নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বৃষ্টি, শিশির, ঘাসফুল আর কবিতা ভালো লাগে।

ব্রক্ষ্মপূত্র

আসুন আমরা পরস্পরের প্রতি একটু সহানুভুতিশীল হই।

ব্রক্ষ্মপূত্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফারজানা কথন বা ফারজানা চরিত। (পোষ্টে ব্যবহৃত ছবিটি গুগল সার্চ করে নেয়া, তাই মডারেটরকে কাট-ছাঁট করতে হবে না)।

১২ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:১৬



ঘটনাটি ২০০৬ সালের শেষের দিকের। ফারজানা - ছিপছিপে গড়নের ১৩ বছরের সুন্দরী, চঞ্চলা কিশোরী। মাত্রই বাল্যকাল পেরিয়ে কিশোরী বয়সে পদার্পন করে যেন খোলস ছেড়ে একটু একটু করে বের হচ্ছে তার রুপ-সৌন্দর্য্য। প্রথম দেখায় যে কেউ ই মনে করবে কোন সরকারী কর্মকর্তার মেয়ে। কিন্তু না, প্রকৃতি তাকে সে ভাগ্য দেয়নি। সে জন্মেছে এক হতভাগ্য দরিদ্র পিতার ঘরে। তার পিতা এমনই দরিদ্র যে তাদের মুখে দু মুঠো খাবার তুলে দেয়ার জন্য তাকে দিনমজুরি করতে হয়। দিনমজুর বাবা কুলোতে না পেরে তার অতি আদরের মেয়ে ফারজানাকে এলাকার এক মধ্যবিত্ত শ্রেনীর লোকের বাড়ির গৃহকর্মী হিসেবে কাজে দিতে হয় তাদের জেলা শহর ময়মনসিংহে।
ধরে নিই গৃহকর্তার নাম বোরহান উদ্দিন, গৃহকর্তীর নামঃ শেফালী আক্তার, তাদের প্রথম মেয়ের নামঃ এস. বুশরা (ক্লাশ টেন), ২য় মেয়ের নামঃ ফারাহ (ক্লাশ ৪), ছেলে রাফি (ক্লাশ ১)। এই বাসাতে আরো একজন ছেলে বাস করে নামঃ আল-মামুন (ক্লাশ ৫) বয়স ১২ কি ১৩ হবে (সবগুলো নামই কাল্পনিক, কারো সাথে মিলবে না, কিন্তু ঘটনাটা সত্য)। ওই গৃহকর্তার দুই মেয়ে ও এক ছেলের সাথে ফারজানাকেও মনে হয় তারই মেয়ে। ফারজানার সাথে ওদরে পার্থক্য হলো ওরা ছোটবেলা থেকেই ভালো খেয়ে মোটাসোটা আর ফারজানা দরিদ্র পিতার ঘরে খেয়ে না খেয়ে ছিপছিপে, চঞ্চলা সরলা বালিকা। প্রথম দেখায় কেউ বোঝতে পারবে না যে ফারজানা কি তাদেরই মেয়ে না তাদের বাসার কাজের মেয়ে, আমার কাছে এমনই মনে হচ্ছিল।
এমন করেই যখন সময় অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছিলো তখন আমি ওই বাসারই অন্য একটি ইউনিটের ১টি রুম ভাড়া নিয়ে উঠি। ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে, নাস্তা করে আধাঘন্টা পড়াশোনা করে ৭.৩০ এ চলে যাই পলিটেকনিক এ। ৮.০০ টা থেকে আমার ক্লাশ শুরু হয়। ১১.০০টার ব্রেকে এসে গোসল সেরে নিই। ক্লাশ শেষ করে বাসায় ফিরি ১.০০ টার পরে। তারপর পাশের মেসে দুপুরে খেতে যাই (বন্দোবস্ত করা)। ফিরে এসে দেই ঘুম। ৩.৩০ এ সাইকেলটা নিয়ে বেরিয়ে পড়ি ১ম টিউশনির জন্য। ১মটা শেষ করে ২য় টা। ২য়টা শেষ করে ৬.০০ টায় বন্ধুদের মেসে এসে আড্ডা দেই। রাত ৮.০০ টায় রাতের খাবার খেয়ে বাসায় ফিরি মানে বোরহান উদ্দিনের বাসায় ফিরি। আগেই বলে রাখি, বোরহান উদ্দিনের বয়স ৪২-৪৫ হবে, ধার্মিক লোক, অমায়িক ব্যবহার। ঢাকা পলিটেকনিক থেকে কেমি কৌশলে পাশ করা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। ৬ লিবিয়া জব করে ভালো পয়সা কামিয়ে এসেছে দেশে সেই ৯০ এর দশকে। তারপর এই বাড়ি আর নগদ ক্যাশ, গ্রামে ফসলের জমি দেখাশোনা করেই চলে যায় তার দিন। ফসলের সময় শুধু গ্রামে গিয়ে থাকেন আর বছরের বাকি সময় ময়মনসিংহেই থাকেন উনি। আল-মামুন (৫ম শ্রেনী) গৃহকর্তীর ছোট বোনরে ছেলে ময়মনসিংহে তাদের বাসায় থেকে পড়াশোনা করে। সে সারা দিনই ফারাহ (৪র্থ শ্রেণী) এর পিছনে লেগে থাকে, মারামারি করে, খেলা-ধুলা করে আবার বলে বড় হলে সে ফারাহকে বিয়ে করবে। এস,বুশরাকেই বিয়ে করতো, কিন্তু সে অনেক বড়ো হয়ে গেছে তাই তার পক্ষে আর এস.বুশরাকে বিয়ে করা সম্ভব না।
আমি পলিটেকনিকে চলে যাবার সাথে সাথেই গৃহকর্তী তার স্কুল পড়ুয়া দুই ছেলে-মেয়ে ও মামুনকে নিয়ে স্কুলে চলে যায়। তারা ফিরে আসে ১১.৩০ বা ১২.০০ টার দিকে। এস.বুশরা (১০ শ্রেনী) ও চলে যায় কোচিং এ ৭.৪৫ এর দিকে। বোরহান সাহেব প্রতি রাতে খুটি নাটি ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ-কর্ম করে রাত ১.০০ টার পরে ঘুমুতে যায় আর বেশ বেলা করে ঘুম থেকে উঠেন (৯.৩০ এর দিকে)। তারপর বাজার করতে বা অন্য কোন কাজ করতে বাইরে যান। দুপুর বেলায় মামুনকে পড়াতে বাসায় এক টিচার আসেন। সে সময় ফারাহ রাফি, তার আম্মা বাসায় থাকেন। আমি যে রুমটা ভাড়া নিয়েছি এই রুমটা বেশ বড়, মামুন এই রুমেই দিনের বেলা পড়ে। আমি রুমে তালা দেই না। বাড়িওয়ালা বা ওয়ালি বলেছেন, আমি তাদের ছেলের মতো। রুমে তালা দেয়ার দরকার নেই। বরং আমার কোন কিছু প্রয়োজন পড়লে যেন আমি তাদের কাছে বলতে দ্বিধা না করি।
সন্ধ্যায় আসেন রেজাউল ভাই এস.বুশরা, ফারাহ, রাফিকে পড়াতে। তিনি তার ৩ ছাত্র-ছাত্রীকে ২ ঘন্টা পড়িয়ে ৮.৩০ এর দিকে চলে যান সানকিপাড়ায়। পড়ানোর পরে যাবার সময় আমার সাথে দেখা করে যান প্রতিদিনই। তিনি আনন্দমোহনে অনার্স পড়েন আর বাড়িওয়ালির চাচাতো বোনের ছেলে তিনি। রেজাউল ভাই তার বড় ছাত্রী এস.বুশরার প্রেমে হাবু-ডুবু খাচ্ছেন একা একাই। ওই দিকের টাওয়ার থেকে কোন সিগন্যাল পাচ্ছেন না তিনি। একদিন আমার কাছে তিনি রাতে থাকলেন এবং তার সব কথা শেয়ার করলেন।
আমি রাতে বাসায় ফিরে এসে ঘন্টা দুই পড়াশোনা করে কম্পিউটার নিয়ে বসি। প্রথমে ক্লাশ লেসনগুলি দেখে নিয়ে তারপর সিনেমা দেখি, গেম খেলি। এভাবে রাত ১.৩০ বা ২.০০ টা বেজে যায় প্রতিদিনই; তারপর ঘুমাই। ঘটনা যদি এভাবেই চলতো তাহলে তা প্রবাহিত হতো কোন স্রোতহীন, তরঙ্গহীন নদীর মতো। কিন্তু ঘটনা এমন সরলরৈখিকভাবে ঘটে না। ঘটনা ঘটে প্রকৃতির আপন গতিতে। আমি যখন বাসায় না থাকি দিনের বেলায় ফারজানা এসে আমার রুম পরিস্কার, বিছানা-পত্র, টেবিল গুছিয়ে দিয়ে যায় প্রতিদিন (আমার ধারণা তাই ছিলো, কিন্তু পরে পাল্টে যায়)। সন্ধ্যায় যখন পড়তে বসি তখন গৃহকর্তীর নির্দেশে প্রতিদিন ফারজানা আমাকেও এককাপ চা, দুই তিনটা টোষ্ট বিস্কিট দিয়ে যায়; তাদের গৃহ শিক্ষক রেজাউলকে দেয় তাই আমাকেও দেয়। মাঝে মধ্যে রাতে তারা আমাকে খাওয়ায়ও।
এই বাসায় আসার ০৯ দিনে মাথায় এই বাসারই বড় মেয়ে এস.বুশরা আমাকে প্রেমের অফার করে। গভীর রাতে (রাত ১২.০০টার পরে) মোবাইলে তার মিসকল পাই। কল ব্যাক করে সাধারণ কথাবার্তা থেকে প্রেম অফার করে বসে। ২ দিন ভাবনা চিন্তা করে আমিও ডুব দেই এস.বুশরার প্রেম সাগরে। যেদিন কলেজ থেকে আগে বাসায় আসি বা বাসায় থাকি - মামুন, ফারাহ রাফি যত্ত রকম বাদরামি আছে সব বাদরামির প্যাকেজ প্রয়োগ করে আমার রুমে এসে। আমিও কিছু বলি না, ওদের দুষ্টুমি আমারও ভালো লাগে। আমি শুয়ে থাকলে রাফি তো আমার বুকের উপর উঠে এসে বসে। শত হলেও আমার হবু শালাবাবু তো। তাই একটু সহ্য করি। না করলে যদি আবার সদ্য প্রেমে পড়া প্রণয়িনী রাগান্বিত হয় তার একমাত্র ভাইকে অবহেলা করার কারণে।! প্রেমের তরঙ্গ উত্তাল থেকে উত্তালতর হচ্ছিল। বাইরে দেখা করা সম্ভব নয় বলে বেছে নিলাম গভীর রাতের সময়। রাত ১.০০ টার পর থেকে মোবাইল টু মোবাইল মিসকল, এসএমএস বা কল, রাত তিনটায় এস.বুশরার জানলার পাশে গিয়ে জানলা খুলে দুজনে দাড়িঁয়ে থেকে হাতে ধরে সারা রাত কাটিয়ে দেয়া (কত ফজরের আযান শুনেছি জানলার পাশে দাড়িয়ে থেকে হিসাব নেই)। জানলার দুই পাশে আমি আর বুশরা মাঝখানে গ্রিল। কোন কোন দিন আযানের পর যখন চারদিক ফর্সা হতে শুরু করেছে তখন আমার রুমে ফিরে গিয়েছি। আমাদের সম্পর্কের বিষয়টা প্রথম ধরা পড়ে ফারজানা চোখে। এবং এস.বুশরায় ভয়ে সে কাউকে কিছু বলে নাই। বরং এরপর থেকে সে আমাকে এক্সট্রা সম্মান করা শুরু করলো।
ফারজানাকে দিনে ১ বা দুইবার দোকানে যেতে হয় প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে। দোকান বাসা থেকে ১২০ গজ দুরে হবে। সে দোকানে গেলে ১৫-২০ বা সবোর্চ্চ ২৫ মিনিটের মধ্যোই বাসায় ফিরে আসতো (আমি জেনেছি এস,বুশরার কাছ থেকে)। বাসা থেকে দোকানের পথে দুই তিনটা বিল্ডিং তৈরীর কাজ হচ্চে। বেশ কিছু শ্রমিক এখানে কাজ করে। বিকেলে ফারজানা ছাদে উঠে কাপড় আনার জন্য। ফারজানার সাথে মামুনেরও সম্পর্ক ভালোই। তবে মাঝে মাঝে বেশ ঝগড়াও লাগে দুইজনে।
এখন হচ্ছে ঘটনার মুল ক্লাইমেক্স। আমার আর বুশরার প্রেম কিস পর্যন্ত গড়িয়েছে। যদিও দুই একবার গ্রিলের ভিতরে হাত ধরতে গিয়ে বুকেও হাত পড়েছে, কিন্তু সেও কিছু আপত্তি করে নাই, আর আমি ও সুযোগ পেলে একটৃ.... আর কি। এখন বাকি আছে মুল পর্ব মানে আমার আর সারার বিয়ে পর্ব। যদি আমাকে এস . বুশরার বাবা-মা জামাই৪২০ হিসেবে মেনে নেয় আরকি। আমরা দুজনেই সেই কাঙ্খিত পর্বের জন্য অধীর আগ্রহে বসে আছি। আমার আর কোন কিছুর চিন্তা করার সময় নেই।
এই বাসায় এসেছি ৪ মাস হলো। একদিন পলিটেকনিক থেকে ফিরে এসে শুনি এস.বুশরা মারফত যে, ফারজানাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছে তার আম্মা। এখন বাসায় কেউ নেই, আমি চাইলে তার সাথে দুইতিন মিনিট দেখা করতে পারি। মামুন, ফারাহ কিছু বোঝবে না। মহারাণীর আজ্ঞা মতোই দেখা হলো সরাসরি এই প্রথম তারই বাসাতে তারই রুমে। তার নাকি টেপ রেকর্ডার নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো আর আমি নাকি তা ঠিক করতে গিয়েছিলাম। আর পিচ্ছিরা দুষ্টুমি করে, ক্যাচ ক্যাচ করে বলে তাদেরকে বাইরে বের করে দেয়া হয়েছিলো। এই প্রথম মুখোমুখি দুজনে সামনা-সামনি ৩ মিনিট দেখা করলাম। তারপর ফারজানাকে ডাক্তারের কাছ থেকে বাসায় নিয়ে আসলে যে খবর পেলাম এস.বুশরা মারফত তাতে তো স্তম্ভিত হয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। ১৪ বছরের ফারজানা প্রেগনেন্ট। কার সাথে কি হয়েছে কেউ জানে না। অনেক জিজ্ঞাসাবাদেও বলছে না। শেষে এস.বুশরার আম্মা ফারজানার এম আর করিয়ে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
ঘটনা সত্য। কিন্তু কোন পুরুষ লোক এই ঘটনার জন্য দায়ী তা ফারজানাই জানে, কিন্তু সে কাউকেই বলে নি। তিনজন হতে পারেন এই ঘটনার সম্ভাব্য দায়ী পুরুষ।
১মজন হিসেবে আমি আমাকেই ধরে নিই। আামার এই ঘটনা ঘটানোর সুযোগ আর না ঘটানোর পক্ষের যুক্তিগুলো হলোঃ- আমরা এই বাসাতেই থাকি। দুপুরে সে এসে আমার রুম গুছিয়ে দিয়ে যায় (পরে জেনেছি আমার প্রেমে পতিত যে জন এস.বুশরা সে আমার রুম, টেবিল গুছাতো)। ফারজানা সন্ধ্যায় এসে আমাকে চা দিয়ে যায়। মাঝে মাঝে রাতে তাদের ওখানে খাবার জন্য ডাকতে আসতো। এমনি করে যদি কোন ফাঁকে আমার কাছে এই ঘটনা ঘটে থাকে।
এই ঘটনা আমি না ঘটানোর পক্ষে আমার যুক্তিঃ আমি তো এস. বুশরার প্রেমে পড়েছি। ও ছাড়া আর কোন মেয়ে দুনিয়াতে আছে সে খেয়াল কি আমার আছে? তাছাড়া আমি তো দিনে বাসাতেই থাকি না। বৃহঃস্পতিবার বিকেলে চলে যাই বাড়িতে; শনিবারে পলিতে ক্লাশ শেষ করে বাসায় ফিরে আসি। রাত্রে তো তারা সবাই রাত ১টা পর্যন্ত সজাগ থাকে, গল্প করে, আড্ডা দেয়, তো ফারজানার আমার কাছে আসার সুযোগ কোথায়। তাছাড়া আমি নিজেই তো জানি আমি ওসব কিছু করিনি ফারজানার সাথে। এর থেকে বড় সত্য বা প্রমান তো আর নেই।
২য়জন হিসেবে ধরি মামুনকেঃ ফারজানার সাথে মামুনের (৫ম শ্রেণী) সম্পর্ক ভালো। ফারজানা তাকে গোসল করায়, খাওয়ায়। কাছাকাছি বয়স দুজনের কিন্তু মামুন কেমন যেন বড় বড় হয়ে গেছে তখনই। মামুনেরই সুযোগ বেশি এই ঘটনা ঘটানোর। সে ফাজানার কাছাকাছি সারাদিন থাকলেও কেউ কিছু মনে করবে না। তাছাড়া এই বাসায় আরো দুইটা খালি রুম আছে। একটাতে পিচ্ছিরা খেলাধুলা করে।
কিন্তুঃ মামুনতো ছোট, মাত্র ১২ কি ১৩ বছর বয়স। এই বয়সেই এই কাজের সাহস হবে কি করে? সবার চোখ ফাঁকি দিলেও আরো যে পিচ্ছি দুইটা (ফারা, রাফি) এই দুইটা তো সারাদিনই তার সাথেই থাকে। এদের দুইটাকে ফাকি দিবে কিভাবে? তারপরও হয়তো হতে পারে।
সন্দেহ ৩ বোরহান সাহেবঃ- তিনি তো বাসাতেই থাকেন সারদিন। সকাল ৯.৩০ - ১০.০০টা পর্যন্ত ঘুমান। তখন তারা দুটি মাত্র প্রাণী থাকে বাসায়। উনিই এই ঘটনা ঘটাতে পারেন, উনারই এই ঘটনা ঘটানোর সুযোগ বেশি।
কিন্তুঃ- ফারজানা উনাকে খালু বলে ডাকেন। উনার ছোট মেয়ের প্রায় সমান বয়স ফারজানার। তিনি ধার্মিক, ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন, কখনো মিথ্যা কথা বলেন না, নিজের ক্ষতি হলেও অন্যের ক্ষতি হতে দেন না। তার পক্ষে কি এমন গুনাহর কাজ করা সম্ভব?? আমার জানা মতে উনি সত্যিকারভাবেই ভালো মানুষ। কারণ আমার সাথে উনার মেয়েকে বিয়ে দিতে উনিই প্রথমে রাজি হয়েছিলেন।
সন্দেহ ৪ রেজাউল ভাইঃ রাত্রে বাসায় আসেন পড়াতে। যাবার সময় আমার রুমে একটু বসে যান প্রতিদিন। উনি চলে গেলে ফারজানা বাসার গেইট লাগিয়ে আসে। এই সময় যদি রেজাউল গেইট দিয়ে না গিয়ে সিড়ি দিয়ে ছাদে চলে যায় কেউ দেখবে না সিড়িটা এমন জায়গায়। একটু পর কোন কারণে ফারজানাও গেল উপরে। তারপর.... যা হবার তাই হলো। ছাদ থেকে বাসার পিছন দিক দিয়ে বাউন্ডারি ওয়ালে নেমে তারপর নিচে নেমে হাটা দিলেই হলো।
কিন্তুঃ খুবই রিস্কি কাজ। যদি কেউ ছাদে চলে আসে তখন কি হবে? এই ভয়টা দুজনারই থাকবে।
মামুনের স্যারকে সন্দেহ করার কোন কারণ নেই। ও আসে দুপুরে মামুনকে পড়ায় তারপর দুপুরেই চলে যায়। আর একটু সন্দেহ থাকে ফারজানা যখন দোকানে যায় তখন সে যদি কোন নির্মাণ শ্রমিকের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোরে এই কাজ করে থাকে।
এখানেও কিন্তুঃ একজন কিছু করলে তো অন্যরা দেখবে। তখনতো ওরাও এইটা করতে চাইবে। ফলে ঘটনা গড়াবে অনেকদুর পর্যন্ত এবং জানাজানি হতে বেশি সময় লাগবে না। মাঝে মাঝে সে সন্ধ্যাও দোকনে যায়। তখন যদি তার যাবার পথে কোন বাসায় বা কোন মেসে তার পরিচিত কেউ থাকে তাহলে তার সাথে হতে পারে। এই যুক্তিটা ফেলে দেওয়া যায় না। তাছাড়া সে যেহেতু দিনে প্রায় দুইবার দোকানে যায় সুতরাং দোকানদার এর সাথে তার ভাব জমতে পারে। শুধু দোকানের সামনের দিকের দরজা বন্ধ করে পকেট দরজা খুলে রেখে ফারজানা আসলে টুপকরে তাকে ভিতরে ঢুকিয়ে নেয়া। দোকানের গলি পথে কেউ না থাকলে তাদেরকে আর কেউ দেখতে পাবে না। এই ঘটনা যেমন সম্ভব তেমনি কিন্তু রিস্কিও বটে।

এস.বুশরার মাধ্যমে জানতে পেরেছি তার আম্মা মামুনকে সন্দেহ করেছেন ৩০%, নির্মাণ শ্রমিককে ৩০% আর আমাকে ৪০%। তিনি উনার স্বামীকে সন্দেহ করছেন না। আমি এস.বুশরাকে বোঝালাম যে আমি এসব করিনি। আমার করারই বা সুযোগ কোথায়? সারাদিন বাইরে থাকি। তাছাড়া এটা করলে তো এক সময় না এক সময় প্রকাশ পাবেই। তাহলে তোমাকে যে আমি ভালোবাসি, বিয়ে করবো তখন কি তুমি আমাকে আর ভালোবাসবে, বিয়ে করবে? আমি কি এটা বুঝি না? আর আমি তোমার বিশ্বাস ভঙ্গ করবো না কোনদিন। রাতে যখন পড়তে বসি, আমার রুমের সামনের রুমে তুমি রেজাউল ভাইকে নিয়ে পড়তে বসো। আমার রুমের দরজা তো খোলাই থাকে। তারপর দশটার পর দরজা লাগাই। তখন তোমরা সবাই বাসায়। ফারজানাও তোমাদের সাথে বাসায়। ১২.০০ থেকে তোমার সাথে কথা বলি মোবাইলে। রাত ১টার পরে তোমার জানলায় আসি তোমার সাতে দেখা করতে। তাহলে বলো আমার সুযোগটা কোথায়?

এস.বুশরা আমাকে খুব বিশ্বাস করে। তার ধারণা মামুনই এই কাজ করেছে। ফারজানা তাকে বাথরুমে গোসল ও করিয়ে দেয়। মাঝে মাঝে মুখে তুলে খাইয়ে দেয়। কাছাকাছি বয়স। এই বয়সে ছেলেদের সে ক্ষমতা হয়ে যায়। প্রসঙ্গতঃ এস,বুশরা অনেক বই পড়ে। সে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে র সদস্যা।

শেষ পর্যন্ত জানা গেল না ফারজানার জীবনে কে ডেকে আনলো এমন দুর্বিষহ যন্ত্রণা। এই ঘটনার কিছুদিন পরেই আমার ফাইনাল পরীক্ষা হয় আর আমি পরীক্ষা শেস করে সে বাসা ত্যাগ করে চলে আসি।

এই ঘটনাটা আমার এক বন্ধুর মুখে শোনা।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:০৭

ব্রক্ষ্মপূত্র বলেছেন: আমার পোষ্ট টি তো প্রথম পাতায় গেলো না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.