![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২০০০ সালের ঘটনা। ৫ই মে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে, এমন একটা গুজব রটেছিলো তখন। তখন ফেসবুক ছিলো না, মানুষের মুখে মুখেই খবর রটে যেত। আমাদের পাশের গ্রামের এক লোক এই খবর শুনে তার বাড়ির গরু, ছাগল সহ আবাদী জমিও বিক্রি করে দিয়ে পছন্দের সব খাবার কিনে নিয়ে আসলো। “মরবোই যখন খেয়েই মরি” এমন একটা অবস্থা। মরার আগে নিজের সম্পদ ভোগ করে যেতে চেয়েছিলো। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, ২০০০ সালে ৫ মে পার হয়ে ১৬ সালের মে মাস চলে আসলো, কিন্তু পৃথিবী আর ধ্বংস হল না। বাকিটুকু ইতিহাস।
ফেসবুকে সেদিন একটা পোস্ট দেখলাম, “২৫ তারিখের পর কোন অবিবাহিত মেয়ে বেঁচে থাকতে পারবে না।" এটা দেখার পর একটু ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলাম এই ভেবে যে, "তাহলে কি আমার শেষ পর্যন্ত বিবাহিত নারীর সাথেই সংসার করতে হবে??" হঠাৎই একটা চিন্তা মাথায় আসলো, "আরে! আমি চাইলেই তো অবিবাহিত মেয়েদের বাঁচাতে পারি। এই তো সুযোগ এসেছে "মানুষ মানুষের জন্য'' প্রবাদের সার্থকতা প্রমাণ করার। "জান বাঁচানো ফরজ' বলে একটা কথা তো প্রচলিত আছেই। সবাইকে না হোক, অন্তত ২০/২৫ জনকে তো বাঁচাতে পারবো।"
যেই ভাবা সেই কাজ। সাক্ষী, কাজী সাহেব আর পাঞ্জাবী জোগাড় করে যখন "জীবন বাঁচানোর" অভিযানের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি, ঠিক তখনই ফেসবুকে আরেকটা পোস্ট দেখে চোখ আটকে গেল। "যে কোন সময় ঢাকায় বড় ভূমিকম্প হয়ে ২৭০০০ বিল্ডিং মাটির সাথে মিশে যাবে"- এটা দেখার পর আমার বাড়া ভাতে ছাই পড়লো মনে হল। নিজেই যেহেতু বাঁচতে পারবো না, তাহলে অন্যকে বাঁচিয়ে কী লাভ। তবে নিউজটা পড়ে বিশ্বাস করবো কী করবো না এটা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে গেলাম। যেই দেশের আবহাওয়াবিদরা 'কখন বৃষ্টি হবে' এটাই ঠিকমত প্রেডিক্ট করতে পারে না, তারা ভূমিকম্পের কথা কিভাবে সিওরীটি দেয়!!!
তবুও, সাবধানের মাইর নাই। শুভ কাজটা সেরেই ফেলা উচিত।
যাক সে কথা, আমি শুধু ওনলাইন সাংবাদিকদের বলতে চাই, "আপনারা এইসব নিউজ করার আগে, আমাদের গুলি করে মেরে ফেলেন। ভয়ে ভয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে একবারে মরে যাওয়া অনেক ভালো। আর তাছাড়া, পরীক্ষার্থীরা ভুমিপম্পের ভয়ে রাতে ঠিকমত পড়াশোনা করতে পারে না। "অর্থনীতি" পরীক্ষার আগে তারা "ভূমিকম্প থেকে বাঁচার ১০১ টি উপায়" বই নিয়ে রাত পার করে দেয়। সেই সাথে নব বিবাহিত দম্পত্তির কথাও চিন্তা করুন। কখন দৌড়ে বাসা থেকে বের হতে হবে- এই চিন্তায় ঠিক মত রোমান্টিক আলাপটাও করতে পারে না। নিউজ যদি করতেই হয়, গুপি গাইন, বাঘা বাইনের গল্প নিয়ে করুন। যদি ভূমিকম্পও হয়, এট লিস্ট হাসতে হাসতে মরতে পারবো।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:২৫
দিগন্ত জর্জ বলেছেন: দোয়াটা ফিল্টারিং করে করলে ভালো হয় ভাই। অনেক কষ্টে পড়ালেখাটা বাদ দিলাম। অর্থনীতি পরীক্ষা আর দিতে হবে না- এই আনন্দে অনেকদিন বেঁচে থাকতে ইচ্ছা করে।
২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২১
গেম চেঞ্জার বলেছেন: আসলেই!! অনলাইন পত্রিকাগুলো এতটাই মানহীন হয়ে পড়েছে যে, এখন ভাল ও গুণগত খবর তাদের কাছে খুব কমই পাওয়া যায়! ফাও, উল্টাপাল্টা নিউজ করে অনলাইন পেপারগুলোর উপযোগিতা শেষ করে দিচ্ছে!!!
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৫
দিগন্ত জর্জ বলেছেন: একটা ক্লিক পাওয়ার আশায় ওরা যাচ্ছেতাই নিউজ দিয়ে ভরে রাখে আর মানুষকে বিভ্রান্ত করে। কোন নিউজই এখন আর বিশ্বাস হয় না।
৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৪২
জনৈক অচম ভুত বলেছেন: আপনি এভাবে অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলিকে হেয় করতে পারেন না।
এই গরমে জনজীবন যখন অতিষ্ট, তখন তারা আমাদের মুখে একটুখানি হাসি ফোটানোর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আপনিই বলুন, নিশ্চিত মৃত্যু থেকে পরিত্রাণ পাবার যে আনন্দ, তার কি কোন তুলনা চলে?
স্যালুট তাদের, ফুটবলে কিক মারার স্টাইলে...
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭
দিগন্ত জর্জ বলেছেন: আমি অত্যন্ত দুঃখিত!! এভাবে হেয় করা ঠিক হয়নি। ওদের বিনোদন দেয়ার স্টাইলটা আমি একদম ধরতে পারি নি। তাদের প্রতি ক্ষমা প্রার্থনা করে, আপনার সাথে সাথে আমিও ফুটবলে কিক মারার স্টাইলে স্যালুট দিতে চাই।
৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৭
ফয়সাল রকি বলেছেন: জনৈক অচম ভুত বলেছেন: আপনি এভাবে অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলিকে হেয় করতে পারেন না।
এই গরমে জনজীবন যখন অতিষ্ট, তখন তারা আমাদের মুখে একটুখানি হাসি ফোটানোর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আপনিই বলুন, নিশ্চিত মৃত্যু থেকে পরিত্রাণ পাবার যে আনন্দ, তার কি কোন তুলনা চলে? )
স্যালুট তাদের, ফুটবলে কিক মারার স্টাইলে...
হা হা হা....
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৩৯
দিগন্ত জর্জ বলেছেন:
৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ভয় কী হে মরণে!
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৪০
দিগন্ত জর্জ বলেছেন: মরণকে তো আর ভয় পাই না। কিন্তু মরার ভয়টাকে ভয় পাই বেশি।
৬| ২৮ শে মে, ২০১৬ দুপুর ১:০১
পবন সরকার বলেছেন: "অর্থনীতি" পরীক্ষার আগে তারা "ভূমিকম্প থেকে বাঁচার ১০১ টি উপায়" বই নিয়ে রাত পার করে দেয়। সেই সাথে নব বিবাহিত দম্পত্তির কথাও চিন্তা করুন। কখন দৌড়ে বাসা থেকে বের হতে হবে- এই চিন্তায় ঠিক মত রোমান্টিক আলাপটাও করতে পারে না। নিউজ যদি করতেই হয়, গুপি গাইন, বাঘা বাইনের গল্প নিয়ে করুন। যদি ভূমিকম্পও হয়, এট লিস্ট হাসতে হাসতে মরতে পারবো।
কথা ঠিকই বলেছেন।
২৮ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৪:১০
দিগন্ত জর্জ বলেছেন: ধন্যবাদ।
৭| ২৫ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:২৯
হাতুড়ে লেখক বলেছেন: “মরবোই যখন খেয়েই মরি”[/su
ছোটবেলা থেকেই টাকা জমানোর নেশা ছিল। আমার তখন ৭/৮ বৎসর বয়স। একদিন শুনলাম আগামীকাল পৃথিবী ধ্বংশ হয়া যাবে!! অনেক কষ্টের জমানো মাটির ব্যাংকটা তাড়াতাড়ি ভেঙ্গে ফেললুম। মরেই যদি যাই টাকাগুলো আর রেখে যাওয়া কেন?
প্রায় ৫০০টাকার মত জমিয়ে ছিলুম। ৫০০টাকা মচমচিয়ে খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলে আল্লাহর নাম নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লুম।
সকালবেলা উঠে দেখি পৃথিবী ধ্বংশ হয় নাই। সবচেয়ে বড় কথা আমি মরি নাই। ৫০০টাকা খোয়ানোর আফসোসটা ভুলেই গিয়েছিলুম। আপনার পোস্ট দেখে পুরান ক্ষতে জ্বালা ধরলো।
আমার ৫০০ টেহা ফেরত দেন!!
২৬ শে জুন, ২০১৬ সকাল ১০:২৯
দিগন্ত জর্জ বলেছেন: আপনার বিয়োগে আমি অতিশয় কষ্টান্বিত। হালখাতা বসান, টেকা লইয়া আইতাছি। তয়, একবারে ৫০০ টাকা দেয়ার সামর্থ নাই। কিস্তিতে শোধ করুম।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১১
ইন্দ্রনীলা বলেছেন: আর তাছাড়া, পরীক্ষার্থীরা ভুমিপম্পের ভয়ে রাতে ঠিকমত পড়াশোনা করতে পারে না। "অর্থনীতি" পরীক্ষার আগে তারা "ভূমিকম্প থেকে বাঁচার ১০১ টি উপায়" বই নিয়ে রাত পার করে দেয়।
আমি তো অর্থনীতি পরীক্ষার আগে ভূমিকম্পে আমিসহ পৃথিবী ধ্বংসের দোয়া করতেছিলাম। বেঁচে থাকলে আমি এবং আমার মত আরও কত শত মানুষকে পরীক্ষার ভয়ে বার বার মরতে হবে কে জানে?