![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অসীম আকাশ আসে মোর পাশ তারা দীপালি জ্বালি বলে পরবাসী কোথা কাদঁ আসি হেথা শুধু চোরাবালি।।
আসুন আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের রক্ষায় তাদের পাশে দাড়াই।
আজ মঙ্গল বার দুপুরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে লালন শাহ হলে ড্রাইনিং ম্যানেজারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করে আবাসিক হল তল্লাশি করা হয়েছে।
প্রত্যদর্শী সূত্রে জানা গেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ্ হলে দুপুর দেড়টায় ডাইনিং ম্যানেজারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও শিবিরের নেতাকর্মীরা লালনশাহ হলের প্রভোষ্টের রুমে মিটিংয়ে বসে। বর্তমান ড্রাইনিং ম্যানজোরকে সরিয়ে দিয়ে নতুন একজনকে নিয়োগ দিতে চায় ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ ফায়দা লোটার জন্য এটি করছে এ অভিযোগে এতে শিবির আপত্তি জানায়। মিটিংয়ে এই নিয়ে ছাত্রলীগ ও শিবিরের নেতাকর্মীদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী এক শিবির কর্মীকে ছুড়িকাহত করে। এখবর ছড়িয়ে পরলে উত্তেজিত শিবির কর্মীরা প্রভোষ্টোর রুমে ছাত্রলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, ছাত্র উপদেষ্টা মেহের আলী ও ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট তৌফিক এলাহিসহ কয়েকজন সাংবাদিককে আটকে রাখে। এসময় লালন শাহ হলের সামনে ব্যাপকভাবে ছাত্র শিবির ও ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ শিবিরের নেতাকর্মীরা শেখপাড়া বাজারের ক্রসিং গেটে অবস্থন নেয় এবং আবাসিক হলগুলোর নিয়ন্ত্রন নেয়।এতে হলে অবস্থানরত সাধারণ ছাত্ররাও শিবিরের সঙ্গে যোগ দেয়।
পরে ছাত্রলীগ ব্যাপক সংখ্যক বহিরাগত নিয়ে ক্রসিং গেটে শিবিরের উপর হামলা করে। শিবিরও সাধারণ ছাত্রদের নিয়ে পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। শিবিরের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে এবং সকল হল গেটে অবস্থান নেয়, ছাত্রলীগ অবস্থান নেয় ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া বাজারে এবং লালন শাহ হলের পেছনের মেথর পট্ট্রির ক্রসিং গেটে অপজিটে । এই ক্রসিং গেটের দুই ঘন্টা ব্যাপি সংঘর্ষে চলে। এসময় শেখপাড়া বাজার হতে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা টিয়ারশেল গ্যাস নিপে করে। এসময় প্রায় ৩০ রাউন্ড গুলির ও ১০-১২ টি ককটেল বোমার বিস্ফোরনের শব্দ শোনা যায়। এসময় পুলিশের হেলমেট পড়ে এক ছাত্রলীগ ক্যাডারকে পুলিশের সামনেই শিবিরকে ল্য করে গুলি ছোঁড়ে। সংঘর্ষে ইট-পাথরের আঘাতে উভয় দলের ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়।
বিকাল সাড়ে ৫টার এসময় লালনশাহ হলে তল্লাশি করে একটি চাপাতি উদ্ধার করে পুলিশ। ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে আতংক ও ভীতিকর অবস্থা বিরাজ করছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা সন্ধ্যা ৭ টায় আলোচনায় বসেছে।
গত রমজান মাসে ছাত্রলীগ-ছাত্রশিবির সংঘর্ষের পর প্রশাসনের সহায়তায় দু'টি হল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় ছাত্রলীগ । এর পর তারা শুরু করে লুটপাট। শিবির কর্মীদের বিভিন্ন রুমসহ সাধারণ ছাত্রদের রুমের তালা ভেঙে ব্যাপক লুটপাট করে তারা। বিভিন্ন হলের প্রায় এককোটি টাকার সম্পদ লুট হয়েছে। এক তথ্যে জানা যায়, ২ হল থেকে ৮০টি কম্পিউটার(ডেস্কটপ), ১৯টি ল্যাপটপ, কয়েকশত শার্ট-প্যান্ট, কয়েক হাজার বই-কিতাব, এমনকি পুরাতন আন্ডারওয়্যার নিয়ে গছে তারা। শেখপাড়া, শান্তিডাঙ্গা ও দুলাল পুরের বিভিন্ন ভ্যান বোঝাঁই করে করে প্রশাসনের সামনে দিয়ে তারা এগুলো নিয়ে গেছে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এই প্রথম এ ধরনের লুটপাটের ঘটনা ঘটলো এবং তা ছাত্রলীগের দ্বারা।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস এবং বাস্তবতায় এখন সাধারণ ছাত্ররা বিশেষত হলে অবস্থানরত সাধারণ ছাত্ররা উপলব্ধি করছে ঝিনাইদহ শহর থেকে ২২ কিঃমিঃ ও কুষ্টিয়া শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে চরমপন্থী অধ্যষুত নিভৃত পল্লীতে অবস্থিত এক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরের আধিপত্য ছাড়া তাদের জান ও মালের কোন নিরাপত্তা নেই।
হল চলে যাবে চরমপন্থী সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণে। রুমে রুমে বসবে মদের আড্ডা। র্যাগিং আর ঈভটিজিং হবে দৈনন্দিন বিষয়। থাকবে না পড়াশুনার পরিবেশ। ছাত্রীদের ধরে নিয়ে গিয়ে হলের পাশেই ঝোপঝাড়ে করা হবে ধষর্ণ । হবে না কোন প্রতিবাদ, প্রতিরোধ। অচিরেই ক্যাম্পাস হয়ে উঠবে সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য। গত দু'বছরের ছাত্রলীগের বেপরোয়া দষ্কর্ম তারই ঈঙ্গিত দিচ্ছে বারংবার।
এ কঠিন সত্য আজ উপলব্ধি করছে, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক , কর্মকর্তা ও সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা।
তাই নিজেদের রক্ষার তাগিদেই আজ সাধারণ ছাত্ররা যোগ দিয়েছে ছাত্রশিবিরের সঙ্গে শুধু ছাত্রলীগকে রুখতে।
আসুন আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের রক্ষায় তাদের পাশে দাড়াই।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:৫১
বীরবল007 বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
আসুন ভাই, আমরা সবাই তাদের পাশে দাঁড়াই।
২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:৪৯
এরিস আফ্রোদিতি বলেছেন: ছাত্র রাজনীতি মুক্ত শিক্ষাংগন চাই
২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:৫৩
বীরবল007 বলেছেন: ছাত্ররাজনীতি না থাকলে তো এ ক্যাম্পাস চরমপন্থীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।
তখন কী উপায় থাকবে ষাধারণ ছাত্রছাত্রীদের রক্ষার?
৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:৫৮
মুন্তাছির রহমান বলেছেন: লীগের কুত্তারা বড়ই ভয়ানক । এই কুত্তাদের নিয়া গঠিত হবে আগামী প্রজন্মের আম্লিগ ।চিন্তার বিষয় ।
২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:১২
বীরবল007 বলেছেন: ..হা হা ..
ধন্যবাদ।
৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:১৭
মোঃ আল জাহান বলেছেন: মুন্তাছির রহমান বলেছেন: লীগের কুত্তারা বড়ই ভয়ানক । এই কুত্তাদের নিয়া গঠিত হবে আগামী প্রজন্মের আম্লিগ ।চিন্তার বিষয় ।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৭:৩৪
বীরবল007 বলেছেন: ধন্যবাদ
৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:৩৫
আহম্মেদ রানা বলেছেন: কিন্তু একমাত্র শিবিরই এর সমাধান তা আপনাকে কে বললো? ছাত্রলীগ চরমপন্থী আর শিবির মৌলবাদী রাজাকারদের দ্বারা পরিচালিত। আমরা চাই, ছাত্ররা পড়াশুনা করবে, ছাত্রলীগ বা শিবির কোনোটাই করবে না। আমরা দুইডারেই ঘৃনা করি....
২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:১৮
বীরবল007 বলেছেন: ভালো আর মন্দকে যদি আমরা এক সঙ্গে মূল্যায়ন করি তাহলে ভালো মন্দ বলে আর কিছু থাকে না।
ছাত্রলীগের ছেলেরা চাঁদাবাজি করে, সন্ত্রাসী করে, লুটপাট করে, টেন্ডারবাজি করে -এটি সর্বজন স্বীকৃত বিষয়। যে কারণে আওয়ামীলীগও এদের দায় দায়িত্ব নিতে চায় না।
আর শিবিরের ছেলেরা নামাজ পড়ে , ইসলামী আদর্শের কথা বলে, তারা ধূমপান পর্যন্ত করে না । এপাথর্ক্য যারা বোঝে না তারা আইডোলজিক্যাল কালার ব্লাইন্ড।
৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ২:১৬
এইতোআমি০০৭ বলেছেন:
আসুন আমরা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের রক্ষায় তাদের পাশে দাড়াই।
২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৭:৩৭
বীরবল007 বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৮:১৪
জা না লা বলেছেন:
ক্যাম্পাসে শিবিরের ভয়ে কুত্তাও মুততে পারে না, সেখানে লীগের পুলাপান নাকি মারবে! মিছে কথা কইস কেনো?
২৮ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১১:৫৫
বীরবল007 বলেছেন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্খর কোন খবর আপনার জানা নেই তাই নিবোর্ধ-প্রলাপ বকছেন।
৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১১ সকাল ৮:২৪
জা না লা বলেছেন: হলের এক শিবিরকর্মীর কক্ষ থেকে একটি চাপাতি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
২৯ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:৫১
বীরবল007 বলেছেন: চাপাতি?
বিড়াট জিনিস?
দারুণ খবর!
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে অক্টোবর, ২০১১ রাত ১০:৪৫
ক্রস ফায়ার০০৭ বলেছেন: আপনার কথা সত্য। আমার এক ছোট ভাইয়ের ল্যাপটপ নিয়ে গিয়েছিল ছাত্রলীগ আগেরবার লুটপাটের সময়। এবার সেও নাকি ক্যান্টিনের বটি নিয়ে ছাত্রলীগকে ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়া করেছে।
ভাইয়া ওরা আমার ল্যাপটপটা কেড়ে নিয়ে গেল...বাবাকে বলিস নে।