নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দ আমার শেষ অস্ত্র

তুমি স্বপ্ন যখন দেখ, আমি দুঃস্বপ্নের কবি তুমি আশায় বাঁধো বুক, আমি নৈরাশ্যে ডুবি সব মৃত্যু ছায়ার ছবি, যা চতুর্দিকে দেখি সে দৃশ্যকল্পের প্রতিচ্ছবি শব্দ দিয়ে আঁকি ।

ডিজাস্টার

Dreams and reality I deal with both. One is a psycho the other is a rouge. Dreams take my soul reality get my body. I'm turned into a robot, my footprints are bloody....

ডিজাস্টার › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুপ্তসংঘ [[ ধারাবাহিক ফ্যান্টাসি থ্রিলার ]] - সূচনা

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১০



জেনারেল নিজের কমান্ড রুমে একা বসে আছেন । বাইরে আকাশ টা লালচে – সন্ধ্যা নেমে আসছে । আক্ষরিক অর্থেই গ্যালাক্সিতে সন্ধ্যা নেমে আসছে । তার সামনে একটা কাঁচের ডিসপ্লে তে একটা চকচকে বর্ম , সাথে শিরস্ত্রাণ, দস্তানা । শুধু একটা সমস্যা, এই বর্ম বা আরমার টা জেনারেল বা বা অন্য কারো দেহের আকৃতিতে নয় । বহুদিন ধরেই একটা উপকথা প্রচলিত ছিল যে এই আরমার টা একটা অন্য বুদ্ধিমান প্রজাতির প্রাণীদের দেহের উপযোগী করে তৈরি । তাতে কিছু আসে যায় না – গ্যালাক্সি জুড়ে এমন অনেক আজেবাজে রুপকথা ছড়িয়ে আছে, জেনারেল এসব কথায় কান দেয়ার মত লোক নন ।
একটা প্রাচীন, অদ্ভুতুড়ে আরটিফ্যাক্ট – যা কিনা কালেক্টরদের পাগলামির বস্তু – জেনারেলের আগ্রহ জাগাত না কখনোই । শুধু গত বছর, বিজ্ঞান একাডেমির মহাপরিচালক আবিষ্কার করেন যে আরমার টা কোন সাধারণ এন্টিক নয়, এটা কাজ করে । এবং তাত্ত্বিক ভাবে , আরমারের আকৃতির প্রাণীরা এটা যদি পড়তে পারে তবে এই আরমারের ক্ষমতা হয়ে দাঁড়াবে প্রায় অসীম । স্বভাবতই এর নাম হয়ে দাঁড়ায় গডস আরমার – ঈশ্বরের বর্ম । সেটাও বিজ্ঞানী আর সরকারের মাথাব্যাথা ছিল, জেনারেলের না । গতকাল পর্যন্ত ।

এখন গ্যালাক্সিতে দুটি রাজনৈতিক জোটের ভিতর প্রায় যুদ্ধাবস্থা, এবং জেনারেলের বিরোধী জোট এই আরমারের খোঁজে আছে । ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের খবর অনুযায়ী তারা কোন একভাবে এই আরমারের শক্তি ব্যবহার করার পদ্ধতি খুজে পেয়েছে । তারপর থেকেই এই আরমার জেনারেলের একদম নিজের দুর্ভেদ্য দুর্গের ভিতর স্থানান্তরিত হয় । আর গতকাল...
গতকাল সন্ধ্যার মিটিং টা এখন কেমন যেন ভাসা ভাসা লাগছে ।
একাডেমীর প্রধান এস্ট্রোনমার একা দেখা করতে এলেন । হাইপার স্পেসে যুদ্ধে এস্ট্রোনমার দের সাহায্য লাগে, তাই বলে চীফ এস্ট্রোনমার নিজে? তাও রুদ্ধদার মিটিং? বুঝাই গেল চীফ এস্ট্রোনমার বেশিরকম নার্ভাস । কোনমতে বসল । তারপর, কোন ভূমিকার ধার না ধেরে প্রায় ফিসফিসিয়ে একটা বোমা ফাটাল,
“গডস আরমার পুরোপুরি নিখুঁত ভাবে মিলে যাবে – এমন দৈহিক কাঠামোর প্রাণীদের খোজ পেয়েছি আমরা”
জেনারেলের মনে হল লোকটা আবল তাবল বকছে – তারপর, দু সেকেন্ড পরে তিনি বুঝলেন ব্যাপারটার গভীরতা কত । সুপ্রাচীন কালের এক রুপকথা বাস্তব হয়ে গেছে! তাও গ্যালাক্সি জুড়ে এক সংঘাতের সময়!
“কোথায়?” , জেনারেলের গলার স্বর চীফ এস্ট্রোনমারের চাইতেও নিচু ।
একটা ফাইল বাড়িয়ে দিলেন চীফ এস্ট্রোনমার, “কো অরডিনেট, আর অন্যান্য ডিটেইল দেয়া আছে ।”

এখন, একটু পরে তার সেরা এবং বিশ্বস্ত তিনজন কোমান্ডো আসবে । ইতিহাসের সবচে গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু গোপন মিশনে তারা এই আরমার টা নিয়ে যাবে সেই প্রানীদের গ্রহে । যদি একটা রিক্রুট পাওয়া যায় – এই যুদ্ধের চেহারাই পালটে যাবে । আর যদি বর্মের নাম অনুসারে, প্রাণীগুলা আসলেই ঈশ্বরের মত হয় ... আর ভাবলেন না জেনারেল । হয়ত গ্যালাক্সি হবে তাদেরই ।

তিন কোমান্ডো কক্ষে ঢুকল । আরমারটা নিয়ে যাবে । নিয়ে যাবে গ্যালাক্সির একদম প্রান্তের একটা আপাত গুরুত্বহীন সৌরজগতে । সেই প্ল্যানেটারি সিস্টেমের তিন নম্বর গ্রহটায় থাকে সেই অদ্ভূত গড়নের প্রানীগুলো – মানুষ ।















মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:১৫

বিজন রয় বলেছেন: এটা কি প্রথম পর্ব?

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:২১

ডিজাস্টার বলেছেন: ঠিক প্রথম পর্ব নয় -- সূচনা । একটু বেশি সাইফাই মার্কা হয়ে গেছে -- বাট মেইন স্টোরি এতটা সাইফাই মার্কা হবে না ।

২| ১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:৩৮

বিজন রয় বলেছেন: লিখুন পর্যায়ক্রমে। আবশ্যই পড়বো।

শুভকামনা।

১৬ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:২২

ডিজাস্টার বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.