![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হটাত আদকা বৃষ্টিতে হাবু ভেবেছিল বের হবে না। কিন্তু অই হটাত আদকাই বৃষ্টি থেমে যাওয়ায় তার বিশেষ ইচ্ছা পুরনের আসায় বেরিয়ে পরল হাবু। যেহেতু বিশেষ রাত আর জায়গাটাও বিশেষ তাই পাঞ্জাবী পায়জামা পরাটাই তার কাছে সঙ্গত মনে হল। যাইহোক চালের রুটি আর গরুর গোশত খেয়ে সে রাস্তায় নেমে পরল। একধরনের আলসেমিতে তার কাছে রিকশায় উঠা যুক্তিযুক্ত মনে হল। বাহ সে একটা রিকশাও পেয়ে গেল কিন্তু সুখ কপালে জুটল না। কিছুদুর যেতেই দেখা গেল রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মাজারগামি হাজারও ধর্মপ্রাণ মানুষের স্রোতকে নিয়ন্ত্রন করতে এই আয়োজন। কি আর করা? বিরস মুখে করকরে নুতন ১০ টাকার নয়তটি রিকশাওয়ালার হাতে গুজে দিয়েই সে ধীর পায়ে হাটা সুরু করল। হাজারও মানুষের মত তার কন তারা নেই। সব ভীর যেন তাকে ঠেলে এগিয়ে যাচ্ছে। চারিদিক থেকে শুধু জিকিরে শব্দ আসছে। নারীপুরুষের মিলিত কণ্ঠ। এক্তু এগুতেই ভিন্ন রকম শব্দের দিকে তার নজর গেল। না এতাও কোন মানুষের সরাসরি কণ্ঠ নয়। মনে হচ্ছে মাইকের শব্দ। এক্তু খুজতেই পাওয়া গেল। হাত/পা হীন এক বৃদ্ধ হাজার জিকিররত মানুষের মাঝে তার উপস্থিতি জানান দিতে সে এই পদ্ধতি বেছে নিয়েছে। বেচারা কে দেখে হাবুর খুব কষ্ট হল। কার সাহায্য ছাড়া সে চলতেই পারে না, যেন মাটির সাথে মিশে গেছে সে। তবে তার এই ভিক্ষাবৃতির ডিজিটাল পদ্ধতি হাবুর খুব ভালো লাগলো। অনেকটা পথ এগিয়ে যাওয়ার পরও সকলের মাঝ থেকে তার কণ্ঠ কানে বাজছিল। একটু এগোতেই হাবুর চোখে পরল এক ছোট্ট কিশোরী সাথে তার মা(ধরে নিলাম) বাম হাতে কুপি ধরে নিবির মনে পবিত্র কোরান পরে যাচ্ছে আপন মনে। পাশে থাকা থালায় একটু পর পর কাগজের মুদ্রা জমা হচ্ছে, হাবুর মনে হল ভাগ্যিস এখন আর ধাতব মুদ্রার প্রচলন নাই তাহলে অই মুদ্রার শব্দে ওদের মনোযোগ অনেক খানিই বাধা গ্রস্থ হত। আরেক্তু এগোতেই হাবু দেখে একজন জিকিরকারি বিরস মুখে একটি দুই টাকার নোটের দিকে তাকিয়ে আছে, কোন পথিক হয়তো ভুল করে তার থালার উপর থাকা আগুনের কুপির উপরি টাকাটা ছুরে দিয়ে ছিল। একাংশ পুড়ে গেছে। আহারে বাচারা। আর কিছু পথ এগোতেই এক জটলার দিকে নজর গেল। বিভিন্ন ফুটবল তারকার পোস্টার বিক্রির হিরিক পরে গেছে যেন। যাইহোক এভাবে এগতে এগোতে একদম মাজারের সামনে চলে এলো। কিন্তু এই ভীর ঠেলে মাজার দর্শন ইচ্ছা তার পুরপুরি হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। বরং আরেক জনস্রোত যা কবরস্থানের দিকে গেছে তার সাথে সঙ্গী হওয়ার ইচ্ছা হল এবং অই পথেই এগিয়ে গেল। এক সময় নিজেকে আবিস্কার করল কবরস্থানের ভিতর। হাবুর ইচ্ছা হল যখন এলামই একটু কবর জিয়ারত করে যাই। তখন তার সৃতির পাতায় ভেসে উঠলো হারিয়ে জাওয়া অনেক নিকট আত্মীয়ের কথা। যা হোক সে অজু করে সামনের দিকে এগোতে সুরু করলো। মানুষের পদচারনা আর লাম্পপোষ্টের আলোয় হাবু কেমন যেন একটু অসহায় বোধ করতে লাগলো। যেহেতু সে কোন দিন এখানে আশেনি তাই সে দিকভ্রান্তের মত এলোমেলো ভিতরের দিকে ধুকে গেল একটু নিরাবতা আর একটু আধারের খোঁজে। কিন্তু নিরাবতা খানিকটা মিললেও আধার যেন কোন ভাবেই মিলছিল না। যা হোক বেশ একটু ভিতর গিয়ে একটি কবরের সামনে দাঁড়িয়ে দুয়া পড়া সুরু করলো। দুয়া শেষে মনের মাঝে অনেকখানি শান্তি অনুভব করতে লাগলো। হটাত মাথা ঘুরাতেই মাথার উপর আবিস্কার করলো প্রমান সাইযের এক মস্ত এক হলুদ চাঁদ। হাবুর বিস্ময় যেন কোন ভাবেই কাটে না। এখন সে বুঝতে পারলো কেন অনেক খুজেও একটু আধার খুজে পায় নাই। সে বিস্ময়ে চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকলো। জীবনে বহুবার বহু জায়গা থেকে সে পূর্ণিমা দেখেছে, দেখেছে চাঁদের কত রুপ। কিন্তু কবরস্থান থেকে চাঁদের এই রুপ যেন দেখা হয়নি কোনদিনও। এ যেন সত্যিই অন্যরকম অনুভূতি। তার খুব ইচ্ছা করছিল এখানেই শুয়ে শুয়ে একটু পূর্ণিমার দেখার। কিন্তু সব ইচ্ছা কি পূরণ হয়? সাদা কালো টাইলসে মোড়ানো অট্টালিকায় ধবধবে সাদা শ্বেত পাঁথরের গায়ে খোঁদাই করা প্রতিটি নাম যেন হাবুকে মনে করিয়ে দিচ্ছিল- হাবু যেন এখানে এক অনাকাঙ্ক্ষিত হে........................... !!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
©somewhere in net ltd.