একগুচ্ছ কবিতা_বিষাদ আব্দুল্লাহ

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০০

১।

প্রিয়সীর ঘ্রাণ নেয়নি কম্মিনকালেও...

চৈত্রের বৃষ্টির ঘ্রাণ নিয়ে বুঝেছিলাম

যে ওখানে মিশে আছে মাটিপোড়া গন্ধ



কি তীব্র গন্ধ

ভিতরে এ-ক কান্না জলের পতনশব্দ টের পেয়েছিলাম...



এখন অন্যরকম গন্ধের খোঁজে গরম নি:শ্বাস



বিধ্বস্ত অস্ত্বিত্ব

২।

ট্রেন লাইন ধরে খোশ মেজাজে হাঁটছিলাম, দ্যাখি আকাশে একটি পুরুষচাঁদ উঠেছে



বিষন্ন ক্ষয়ে যাওয়া পুরুষচাঁদ



কিছু বলার আগেই সে বলে, ধুত্তরি ! আমিও প্রেমিকার খোঁজে...

দু'জনই হাসতে হাসতে পেটে খিল



অতঃপর

আমি চলে এলাম নাগরিক খাঁচায়

পুরুষ চাঁদ বললো আমার কোনো বাড়ি নাই

আমি শুধু ক্ষয়ে যাই

৩।

সেই দিন চোরামী করে সৌন্দরয্য দেখেছিলাম



তুমি পলাশ ফুলের পাপড়ী ঠোঁটে লাগিয়ে

জোৎস্নার তুফান দেখছিলে



শরীরে বাতাসের স্তুপ

নাগরিক দেয়াল ঘেষে প্রতিদিনকার ট্রেন চলে যাচ্ছিল



আর বহুদূরে এক কাপুরুষ কাঁদছিল নাকি হাসছিল!!



তা টের পাওয়ার আগেই তুমি চাঁদের জলে ডুবে গেলে

৪।

এইমাত্র একটি প্রজাপতি উড়ে গিয়ে বসন্তের দেয়ালে গিয়ে বসলো

বললো মাতাল হবো



যার পুরোটাই মাদকতাপূর্ণ তাকে কিভাবে মাতাল করি!

মাদকী বরং মাতলামীর উত্তেজনার লবণবৃষ্টিতে ভিজিয়ে দাও এই বসন্তে



কবির দগ্ধ মনের ক্ষত...

৫।

সন্ধ্যা হামাগুড়ি দিয়ে নামছে সমুদ্রের তীরে

বয়ে যাওয়া কালে নব জন্মানো এক উজ্জ্বল পৃথিবীর বাসিন্দা আমি-



নাম "বসন্ত"



এখন

বাতাসের গায়ে, রমণীর চুলে ধুলা উড়াউড়ি খেলছে

পাতা ঝরছে সারাক্ষণ রঙ্গিন স্বপ্নীল উৎসবে



বুকের প্রতিটি লোমকূপ থেকে দুঃখ পোকা নেমে গেল কোথাও...



কা'র যেন নুপূর ছুঁয়েছে লাল পানির ঢেউ

টের পায়নি সে, সে-ই বোধহয় বসন্ত



সে দেখেনি...



আমি দেখেছি,

কারণ আমি নির্লজ্জ !!

৬।

প্রেমের দাস আমি

প্রেমিকার নয়!!

৭।



পায়চারি করা বারান্দা;

ঠান্ডা বাতাসের দখল করা পড়ার টেবিল, লেখার খাতা-

বইয়ের মলাট-পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায়

ব্যাক্ত-অব্যাক্ত কথার খিচুড়ি

আর-

পাগলামী ছবির এলবাম



এক-দিন আমি হয় উঠবে...

৪ টি +২/-০