যখন আপনি 'আইনের অপশাসন' এ রূপান্তর করবেন তখন এই ধরণের ঘটনা নিয়মিত বিরতিতে ঘটতেই থাকবে। একটা জিনিস খেয়াল করেছেন রাজউকের মসনদে যারা শেঠের মতো বসে আছে তাদের বিপক্ষে কেউ কিছু বলছে না। অথচ এই বিল্ডিং রিলেটেড যাবতীয় 'কু'র জন্য রাজউক দায়ী।

অনেকেই দেখছি আমাদের দুর্ঘটনাগুলোর সাথে উন্নত বিশ্বের বিরল ঘটনাগুলোকে এক কাতারে দেখার অপচেষ্টা করছে। ভাবখানা এমন যেন লণ্ডনে মরলে আমাদের এখানে দোষ কোথায়? এই ধরণের লোকগুলোই কিন্তু যত নষ্টের গোড়া। এরাই এই অপশাসনের কাণ্ডারী।

তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সমস্যা হচ্ছে ক্যামনে ক্যামনে যেন অতি খারাপ লোকগুলোই ক্ষমতার চারপাশে বিরাজ করে। অনেকেই হয়ত এ জন্য জনগণকেই দোষ দিবে। জনগণ খারাপ বলে নেতাও খারাপ। যদিও আংশিক হলেও কথা সত্য। ব্যতিক্রম দু একটা রয়েছে-- যারা দুনিয়াতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে (দক্ষিন কোরিয়ার পার্ক, সিঙ্গাপুরের কুয়ান, মালয়েশিয়ার মাহাথির)। বাকিরা আপাদমস্তক নষ্টের কারবারী।

এই নষ্ট নেতারা ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে পারে আমাদের মতো কিছু কুশিক্ষিত লোকের লাগামহীন সাপোর্টে। অথচ শিক্ষিত বিবেকবান মানুষের চিন্তাগুলোও ন্যায়মূলক হওয়া উচিত ছিল। আর এগুলোর কারণ হতে পারে পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধের নিদারুন অভাব। পরিবার থেকে যদি ভালো ও মন্দ ফারাক করার শিক্ষা না পান তাহলে সেটা যতই শিক্ষিত হন না কেন, সামনে একটি 'কু' উপসর্গ যুক্ত থাকবে?

আমাদের চারপাশে যুগ যুগ ধরে 'কু' যুক্ত লোকের আনাগোনা পঙ্গপালের মতো বেড়ে চলেছে ঐ 'অপশাসন'র কারণে। কেউ ধর্মের লেবাস পরে 'কু' তে আসক্ত, আবার কেউ অধর্মের ঝাণ্ডা ধরে একই কাতারে সামিল।

হয়ত এসব কিছুর একদিন অবসান ঘটবে।

০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ রাত ১০:০০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: রাজউক তো অবশ্যই দায়ী। কিন্তু সিটি কর্পোরেশান, মন্ত্রনালয় ইত্যাদি ইত্যাদি কার দায় কম? লিস্ট তো অনেক লম্বা, কাকে ছেড়ে কাকে ধরবেন!

কিছু মানুষ সবসময়েই থাকবে যারা সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতে পারে না। এরাই বিভ্রান্তি ছড়ায়। কি আর করবেন? আসুন রবিঠাকুরের সাথে গলা মিলিয়ে বলি, এদের 'এই দীনতা ক্ষমা করো, প্রভু'!!! :P

নেতা তো জনগনের মধ্যে থেকেই পয়দা হয়। কাজেই আমাদের জনগন এর দায় এড়াতে পারে না আসলে। সত্যি কথা বলতে, আমাদের পুরা সিস্টেমটাই পচে গিয়েছে, এক্সপায়ারড তো বহু আগেই! মিরাকল ছাড়া কিংবা মহান সৃষ্টিকর্তার সরাসরি হস্তক্ষেপ ছাড়া এই জাতীর কোন উপায় নাই এখন।

সেজন্যেই বলেছিলাম, এই জাতীর জন্য গণতন্ত্র না। একজন ডিক্টেটর দরকার....তবে অবশ্যই দেশপ্রেমিক! দেখতে পারেন এখানে view this link

হয়ত এসব কিছুর একদিন অবসান ঘটবে। হয়তো! তবে ততোদিন আমি বেচে থাকবো না, এটা মোটামুটি নিশ্চিত!! :((



২০| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ২:০১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমাদের মৃত্যুময় উন্নতি ভালই চলছে।

গানটা নির্বাচনী সং হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৯ দুপুর ১:৫১

ভুয়া মফিজ বলেছেন: গানটা নির্বাচনী সং হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তা করা যেতেই পারে। এতে ভোটারদের জন্য যেমন দিক-নির্দেশনা আছে, তেমনি প্রার্থীদের জন্যও আছে। খারাপ হবে না একেবারে! :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.