নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ডালভাজা

চানাচুর

আমার ব্লগের বয়স অনেকদিন তাই বলে কিন্তু ব্লগার হয়ে উঠতে পারিনি সুতরাং কোন অর্বাচীন এসে খামোখা জ্ঞান দান করবেন না। অনেক রাগ করি।

চানাচুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজগুবি-১৭

১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৩৭

আমাদের একটা চরম অসভ্য শিক্ষক ছিল। মেয়েদের সাথে অশোভন আচরণ করায় তার বিরুদ্ধে আমরা মেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে অভিযোগ করি। প্রায়ই দেড় বছর ধরে এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলে। মজার ব্যাপার হল, ছেলেরা প্রথমে কেউই এগিয়ে আসেনি। এমন না যে ছেলেরা কেউ তার স্বভাব সম্পর্কে অবগত ছিল না। কিছু ক্ষেত্রে তারা সুবিধাও নিত এটা বলে স্যার তো মেয়েদের পছন্দ করে তাই তুমি মেয়ে তুমিই কাজটা করো।

তারা এগিয়ে আসেনি এর পেছনে কারণ ছিল, ওই শিক্ষক ভীষণ ভাল পড়াতেন, ভাল গ্রেড দিতেন! ছেলেদের ওই সময়কার স্বার্থপরতার জন্য ব্যাপারটা শেষ হতে অত দিন লেগেছিল। আমরাও নানান মানসিক টেনশনে ভুগেছি। শুধু মনে হত উনি ফিরে আসলে আমাদের কী হবে! হয়ত আমাদেরই শিক্ষা জীবন বরবাদ করে দিবে।

এগিয়ে তো আসেইনি বরং নানান উলটা পালটা কথা বলত। সব না জানার ভান করে জিজ্ঞেস করত, আসলেই কী স্যার এমনটা করেছিল? নাকি তাকে ফাঁসানো হচ্ছে!!!
তারপর আরেকজনের বিখ্যাত ডায়ালগ ছিল, "এই মেয়েগুলোর কী এমন চেহারা যে স্যার তার সুন্দরী বউকে রেখে এদের গায়ে হাত দিতে যাবে!" :P

আরেকজন বলেছিল, "গায়ে হাতই তো দিয়েছে, রেপ তো করেনি, এটা নিয়ে এত মাতামাতির কী আছে!" :|

ভাগ্যিস, অনেকগুলো মেয়ে ছিলাম তাই তো একজন আরেকজনকে সাপোর্ট দিতে পেরেছি। কিন্তু একটা মেয়ের সাথে এমনটা হলে সে মানসিকভাবে কতটা ভেংগে পড়ত!

ওই সময় দেশের অবস্থা ভীষণ খারাপ ছিল। আমাদের টিচার নিয়োগ দেওয়া হচ্ছিল না। বাইরে থেকে টিচার এনে কোর্স শেষ হলেও সেমিস্টার ফাইনাল হত না শুধুমাত্র টিচার না থাকার জন্য। আমরা একটা বড় আকারের সেশনজটে পড়লাম। ছেলেগুলো মেয়েদেরকেই দোষারোপ করত। এর ফলে, মেয়েদের কারো কারো মধ্যে এই ধারণার জন্ম নিলো যে আমাদের জন্যই আমাদের এই হাল। ভুলে গেল যে উনি থাকলে আমাদের এখানে থেকে পড়াটা আরো যন্ত্রণাদায়ক হত।

অভিযোগ জানানোর পর স্যার ব্যাপারটা মিউচুয়াল করতে কয়েকজনকে ফোন দিয়েছিল সে সময়কার কল রেকর্ডগুলো রাখা হয়েছিল। তারপর পলিটিক্যাল এক ছেলেকে ফোন দিয়ে স্যার অনুরোধ করেছিল। পলিটিক্যাল ওই ছেলেও আবার মেয়েদেরকে বলেছিল আর কিছু যেন করা হয়। সত্যি বলতে কি, আমার তখন মনে হত এক সাথে এতগুলো এইরকম টাইপ পুরুষ কিভাবে জমা হল?
যাই হোক, কিছুদিন পরে কতগুলো মানুষ পুরুষের দেখা মিলল। তারা এগিয়ে আসল, সাহায্য করল। বদমাইশটা বিদায় হল।

পরিচিত এক বিশিষ্ট ভদ্রলোক চাকরিচ্যুত ওই শিক্ষকের ব্যাপারে একদিন জানতে চাইলেন। প্রথমে জিজ্ঞেস করলেন, কেমন পড়াতেন এইসব। তারপর কেন চাকরি গেল শুনতেই আতকে উঠে বললেন, সেকি এই কারণে একটা লোকের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেল!

আমার তখন মনে হল উনি যেটা মিন করছেন সেটা হল স্যার যা করছে সেটা কিছুই না!
অনেক রাগ লাগায় বলে দিলাম, আপনি তো জানেনই সব তবে আমাকে কেন জিজ্ঞেস করলেন?? উনি তো খুব ভাল তাহলে উনার মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দিয়ে আসেন। আমার সাথে কথা বলেন কেন।
উনি বললেন, এখন তোমাদের ওই স্যার যেই চাকরিটা করেন তাতে সব মিলিয়ে ২০,০০০ টাকার মত পায়। আমি জানি উনি এটাই ডেজার্ভ করেন কিন্তু আমার ব্যাকগ্রাউন্ডের কাউকে এভাবে দেখতে কী ভাল লাগে, বলো?

জীবনটা খুবই সুন্দর। তনুকে মেরে ফেলে ভালই হয়েছে। এই সমস্ত কিছু লোকজন থেকে সুন্দর সুন্দর প্রতিবাদী স্ট্যাটাসের দেখা মিলেছে। তনুর সাথে যতই ইনজাস্টিস হবে, তারা ততো সুন্দর সুন্দর মা বোনকে নিয়ে স্ট্যাটাস মারবে আর প্রমাণ হবে, নারীদের ভাল থাকা নির্ভর করে পুরুষের ওপর।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৪

গেম চেঞ্জার বলেছেন: দুঃখ পেলাম। ধারণার/দৃষ্টিভংগির পরিবর্তন শিক্ষিত মানুষের মধ্যেও নাই। :| :|

২০ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:৫২

চানাচুর বলেছেন: ধন্যবাদ।

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৪

সোজোন বাদিয়া বলেছেন: হ্যাঁ বোন, আপনি যে চিত্রটা তুলে ধরলেন সেটিই এখন সত্যি বলে বিশ্বাস করি। তবে, এটি পুরুষজাতির কোনো সমস্যা বলে কেউ মনে করলেও আবার ঠিক হবে না, সমস্যাটা আমাদের জাতীয় নৈতিকতার নিকৃষ্ট অবস্থা। ওরা সুবিধাবাদী, যেখানেই যাক শুধু সুবিধাই দেখবে। ওরাই মনে হয় সংখ্যাগুরু। জাতির জন্য এটিই সবচেয়ে হতাশার। আর নারী জাতির জন্য আরও কয়েকগুণ হতাশার। রুখে দাঁড়াতে হবে, যেমন করে দাঁড়িয়েছিলেন। সালাম থাকল।

২০ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:৫৩

চানাচুর বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ :)

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৭

সোহানী বলেছেন: মেয়েদের তারপরে ও প্রতিবাদী হতে হবে।

হাঁ তনু মরে ভালো হয়েছে, অনেক স্টেটাস পাচ্ছে... বেচেঁ থাকলেতো আরো শতবার ধর্ষন হতো.........

২০ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:৫৪

চানাচুর বলেছেন: জ্বি ধন্যবাদ।

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:১২

ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
তারপর কেন চাকরি গেল শুনতেই আতকে উঠে বললেন, সেকি এই কারণে একটা লোকের ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেল! এইগুলা কোথা থেকে আসে?! ছেহহ

২০ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:৫৪

চানাচুর বলেছেন: হুম :)

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৩৯

কালনী নদী বলেছেন: @বেলের সরবত- কি একটি আজাইরা যেখানে যাই সেখানেই! সবাই উনার কমেন্টে রিপোর্ট করেন।

ঠিকই বলেছেন বোন, ভালোমানুষের দেখা সহজে পাওয়া যায় না, এ ক্ষেত্রে সবারই ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়।

দেখেন না নিজের চোখের সামনেই কি হচ্ছে!

২০ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:৫৫

চানাচুর বলেছেন: :)

৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:০১

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: "এই মেয়েগুলোর কী এমন চেহারা যে স্যার তার সুন্দরী বউকে রেখে এদের গায়ে হাত দিতে যাবে!"

২০ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:৫৬

চানাচুর বলেছেন: /:)

৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ২:৪৮

পরিবেশবাদী ঈগলপাখি বলেছেন: সামুর পুরান দিনের লুলপুরুষ এর কথা মনে পড়ে গেল

২০ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:৫৬

চানাচুর বলেছেন: লুলয় হাসান কি দোষ করল?

৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৭:৫৫

জহির রাসেল বলেছেন: নারীরা আরো প্রতিবাদী হতে হবে, বড় ভাই ছোট ভাইয়ের প্রতি তাকিয়ে না থেকে তাদেরকে দেখিয়ে দিতে হবে যে নারীরা ইচ্ছা করলে কিছু না কিছু পারেই

২০ শে মে, ২০১৬ রাত ৮:৫৭

চানাচুর বলেছেন: তাই!!!!

৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:১৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: আজগুবি নয়, তিক্ত বাস্তব! সব কুকুরের একই ঘেউ।

২০ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:০০

চানাচুর বলেছেন: সেটাই দেখলাম :)

১০| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:০১

মির্জা বাড়ির বউড়া বলেছেন: আসেন দেখেন ব্লগের সবচেয়ে পুরান নাটকের পুন:প্রচার। শরণার্থী নিকে ব্যাপক ল্যাদানির পরও মনমত সাড়া না পাওয়ায় অগ্নিসারথি গতকালকে নিজেই খুলেন বেলের শরবত নামে এক ইচিং ব্লগিং ক্যারেক্টার, তারপর সারাব্লগ ভাসিয়ে দেন নিজেই নিজেকে গালি দিয়ে কমেন্ট করে যেন মানুষের সহানুভূতি আদায় করে ভোট পাওয়া যায়। নিজের গোমর নিজেই গভীর রাতে ভুলে ফাঁস করে ফেলেন পোস্ট দিয়ে যে তিনি ববস.কমে জিতে চাকরি ছেড়ে রেসিডেন্ট ব্লগার হতে চান এই ব্লগের। মারহাবা।

১১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১৪

আমি তুমি আমরা বলেছেন: তবুও শেষ পর্যন্ত বিদায় হয়েছে- এটাই স্বস্তির ব্যাপার।

২০ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:০১

চানাচুর বলেছেন: হুম তা বলা যায় :)

১২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১০:৩৭

খালি বালতিফারখালি বালতি বলেছেন: মির্জা বাড়ির বউড়া নামে এক বেশরম মাল্টির কারণে বেলের শরবত, শরণার্থী, আখের রস তিনটা নিক ব্যান হয়েছে আমার। তবুও আমি অগ্নিসারথির হয়ে চিকা মারা থামাব না। এখনকার অবস্হা দেখেন

জার্মান প্রবাসেঃ ১৬৪৬
অগ্নি সারথির ব্লগঃ ৩০৭
ইস্টিশন ব্লগঃ ১৯৫
প্রবীর বিধানের ব্লগঃ ৬১
ইতুর ব্লগঃ ৩২

আপনাদের বুঝা উচিত আপনাদের কম ভোট দেয়ার কারণে অন্যরা সুযোগ নিচ্ছে। জার্মান প্রবাসে ওয়েব সাইটটি টাকা দিয়ে ইন্টারনেটে ভোট কিনছে, ওদের প্রতিযোগিতা থেকে বহিঃস্কার করা উচিত। জার্মান প্রবাসে ব্লগ জার্মানীতে একটা চাকচিক্যময় জীবনের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে চলা ব্যবসায়ি এজেন্সি ছাড়া কিছু না। সেখানে অগ্নি সারথি এই ব্লগের শতাব্দির সেরা ব্লগার। সেখানে আমার ভরষা শুধু নিজেদের ব্যাক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট টি যেখানে বন্ধু মাত্র ১০২৪ জন। আর কিছু সহব্লগার।


মাননীয় জুরি বোর্ডের প্রতি আমার আকুল আবেদন, শুধু আমাকে আর ইতুর ব্লগকে বিবেচনা করতে, বাকিরা সব কয়টা ভন্ড। একজন ব্লগার শুধু ব্যাক্তি তথা ইউজার একজন আর একটি ব্লগ হল কয়েক হাজার ব্লগারের সমন্বিত রুপ। আর বিষয়টা যেহেতু যোগ্যতার চেয়ে যোগাযোগের এর সেহেতু আমাকে জয়যুক্ত করা হোউক। একজন ব্লগার কখনোই পুরো একটা ব্লগের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে টিকে থাকতে পারেনা। আশা করি আপনারাও বিষয়টা নিয়ে ভাববেন এবং আমাকে ব্লগে রেসিডেন হিসাবে নিয়োগ দেবেন।

নববর্ষের উৎসবে যাওয়ার আগে পরে আমাকে দুইটা করে ভোট দিয়ে যান, আমি জিতলে সামু জিতবে।

১৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৫৭

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: তনুর সাথে যতই ইনজাস্টিস হবে, তারা ততো সুন্দর সুন্দর মা বোনকে নিয়ে স্ট্যাটাস মারবে আর প্রমাণ হবে, নারীদের ভাল থাকা নির্ভর করে পুরুষের ওপর।


রুঢ় হলেই সত্য কথা!

২০ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:০২

চানাচুর বলেছেন: ধন্যবাদ

১৪| ৩০ শে মে, ২০১৬ রাত ৯:১৭

অবনি মণি বলেছেন: আমাদের এই ধরনের ২ জন শিক্ষক আছেন । এখনো বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করিনি ।শেষ করেই লিখবো আশা করি ।একবার লিখেছিলাম ।সেই জন্য আমাকে অনেকটা হেনস্ত্যা করা হয়েছিল। প্রথমে সহপাঠীরা পেছনে থাকলেও পরে যখন দেখল আমি বিপদে পড়ে যাচ্ছি ঠিক তখনি সবাই পেছন থেকে পালালো ।হায় মানুষ!

৩০ শে মে, ২০১৬ রাত ১০:১২

চানাচুর বলেছেন: এইসব বিষয়ে লেখালিখি করে বিশেষ লাভ আছে বলে মনে হয় না। মিডিয়ায় গেলে ভাল। কারণ তাতে তাদের রেপুটেশনের বারোটা বাজে। অনলাইনে গিয়ে সব বিষয়ে আপনাদের অংশ গ্রহণ জরুরি না। মানুষের কৌতুহল থাকবে কিন্তু সেটা উপেক্ষা করতে হবে। ডিরেক্ট একশানে যাবেন। আর যতটা পারবেন দল ভারী করবেন। মানে ভিক্টিমদের বোঝাবেন যে কেন ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.