নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন মানেই আনন্দ আর কষ্ট..

দিগন্ত জর্জ

সাধারণ একজন মানুষ

দিগন্ত জর্জ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্যান্ট ছাইড়া, লুঙ্গি পরা শুরু করুম

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৩

- মামা, শার্ট দেখান তো।
- কার সাইজে মামা?
- আমার জন্যই দেখান।
- আপনি শার্ট চয়েস করেন, সাইজ দেয়া যাইবো।
- মামা, ওই শার্টটা আমার সাইজের বাইর করেন। ফিটিং হয় যেন।
- এইটা লন মামা, আপনার ফিটিং হইবো।
- কিন্তু এইটা তো একটু সর্ট, এর চেয়ে একটু লং দেখান।
- লং নিলে তো ফিটিং হইবো না আপনার, হালকা চাপাইয়া নিতে হইবো। আপনার স্বাস্থ্য একটু খারাপ তো, আপনার মাপের শার্ট পাওয়া যাইবো না।
- রাইখা দেন মামা, শার্ট লমু না। বাইরে থেকে একটা সেন্ডু গেঞ্জি কিন্না পইরা থাকুম। আমার মাপের পাওয়া যাইবো আশা করি।

দোকান থেকে বের হয়ে প্যান্টের দোকানে গেলাম,
- মামা প্যান্ট দেখান তো।
- কোমড় কত মামা?
- কোমার তো ৩১, আপনি ৩২ দেখান।
- ৩২" নিলে হাইট ছোট হবে। আর তাছাড়া থাইও টাইট হবে অনেক। ৩৫" কোমরেরটা নেন, পরে ৫০ টাকা দিয়ে কোমারটা ছোট করে নিয়েন।
- এইটা কোন কথা। নতুন প্যান্ট কেনার পরেই যদি কাটাতে হয়, তাহলে কেমন লাগে।
- আসলে আপনার হাইটের তুলনায় স্বাস্থ্যটা একটু খারাপ তো, তাই আপনার মাপের প্যান্ট পাওয়া যাবে না। দর্জি থেকে কাটিয়েই পরতে হবে।
- ঠিকই কইছেন মামা, আমার মাপের কোন প্যান্ট যেহেতু বানানি হয় না, তাইলে আমার প্যান্ট পরাই ছাইড়া দিতে হইবো। কাল থেকে লুঙ্গি পরা শুরু করুম। আমার মাপে লুঙ্গি এটলিস্ট পাওয়া যাইবো। আপনার দোকানে লুঙ্গি আছে? থাকলে দেখান।
- না মামা, লুঙ্গি তো নাই।
- ঠিক আছে তাইলে, অন্য দোকানে দেখি।

শার্ট বা প্যান্ট কেনার সময় এই অবস্থার শিকার প্রতিবারই হতে হয়। নিজের মাপের কাপড় কখনোই পাই না। সবচেয়ে বড় সাইজেরটা কিনে দর্জির কাছ থেকে কাটিয়ে নিতে হয়। যার ফলে কাপড়ের অরিজিনাল সেপটাই নষ্ট হয়ে যায় আর সেই সাথে এক্সট্রা খরচ তো আছেই। এভাবে আর কতদিন আমাদের মত অভাগাদের এই কষ্ট সহ্য করতে হবে? জিম করা বডি বিল্ডার কয়জনইবা আছে পুরো বাংলাদেশে। নতুন স্টাইল নামানোর পর সিক্সপ্যাক কাউকে মডেল না দিয়ে এভারেজ স্বাস্থ্য, হ্যাংলা-পাতলা, আর ভুঁড়িওয়ালাদের মডেল হিসেবে দেখালেই আমরা সাধারণ জনগণ বুঝতে পারবো, কোন কাপড়টা আমাদের মানাবে। যাদের বডি ভালো, তারা যেই কাপড় পরবে, ওইটাতেই সুন্দর লাগবে, এমনকি কাপড় না পরালেও সুন্দর লাগবে। কিন্তু সমস্যা হয় তো আমাদের মত হ্যাংলাদের। দেখানোর মত স্বাস্থ্য নাই বলে পোশাক পরেই নিজেদের একটু প্রদর্শন করি। সেই সুযোগ থেকেও আমাদের বঞ্চিত করা হচ্ছে।

যারা ফ্যাশন ডিজাইনিং লইয়া পড়ালেখা করে, তাদের প্রতি আমার অনুরোধ, "আপনারা শুধু বডি বিল্ডারদের জন্যই পোশাকের ডিজাইন কইরেন না। আমাদের মত স্বাস্থ্যহীনদের দিকেও একটু নজর রাইখেন। "

বিঃ দ্রঃ এতো টাকা দিয়ে কাপড় কেনার পরে দর্জির দোকানেই অর্ধেক ফালাইয়া দিতে হয়। তহন দুঃখে কইলজাটা ফেইল করার অবস্থা হইয়া যায়।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৮

সায়েল বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২১

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: দুঃখের কথা আর কী বলবো ভাই!!! :( :( :( :( :(

২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৯

জনৈক অচম ভুত বলেছেন: আপনার কষ্টটা ফিল করতে পারতেছি। :|

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২২

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: আমার কষ্টটা বুঝতে পারার জন্য ধন্যবাদ ভ্রাতা।

৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৮

গোধুলী রঙ বলেছেন: গ্যাবাডিন বা জিন্স এর কাপড় কিনে দর্জির কাছে যান, আপনার সাইজে বানাই নিয়া আসেন, আর নরমাল প্যান্ট শার্ট হলে তো টেইলর এভেইলেবল এর চেয়েও বেশি।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪২

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: রেডিমেট কাপড়ই বেশি কেনা হয়ে থাকে আর কি। টেইলরের কাছে বানালে সময়ও লাগে আবার খরচটাও একটু বেশি পড়ে যায়। তবে হ্যা, ফরমাল তো টেইলর ছাড়া গতি নেই।

৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩৭

আব্দুল্লাহ তুহিন বলেছেন: হা হা...তবে ভাই, লুঙ্গি একটি আরামদায়ক পোশাক! :-P

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৩

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: হাহাহা.....তা অবশ্য ঠিকই বলেছেন। সেই সাথে বিপদজ্জনকও বটে।

৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:০৮

প্রামানিক বলেছেন: দারুণ ঘটনা। এইটা শুধু আপনার নয় আমাদের বেলায়ও হয়। ধন্যবাদ

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: আমরা যারা ভুক্তোভূগি, তারাই জানি এটা কতটা প্যারাদায়ক। আপনাকেও ধন্যবাদ, আমার কষ্টের শরীক হওয়ার জন্য।

৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫০

আলী বলেছেন: কখনো হয়নি এই আজব গজব সমস্যা

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৩

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: আমার যে অবস্থা, প্রতিবারই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় ।

৭| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৩

জ্যোস্নার ফুল বলেছেন: চরম একটা কথা কইছেন, এভারেজ ফিগার গুলা আইকন করা উচিত।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: তা না হইলে তো আমরা যারা একটু বেশি সিলিম ফিগারের আছি, আমরা তো বুঝতে পারবো না, কোন পোষাকটা আমাদের ভালো মানাবে।

৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪১

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: আমারও সিক্সপ্যাক নাই তয় ফিট প্যান্ট শার্ট তো পাই!!!
খুঁজে দেখলেই পাবেন। আর খোঁজার ইচ্ছা না থাকলে লুঙ্গি তো আছেই। গরীবের শেষ সম্বল! =p~

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:১৩

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: জানি না আমার ক্ষেত্রেই এইটা কেন হয়। কাপড় কিনে কোনদিন সুবিধা করতে পারি নাই। ট্রায়াল দিয়ে কাপড় কিনি না এটাও একটা কারণ হতে পারে। তাই নিয়তি মিনে নিয়ে দর্জিকেই শেষ সম্বল হিসেবে বেছে নিলাম। আর লুঙ্গী হচ্ছে সর্বশেষ মোক্ষম অস্ত্র।

৯| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অামি অবশ্য ঢিলেঢালা পোশাকই পড়ি ।

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১১

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: আমারও আপনার পথ অনুসরণ করতে হবে। তাহলে আর প্রবলেম হবে না আশা করি।

১০| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:২৭

শাহাদাত হোসেন বলেছেন: আমি একবার একটা শার্ট কিনে ছিলাম আমার গায়ের চেয়ে বড়। দর্জির কাছে নিয়ে যাওয়ার পর শার্ট আমার গায়ের চেয়ে ছোট হয়ে গেলো!

২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:২৬

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: হাহাহাহাহাহা.. ফিটিং শার্ট না কিনলে এই সমস্যায় পড়তে হয়। আমার তো প্রায়ই এমন হয়।

১১| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০০

অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: শার্ট কেনার সময় আমাকেও এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। :(

০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৫৮

দিগন্ত জর্জ বলেছেন: আমার কষ্টটা আপনি বুঝলেন। :( :( :( :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.