![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর পরে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্রী ধর্ষন ও ডাবল হত্যা মামলার বিচার রাজশাহী দ্রূত বিচার ট্রাইব্যুনালে আজ শুরূ।
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি, ২০.১২.২০১৫ ঃ রানীশংকৈল উপজেলার একটি স্কুলের ১০ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ২০০৬ সালে ধর্ষনের পরে খুন হবার পরে প্রায় ৯ বছর পরে রাজশাহী দ্রূত বিচার ট্রাইব্যূনালে বিচার কাজ শুরূ হয়েছে। আজ রোববার (২০ ডিসেম্বর) পুতুল রানী ধর্ষন ও হত্যা মামলার শুনানী রয়েছে বলে নিহতের পারিবারিক ্ও আদালত সূত্র থেকে নিশ্চিত হ্ওয়া গেছে। নিহতের পারিবারিক সূত্র, মামলার সুরতহাল, ময়নাতদনত্ম রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ধর্ষিতা ্ওই শিক্ষার্থীর সাথে তার গর্ভের ৭ মাসের সনত্মানকে একই চিতায় দাহ করা হয়। এতে এলাকায় সেদিন লাখো মানুষের উপসি'তিতে মা ্ও ভ্রূন সনত্মানের দাহে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
নিহতের পারিবারিক সূত্রের দাবী অতীব চাঞ্চল্য এমন একটি মামলার অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হ্ওয়ার কারনে দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর ঠাকুরগাঁও আদালতে বিচারের নামে প্রহসন করতে থাকে। পুতুল রানীর দিনমজুর বাবা একমাত্র সনত্মানের বিচারের আশা প্রায় ছেড়ে দিলেও আদালতে নিয়মিত হাজিরা দিয়ে আসছিলেন কিন' প্রভাবশালীদের প্রভাবে সার্বক্ষনিক হুমকির মুখে থেক্েও সনত্মানের বিচারের দাবি থেকে সরে আসেননি।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, জেলার রানীশংকৈল উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের এক দিনমজুরের সুন্দরী কন্যা (১৬) ভন্ডগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ শ্রেনীতে পড়াশুনা করছিল। সেই সুন্দরী কন্য্যাটির ওপর একই স্কুলে পিয়ন পদে চাকরী করা ধনাঢ্য ঘরের সনত্মান আমিরম্নল ইসলামের লোপুপ দৃষ্টি পরে। সেই মেয়েকে পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাইয়ে দিবে, এবং ওই শিক্ষার্থীর দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে তার সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে। সেই দরিদ্র শিক্ষার্থীর সাথে প্রতারনা করার ইচ্ছা নিয়ে স্কুল পিয়ন আমিরম্নল ইসলাম ওই শিক্ষার্থীর অস্নীল ছবি তোলে তাকে বেলেকমেইল করার উদ্দেশ্যে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসে। অবশেষে ওই শিক্ষার্থীর বাড়ির পাশেই দামকা (৭০), পিতা-থেকথকু নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে প্রচুর টাকার বিনিময়ে আশ্রয় নেয় আমিরম্নল ইসলঅম। ওই দামকাকে ধর্ষক আমিরম্নল ধর্মপিতা বলে স্বীকার করে এবং সেই বাড়িতে ওই শিক্ষার্থীকে এদাধিখবার ধর্ষনে বাধ্য করে। অবশেষে ওই শিক্ষার্থী ৭ মাসের অনত্মসত্তা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।
মামলার বিবরনে জানা যায়, আমিরম্নল ইসলাম ওই শিক্ষার্থীর পেটের সনত্মানকে নষ্ট করতে নানান ধরনের গাছ গাছালির ্ওষুধ প্রয়োগ করে। তাত্েও কাজ না হ্ওয়ায় গত ৫ জুন দিবাগত রাতে ওই শিক্ষার্থীর আমিরম্নলের গল্প রয়েছে বলে দামকার বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি ধান ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে এবং সেখানে মুখে মাটি দিয়ে গলায় ্ওড়না পেচিয়ে শ্বাসরূদ্ধ কর েনির্মমভাবে হত্যা করে। যা পরবর্তীতে পুলিশের সুরতহাল রিপোর্ট, ময়নাতদনত্ম রিপোর্টে উঠে আসে। শুধু তাই নয়, মৃত ওই শিক্ষাথীর পেটের সনত্মানের বয়স ৭ মাস বলেও ময়নাতদনেত্মর রিপোর্টে উঠে আসে। একই চিতায় সেই স্কুল ছাত্রী এবং তার গর্ভের ৭ মাসের সনত্মানকে দাহ করা হয়। এতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এই ঘটনায় তৎকালীন সময়ে ভন্ডগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদালয় সহ, আশপাশের গাজীরহাট, ভরনিয়া, বনগাঁও সহ অন্যান্য স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পরে এবং সঠিক বিচার ্ও আসামীকে গ্রেপ্তারের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি পেশ করে।
স্কুল পিয়ন আমিরূল, স্কুলে পিয়নের চাকরী করলেও সে এলাকার একজন ধনাঢ্য ব্যক্তির সনত্মান। পুলিশের ছত্রছায়ায় মামলার আসামী প্রকাশ্যে ঘরে বেরায়। অবশেষে থানা পুলিশের প্রতি অনাস'া এনে বাদী পুলিশ সুপারকে মামলার তদনত্মকারী কর্মকর্তা পরিবর্তনের আবেদন করলে তৎকালীন পুলিশ সুপার গোলাম রসুল চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখায় হসনত্মানত্মর করে। ওই মমলায় গোয়েনন্দা পুলিশ স্কুল পিয়ন আমিরম্নল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে এবং আমিরম্নল ইসলামের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। আসামী আমিরম্নল গ্রেপ্তার হয়ে মোট হয়ে প্রায় ৩ মাস জেলখানায় অবস'ান করলওে তাকে চাকরী থেকে সাময়িক বরখাসত্ম বা বিভাগীয় কোন ব্যবস'া গ্রহণ করা হয়নি বরং তাকে একজন রেগুলার কর্মচারী হিসেবে স্কুলের খাতায় দেখানো হয়েছে। তবে রেগুলার হিসেবে থাকায় দেখানোর বিষয়টি ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শামসুল ইসলাম অস্বীকার করেন।
মামলার বাদী একজন দিনমজুর হবার কারনে ঠাকুরগাঁও আদালতকে প্রভাবিত করে চাঞ্চল্যকর ধর্ষন ও হত্যা হামলার বিচারের তারিখ ঘনঘন নিয়ে বিচারবিভাগকে বিভ্রানত্ম করার করার অপচেষ্টা করে বলে মামলার বাদী গনেশ চন্দ্র বর্ম্মন অভিযোগ করেন।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশেরে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই পরিবারটির বিরম্নদাধ দেশ্রেদ্রোহীর অভিযোগ রয়েছে এবং তাদের তান্ডবের কারণে আজো মানুষ তাদের দেখে ভয় পায়। তারা অর্থ সম্পদ দিয়ে মামলাটিকে শেষ করে ফেলাার চেষ্টা করে।
অবশেষে এমন একটি নির্মম ধর্ষন ্ও ডাবলহত্যা মামলা রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যনালে দীর্ঘ প্রায় ৯ বছর পরে বিচার কাজ শুরূ হতে যাচ্ছে।
বাদীর অভিযোগ মামলার দীর্ঘসূত্রতার কারনে মামলার স্বাক্ষী দামকা, স্মৃতিরানী সহ কয়েকজনকে আসামীপক্ষ বিপুল পরিমান টাকা পয়সা ্ও জায়গাজমি দিয়ে তাদের পক্ষে স্বাক্ষী দেবার জন্য তৈরী করেছে। বাদীর আশংকা মামলা স্বাক্ষীরা বৈরী হ্ওয়ায় বিচার পা্ওয়ার বিষয়ে তিনি সন্দিহান।
এদিকে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনার জন্য বাদীপক্ষকে সহায়তা করা বেসরকারি সংস'া আরডিআরএস এর কর্মকর্তা হাসিনাবানু, এবং ঠাকুরগাঁওয়ের সাংবাদিক সমাজ মনে করে যে, মামলার স্বাক্ষী বৈরী হলেও ধর্ষন এবং খুনীর দৃষ্টানত্মমূলক বিচার হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:০৯
গেম চেঞ্জার বলেছেন: বিচার ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থ্যার অবক্ষয় কোন পর্যায়ে আছে, চিন্তা করা যায়?