নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি হাসিমুখে ক্ষুধার কষ্ট সইতে পারি !\nপারি নীরবে চিন্তা করতে !\nপারি অপেক্ষা করতে !\nজানি ভালবাসতে আর\nপারি নি:স্বার্থ সেবায়\nনিজেকে বিলিয়ে দিতে !\nআমি অনন্য ।\nআমি অজেয় ।

খাজা মুহাম্মদ ইসমাঈল জাবেহ উল্লাহ

আমি হাসিমুখে ক্ষুধার কষ্ট সইতে পারি ! পারি নীরবে চিন্তা করতে ! পারি অপেক্ষা করতে ! জানি ভালবাসতে আর পারি নি:স্বার্থ সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে ! আমি অনন্য । আমি অজেয় ।

খাজা মুহাম্মদ ইসমাঈল জাবেহ উল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাদেবপুর ইসলামপুর গাছতলা

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:২৭

ইসলামপুর গাছতলা
চাঁদপুরের একটি সুপরিচিত গ্রাম । পূর্ব নাম মহাদেবপুর গাছতলা , সুফী খাজা আহমদ শাহ (রহ.) এই নাম পরিবর্তন করে নাম রেখে ছিলেন ইসলামপুর গাছতলা । যদিও আমার কাছে মহাদেবপুর নামটি খুব রহস্যময় মনে হয়। মহান দৈবক্রমে শক্তিমান আধ্যাত্মিক ক্ষমতা সম্পন্ন পুরুয যে স্থানে থাকেন তাকেই মহাদেবপুর বলা যায় ! তবে এ কথা সত্য এই স্থানটি যে আধ্যাত্মিক ভাবে গুরত্বপূর্ণ এ ব্যাপারে কারো কোন সন্দেহ নেই ।
বারটি বাড়ি সমন্বয়ে আমাদের এই গ্রাম ,নদীর তীরে অসাধারন শান্তিময় একটি জনপদ । সূর্য উদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মানুষগুলো প্রজাপতির মত ঘুরে বেড়ায় আপন সুখে ! খুব আবেগপ্রবন বুদ্ধিমান সাধারন খেটে খাওয়া মানুষ গুলো বড় নিরাপদ হয়ে বসবাস করে এখানে । গ্রামটির বিশেষত্ব হচ্ছে এর চারপার্শ্বে প্রবাহিত হচ্ছে ডাকাতিয়া নদী ।"ডাকাতিয়া" নামটিও আমার কাছে রহস্যময়ী ও অত্যন্ত প্রিয় একটি নদীর নাম । কেবল নামের দিক দিয়ে বিবেচনা করলে পদ্মা, মেঘনা , যমুনা যেমন-তেমন কিন্তু ডাকাতিয়া একটি অসাধারন নাম । " ডাকাতিয়া " নদীটির একটি আচরন কে বুঝানো হয়েছে , হৃদয় হরণ করতঃ এর স্নেহ বা ভালবাসার ঢেউ আমার মনপ্রান ছিনিয়ে নেয় এর ডাকাতিয়া কৌশলে । ডাকাত যেমন ছিনিয়ে নিলে কিছু বলার থাকে না ঠিক তেমনি । তাইতো রসিক এর নাম দিয়ে ছিলেন ডাকাতিয়া । এই অন্চলের মানুষগুলো এই নদীর কারনে একটু বেশি আবেকপ্রবণ । এই ডাকাতিয়া নদী ঘিরেই " মহাদেবপুর ইসলামপুর গাছতলা " আমার প্রান প্রিয় গ্রাম । মাঝে মাঝে এই অঞ্চলের কিছু অজানা রহস্য আমাকেও খুব চিন্তিত করে তোলে । কারন হচ্ছে এর অতিপ্রচিন ইতিহাস গুরুত্ব ও রহস্য। যা অতি গুরুত্বপুর্ন ও অতি রহস্যময় বলেই আমার বিশ্বাস । এর প্রধান কারন হচ্ছে এই অঞ্চলটির প্রাকৃতিক সুন্দরতা ।
প্রাচীন তথ্য গুলো আমাকে খুব কৌতুহলি করে তুলে । আজ থেকে চার-পাচ শত বছর আগে এই অঞ্চলে আসলে কি হয়েছিল ? কি ধরনের সভ্যতা এই অঞ্চলে ছিল ? তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য কি ছিল ? কি ছিল তাদের গল্প ? পুরাতন বই পুস্তক পড়লে বোঝা যায় এই অঞ্চলটি একটি হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা ছিল । ব্রাক্ষ্মণ্যবাদের শেষ প্রতিনিধিগন দেওরাজদের হুকুমে নরবলি হোলি উৎসব চলতো এই বাংলায় । মহাদেব দৈত্য রাক্ষসের পুজা অর্চনার জন্যে পশু প্রান বিসর্জন (বলি) দিত, কখন কখন নরবলী স্বীকার হত নিরীহ সাধারন মানুষ।এই অঞ্চলে প্রায় দুই-তিন একর ভুমির উপর একটি বিশাল দিঘি র‌্য়েছে, প্রশ্নের বিষয় হচ্ছে এই অঞ্চল নদী সংলগ্ন হওয়া সত্তেও কেন আবার এত বড় দিঘির প্রযোজন পড়লো ? এই দীর্ঘ দিঘি খনন কেমন করে সম্ভব হয়ে ছিল ? এক সময় শুনতাম এই দিঘির হইতে থালা বাটি সহ মজার মজার খাবার আসতো । এই গদ্য আড়ষ্ট নয় -বরং বলিষ্ট। খুবই রহস্যময় !
কি কারনে সেই সভ্যতা এই অঞ্চল হইতে বিদায় নিল ? পুরাতন জমিদারি ম্যাপ দেখলে বুঝা যায় এই অঞ্চলের জমিদারের স্রীর নামে এই পরগনা । সেই মহিউসি জমিদার স্রীর কৃতকর্মেই কি সব শেষ হল ? এই রহস্য গুলো অজানাই থেকে যাবে চিরদিন ।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.