![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ছিনতাইকারী ছাইফুল খান । বুঝতেই পারছেন আমার প্রধান কাজই হচ্ছে ছিনতাই করা ।
আমার এই কাজে সহযোগিতা করবার জন্য আমার একটা ছোট্ট টিম আছে । দুইটা মাত্র লোক সেখানে ।
একজন তুফাইন্না । আমি তারে কোপা শামসু কইয়া ডাকি । সে না কোপাইলেও কোপানোর ভয় খুব ভালো দেখাইতে পারে ।
আর আরেকজন হইলো ছুরাইয়া । এও বেশ কঠিন একটা মাইয়া ।
আজ এসব বিষয়ে কিছু সত্য কথা আপনাদের বলব । আজ বলব কিভাবে কিভাবে আমরা ছিনতাইর মত কঠিন কাজটা করি ।
ঐ যে বললাম কোপা শামসু আর ছুরাইয়া । এরা দুজনই কিন্তু সমবয়সী ।
সিনিয়র হওয়াতে গ্রুপ পরিচালনার দায়িত্ব আমার উপরে থাকে । আর ওরা আমাকে হেল্প করে । যা পাই তা আমরা তিনজনে ভাগ বাটোয়ারা কইরা খাই ।
বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে আমরা ছিনতাই করতে নেমে পড়ি । তার মধ্যে ভালবাসা দিবস কিন্তু অন্যতম । বলতে গেলে আমাদের সবচেয়ে বেশি ইনকাম হয় এইদিনেই ।
আমরা অনেক আগে থেকে ঐদিনের জন্য নিজেদের চেঞ্জ করে ফেলি । আমি এবং শামসু আগে থেকে চুল দাঁড়ি মোচ বড় করে রেখে দিই ।
আর কালো রঙের মোটা চশমা তো তিন জনেরই অপারেশন চলাকালীন চোখে থাকে । সুতরাং এটা মোটেও সহজ না যে পরবর্তীতে আমাদেরকে কেউ চিনতে পারবে !
চলুন, আমাদের অপারেশনের সিস্টেমটাও আপনাদেরকে একটু করে বলি । তবে খবরদার কাউরে এবিষয়ে কিচ্ছু কইবেন না কিন্তু ।
আমি আমার সহযোগীদেরকে প্রত্যেকবার এমনভাবে অ্যাক্টিং করতে বলি যাতে লোকে তাদেরকে প্রেমিক প্রেমিকা বলে মনে করে । ওরা সেটাই করে ।
তবে সিরিয়াসলি কিনা জানিনা । মাঝে মাঝে আমার ওদের ঐ পিরিতিকে আমার বাস্তবিকই মনে হয় ।
সে যাই হোক, আমি ওসব নিয়া মাথা ঘামাই না । গলি, ঝোঁপঝাড় আর চিপাচাপা খোঁজার কাজটা থাকে আমার ।
যখনই কোনো গলিতে কিংবা চিপাচাপাতে কোনো কপোত-কপোতীরে দেখি সাথে সাথে তুফাইন্নারে ফোন করে ঐখানটার ঠিকানা বলে আসতে কই । ওরা আমার কথামত তখন ঐখানে চলে যায় ।
আমি জায়গাটা চোখে চোখে চেক রাখি । যাতে আমার লোকদ্বয় কোনো অসুবিধায় পড়লে সাথে সাথে হেল্প করতে পারি ।
আমার লোক দুইটা কপোত-কপোতীদের কাছে গিয়েই সাথে সাথে অ্যাটাক করেনা ।
সাধারনত যুগলরা তাদের সুবিধার জন্য নির্জন স্থান বেছে নেয় । তাতে অবশ্য আমাদেরও লাভ বেশ ।
সেখানে গিয়ে শামসু যদিও কোপায় না, তবে কোপানের ভয় দেখায় মারাত্মকভাবে ।
প্রথমে যুগলদের দেখে একটা হাসি দেয় । ক্যারি অন ব্রো, বলে খুব সাবধানে কপোতীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কপোতীর চুল শক্ত করে ধরে পকেট থেকে ধারালো চাকুটা বের করে গলার উপরে ধরে ফেলে ।
আর সাথে সাথে হুমকি স্টাইলের বানী, খবরদার একদম চিত্কার করবিনা । নইলে এক্কেরে মাইরালাম কইলাম । ভালোয় ভালোয় টাকা পয়সা যা আছে সব দিয়ে দে । নইলে তো বুঝিস !
কপোতের অবস্থা তখন দেখার মত । অত্যন্ত শংকিত ।
আমরা সাধারনত মেয়েটাকেই অ্যাটাক করি । আর তখন ছেলের কাছে ভালবাসা বড় না টাকা বড় তা আমরা বুঝি ।
কপোতীটার চোখের দিকে তাকিয়ে কপোতকে সব বিসর্জন দিয়ে দিতে হয় তখন ।
তবে মাঝে মাঝে বিপরীতও হয় । যেহেতু আমরা শুধু কপোতীকে অ্যাটাক করি সেহেতু কপোত মুক্ত থাকে । আর ঐ সুযোগে অনেক কপোতকে চোখের সামনে কপোতীকে বিপদের মধ্যে রেখে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেছি ।
প্রথম প্রথম এরকমটা দেখে আমরা হাসলেও এখন আর হাসিনা । আমরা তখন কপোতীর গায়ের গয়না নিতেও ভুল করিনা ।
শামসু চাকু কপোতীর গলায় ধরে রাখে আর ছুরাইয়া টাকা, পয়সা, গয়নাপাতি মোবাইল সবকিছু নিয়ে নেয় ।
আর এভাবেই চলে আমাদের ধান্ধা । খাই এরকম ধান্ধা কইরা ।
...
...
লেখাটা আমি কল্পনা থেকে লিখলেও বাস্তবিক এরকমটা অহরহ ঘটে ।
অনেকে আছেন যারা এরকম পরিস্থিতির শিকার ।
রেডিও এবিসির 'যাহা বলিব সত্য বলিব' তে একবার এক লোকে এরকম একটা ঘটনা বলে যেখানে সে এরকম কাজটাই করতো ।
আমার লেখাটা লিখার উদ্দেশ্য মোটেও খারাপ না ।
সচেতনতার জন্যই ব্লগটা লিখলাম ।
সবাই সবধান থাকুন এবং নিরাপদেই থাকুন । এটাই কাম্য ।
...
...
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৯
মাসুম এইচ বিল্লাহ বলেছেন: তবে বেশি নিরাপদ দুরত্বে যাওয়া ঠিক হবেনা । এরকমটা ঘটা করে ঘটে গেলে তো আর নিরাপদ থাকছেনা ।
২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অামি তো ভাবছিলাম অাপ্নার দলে যোগ দিমু ।
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:০৮
মাসুম এইচ বিল্লাহ বলেছেন: হা হা :-D :-D
ওটা আমি না তো ভাই ।
৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৪৫
জনৈক অচম ভুত বলেছেন: ব্যাপক আকারে ঘাবড়াইছিলাম। শেষে দেখলাম এইটা নাকি কাল্পনিক!
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:৫০
মাসুম এইচ বিল্লাহ বলেছেন: কাল্পনিক হলেও এরকমটা হয়ে থাকে ভাই ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৬
বিজন রয় বলেছেন: সবাই সবধান থাকুন এবং নিরাপদেই থাকুন
++++