কবিতা

১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৯

কোকিলের কাব্য



কুয়াশা মাখা রোদের চুম্বন

ঘিরে রেখেছে চারদিক

কিছু শীতল বাতাস-রবি শস্যের শরীরে

মাখামাখি করে কাঁপে থরথর

পাশে যে নদীটি বয়ে গেলো-

একদিন অনাবৃত একটি শিশু

সাতাঁর কেটে ছিলো সর্প শরীরে ।

কিশোরী হতে হতে ভরা টুইটম্বর জোয়ার

নগ্ন শরীর ঢেকে গেলো লজ্জার কাপড়ে, সে এখন ।

যে কোন রমণী;

দূরে রবি শস্যের আড়ালে

যে কোকিল ঘর বুনবে বলে

খড় মুখে তুলে –সুর বাধে

বাতাসের অঙ্গে হারমোনিয়াম বাজে



হয়তো বসন্ত আসবে

ভেবেছিলো এই বসন্তে

পৃথিবীর সমস্ত ফুলের পরাগ রঙ

তোমার কলেবরে ঢেলে অলংকার সাজে

ঘরে তুলে নিবে-চিরতরে

অথচ-সুরম্য রমণী,

আজ বধু হয়ে কার জন্য সাজলে

গোলাপ রাঙা কাপড় তোমার শরীরে

আলতা রাঙা পায়ে ঘাসের সবুজ রঙে চরণমেখে

জোস্নাজোড়া নয়ন কাজলের রঙে



বড়ই উজ্জল ।



লাজুক মুচকি হাসির চারপাশে

লিপস্টিকের আবরণ মেখে মেখে

কোথায় যেনো মিলেয়ে গেলো



বলেছিলো কে যেন স্বপ্নে এক সাধু

যেই দিন তুমি বধু হয়ে সাজবে

সেই দিন যদি কেউ বসন্তের নতুন ভোরে

তোমার মুখশ্রী দর্শন করবে ।

সে হবে মহান পুরুষ।

মহান পুরুষই হতে চেয়েছিলাম ।

ফিরে এলাম কাপুরুষ হয়ে

কিন্তু দ্রোহ মন আমার বিপ্লবী

বিদ্রোহ করে গেল কিছু শব্দে

ভালোবেসে খুনি হবো

আমার রাজ্য ধ্বংস করবো

পঞ্চঅঙ্গুরী লয়ে ।

ফিরে গেলো যাযাবর কোকিল

ফিরে গেলো

সন্ন্যাসীর দেশে.. ...

১৫.১১.১২

৫ টি +০/-০