খুশির আকাশে এক টুকরে কালো মেঘ

১১ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩৮

গতকাল অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা শেষ হলো । মনে হলো এক মুহুর্তে লাফ দিয়ে আকাশ ছুঁয়ে পেলেছি । মনে হলো মুহুর্তেই আমার হাতে সমস্ত আকাশ মুঠোবন্ধী । কারণ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া ছাত্রদের জন্য, এই আনন্দ অনেক বিশাল ব্যাপার । অবশ্য খারাপ ও লেগেছে যে, গতকাল প্রাণিবিজ্ঞান ব্যবহারিক পরীক্ষায় হল্ রুমে এক অবাক কান্ড ঘটে গেলো, ব্যাপার টা এমন :

ব্যবহারিক পরীক্ষায় নকল একটা কমন ব্যাপার, হরহামেশায় এটা হয়ে থাকে, ছোটবেলা থেকে তাই-ই দেখে আসছি, আমার সহপাঠীরাও সবাই কমবেশ নকল নিয়ে এসেছে । এক সহপাঠীটিনির নকল ধরা খাওয়ার পর এক্সটারনাল বললেন :

ছেলেরা ছুরি করলে কোন সমস্যার মধ্যে পড়েনা (কথাটি বোধহয় উনি এভাবেই বলেছিলেন কিংবা এটাই বুঝাতে চেয়েছেন, এই মুহুর্তে মনে পড়ছেনা ) । আর তুমি তো মেয়ে । তোমারতো বিয়ে হলে তুমি সংসার ছুরি করবে । স্বামী কে বাসায় রেখে ছুরি করতে যাবে । আমার সহপাঠীনির দুটি ঠোঁটে ইষৎ এক চিলতে হাসি ফুটে উঠলো ।ঐ হাসির আড়ালে যে লজ্জা আর অপমান, ভয়, সঙ্কা, উৎকন্ঠা, লুকিয়ে আছে তা কারোরই বুঝতে কষ্ট হবেনা বোধহয় । যখন মেয়ে বন্ধুটি তার পরীক্ষার খাতা চাইলো তার জবাবে এক্সটারনাল রাগান্বিত হয়ে বলল: জুতা দিয়ে মারবো ।

পরে অবশ্য নতুন একটা পরীক্ষার খাতা তাকে দেওয়া হলো । পুরো হল্ রুমে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লো নিমিষে । সবচে মজার ব্যাপার হলো, এক্সটারনালও একজন মহিলা, বয়স্ক সম্মনিত মহিলা শিক্ষিকা । ঘটনাটি আমাকে ব্যথিত করলো ।

( সম্মানিত শিক্ষিকা, শ্রদ্ধেয় এক্সটারনালের প্রতি সম্পূর্ণ সম্মান রেখে ব্লগ বন্ধুদের কাছে আমার মনের ব্যাপার টি শেয়ার করলাম)

২ টি +০/-০