নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন মানেই আনন্দ আর কষ্ট..

দিগন্ত জর্জ

সাধারণ একজন মানুষ

দিগন্ত জর্জ › বিস্তারিত পোস্টঃ

টিউশনটা চলেই গেল....

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৩

স্টুডেন্টের বাসায় পড়াতে গেলে প্রতিদিনই কিছু না কিছু খেতে দেয়। নিত্য নিত্য খাবার খেতে অনেকটা অস্বস্তি লাগে। তাই একদিন ছাত্রের মাকে বললাম-

- আন্টি, আমাকে প্রতিদিন এভাবে টেবিলে খাবার দিয়েন না।
-কেন স্যার, আমাদের বাসার খাবার আপনার পছন্দ হয় না?
- ঠিক তা নয়। আসলে প্রতিদিন এরকম পড়ার টেবিলে খেতে একটু অস্বস্তি লাগে, আর তাছাড়া মানুষের বাসায় কিছু খেতে আমি অনেক লজ্জা পাই।
- একদম লজ্জা করবেন না স্যার। নিজের বাড়ি মনে করেই খাবেন।
- তবুও আমার অস্বস্তিটা তো কোনভাবেই কমবে না। বরং একটা কাজ করতে পারেন- সপ্তাহে দু-একদিন টেবিলে দিবেন,
.
.
.
.
.
আর বাকি দিনে টেবিলে খাবার না দিয়ে প্যাকেট করে দিয়েন, বাসায় গিয়ে খাবো। বাসায় গিয়ে খেতে আমার একটুও লজ্জা করে না। আরেকটা কথা, প্যাকেটে দুইজনের খাবার দিয়েন, বাসায় আমার এক বড়ভাইও থাকেন। তাকে ছেড়ে একা একা কীভাবে খাই!!!!

(অগত্যা এর পরের দিনই কেন যেন আমাকে পড়াতে যেতে নিষেধ করে দিলেন। আমি কোন কারণই খুঁজে পেলাম না।)

মন্তব্য ৪৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪১

মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: স্যারের সংজ্ঞা থেকে বের হয়ে একটু বেশি ই পণ্ডিত হয়ে গিয়েছিলেন তাই হা হা হা হা হা =p~

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৯

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: অতি চালাকির গলায় দড়ি পড়লো মনে হয়। ;)

২| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫২

সুমন কর বলেছেন: =p~ =p~ বেশী চাওয়া ভালো না !!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০০

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: এটাই বুঝলাম। আরেকটা জিনিস শিখলাম- কেউ খাইতে দিলে বিনা প্রতিবাদে খেয়ে যাওয়া ভালো।

৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩

রাফি বিন তোফা বলেছেন: আপনি ভালো কাজই করেছেন। একেই বলে সাম্যবাদিতা।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০১

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: হা হা হা.... সাম্যবাদি হয়ে তো টিউশনী তো গেলই, সেই সাথে বিকালের টিফিনটাও হারালাম।

৪| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৩

মাদারি বলেছেন: আহা রে!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০১

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: দুঃখ..দুঃখ..

৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৩

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: আম ছালা দুটোই গেল আর কি!

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৭

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: হমম.. অতি লোভে তাতী নষ্ট হইলো আরকি!!!

৬| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আপনি তো সরেয়(অ) ভদ্র।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৫

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: হি হি হি.... তা মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক। তয় পরের কথাগুলান মনে মনে কইছিলাম আরকি!!! ;) ;) ;)

৭| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬

অতঃপর হৃদয় বলেছেন: হা হা হা.!!!!! আমাকেও সাথে নিয়েন, আমি ও খাবো।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৫

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: তাইলে তো তিনজনের খাবার প্যাকেট কইরা দিতে বলতে হইতো।

৮| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৯

ব্লগার মুস্তাকিম বলেছেন: মন খারাপ হৈয়া গেলুম

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৬

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: থাক, মন খারাপ কইরেন না। আমরা আমরাই তো।...

৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৭

ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: এরপর টিউশনি ঠিক করার আগে ঠিক করে নিয়েন যে দুইজনের খাবার দিতে হবে।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪৭

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: হা হা হা হা.... খাল কেটে কি আর কেউ কুমির আনতে চায়?? দুইজনের খাওয়ার কথা বললে এই জীবনে আর টিউশনীর মুখ দেখতে হবে না।

১০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫১

আজাদ মোল্লা বলেছেন: হাসির মাঝে দুঃখ আসে ,
বিকেলের খাবার গেলো জলে ।

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৫

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: কী আর করা যাবে বলুন!!! অভাগা যেদিকে চায়, সাগর শুকিয়ে যায়।..

১১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৪

মাকড়সাঁ বলেছেন: হা হা হা হা হা "অতি লোভে তাতী নষ্ট হইলো আরকি!!!" :) :D :) :D

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৯

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: লোভ তো বেশি করি নাই, শুধু খাওয়ার সিস্টেমটা একটু চেঞ্জ করতে চাইলাম আর বড়ভাইয়ের খাবারের ব্যবস্থা করতে চাইলাম।

১২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ২:০৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: খাবারও গেল, টিউশনিও গেল।
প্যাকেট আর তৈরি হইলো না। =p~

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪০

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: টিউশনীই নাই, প্যাকেটের আশা আর কই থাইকা থাকবো। তয় এর পর থেকে কেউ খাবার সাধলে আর লজ্জা পাই না। স্পটেই সাবাড় কইরা দেই।

১৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০৬

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: :)

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৪১

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: :( :( :(

১৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৪

মাহমুদা আক্তার সুমা বলেছেন: ভাই আপনার এত লজ্জা!! বোরখা পড়েন না কেরে??

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪১

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: হ্যা, আপু, আমার লজ্জা একটু বেশিই। এই লজ্জার কারণে কেউ খাবার সাধলেও ‘না’ করতে পারি না ‘লজ্জায়’। আর বোরখা পড়লে যদি খাইতে প্রবলেম হয়, তাই পড়ি না।

১৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬

সালমান মালিক বলেছেন: এত মানব প্রেম কেন?খাবার পাবেন খাবেন যতক্ষণ খাইতে পারেন............বড় ভাইয়ের চিন্তা বাদ দিবেন............

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২১

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: হমম... ভালো বুদ্ধিই দিলেন। পরেরবার মনে রাখবো আপনার কথা।

১৬| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৭

সালমান মালিক বলেছেন: ভাই খাওয়ার সময় মনে করবেন সামনের মুহূর্তে আর খেতে পারব কি?
শেষ খাওয়া মনে করে খাবেন..................

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৪

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: হমম.... সহমত

১৭| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪০

সালমান মালিক বলেছেন: আপনার ভাষা টা মনে হয় এলিয়ন এর সাথে মানাবে

১৮| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩

রাকিবুল হাসান ২০১০ বলেছেন: হা হা হা, বেশী খাইতে চাইলে এরকমই হয় । দিস ইজ ছেচরামি ।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৬

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: ;) ;) ;)

১৯| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪

amitanmoy বলেছেন: এক সময় আমি ও ধুমায়া টিউশনি করতাম । সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত । যে যা দিত তাই খেতাম না করতাম না । বাসী, আধা বাসী খাবার ও খেয়েছি । আবার চেয়েও খেয়েছি । ছাত্র-ছাত্রীদের বাসায় বিরিয়ানী ,পোলাও রান্না হলে রান্নাঘর থেকে গন্ধ পেতাম । সুযোগ নিয়ে বলে ফেলতাম, তোমাদের বাসায় কি আজ মেহমান আসবে ? বেশ সুন্দর খুশবু আমার নাকে লেগেছে । বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীর মা আমাকে খাইয়ে আনন্দ পেতেন । এখন ও ডাক দিলে খেতে যাই । তবে, কোন সময় আমার পারিশ্রমিক চাই নি । ওরা ওদের সুযোগ মত দিয়েছে । প্রতি মাসেই দুই একটা শার্ট প্যান্ট উপহার পেতাম । আমি ও দু'হাতে তাদের জন্য খরচ করেছি । কিন্তু কোন অনৈতিক কাজ করিনি - যদি ও সুযোগ ছিল । এখানেই ছাত্র ছাত্র পড়ানোর স্বার্থকতা ।

আজ আপনার পোস্ট পড়ে আমি ও একটু স্মৃতিচারন করলাম ।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪১

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: আমিও সখের বশে টিউশনী করতাম। স্টুডেন্ট পড়াতে আমার ভালো লাগে। টিউশনী বা কোচিংকে কখনো পেশা হিসেবে মনে করিনি। এখন হয়তোবা চাকরীর সুবাদে পড়ানো হয় না, তবে পড়ানোর দিনগুলোর কথা মনে হয়।

সত্যি কথা বলতে, প্রতিদিন খাবার খেতে আমার একটু অস্বস্তি লাগে সত্যি, তাই বলে প্যাকেটে করে খাবার দেওয়ার কথাটা জাস্ট একটা পাঞ্চলাইন ছিলো। আদতেই এরকম কিছু বলি নাই। ;) ;) ;)

২০| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫৪

amitanmoy বলেছেন: দিগন্ত জর্জ , টিউশনিকে আমি ও পেশা হিসাবে নেই নাই । সময় আছে , তাই পড়াতাম । আমি আবার পেটুক মানুষ । আবার কথা বলতে না পারলে আমার পেট ফুলে যেত । অনেক ছাত্র ছাত্রীর মা -বাবা আমাকে " তুমি " বলে ডাকতো । আমি কোন সময় মনে কিছু কিছু করতাম না ।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:১৯

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: আপনার চিন্তাভাবনাটা ভালো লাগলো। আপনি মিশুক মানুষ বোঝা যায়।

২১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১১

রাতুল_শাহ বলেছেন: স্টুডেন্টের বাসায় না খাওয়ার কারণে আমার প্রথম টিউশনিটা চলে গিয়েছিলো।

টিউশনির করার প্রথম শর্ত: স্টুডেন্টের বাসায় যা দিবে তাই খেতে হবে। না করাটা স্টুডেন্টের অভিভাবকদের জন্য অপমানজনক।

এই ভুল আর করবেন না, এই আশা করি।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১৫

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: এমনটা ঘটতে পারে ভাবিনি কখনো। এমন শর্তও দেয় তাহলে আজকাল। অভিভাবকরা অতিথিপরায়ণ ছিলো বোঝা যায়। আমারটা একচুয়ালি ফান করে লেখা্। কিন্তু আপনার কথাটা মনে থাকবে। খাওয়ার শর্ত দিলে তো না করার প্রশ্নই আসে না।

২২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২১

রাতুল_শাহ বলেছেন: প্রত্যেকটা স্টুডেন্টের উচিত টিউশনি করানো। এতে করে নিজের জড়তা কেটে যায়। পরনির্ভরশীলতা কমাতে সাহায্য করে।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:২৭

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: এক্সাকটলি!!! তাছাড়া নিজেরও চর্চা হয়ে থাকে। স্টুডেন্ট লাইফে টিউশনীর চেয়ে ভালো প্লাটফর্ম আর নাই। নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগানোর প্রথম ধাপ এটা। ভালো বলেছেন।

২৩| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৫

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: ভাই সেখানে বসে খেতে লজ্জা করতো আপনার, কিন্তু পেকেটে করে দিতে বল্লেন সেটা লজ্জা করলো না ।?

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৮

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: ওইযে বললাম, খাওয়ার সময় লজ্জা পাই। তাছাড়া অন্য সময় পাই না।

২৪| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬

প্রামানিক বলেছেন: আহা! গলদটা যে কোথায় বোঝাই মুশকিল।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৯

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: সেই চিন্তায় এখনো দিন পার হয় আমার...

২৫| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬

যাযাবর রাজা বলেছেন: ভাইকে রেখে কিভাবে খাবো?
খারাপ লাগলো লিখাটা পড়ে।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১০

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: একেই বলে ভাইয়ের প্রতি ভালোবাসা। আপনার খারাপ লেগেছে শুনে আমারও কষ্ট হচ্ছে। এটাও ভাইয়ের প্রতি ভালোবাসা..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.