![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বেশ কিছুদিন যাবত তানভিরের সময় বেশ খারাপ যাচ্ছিলো। ব্যাবসায়িক প্রেসার সামাজিক দায়বদ্ধতা সব মিলিয়ে জীবন বেশ খানিকটা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। নিজের জন্য এতটুকু সময় কোনভাবেই বের করতে পারছিল না। নিজেকে মাঝে মাঝে চলন্ত গাড়ি মনে। সেই কবে এই গাড়িতে স্টার্ট দেয়া হয়েছে এখনও চলছে বিরামহীন ভাবে। মাঝে গাড়িরও তেল মবিল পরিবর্তন করতে হয় কিন্তু তানভীর টের পায় তার কোনটাই করা হয়নি। নিজের মানসিক শারীরিক চাহিদাকে দূরে রেখে নিজেকে অনেকটাই রোবট বানিয়ে ফেলেছে। হটাত তার মনে হল, না এবার একটু বিরতিতে যাওয়া দরকার। অন্তত নিজের মানসিক ও শারীরিক সার্ভিসিং করানো দরকার, অনেকতো হল। সব কিছু থেকে নিজেকে নিজেকে দূরে রাখতে রাখতে নিজেকে অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছে। প্রতিদিন সামাজিক মাধ্যমে কতশত ছবি দেখে পরিচিত সবার, আরে এরাই তো এক সময় ছিল তার বন্ধু তার প্রিয়জন। কিন্তু কোথাও সে নেই কেন? শুধু লাইক বাটনে চাপ দিয়াই যেন তার কাজ। জীবনের প্রতি একধরনের হতাশা কাজ করা শুরু করেছে। সব কিছুতেই সে মানসিক চাপ অনুভব করে। রোজ সন্ধায় লেবু দিয়ে গ্লাস ভর্তি ভদকা কোন ভাবেই যেন তার মানসিক চাপ কমাতে পারছিল না। হটাতই একদিন অনেক পুরনো সঙ্গী আবীরের সাথে দেখা হল। রাস্তায় দাড়িয়ে অনেক কথা। পুরনো অনেক সৃতিচারন। রাস্তার পারে দাড়িয়ে চা আর সিগারেটে যেন কথা কোনভাবেই যেন জমছিল না। দুই বন্ধুর জায়গা হল পুরনো আড্ডার স্থল শহরের নাম করা পানশালায়।
আবির বিয়ে করেছে, ফুটফুটে একটা বাচ্চাও আছে। একটি বেসরকারি কোম্পানিতে মার্কেটিং এ আছে। সারা শহর তার কর্মস্থল। আবির তার গল্প বলছি। তার ভালো থাকার গল্প, তার সুখের গল্প। ততক্ষণে ১,২,৩,৪,৫ করে ৬ নম্বর পেগ তানভির গিলেছে। একটা একটা সিগারেট ধরাতে ধরাতে তানভীর বিস্ময়ে নেশার বুদ থেকে বারবার বাস্তবে ফিরে আসতে চাইছে। আবীরের গল্প গুলো তার কাছে রুপকথা মনে হচ্ছে। জড়ানো কণ্ঠে তানভীর তার জীবনের গল্প গুলো বলে। আবির উচ্চ হাসিতে ফেটে পরল। তখন তানভিরের নিজেকে সত্যি অসহায় মনে হল। রাত প্রায় ১১ টা, আবীরের ঘরে ফেরার তারা। বাসায় তার বউ বাচ্চা অপেক্ষায়। তানভিরের কোন তারা নেই। হটাত আবির একটা নাম্বার লিখতে বলল তানভীরকে, ০১৬৮৪৫......... । বলল ওর নাম বাসন্তি, বেচারি বেশ ঝামেলায় আছে, ফোন দিশ, তবে রাতে না দেয়াই ভালো। এরপর আবির চলে গেলো।
বাসায় ফিরে ফ্রেস হয়ে গান শুনতে শুনতে সন্ধ্যা থেকে আবীরের বলা তার জীবনের গল্প গুলো মনে করতে লাগলো। বারবার মনে হল এটাই তো জীবন। শারীরিক ও মানসিক চাহিদা সব মিলিয়েইতো জীবন। হটাত তার বাসন্তী কথা মনে পরল। কি ভেবে তার নাম্বারে কল দিয়ে বসল, ভুলেই গিয়েছিল আবীরের রাতে কল না দেয়ার নিষেধ। একধনের উত্তেজনা অনুভব করতে লাগলো। যথারীতি ওই পার থেকে ফোনটা কেটে দিলো.........
দুপুর বেলায় অফিসে অফিসে বসে আগের রাতে ঘটে যাওয়া সব কিছু তানভিরের মাথায় ঘুরছিল। সে আবার বাসন্তীর নাম্বারে ফোন দিলো। ওই পাস থেকে এবার ফোনটি ধরা হল...
আমি আবির, সরি আমি আপনাকে বিরক্ত করছি নাতো।
না না, আবির ভাই, বলছে আপনার কথা, আসলে আমি একটু অসুস্থ, এখন বাসায় আছি। আমি আপনাকে ফোন দিবো।
দিয় কিন্তু, আমি অপেক্ষায় থাকব।( তানভীর এক গোপন উত্তেজনা অনুভব করতে লাগলো।), বাই বলে ফোন রেখে দিলো।
হটাত সপ্তাখানেক পর, একদিন সন্ধায় একটা কাজে তানভীর গুলশান যাচ্ছিল। হটাত তার সেলফোন বেজে উঠলো। স্ক্রীন এ বাসন্তি নাম ভেসে উঠলো।
হ্যালো বলতেই
হিহিহি হাঁসি( তানভীর আবার সেই উত্তেজনায় ভেসে উঠলো, যেন এই ফোন এই হাসির অপেক্ষায় ছিল।)
তানভীরঃ কেমন আছো?
বাশন্তিঃ আপনি ফ্রি কবে?
তানভিরঃ আমি........................
( অসমাপ্ত)
আগের পর্ব: Click This Link
©somewhere in net ltd.