নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পেশা: বেসরকারি কর্মকর্তা, সরকারি তিতুমীর কলেজ থেকে উদ্ভিদ বিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। জন্ম: কুমিল্লা, চৌদ্দগ্রাম, বাংলাদেশ ।

বিষাদ আব্দুল্লাহ

পথে পথে কুড়িয়ে নেই অভিজ্ঞতা

বিষাদ আব্দুল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবিতা

৩১ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৭

নারীহীন কবি ও

এক ভাস্বরী পাখির বয়ান



আমার আসমানী বারান্দায়

সোনা ঝরা রোদ্দুর মার্বেল খেলে

পর্বতচূড়ায় সমুদ্রবাতাস গড়িয়ে এসে

জানালার কার্নিশে রঙিন উৎসব করে



এমন অবেলায়-সাইকাসের মগডালে

একটি ভাস্বরী পাখি নির্নিমেষ নয়নে তাকিয়ে রয়

আমার নি:স্ব বেডরুমে

পড়ে আছে

এলো মেলো কবিতার পঙ্তিমালার ছেঁড়া কাগজ



বড় অবাক লাগলো তার !

কোথায় থেকে এলো এই অবতার?

পাহাড়ের পাদদেশে

সবুজ গালিচায়



এই কি তবে নি:স্ব নারীহীন কবি?

তবে কি নারীহীন কবি!



অথচ দ্যাখো হ্নদয় উপোকূলে তার

এক সমুদ্রফেনা পূর্ণনীর

অজস্র কবিতার ফুরফুরে সজীব পঙ্তি

কি অপরুপ প্রাণোউচ্ছ্বাস শৈল্পিক অবয়ব

অসীম নীলান্ত জুড়ে কবিতার ফুটন্ত ঘাসফুল

যেনো এক-স্বপ্নের হরিৎমোহকানন



অবিনাশীপ্রেমের এক আত্তারাম পাখি ভালোবাসি

ভালোবাসি আর্তনাদে ডাকে আত্তার ভেতরে-

বুকের পাটাতন ভাঙ্গে রক্তের প্রবলস্রোতে বজ্র নিনাদে

কে দেবে সাড়া কে দেবে !

এমন ক্ষণ কন্দরে রবীঠাকুর এসে গান ধরে

“আমর বেলা যে যায়

সাজ বেলাতে”… …



কি আপদমস্তক কবি !

কবিতার যে বাড়ন্ত শিশুটি জন্ম নিলো সদ্য

নিসর্গ উদ্যানে সে এখন হামাগুড়ি দিয়ে

হাঁটুবলে করোটি থেকে চরণধুলিতে..

হয়তো কালোত্তীর্ণ হবে কোন একদিন-



কি অদ্ভুত ! কি একা-





অনতিদূরে,

এক পশলা বৃষ্টি চুঁয়ে গেল নিঝুম দ্বীপের শরীর

থর-থর-কাঁপে কিংশুকপাতার দেহ

কিছু প্রজাপতি এলো মিষ্টি আলাপন নিয়ে

অহিংস মৎসকুমারীরা মিছিলে মিছিলে সমুদ্রস্নানে নামে

খানেকপরে অদূর পাহাড়ে রৌদ্রতেল মেখে

ঝরণা তলে এক নিসর্গধারিণীর মাতাল নৃত্য

সমস্ত পাহাড়ের মুগ্ধতা তাঁর্ শরীরে নক্ষত্র হয়ে ফুটে

কি কামুকী তন্বঙ্গী রমণীর মাদকীরুপ



অসম্ভব তপস্যা প্রিয় তূষ্ণীনিশিপরীরা

একমুঠো জোৎস্নাজল নিয়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে

সীমাহীন তারা আচড়ে পড়ে আসমানী বারান্দায়

আদিবাসী রমণীদের নিতম্বে খুলে হারানো ছন্দ

চোলাই মদ, কচিবাঁশের মুকুল

পাহাড়িয়া ফুলের সৌরভী ঠান্ডা বিশুদ্ধ বাতাস

বিষন্ন কবির আপ্যায়ন

দ্যাখো কি ক্ষুধার্ত চাহনি আর কি করুণ

রুগ্ন নষ্টালজিয়াভোগী

তবুও কি মিটেনি তরুণ কবির জঠর !

কথার পিঠে কথা উন্মাদ হয়ে ফুটে

প্রকাশ্যে ত্রপাকবি’র চৈতন্যে না বলা কথাগুলো তিরিক্ষিঅশ্বে দৌড়



দেবে কি কামুকী আতঁর

তুমুল প্রিয় দুটি স্তনফুল

সফেদ সুরম্যে কম্পিত কারুময় তনুপাহাড়

ভালোবাসার অতল জলরস-রসাতলে

সন্ধানীচোখ খুঁজে

কোন শশীমুখ কামিনীর কায়া-ছায়া-প্রচ্ছায়ার আকর !

তীব্র আকাঙ্খার ঝড় বযে যায় বক্ষপিজ্ঞরে

সনাতন সামাজিক রীতিনীতি ভেঙ্গে দিবো কি তবে, ইশ্বরী?



কিছুই চাইনি স্বল্পদৈর্ঘ জীবনে

অল্প অল্প সুতীব্র সুখ চাই

এই সব আতিথেয়তা আমার বদহজম হয়

ভালোবেসেই বেপুচ্ছাদিত রস চাই

তোমার রসসমুদ্রে আত্তাহুতী দেওয়ার ইচ্ছাই প্রবল জাগতিক প্রহরে

পড়ন্ত বেলার শেষ রাত্রিতে

এই সব শুনে-

বিস্ময়াবৃত বিমুখ মন নিয়ে “অহেতুক ফ্যাচাল” বলে-



অবিনশ্বরী ঐন্দ্রজালিক ডানার ওম নিয়ে

ভাস্বরী পাখিটিও দিগন্তে মিলিয়ে গেল

আলেয়ার আলোয়ে………..

কি কপোল পোড়া

কি কপাল পোড়া

কত মোহকাল এসে আমার আসমানী বারান্দায় মার্বেল খেললো

শুধূ ধুসর সন্ধ্যাকালে তোমাদের উদ্দেশে

দীর্ঘ কবিতা লেখে লেখে সূচনা ডায়েরীর শেষ পৃষ্ঠায়

আমি ও পৌছে গেছি কালের বিষন্ন খেয়ায়-

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.