![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আচ্ছা নাস্তিক জিনিষটা না হয় বুঝলাম, কিন্তু অনেক কষ্ট করেও এটা বুঝলাম না, যারা নিজেকে বিশেষ ধর্মের অনুসারী দাবি করে কিন্তু অই ধর্মের বিধিনিষেধ জানা সত্ত্বেও নিজের সুবিধা মত মানে কিম্বা একটুও মানে না- এদের কি নামে সংজ্ঞায়িত করা হবে?
প্রসঙ্গ মতে মাত্র দুটি জিনিশের - গীবত( গীবত' শব্দটি আরবী। এর অর্থ পরনিন্দা, ছিদ্রান্বেষণ অপরের দোষ বর্ণনা করা। অর্থাৎ একজনের দোষ আরেকজনের কাছে প্রকাশ করা, বর্ণনা করা। শরীয়তে গীবত করা কবীরাহ গুনাহর অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ পাক সূরা হুজুরাত-এর ১২ নম্বর আয়াত শরীফ-এর মধ্যে গীবত করতে নিষেধ করেছেন এবং গীবত করাটাকে মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়ার সাথে তুলনা করা হয়েছে।
সুদঃ রাসূলুল্লাহ (স.) বলেন : ‘সুদের গুনাহ সত্তরটি। তার মধ্যে অপরাধের দিক দিয়ে সর্বনিম্ন গুনাহটি হলো_ আপন মায়ের সঙ্গে ব্যাভিচারের গুনাহর সমান।
( আর কিছু বলতে চাই না এই বিষয়ে)
প্রসঙ্গত অভিজিৎ রায়ের নির্মম ও অমানবিক( আসলে উপযুক্ত ভাষা ব্যাবহার সম্ভব নয়) করুন মৃত্যুর পর অনেকটা সম্ভিত হয়ে গিয়েছিলাম। তাই নিজে কিছু বলা থেকে বিরত থেকে বরং জ্ঞানীগুণী মানুষের কথা শোনাই শ্রেয় বলে মনে করেছিলাম। কিন্তু সবাই দেখলাম মোটামুটি এক জায়গাতেই ঘুরাঘুরি করছে। কেউ যদি মনে করে অভিজিৎ এর মৃত্যু হয়েছে নাস্তিকতার জন্য তাহলে সে বা তাহার বিশাল ভুল করবে। কারন নাস্তিকতা এখানে একটি উছিলা মাত্র। কারন এই একটি শব্দের কারনে শাহবাগ ফাকা হয়ে গিয়েছিল। ৭৫ পরবর্তী সংবিধান এর সংশোধনী এটাই প্রমান করে ধর্ম শুধু মেনে চলা বা ধারন করার বিষয় না বরং এটা সম্পুন্ন রাজনৈতিক একটি অস্ত্র।
কম বেশি এই অস্ত্র সবাই ব্যাবহার করেছে বা করছে।
আমি এর থেকে বেশি ব্যাখ্যা করতে ইচ্ছা করছে না বরং একটি গল্প শুনীয়ে এই ফালতু পোস্টটি লেখা শেষ করবো। এক পাড়ায় হাবুল নামে এক ছেলে ছিল , হিন্দি মুভি দেখতে দেখতে একবার তার ইচ্ছা আলা আর ভোলার মত সে এলাকার মাস্তান হবে, এলাকায় মাতবরি করবে। কিন্তু কিভাবে? মোটামুটি এই চিন্তায় তার ঘুম হারাম। এরপর এর দিন সে রাস্তায় নামলো, হটাত এক ভিক্ষুক তার কাছে ভিক্ষা চাইলো - কোন কথা নাই সে অই ভিক্কুককে দিলো সেই মাইর। এর পর রিক্সায় উঠে ভাড়া একটু বেশি চাওয়ায় তাকেও দিলো সেই মাইর। এরপর এই রকম নিরীহ কিছু মানুষকে মেরে হাবুল এলাকায় সেই হিট। এইদিকে আলা আর ভোলা হাবুলকে নিয়ে মজা নিতে থাকল আর একে অপরের বিরুদ্ধে লড়তেই লাগলো। কিন্তু সাধারন এর কাছে আতংক হয়ে দাঁড়ালো অই হাবুল। এলাকায় এখন তিনজনের রাজত্ব। তারপর একদিন হাবুল............ ( গল্প শেষ)।
©somewhere in net ltd.