নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অসহ্য জীবনের ব্যথা
(প্রায় ১৫০২ – ১৫ এপ্রিল ১৫৫৮)
হুররেম সুলতান
রোক্সেলানা হিসেবেও পরিচিত।"রোক্সেলানা" সম্ভবত তার মূল নাম নয় বরং তার ডাকনাম ছিল, যা তার রুসাইন বংশসূত্রকে নির্দেশ করত।১৬শ-শতাব্দীর পরবর্তী এবং ১৭শ- শতাব্দীর শুরুর দিকে তুর্কি বিষয়ে গবেষক পোলিশ কবি সামুয়েল ত্বারদভস্কির দেয়া তথ্য অনুসারে, হুররেম সম্ভবত কোন ইউক্রেনীয় অর্থোডক্স ধর্মযাজক পিতার ঘরে জন্ম নিয়েছিলেন। তিনি পোল্যান্ড রাজ্যের রুথেনীয় ভয়ভডেশিপের প্রধান শহর ল্বও-এর ৬৮ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বের রুহাটাইন নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন (বর্তমান পশ্চিম ইউক্রেন)।১৫২০-এর দশকে ক্রিমিয়ার তাতাররা ওই এলাকার একটি তড়িৎ অভিযানের সময় তাকে বন্দী করে একজন দাসী হিসেবে নিয়ে আসে (সম্ভবত প্রথমে ক্রিমিয়ার নগরী কাফফায়, যা দাস ব্যবসার একটি প্রধান কেন্দ্র, এরপর কনস্টান্টিনোপলে) এবং তাকে প্রথম সুলাইমানের হারেমের জন্য বাছাই করে।
অল্প সময়ের মধ্যেই রোক্সেলেনা তার মনিব সুলায়মানের সুনজরে চলে আসেন এবং সমসাময়িক প্রতিদ্বন্দ্বীদের ঈর্ষার পাত্রীতে পরিণত হন। শীঘ্রই তিনি সুলায়মানের প্রিয়তম সঙ্গিনী বা হাসেকি সুলতান হয়ে ওঠেন। সুলতানের উপর হুররামের প্রভাবের কথা দ্রুত আশেপাশের সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। তিনিই সুলতানের সর্বাধিক সংখ্যক সন্তানের জন্ম দেন।
উসমানীয় সম্রাট প্রথম সুলাইমানের প্রিয়তম প্রমোদ দাসী ও পরবর্তীকালে তার বৈধ স্ত্রী এবং সম্রাটের সন্তান শাহজাদা মুহাম্মদ, মিরহিমাহ সুলতান, শাহজাদা আবদুল্লাহ, সুলতান দ্বিতীয় সেলিম, শাহজাদা বায়েজিদ এবং শাহজাদা জাহাঙ্গীরের মাতা ।
দুইশত বছরের অটোম্যান ঐতিহ্যকে ভঙ্গ করে, একজন প্রাক্তন উপপত্নী এভাবে অবশেষে সুলতানের বৈধ পত্নী হয়ে ওঠে, যা প্রাসাদ ও নগরীর প্রত্যক্ষদর্শীদের জন্য অত্যন্ত হতবাককারী একটি বিষয় ছিল।
তিনি ছিলেন উসমানীয় ইতিহাসের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর নারীদের মধ্যে একজন এবং নারীদের সালতানাত নামে পরিচিত । তার স্বামী প্রথম সুলায়মানের শাসনকালে তিনি সুলতানের প্রধান স্ত্রী বা "হাসেকি সুলতান" ছিলেন। তিনি তার স্বামীর মাধ্যমে ক্ষমতা অর্জন করে ।
প্রাসাদে প্রভাব বিস্তার
ইস্তাম্বুলের হেরেমে হুররেম সুলতান সুলায়মানের প্রথম স্ত্রী, মাহিদেভরান সুলতানের একজন শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠেন। ১৫২১ সালে হুররেম তার প্রথম পুত্র মেহমেদের জন্ম দেন এবং এরপর আরও চার পুত্র, যা সুলতানের একমাত্র পুত্রের মাতা হিসেবে অর্জিত মাহিদেভরানের মর্যাদাকে ধূলিসাৎ করে দেয়। সুলায়মানের মাতা, আয়শে হাফসা সুলতান, এই দুই মহিলার শত্রুতাকে একপাক্ষিকভাবে গোপন রাখতেন কিন্তু ১৫৩৪ সালে তার মৃত্যুর পর, একটি তুমুল লড়াই সঙ্ঘটিত হয়, যেখানে মাহিদেভরান হুররেমকে মারধর করেন। এ ঘটনায় সুলাইমান ক্ষুব্ধ হয়ে পরবর্তীতে মাহিদেভ্রানকে পুত্র মুস্তফা সহ প্রাদেশিক রাজধানী মানিসায় পাঠিয়ে দেন। এই নির্বাসনকে দাপ্তরিকভাবে সবার কাছে দেখানো হল যে, এটি হল সাঞ্জাক বেয়লিজি বা আপাত উত্তরাধিকারীর প্রথাগত প্রশিক্ষণ।
হুররেম এবং মাহিদেভরান মিলে সুলাইমানের ছয় পুত্রসন্তানের জন্ম দেন, যাদের মধ্যে ৪ জন ১৫৫০ সালের মধ্যে জীবিত ছিল: মুস্তফা, সেলিম, বায়েজিদ, ও জাহাঙ্গীর। এদের মাঝে, মুস্তাফা ছিল বয়োজ্যেষ্ঠ উত্তরাধিকারী হিসেবে হুররেমের সন্তানের অগ্রবর্তী ছিলেন। হুররেম জানতেন যে নিয়মানুসারে মুস্তাফাই সুলতান হবে, এবং তার নিজ সন্তানদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হবে। তথাপি মুস্তফাও সকল ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে বিচক্ষণ বলে অনেকেই তাকে প্রাধান্য দিত এবং পারগালি ইব্রাহীম পাশাও তাকে সমর্থন করতেন, যিনি ১৫২৩ সালে সুলতানের প্রধান উজির হন। অনেক তথ্যসূত্রে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, ইব্রাহিম পাশা হুররেম সুলতানের চক্রান্ত ও প্রাসাদে তার উঠতি প্রভাবের একজন ভুক্তভোগী ছিলেন, বিশেষ করে অতীতে শাহজাদা মুস্তফাকে সমর্থন করার কারণে। হুররেমকে অন্তত আংশিকভাবে হলেও উত্তরসূরি বাছাই করার চক্রান্তের জন্য দায়ী বলে ধরা হয়। তবে সুলায়মানের স্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তিনি দাপ্তরিক ও সরকারি কোন কাজে ভূমিকা রাখতেন না। এই বিষয়টি তার শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারে প্রতিবন্ধক ছিল। প্রথম আহমেদের শাসনামলের আগপর্যন্ত সাম্রাজ্যে সুলতানের মৃত্যু হলে, উত্তরসূরি নির্বচনের কর্মকাণ্ডে বেসামরিক অস্থিরতা ও বিদ্রোহ প্রতিহত করতে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজপুত্রদের গোপনে বা প্রকাশ্যে হত্যা করা হতো। নিজ পুত্রদের প্রাণদণ্ডকে এড়াতে, হুররেম মুস্তাফার অভিশংসনের সমর্থকদের নির্মূল করতে নিজ প্রভাবকে কাজে লাগাতে শুরু করলো।
এভাবে হুররেমের প্ররোচনায় পরিচালিত ক্ষমতার লড়াইয়ে,সুলাইমান ১৫৩৬ সালে ইব্রাহিমকে খুন করেন এবং এবং তার কন্যা মিহিরমার স্বামী ও তার স্নেহভাজন জামাতা রুস্তম পাশাকে (প্রধান উজির ১৫৪৪-১৫৫৩ এবং ১৫৫৫-১৫৬১) তার স্থলাভিষিক্ত করেন। বহু বছর পর, সুলায়মানের দীর্ঘ শাসনামলের শেষের দিকে, তার পুত্রদের শত্রুতা আরও স্পষ্ট ও প্রকট আকার ধারণ করে। অধিকন্তু, রুস্তম পাশা ও হুররেম সুলতান উভয়ই সুলায়মানকে মুস্তফার বিরুদ্ধে উসকিয়ে দেন এবং মুস্তফাকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। ১৫৫৩ সালে সফভীয় ইরানের বিরুদ্ধে অভিযানকালে, সুলতান সুলায়মান মুস্তাফার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।একটি তথ্যসূত্র অনুসারে, সে বছর তিনি তার বাবাকে সিংহাসনচ্যুত করার পরিকল্পনার অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়, তার অভিযুক্ত হওয়ার কারণটি প্রমাণিত ও অপ্রমাণিত হওয়ার মাঝখানে আঁটকে থাকে।মুস্তফার মৃত্যুর পর, মাহিদেভরান প্রাসাদে তার অবস্থান হারান (আসন্ন উত্তরাধিকারীর মা হিসেবে) এবং বুরসায় গিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে থাকেন। শেষের দিকে তার সৎপুত্র দ্বিতীয় সেলিম সুলতান হওয়ার পর (১৫৬৬) তাকে নিয়মিত ভাতা দেয়ার ব্যবস্থা করায় তাকে আর দারিদ্রে ভুগতে হয় নি। ১৫৫৮ সালে হুররেমের মৃত্যুর পরেই কেবলমাত্র তার পুনর্বাসন সম্ভবপর হয়।কথিত আছে যে, জাহাঙ্গীর, হুররেমের কনিষ্ঠ সন্তান, তার সৎ-ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে বেদনাকাতর হয়ে কয়েক মাস পরেই মারা যান।
১৫৫৩ সালে সুলায়মান মুস্তাফাকে প্রাণদণ্ড দেয়ার পর, সৈন্যদের মধ্যে একটি বড়মাপের অসন্তুষ্টি ও অস্থিরতার উত্থান হয় যারা রুস্তম পাশাকে মুস্তফার মৃত্যুর জন্য দায়ী করেন। এ ঘটনায় সুলায়মান রুস্তম পাশাকে বরখাস্ত করেন এবং ১৫৫৩ সালে কারা আহমেদ পাশাকে প্রধান উজির হিসেবে নিয়োগ দেন। কিন্তু সবে দুই বছর পর, কারা আহমেদ পাশাও হুররেম সুলতানের নোংরা চক্রান্তের স্বীকার হন, কারণ হুররেম তার জামাতা রুস্তম পাশাকেই আবারও প্রধান উজির হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। ১৫৫৫ সালে কারা আহমেদ পাশাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় এবং রুস্তম পাশাকে আরও একবার প্রধান উজির (১৫৫৫-১৫৬১) হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
সুলায়মান বাকি জীবনে রাজসভাতেও হুররেমকে তার সাথে থাকতে দেন, যার ফলে আরেকটি প্রথা ভঙ্গ হয়, আর তা হল, যখন সাম্রাজ্যের উত্তরাধিকারীগণ উপযুক্ত বয়সে পৌঁছুবে, তাঁদেরকে তাঁদের রাজ উপপত্নীসহ (উত্তরাদিকারিদেরকে তাঁদের মাতাসহ) নিকটস্থ প্রদেশে শাসনের জন্য পাঠিয়ে দেয়া হবে, উক্ত উপপত্নীদের সন্তান ক্ষমতায় বসার আগ পর্যন্ত তারা ফিরে আসতে পারবে না।সুলতানের রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবেও হুররেম ভূমিকা পালন করেছেন, এবং প্রতীয়মান হয় যে তিনি বৈদেশিক নীতি ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও প্রভাব রেখেছিলেন।রাজা সিগিসমন্ডাস দ্বিতীয় অগাস্টাসকে প্রেরিত তার দুটি চিঠি এখনো টিকে আছে, এবং স্বভাবতই তার জীবদ্দশায় পোলিশ- অটোমান মৈত্রীচুক্তির মাধ্যমে পোল্যান্ড রাজ্যের সঙ্গে অটোম্যান সাম্রাজ্যের শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান ছিল। করেছিলেন এবং সাম্রাজ্যের রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছিলেন।
হুররেম সুলতান ১৫ ই এপ্রিল ১৫৫৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন । সুলায়মানের সমাধির পাশেই তার সমাধি অবস্থিত, যা সুলায়মানিয়ে মসজিদের প্রাঙ্গনে অবস্থিত
সূত্র-
১। উইকিপিডিয়া
২। অনলাইন পত্রিকা
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:০৪
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: হা হা
পোষ্ট পাঠ এবং মন্তব্যে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া ।
২| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:০০
জহিরুল ইসলাম কক্স বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট। ধন্যবাদ
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:০৬
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: শুভেচ্ছা জানবেন ভাইয়া ।
৩| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:০৯
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: ভায়োলেন্স বলেছেন: ভাই ধন্যবাদ পোস্টির জন্য। দীপ্ত টিভিতে সুলতান সুলেয়মান দেখে আর সময় নষ্ট করবো না।
হা হা হা
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:০৭
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: প্রিয় ছড়াকার ভাল আছেন নিশ্চয় !
বিলম্বিত ঈদ মোবারাক ।
৪| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:২৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
দিনে আপনার পোস্টটা পড়েছিলাম, মন্তব্য করতে হয়তো ভুলে গিয়েছিলাম; অটোম্যানদের সময় ইউক্রেন, পোল্যান্ড এর লোকজন শিক্ষায় এগিয়ে গিয়েছিল; সেই কারণেই হয়তো এই রাণী নিজকে ভালোভাবে প্রতিস্ঠিত করতে পেরেছিলেন।
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৪৯
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: সামান্য দাসী থেকে বিশাল সাম্রাজ্যের অধিকারিনী হওয়া !!
নিশ্চিত শিক্ষা-বুদ্ধি সব কিছুই ছিল।তিনি যে একজন কুচক্রী ছিলেন তাও অস্বীকার করা যায় না।
ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই ।
৫| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:২৪
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: খোদা তরে শোকরিয়া
আছি বেশ ফুরফুরে;
তোমায় ''ঈদ মোবারাক''
যদিও বা লেট করে।
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ৯:৫০
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: দারুন হে প্রিয় ছড়াকার।
ভাল থাকুন -সুস্থ থাকুন
ধন্যবাদ
৬| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩০
সাহসী সন্তান বলেছেন: গতকাল রাত্রে আপনার পোস্টটা পড়ছিলাম, কিন্তু ঘুম জড়ানো চোখে ছিলাম বলে আর মন্তব্য করতে পারি নাই! বেশ ইন্টারেস্টিং একটা টপিক নিয়ে লিখছেন! সামান্য দাসী থেকে চাকরাণী হওয়ার ঘটনা যদিও ইতিহাসে বিরল নয়, কারণ রাজা বাদশাদের আমলের ইতিহাস পড়লে এমন ঘটনা বহু পাওয়া যাবে! তথাপিও হুররেম সুলেমানের ব্যাপারটা আসলেই সম্পূর্ণ আলাদা!
পোস্টে ভাল লাগা! শুভ কামনা জানবেন!
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:০৭
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন:
শহর থেকে গ্রামে যখন যাই আমার আম্মাকে দেখি, মাগরিব নামায শেষ করেই তিনি দীপ্ত টিভিতে চলমান সিরিয়াল সুলতান সুলেমান দেখতে বসে যান ।সেই সাথে মায়ের পাশে বসে আমাকেও দেখতে হয় ।আমি যেহেতু সব গুলা পূর্ব দেখি নাই-মা আমাকে অল্প অল্প করে পুরা কাহিনী বোঝিয়ে দেন এবং কে কোন টা তাও আমাকে বলে দেন । বাড়িতে যতদিন ছিলাম সিরিয়াল্টা আমাকেও খুব টেনেছে -সেখান থেকেই হুররাম সুলতান সম্পর্কে জানার আগ্রহ বেড়ে গেল ।নেট ঘেটে যাপেলাম তা সবার সাথে শেয়ার করলাম ।
আপনার সুন্দর ঘটনমূলক মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ ।
ভাল থাকবেন ।
৭| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১
কল্লোল পথিক বলেছেন:
চমৎকার তথ্য সমৃদ্ধ পোস্ট।
১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ৮:০৯
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ পথিক দা ।
বিলম্বিত ঈদের শুভেচ্ছা।
৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:১১
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: দারুণ পোস্ট।
১৬ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রপা ভাই ।
ঈদের শুভেচ্ছা জানবেন ।
৯| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৫০
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: দীপ্ত টিভিতে সিরিয়ালটি দেখছি। সিরিয়ালটিতে বহু বিকৃতি রয়েছে। যেমন, নিগার কালফার চরিত্র সম্পূর্ন বানোয়াট। ইব্রাহিমের সাথে তার স্ত্রীর সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার ছিল, যা তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চের অন্যতম বিষয়। নিগার দিয়ে ইব্রাহিমের চরিত্র বিকৃতি একেবারেই অনুচিতভাবে দেখানো হয়েছে।
হুররেম তার যাদুকরী আকর্ষনে সুলতানকে মোহাবিষ্ট করলেও ইব্রাহিমের পতনের কারন হিসেবে শুধু হুররেমের চক্রান্ত দায়ী নয়। ইব্রাহিম শেষের দিকে বেশ স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠেন। জনমতও তার বিপক্ষে চলে যায়। সুলতান শেষতক বাধ্য হন তাকে হত্যা করতে। যা হোক, অটোম্যান সাম্রাজ্যের প্রতি ইব্রাহিমের অবদান তুলনাহীন। তার কারনেই অটোম্যান সাম্রাজ্য ইউরোপে সম্প্রসারন হয়েছিল। এর পেছনে মূল ভূমিকা ছিল ইব্রাহিম তথা তার ইতালিয়ান উপদেষ্টা এলভিস গ্রিটির। আজ কয়েক শতক পরে ইব্রাহিম পাশা সাধারন মানুষের ভালবাসা পেয়েছেন। তার কবরে এখন মানুষের আনাগোনা অনেক বেড়েছে। এবং ইন্টারনেট সাইটে মানুষের মন্তব্য, "আল্লাহ তার প্রতি রহমদিল হোন।"
হুররেম অনেক চ্যারিটেবল কাজ করে যায়। যার ফলে তিনি প্রজাদের কাছে জনপ্রিয় ছিলেন। কিন্তু তিনি বায়েজিদকে সুলতান হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন। এই চক্রান্তের শিকার মুস্তফা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে হুররেমের মৃত্যুর পরে বায়েজিদও নিহত হন অন্য শাহজাদা সেলিমের হাতে। সেলিমের থেকেই পতনের শুরু হয় অটোম্যান সাম্রাজ্যের। সেলিম মদ্যপায়ী ছিলেন এবং মদপানের উপরে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেন। কমতে থাকে সাম্রাজ্যের পরিধি। বায়েজিদ কিংবা মুস্তফা সুলতান হলে অটোম্যান ইতিহাস হয়ত বদলে যেত।
হুররেম কন্যা মিহরিমাহ সেলিমের সময়ে বালিদ সুলতানার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ইতিহাসের এক প্রভাবশালী সুলতানা।
১৬ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০২
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: আপনার বিস্তারিত মন্তব্যে আমার পোষ্ট আরো তথ্য সমৃদ্ধ হল ।
ধন্যবাদ ভাই ।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৫ পোষ্ট হওয়া ব্লগার ইছামতির তী্রে ভাইয়ের পোষ্ট থেকে জানতে পারি -
"[সদ্য চালু হওয়া দেশের ২৬তম টিভি চ্যানেল ‘দীপ্ত টিভি’তে বাংলায় ডাবিং করা তুরস্কের জনপ্রিয় সিরিজ ‘মুহতেশেম ইউযিউয়েল’ বাংলায় ‘সুলতান সুলেমান’ প্রচারিত হচ্ছে। এটি নির্মিত হয়েছে উসমানীয় সাম্রাজ্যের সবচেয়ে দীর্ঘতম সময়ব্যাপী রাজত্ব বিস্তারকারী উসমানীয় সম্রাট প্রথম সুলাইমান, তাঁর স্ত্রী হুররেম সুলতান এবং তাদের এক কৃতদাসী নারীর জীবনীর উপর ভিত্তি করে, যিনি পরবর্তীতে সুলায়মানের স্ত্রী হিসেবে সম্মানিত হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেন।
এই সিরিজটার বিরুদ্ধে ৭০ হাজার অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং একজন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের গোপনীয়তাকে ভুলভাবে প্রদর্শনের গুরুতর অভিযোগ আছে। এমনকি তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রেসেপ তায়িপ এরদোয়ান ধারাবাহিকটিকে ‘তরুণ প্রজন্মের কাছে তাদের ইতিহাসকে নেতিবাচক আলোকে প্রদর্শন করার একটি প্রয়াস’ হিসেবে নিন্দা করেন। একে পার্টির একজন সংসদ সদস্য অকায় সারাল আরও একধাপ এগিয়ে মুহতেশেম ইউযিউয়েলের মত সিরিজে "ঐতিহাসিক ব্যক্তিগণকে ভুলভাবে তুলে ধরার" কারণে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবার হুমকি দেন।]
১০| ১৬ ই জুলাই, ২০১৬ ভোর ৬:২২
কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: অন্দরপুরের দীপ্ত টিভির মহান দর্শককূলে এডভান্স কাহিনী কৈয়া খুব ক্রেডিট নিলাম।হ্যাগো কাছে আমি অহন বিরাআআআট জ্ঞাণী।ভালো জ্বালায়ও পড়ছি।সবাই খালি জিগায়,তারপর কি হৈবো..................
১৬ ই জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:০৬
এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: হা হা !
প্রিয় ছড়াকার আপনার এহেন অবস্থায় এক ডিব্বা সমবেদনা
১১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:২৩
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পড়ে ভালো লাগলো।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১২:৪৫
ভায়োলেন্স বলেছেন: ভাই ধন্যবাদ পোস্টির জন্য। দীপ্ত টিভিতে সুলতান সুলেয়মান দেখে আর সময় নষ্ট করবো না।