![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখানে কয়েকদিন আগে প্রেম বা রিলেশনের পজিটিভ দিক নিয়ে একটি লেখা দিয়েছিলাম। কিন্তু এর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে না বললে সমতা রক্ষা করা সম্ভব হবে না। হাজার হলেও নিউটন দাদুর সূত্রের বাইরে তো আর যেতে পারি না। ক্রিয়ার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আলোচনা করাটা নৈতিক দায়িত্ব বলেই মনে করছি। তাই, আমার অবজার্ভেশনে প্রেম করার অসুবিধাগুলো নিয়ে একটু আলোচনা করবো। একচুয়ালি, আমরা যারা সিঙ্গেল আছি তাদেরকে মানসিক সান্ত্বনা দেওয়াটাই এই লেখার মূল উদ্দেশ্য।
সময়ের অপচয়ঃ সময় অমূল্য ধন। কিন্তু প্রেমের কারণে তার যথাযথ ব্যবহার হয় না। যেই সময়টায় ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখা করার কথা/কোচিং করার কথা/টিউশনীতে যাওয়ার কথা, সেই সময়ে হয়তো তারা ফোনে কথা বলে বা ঘুরতে যায়। এমন কী, পরীক্ষার আগের রাতেও যদি ঘন্টাখানেক কথা না বলতে পারে তাহলে তাদের পরীক্ষার জন্য প্রিপারেশন সম্পূর্ণ হয় না। এইভাবেই অতিবাহিত হয় মূল্যবান সময়গুলো।
অধিক ব্যয়ঃ টাকা-পয়সা খরচ করার জন্য তৈরি হয়েছে কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত ব্যয় সকলের জন্যই খারাপ। প্রেমিক-প্রেমিকার বেশি টাকা ব্যয় হয় ফোনে কথা বলে। ২৪ ঘন্টার মধ্যে আনুমানিক ৬-৭ ঘন্টা তারা ফোনে কথা বলে থাকে। যাদের লং ডিসটেন্স’ র রিলেশন তাদের ক্ষেত্রে সময়টা আরো বেশি। ভাবখানা এমন যেন-ফোনটা রাখলেই আমার প্রেমিক/প্রেমিকাটা কোন অপকর্ম করে ফেলবে বা আমাকে ছেড়ে চলে যাবে। এছাড়াও ডেটিংয়ে গেলে রিক্সা না নিলে কেমন হয়। আমার গার্লফ্রেন্ড কষ্ট করে হেটে যাবে, ওর পা তো ব্যথা হয়ে যাবে, ওর অনেক কষ্ট হবে, সুতরাং, রিক্সায় চড় আর টাকা ঢালো। অনেকে আবার ড্যান্সিং কারের থিওরী প্রয়োগ করার জন্যেও রিক্সা নিয়ে থাকে। অন্যদিকে, সুন্দরী গার্লফ্রেন্ড নিয়ে তো আর রাস্তায় বসে গল্প করা যায় না, তাই কোন কফিসপ/রেস্টুরেন্ট-এ বসতে হয়। রাস্তার পাশের দোকান থেকে চা খাওয়ালে তো গার্লফ্রেন্ড ভাববে আমার টাকা নাই। তাই কেএফসি/বিএফসিতে তো যেতেই হয়। এছাড়াও বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে গিফট না দিলে ইজ্জত থাকে না, প্রেমও জমে না।তাও আবার দামী হওয়া চাই। অন্যদিকে মেয়েরাও তোর বয়ফ্রেন্ডকে টি-শার্ট, জামা, বিভিন্ন গিফট, হাত খরচের টাকাও বন্দেবস্তও করে দেয়।
সার্বক্ষণিক দুঃশ্চিন্তাঃ প্রেম করলে সব সময়ের জন্য একটাই চিন্তা থাকে, আমার প্রেমিক/প্রেমিকা কী করছে, খাওয়া দাওয়া করছে কিনা/ ফোন দিচ্ছে না কেন এখনও/ মেসেজও দিল না, ১ ঘন্টা হয়ে গেল/ ফোন রিসিভ করছে না কেন- এইসব হাবিজাবি চিন্তা করতে করতেই দিন পার হয়। আর সন্দেহপবন প্রেমিক/প্রেমিকার প্রথম চিন্তাই থাকে-“আমার জানটা’ অন্য কার সাথে যেন লুকিয়ে প্রেম করছে।” এমনকি ফোন রিসিভ করতে একটু দেরী করলেই সম্মুখীন হতে হয় নানান প্রশ্নের।
মিথ্যা বলার প্রবণতাঃ রিলেশন করলে মিথ্যা বলার প্রবণতাটা একটু বেশিই বেড়ে যায়। হয়তো গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে ঘুরতে গেল আর তার মা ফোন দিলেই বলতে হয় মিথ্যা। আবার অনেক সময় মনের মানুষের মন রক্ষা করার জন্যও মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয়। যেমনঃ তাস খেলার সময় ফোন দিলেই বলতে হয়, “জান, আমি এখন স্টাডি করছি, তোমাকে পরে কল দেব”(কারণ জান তাস খেলা পছন্দ করে না)। আবার, রাতে কথা বলতে ইচ্ছা না হলে বা অন্য কারো সাথে কথা বলার থাকলে ছেলেকে বলে, “জান, আজ আমি মায়ের সাথে ঘুমাবো, আমাকে কল দিও না। মা জানতে পারলে সমস্যা হবে আর আমার ফোন বন্ধ থাকবে।”
ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপঃ প্রেম করলে নিজস্ব স্বাধীনতা বলে কিছুই থাকে না। একজন আরেকজনের মন মত জীবনযাপন করে। কোন কিছু করার আগেই চিন্তা করতে হয়, ‘আমার জানটা এই কাজটা অপছন্দ করে কিনা।”
মন মেজাজ খিটখিটে থাকে প্রায় সময়ঃ প্রেমের একটা পর্যায় আসে যখন দুজন ঝগড়া করেই সময় পার করে। সেই সময়টাতে মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে। কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করে না, আড্ডা দিতে ইচ্ছা করে না, কিছু থেকে ইচ্ছা করে না, কাজে মন বসে না, পড়ার টেবিলের দিকে নজরই যায় না।
বন্ধু-বান্ধবের সাথে ও মা-বাবার সাথেও যোগাযোগ কমে যায়ঃ প্রেম করার সময় শুধু বিপদে পড়লেই বা হাত টান পড়লেই বন্ধুদের কথা মনে পড়ে। বাকি সময়ে গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ডই তার কাছের বন্ধু। এমনকি বাবা-মায়ের সাথেও যোগাযোগ বা কথাবলার পরিমান কমে যায়।
জীবনটা হয়ে যায় এককেন্দ্রীকঃ প্রেম করা অবস্থায় চিন্তা থাকে শুধু দুইটা- ১. আমার জানটা’ ২. আমার ‘জানটা। এর বাইরে যে প্রথিবী নামের একটা গ্রহ আছে, আর ওখানে মানুষ নামের আরো অনেক প্রাণী বাস করে সে কথা তারা বেমালুম ভুলে যায়। জীবনযাত্রা হয়ে যায় ‘জান’ কেন্দ্রীক।
এতো সমস্যার মাঝে রিলেশন করার দরকারই কী !! আমরা যারা মনে প্রাণে সিঙ্গেল তারা -“একা আছি, অনেক সুখে আছি’ এই সান্ত্বনা নিয়ে জীবন পার করি। অন্য দিকে সকল প্রেমিক-প্রেমিকাকে অভিনন্দন জানাই আর মঙ্গল কামনা করি। ব্রেক-আপ হইলে আবার ফিরে আইসেন আমাদের সিঙ্গেল জগতে। আপনাদের জন্য দরজা সব সময়ই খোলা।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২০
দিগন্ত জর্জ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। কথাগুলো পরামর্শ বা উপদেশ হিসেবেই নিলাম। ব্লগে সবেমাত্র পদার্পণ করলাম তো, তাই হয়তো অনেক ব্যাপার ধরতে পারছি না। ব্লগের লেখাগুলো পড়ি ঠিকই, কিন্তু কমেন্ট করা হয় না। আশা করি নতুন হিসেবে আমাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আপনার কথা মনে রাখবো। আবারো ধন্যবাদ জানাই সহযোগিতার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:০৮
গেম চেঞ্জার বলেছেন: ভাল বলেছেন। কিন্তু আপনি সবে ৭টি পোস্টে(অন্যের) কমেন্ট করেছেন। এতে আপনার ব্লগে পরিচিতি ও মুখরতা কমবে। মনে রাখবেন অন্যের পোস্ট পড়লে আপনার নিউরনের ভান্ডার সমৃদ্ধই হবে। বিশ্লেষণ ও সুচিন্তিত মনোভাবে মন্তব্য করলে জাত যায় না। ক্ষতিও হয় না। জাতেও উঠা যায় না।
(কঠোর কথা বললাম, আশা করি গঠনমূলক দৃষ্টিতেই দেখবেন)
এই পোস্টকে একটু ঢুঁ মারতে পারেন
পোস্ট করেছি: ১০টি
মন্তব্য করেছি: ৬২টি(আসলে ৭টি)
মন্তব্য পেয়েছি: ১১২টি
ব্লগ লিখেছি: ৩ সপ্তাহ ১৩ ঘন্টা
অনুসরণ করছি: ৫ জন
অনুসরণ করছে: ৪ জন