নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর সবচাইতে নির্মম সত্য,এবং একই সাথে সবচেয়ে সস্তা বাস্তবতা উপরওয়ালা যা করে,তা মানুষের ভালোর জন্যেই করে

এডওয়ার্ড মায়া

অসহ্য জীবনের ব্যথা

এডওয়ার্ড মায়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুক রিভিউ- কালো মেয়ে ,লেখক কাসেম বিন আবু বাকার

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬



হামিদুর রহমান,হাফিজুর রহমান দুই ভাই।হাফিজুর বড় ,হামিদুর ছোট ।তাহারা গ্রামের উচ্চবিত্ত পরিবার।জমিজমা আছে অনেক।তাদের জমি বর্গা চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে গ্রামের অনেক।গ্রামের এই বর্গা চাষীর মেয়ে সাজেদা বেগমকে ভাল লেগে যায় হামিদুর রহমানের।
পরিবারের আপত্তি থাকার পরেও পরিবারের সুখ শান্তির কারনে হাফিজুর রহমান ছোট ভাইয়ের বিয়ে মেনে নেয়।
হাফিজুর রহমানের স্ত্রী নাবিলা বেগম এবং এক ছেলে ফায়জুর রহমান।
হামিদুর রহমানের স্ত্রী সাজেদা দেখতে কালো।শুধু কালো নয় কুচকুচে কালো।
হামিদুর রহমানের একটি মেয়ে আছে নাম রাবেয়া বেগম।
রাবেয়ার বয়স যখন তিন তখন হাফিজুর রহমানের স্ত্রী নাবিলা বেগম এবং ছোট ভাই কয়েক দিনের ব্যবধানে ছোট ভাই হামিদুর রহমান পক্স হয়ে মারা গেলেন।
তারপর
গ্রামের ঈদরীশ মৌলভির পরামর্শে হাফিজুর রহমান ছোট ভাইয়ের বউকে নিহাহ করে।
হাফিজুর রহমানের ছেলে ফায়জুর রহমান তার চাচী এবং বাপের বিয়ে মেনে নিতে পারেনি।
তাই সে এস,এস,সি পরীক্ষার পর ঢাকা চলে যায় ,কলেজে ভর্তি হয়।সে আর বাড়ি আসেনি।
ছোট বোন রাবেয়া ফায়জুর রহমান কে চিঠি লিখে সে যেন বাড়ি আসে।
ফায়জুর এইচ,এস,সি পরীক্ষা দেয়ার পরও সে বাড়ি আসেনি।
হাফিজুর রহমান ঢাকা যায় ছেলেকে বাড়িতে ফেরত আনতে এবং তারা রাবেয়া বেগম এর সাথে ফায়জুরের বিয়ে ঠিক করে।
ফায়জুর সাফ জানিয়ে দেয় সে বাড়ি যাবেনা ,রাবেয়া কে বিয়েও করবে না।
অত;পর বাপ-বেটার যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
ফায়জুর নিজ উদ্দেগ্যে ভার্সিটি ভর্তি হয় ।উচ্চশিক্ষা লাভ করে বন্ধুর বোন হেমাকে বিয়ে করে।
তাদের এক ছেলে হয় নাম সৈকত।
এদিকে রাবেয়া বেগমের বিয়ে হয় গ্রামের এক ছেলের সাথে।হাফিজুর রহমান তাকে ঘর জামাই হিসেবে রেখে দেয়।
সেই রাবেয়া বেগমের এক মেয়ে হয় নাম আসিয়া বেগম।
ফায়জুর রহমানের ছেলে সৈকত এবং রাবেয়া বেগমের মেয়ে আসিয়া বেগম।
তাদের নিয়েই কাসেম বিন আবু বাকারের "কালো মেয়ে" উপন্যাস।

উপন্যাসের ভুমিকায় কাসেম বিন আবু বাকার লিখেন-

"এ উপন্স্যাসের নায়িকা কালো।শুধু কাল নয় অসম্ভব কালো।এই কারনে ছোট বেলা থেকে সবার কাছ থেকে উপেক্ষিত।তাই জ্ঞান হবার পরে প্রতিজ্ঞা করে,ডাক্তার হবে এবং চির কুমারী থেকে গ্রামের দু;স্থ মানুষের সেবা করে জীবন কাটিয়ে দিবে কিন্তু মেডিকেলে পড়ার সময় ভাগ্যের বেড়াজালে জড়িয়ে পড়ল------------------------------------! "

আসিয়া বেগম ঢাকা মেডিকেলে চান্স পেয়ে ভর্তি হয়।এদিকে ফায়জুর রহমানের ছেলে সৈকত ভর্তি হয় ঢাকা মেডিকেলে।
কেউ কারো পরিচয় জানে না।
অতঃপর
অনেকটা ভারতীয় বাংলা জিৎ কিংবা দেবের সিনেমার মত এগিয়ে যায় উপন্যাসের কাহিনী ।
মেডিকেল কলেজে বোরকা পড়ে,হাত,পায়ে মৌজা লাগিয়ে আসিয়া বেগম ক্লাস করতে আসে।সৈকত দাঁড়িয়ে থাকে কলেজের করিডরে।
বোরকা পড়া আসিয়া বেগম কে দেখে প্রেমে পড়ে যায় সৈকত।
সৈকত আসিয়া কে পাবার জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকে।
সৈকত যখন আসিয়া বেগম কে বন্ধুত্বের আহ্নবান করে আসিয়া বলে উঠে-
-আমার কোন ছেলে বন্ধু নেই
-ইসলামে ছেলে মেয়ের মধ্যে বন্ধুত্ব নিষিদ্ব।
আসিয়া বেগম সৈকত কে ইসলাম সম্পর্কে জানার চেষ্টা করতে বলে।তাকে বলা হয় -বন্ধু বান্দব দের সাথে ঘুরা ফেরা কমিয়ে দিয়ে ইসলামিক বই পড়ুন।
প্রথমে আপনাকে গোলাম মোস্তফার " বিশ্ব নবী" পড়তে হবে।এটা পড়লে পরবর্তীতে বোঝতে পারবেন কি বই পড়তে হবে।
এভাবেই উপন্যাসের নায়ক সৈকত ইসলামিষ্ট হয়ে আসিয়া কে জয় করেন ।

আরো কাহিনী আছে-আর লিখতে পার্তাছি না।

আমার কথা

কাসেম বিন আবু বাকার যখন কাল মেয়ে উপন্যাস বের করেন তখন সাল ১৯৯৪ ।আমি মনে করি তিনি সেই সময়ের গ্রামীন মুসলিম সমাজের স্থান,কাল,পাত্র অনুযায়ী উপন্যাস লিখেছেন।
বিশেষ করে কাসেম বিন আবুবাকার সেই সময়কার মুসলিম নর নারীর গোপন প্রেমকে উপজীবি করে কিছু কাল্পনিক,সত্য-মিথ্যা এবং এবং হাদিস ,কোরানের উদ্ধৃতি দিয়ে উপন্যাস লিখেছেন।
এখন আমরা যা পড়ছি তা আমাদের কাছে হাস্যকর লাগে।কারন সময়ের বাস্তবতা।
কাসেম বিন আবু বাকার মুসলিম সমাজের অংশ বলেই তাকে নিয়ে আজ সমালোচনা।যার বইয়ের ত্রিশতম সংস্করণ বেরোয়, বিক্রি দুই লাখ ছাপিয়ে যায় তাকে নিয়ে সমালোচনা হবেই।
ধন্যবাদ সবাইকে

মন্তব্য ৯৮ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৯৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩

এস,এম,মনিরুজ্জামান মিন্টু বলেছেন: যার বইয়ের ত্রিশতম সংস্করণ বেরোয়, বিক্রি দুই লাখ ছাপিয়ে যায় তাকে নিয়ে সমালোচনা হবেই।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৬

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:২৮

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: হুম।। যার বইয়ের ত্রিশতম সংস্করণ বেরোয়, বিক্রি দুই লাখ ছাপিয়ে যায় তাকে নিয়ে সমালোচনা হবেই।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৬

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১

নাইম রাজ বলেছেন: ভালো লাগলো জেনে বিষয়তা।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৭

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: আন্তরিক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা জানবেন

৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২১

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: অবাক কান্ড। এত জনপ্রিয়তা যার, তার পর্যন্ত আমি শুনিনি।

গল্পের বুনন ভাল, তবে উপন্যাসের মানদন্ডের মাপকাঠি নির্ভর করে তার প্রকাশ ভংগির উপরে। গল্প উপন্যাস মানুষ এবং তাদের জীবনধারাকে কেন্দ্র করে। সেখানে ধর্ম আসতে পারে। কিন্তু স্থূলভাবে ধর্ম প্রচারের মাধ্যম গল্প উপন্যাস নয়। গল্প উপন্যাসকে হতে হয় কিছুটা সার্বজনীন। প্রচন্ড মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও ধর্ম প্রীতির কারনে বংকিমচন্দ্রের উপন্যাস গুলো গ্রহনযোগ্যতা হারিয়েছে। অন্যদিকে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, শরৎ, হুমায়ূন - এদের লেখায় ধর্ম এসেছে মানুষের জীবনাচরনের অংশ হিসেবে। যার ফলে এদের লেখা সময়কে অতিক্রম করে যুগ যুগ ধরে মানুষের কাছে আদরনীয় হয়ে থেকেছে।


২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৩০

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: তিনি শহুরে পাঠকদের কাছে পরিচিত ছিলেন না।গ্রাম এবং মফস্বলে তিনি বেশ পরিচিতি লাভ করেন।
মাস /ছয়েক আগে ফেসবুক প্রজম্ম উনার ব্যাপারে নতুন করে জানতে পারে।
বিশ্ব মিডিয়া যখন কাসেম বিন আবু বাকার কে নিয়ে নিউজ করে তখনি কথিত স্যাকুলারদের মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গেছে।
আমি মনে করি না তিনি ধর্ম প্রচারে উপন্যাস লিখতেন।তিনি গ্রামীন রক্ষনশীল মুসলিম সমাজ কে নিয়ে তার কল্পিত রসে উপন্যাস লিখেছেন।উদাহরন যদি দেই-
আপনি যখন দাঁড়িয়ে পানি খাবেন দেখবেন মুরব্বী এসে বলছে দাঁড়িয়ে পানি খেও না।ইসলামে নিষেধ আছে।
যাস্ট সেরকমই কিছু হাদিস/কোরানের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি উপন্যাসের কাহিনী এগিয়ে নিতেন।
বাংলা সাহিত্যে ধর্ম প্রীতির কারনে শুধু বংকিমচন্দ্র নয় কবি আল মাহমুদ সার্বজনীন গ্রহনযোগ্যতা হারিয়েছে।
কবি আল মাহমুদ পরকীয়া,যৌনতা নিয়ে ব্যাপক লেখা লিখেছেন-যখনি তিনি ইসলামের দিকে ঝুঁকেছেন এক শ্রেণী তাকে অবহেলায় রাখতে শুরু করেছে।
বাংলা সাহিত্যে কবি আল মাহমুদের অবধান অস্বীকার করতে পারবে না।
গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।

৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "বোরকা পড়া আসিয়া বেগম কে দেখে প্রেমে পড়ে যায় সৈকত।"

আসল বাস্তবতা হল বোরকা পড়া মেয়েদের দেখলে ছেলেরা বিগলিত হয়ে প্রেমে পড়া দূরে থাক, বরং সমীহ করে দূরত্ব রক্ষা করে চলে। বোরকা পড়া মেয়ে দেখে গভীর প্রেমে পড়বে আবার সেই প্রেমকে ইনিয়ে বিনিয়ে ঐ মেয়ের সামনে প্রকাশ করবে - এটা শুধু অভদ্র মাস্তান জাতীয় কোন ছেলের পক্ষেই সম্ভব। কিংবা হতে পারে মেয়েটি বোরকা পড়লেও চালচলনে ভিন্নতা রয়েছে। অনেক বোরকাধারীরা আবার কড়া লিপস্টিক ছাড়া বাইরে বের হন না। সেইরকম বোরকাধারীদের অবশ্য সহজলভ্য ভাবা কিংবা প্রেম নিবেদন করাটা অস্বাভাবিক নয়। এদিকে সেই মেয়ে নাকি কালো এবং সে কারনে উপেক্ষিত। মেয়েটি তার ধর্মানুরাগ থেকে বোরকা পড়ে, নাকি কুরূপ ঢাকতে বোরকা পড়ে - সেইটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দেয়।

ধর্মীয় দৃষ্টিতে প্রেম মানে চারিত্রিক দুর্বলতা। এই দুর্বলতাকে ইউসুফ (আ) প্রশ্রয় দেননি বলেই তিনি একজন নবী।

সে যাই হোক, বইটা যেহেতু আমি পড়িনি, তাই বইটির বিষয়ে তেমন কোন মন্তব্য করতে পারছি না।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫১

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: ৯০ দশকে উপন্যাসের নায়িকা বোরকা পড়েন ।
লেখক উপন্যাসের নায়িক কে পাঠকের সামনে এভাবেই এনেছেন।আগের মন্তব্যে বলেছি তিনি গ্রামীন রক্ষনশীল মুসলিম সমাজ কে নিয়ে তার কল্পিত রসে উপন্যাস লিখেছেন।সেকারনেই হয়ত নায়িকা কে বোরকা পড়া অবস্থায় উপন্যাসে উপস্থিত করেছেন।
লেখক কেন নায়িকা কে বোরকা পড়ে এনেছেন তা লেখকই ভাল বলতে পারবেন।

আসল বাস্তবতা হল বোরকা পড়া মেয়েদের দেখলে ছেলেরা বিগলিত হয়ে প্রেমে পড়া দূরে থাক, বরং সমীহ করে দূরত্ব রক্ষা করে চলে। বোরকা পড়া মেয়ে দেখে গভীর প্রেমে পড়বে আবার সেই প্রেমকে ইনিয়ে বিনিয়ে ঐ মেয়ের সামনে প্রকাশ করবে - এটা শুধু অভদ্র মাস্তান জাতীয় কোন ছেলের পক্ষেই সম্ভব। কিংবা হতে পারে মেয়েটি বোরকা পড়লেও চালচলনে ভিন্নতা রয়েছে। অনেক বোরকাধারীরা আবার কড়া লিপস্টিক ছাড়া বাইরে বের হন না। সেইরকম বোরকাধারীদের অবশ্য সহজলভ্য ভাবা কিংবা প্রেম নিবেদন করাটা অস্বাভাবিক নয়।

আপনার এই কথা গুলোতে আমার দ্বিমত আছে।
কিছুদিন আগে আমার এক ফ্রেন্ডকে নিয়ে বসুন্ধরার সিটির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম-বন্ধু বোরকা পড়া মেয়েকে দেখিয়ে বলছে -
দোস্ত দেখ মেয়েটা কিউট না ???
আমি বললাম মেয়ে আছে বোরকা পড়ে তার মধ্যে তুই কি কিউটনেস খুঁজে পেলে-
দোস্ত বোরকা পড়া মেয়েদের মাঝে একটা আলাদা আকর্ষন কাজ করে।
আকর্ষন কেন করে জানিস ? তার শরীর বোরকা দিয়ে ঢাকা থাকে,ভিতরে দেখতে সে কেমন ?সেই কৌতহল অন্যরকম ভাল লাগা এনে দেয়।
বোরকা পড়া মেয়েদের নিয়ে আমার বন্ধুর থিউরি এরকম।
আমি দেখেছি-ওই ফিলিংস টা আমার মধ্যেও কাজ করে।
যদিও আমি এবং আমার বন্ধু দুজনই মুসলিম রক্ষনশীলতা থেকে যোজন যোজন মাইল দূরে ।
মানুষের ভাল লাগাটা একেক মানুষের একেক রকম।
বোরকা পড়া মেয়ে হয়ত আপনার ভাল লাগছে না ,অন্য জনের ঠিকই ভাল লাগছে ।
ধন্যবাদ

৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সে ইসলামকে ব্যবহার করেছে ব্যবসার জন্য - এটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এরকম হলে তো নাটক, সিনেমাতেও ইসলামী আইন কানুন শেখানো যায়...

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫২

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: ঊনি কি স্বীকার করছে- আমি উপন্যাসে ধর্ম প্রচার করি ????????
ধন্যবাদ

৭| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "বাংলা সাহিত্যে ধর্ম প্রীতির কারনে শুধু বংকিমচন্দ্র নয় কবি আল মাহমুদ সার্বজনীন গ্রহনযোগ্যতা হারিয়েছে।"

আল মাহমুদ কি সেরকমভাবে ধর্মকে টানতেন। তার যেসব গদ্য সাহিত্য পড়েছি, তার মধ্যে ততটা ছিল না। যদিও গল্পগুলো আমার তেমন ভাল লাগেনি। কিন্তু তার কবিতার হাত চমৎকার। আমি কবিতার খুব ভক্ত নেই, কিন্তু তার কয়েকটি কবিতা পড়ে এক ধরনের ভাল লাগার অনুভূতির সৃষ্টি হত। তার একটি বই, সম্ভবত "সোনালী কাবিন" নিয়ে হুমায়ূন আজাদ সমালোচনা করেছিলেন এই বলে যে কাবিন হচ্ছে দাসত্বের ফাদ আর আল মাহমুদ তাকেই মহিমান্বিত করতে চেয়েছেন! কিন্তু কবিতার পংক্তি গুলো ছিল খুব সুন্দর। কাবিনের মত প্রাচীন প্রথার চমৎকার সৌন্দর্যটুকু ফুটে উঠেছিল। যাকে বলে, ওল্ড ইজ গোল্ড।

পরকীয়া ইত্যাদি নিয়ে আল মাহমুদ লিখতেই পারেন, তবে গল্পের বর্ননাশৈলীতে প্রকাশ পায় লেখকের প্রকৃত সত্ত্বা। চোখের বালি পরকীয়া নির্ভর কাহিনী, কিন্তু রবীন্দ্রনাথ তার রক্ষনশীল মনোভাব গোপন করতে পারেন নি।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:১৩

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: হুমায়ুন আজাদ কবিতা সংকলণ করেছিলেন-সেখানে আল মাহমুদের কবিতা স্থান পায়নি।
কবিতা সংকলনে না নেয়ার পিছনে হুমায়ুন আজাদ তার এই সাম্প্রদায়িকতাকেই দায়ী করেছেন।

৮| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০১

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "বোরকা পড়া মেয়ে হয়ত আপনার ভাল লাগছে না ,অন্য জনের ঠিকই ভাল লাগছে ।"

বোরকা পড়া মেয়ে ভাল লাগবে না কেন, অবশ্যই ভাল লাগে। কিন্তু এই বোরকা পরে প্রেম করাটা ভাল লাগছে না।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:২৩

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: ইসলামিক দৃষ্টিকোন থেকে বোরকা পড়ে প্রেম করা যাবে কি যাবে না আমি নিশ্চিত না।
বর্তমানে আমি ত দেখছি প্রায় মেয়েই বোরকা পড়ে প্রেম করছে।
এখন আমি যদি কিছু লেখি সেটা বাস্তব অভিজ্ঞতা দিয়েই লিখব সেখানে যদি বোরকা পড়া মেয়ে লেখায় আসে আপত্তি কেন???

৯| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪২

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: যার বইয়ের ত্রিশতম সংস্করণ বেরোয়, বিক্রি দুই লাখ ছাপিয়ে যায় তাকে নিয়ে সমালোচনা হবেই।


আমিও আপনার সাথে গলা মেলাতে চাই! :)

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০৯

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: ধন্যবাদ বিলিয়ার ভাই ।

১০| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪৪

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: ভদ্র লোকের লেখা আমি পড়েছি!! আমার খারাপ লাগেনি!:)



২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:১৪

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: আমিও ওনার কিছু বই পড়েছি।খুব যে খারাপ লিখেন তা না কিন্তু ফেসবুকে দুই লাইনের কবিরাও তার লেখা নিয়ে সমালোচনা করছে।
ধন্যবাদ বিলিয়ার ভাই

১১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমি বই পড়তে পারছি না, চোখে সমস্যা হচ্ছে; এ যাত্রা উনাকে অব্যাহতি দিলাম।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:২৬

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: ধন্যবাদ
আবার আসবেন ।

১২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪৯

সাহসী সন্তান বলেছেন: রিভিউ ভালো হইছে! তবে আপনার বলা "কাসেম বিন আবু বাকার মুসলিম সমাজের অংশ বলেই তাকে নিয়ে আজ সমালোচনা।" এই কথাটার সাথে আমি পুরোপুরিভাবে একমত নই। কারণ একজন মানুষ কেবল মুসলিম হলেই যে তাকে নিয়ে আলোচনা সমালোচনা হবে, এরকমটা আমি মনে করি না।

আসলে এখানে মূখ্য বিষয়টা তা না, এখানে মূখ্য বিষয়টা হলো তার লেখা। আর কেবল মাত্র লেখার গুণেই (তাই সেটা যাই লিখুন না কেন) আজ তিনি লাইম লাইটে আসতে সক্ষম হইছেন।

রিভিউয়ের জন্য ধন্যবাদ! শুভ কামনা জানবেন!

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৩৪

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: সাহসী তার লেখাগুলো নিয়ে বেশি বিদ্রুপ করছে স্যেকুলার রা তাদের সাথে যোগ দিয়েছে ফেসবুকের দুইলাইনের কবিরা।
তার বইয়ে ভুল বাল কিছু ইসলামিক উদ্ধৃতি আছে যেমন বোরকা পড়ে প্রেম করা যায়েজ।
আরো কিছু আছে ।সেসব কারনেই তথাকথিত মূত্রমনা বিশেষ সুযোগ নিচ্ছে সমালোচনার ।

এখানে মূখ্য বিষয়টা হলো তার লেখা। আর কেবল মাত্র লেখার গুণেই (তাই সেটা যাই লিখুন না কেন) আজ তিনি লাইম লাইটে আসতে সক্ষম হইছেন।
সহমত
আন্তরিক ধন্যবাদ ।শুভেচ্ছা রইল

১৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৫০

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: উনি বোরকা পরা মেয়ের প্রেম দেখাবেন, বিসমিল্লাহ বলে চুমু শুরু করাবেন - কিন্তু ইসলাম শেখান না। কিন্তু অপব্যবহার করান...

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৩৭

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: এখানে সহমত ।
ঠিক এ কারনেই তাকে নিয়ে সমালোচনার সুযোগ পাচ্ছে কতিপয় মুক্তমনা
ধন্যবাদ আপনাকে ।

১৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০২

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "বর্তমানে আমি ত দেখছি প্রায় মেয়েই বোরকা পড়ে প্রেম করছে।"

গতবার দেশে যাওয়ার পরে একজন বলেছিল বোরকা নাকি মেয়েরা শুধু ফ্যাশনের জন্য পড়ে। তখন মানে বুঝিনি। এখন বুঝতে পারছি। "আল্লাহ ভীতি" কিংবা "তাকওয়া" নয়, শুধু হুজুগ কিংবা খেয়ালের বশেই বোধকরি বোরকার প্রচলন বেড়েছে।

কি আর বলব। আল্লাহ তাদের হৃদয়কে ঘুরিয়ে দিন। আলোর সন্ধান দিন।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪০

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: সবাই যে পড়ছে তা নয় ।
তাদের মধ্যে অনেকেই ফ্যাসনের জন্য বোরকা পড়ছে আবার হিজাব পড়ছে।
আপনার কথা সত্যি
"আল্লাহ ভীতি" কিংবা "তাকওয়া" নয়, শুধু হুজুগ কিংবা খেয়ালের বশেই বোধকরি বোরকার প্রচলন বেড়েছে।
আপনার মত আমিও দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদের হেদায়েত দেন।
ধন্যবাদ সিনিয়র ব্লগার ।ভাল থাকবেন

১৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৫১

দেশী পোলা বলেছেন: এজন্যই মহাগাতক শরীফউদ্দিন গেয়েছেন "এখটা বুরখা পড়া মেয়ে ফাগল খরেছে!"

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:১৪

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: যথার্থ গান ;)
ধন্যবাদ

১৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:০৬

ধ্রুবক আলো বলেছেন: বইটি পড়ার ইচ্ছে আছে

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:১৫

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: অবশ্যই সময় সুযোগ পেলে পড়বেন ।
ধন্যবাদ

১৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:০৯

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: মডুরা কি দয়া করে ফিল্টার করবেন? এই কাসেম চাচাকে নিয়ে পোস্ট গুলোকে?? আর পারছি না তো!!!

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২৩

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: শায়মাপু পাঠকদের কাছে কাসেম পোষ্ট ধ্যৈর্য বিচ্যুতি ঘটানোর জন্য ক্ষমাপ্রার্থী ।
ধন্যবাদ
আপনি দয়া করে শায়মাপুর কবিতা পড়ুন
তখন আমার উনিশ বছর
তখন তোমার বাইশ
আমরা দুজন অবাধ্যতা, শাসন, বারণ নালিশ!!

তখন দুজন চালচুলোহীন
তখন দুজন পাখি
এ ডাল থেকে ও ডাল উড়ি, কিচিরমিচির ডাকি!!

তখন দুজন ছন্নছাড়া
তখন যাযাবর
দুজন মিলে বাকবাকুম আর টোনাটুনির ঘর!!

তখন সেটাই স্বর্গ আমার
তখন সেটা প্রাসাদ
ঝেঁড়েমুছে ঝা চক চক, হাতের মুঠোয় চাঁদ!

তখন আমার রান্নাবাটি
তখন হাঁড়িকড়াই
কুচকচে রং কালীর মতো, তরকারিতে ভরাই!

তখন কোটা ছোট্টমাছ আর
তখন আঙুল কাটা
কেঁদেকেটে দু চোখ ফুলাই, অর্ধ পেঁয়াজবাটা।

তখন রাঁধা ঝাল মরিচে
তখন বাঁকা রুটি
তবুও তখন খুশি মনে কাটাই ঈদের ছুটি।

তখন হিসাব-নিকাশ
তখন বাজার-সদাই আনি
টিউশনিটাই ভরসা তোমার, সে কথাটা জানি।

তখন রিকশা, পার্কে ঘোরা
তখন বাদামভাঁজা
নেই টয়োটা, নেই টিভিটাও, তবুও রাণি-রাজা!!

তখন কথা খুনসুটি আর
তখন ফুলাই গাল
দণ্ড দুয়েক পরেই তুলি ভালোবাসার পাল।

তখন চাঁদ মুচকি হাসে
তখন ছোট্ট ঘরে
একটা পরী ঘুমোয় সুখে, তোমার বুকের 'পরে।

হঠাৎ তখন চৈত্র দুপুর
হঠাৎ তখন বেলা
বাজলো দোরের হঠাৎ কড়া ,ভাঙলো সকল খেলা।

তুমি তখন বৈরী আইন
আমি তখন একা
র‌্যাপাঞ্জেল আর বন্দি টাওয়ার, পাই না তোমার দেখা।

এখনও চাঁদ বাঁধ ভেঙে যায়,
উছলে পড়ে আলো
এখনও সেই উনিশ বছর, স্মৃতির মানিক জ্বালো।

হঠাৎ আজও মনে পড়ে,
এক কামরার বাসা
হঠাৎ ঘূর্ণিঝড়ে ভাঙা, ছোট্ট ভালোবাসা!!!

১৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৪৮

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: উপন্যাসের প্লট ভালো লেগেছে। এই বই সহ লেখকের অন্যান্য বই গুলো পড়ার চেষ্টা করবো। রিভিউয়ের জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া। :)

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৩০

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: এত উচ্চমানের কিছু নেই।
তিনি মফস্বলের গ্রামীন পটভূমি,ইসলামিক ভাবধারা নিয়ে লিখেছেন।তিনি মূলত বাংলা সাহিত্যে ইসলাম ঢুকিয়ে উপন্যাসের নায়ক /নায়িকা কে মানবতাবোধ জম্মানো,সুন্দর চরিত্রের অধিকারী হওয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন।সেক্ষত্রে তিনি সফল হয়েছেন এবং এক শ্রেণীর পাঠক কে আকৃষ্ট করতে পেরেছেন।
অনলাইনে কিছু পিডিএফ লিংক খুজে পাবেন।
পড়ে দেখতে পারেন।
আন্তরিক ধন্যবাদ শোভন

১৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৩১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ঢুলি ঢোল বাজাবেই। তো ঢোলের তালে হরেকৃষ্ণ না বলে আল্লাহু বল্লে মন্দকি? নাকি মুসলিমরা চাইবে ঢুলি হরেকৃষ্ণই বলুক? প্রেমিক খোঁজে প্রেমের উপলক্ষ্য সেই সাথে প্রেমিক যদি দু’চারটা আল্লাহ রাসুলের (সঃ) কথা জানে তাতে ক্ষতি কি কাসেম সাহেব তো বলেছেন তাঁর বই পড়ে অনেকে হেদায়েত হয়েছে তো এ প্রাপ্তি কম কিসে? তবে তাঁর কাজকে আমি ইলামের জন্য কাজ বলতে আগ্রহী, ইসলামী কাজ বলতে আগ্রহী নই। ওগুলো কোন ফতুয়ার কিতাব নয়, আর কাসেম সাহেবও কোন মুফতি নন। তবে তাঁর সমালোচনা কেন বুঝা যাচ্ছেনা। মুসলমানের আক্কেল মনে হয় কোন দিন হবেনা। কোনটা তার উপকারী আর কোনটা অপকারী এটাও এরা বুঝেনা।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৪১

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: আপনার গঠনমূলক সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
যথার্থ বলেছেন-
ঢুলি ঢোল বাজাবেই। তো ঢোলের তালে হরেকৃষ্ণ না বলে আল্লাহু বল্লে মন্দকি? নাকি মুসলিমরা চাইবে ঢুলি হরেকৃষ্ণই বলুক? প্রেমিক খোঁজে প্রেমের উপলক্ষ্য সেই সাথে প্রেমিক যদি দু’চারটা আল্লাহ রাসুলের (সঃ) কথা জানে তাতে ক্ষতি কি কাসেম সাহেব তো বলেছেন তাঁর বই পড়ে অনেকে হেদায়েত হয়েছে তো এ প্রাপ্তি কম কিসে? [/sb

আপনার এই কথাটিতে আমি পুরোপুরি একমত
তাঁর কাজকে আমি ইলামের জন্য কাজ বলতে আগ্রহী, ইসলামী কাজ বলতে আগ্রহী নই। ওগুলো কোন ফতুয়ার কিতাব নয়, আর কাসেম সাহেবও কোন মুফতি নন।
কাসেম বিন আবু বাকার নিজেই স্বীকার করেছেন তার মতবাদের সাথে মৌলভিরা দ্বিমত পোষন করেছেন।
তিনি চেয়েছেন তার উপন্যাসের চরিত্রে মাঝে যে ইসলামিক ভাব ধারা সেই ভাবধারা এবং মানবিক মূল্যবোধ বাস্তবিক মানুষের মাঝেও তৈরি হয় তাই তিনি তার উপন্যাসে ইসলামিক উদ্ধৃতি ঢুকিয়েছেন।
আর সমালোচনা হবেই তবে তা গঠনমূলক হওয়া ভাল ।
আবারো আপনাকে ধন্যবাদ

২০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:২৬

সৌমিক আহমেদ খান বলেছেন: এসলাম ধর্মাবলম্বী যুবকযুবতীগণকে বিপথে নেয়ার জন্য এসব পুস্তক বক্করকে দিয়ে ইহুদিনাসারাদের কন্সপিরেসি

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৪৫

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: বহুত কিছু বোইজ্জা ফালাইছেন -এবার থামেন।
ধন্যবাদ

২১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:১২

মানবী বলেছেন: ১৯৯৪ সালে প্রথম প্রকাশিত উপন্যাসের ত্রিশতম সংস্করণ বের হয়েছে, আর আজ ২৩ বছর পর তা নিয়ে হৈচৈ- ব্যাপারটা যতোখানি অবাক করছে তারচেয়েও বেশী অবাক করছে এমন একজন লেখক বা তাঁর উপন্যাসের নাম আগে কখনও শুনিনি দেখে। এমনকি চারপাশে যে তিনি আলোড়ণ সৃষ্টি করেছেন সে সম্পর্কেও আজই অবগত হয়েছি!!

রিভিউ পড়ে আহামরী কিছু মনে হলোনা। খুব ভিন্ন কোন পটভূমি বা ঘটনা নয়, বিতর্ক বা নেতিবাচক সমালোচনা করার মতোও কোন উপাদান নেই মনে হলো। গল্পের একটি চরিত্র বোরখা পড়ে, শুধুমাত্র একারনে এটা নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি শুধু নির্বোধরাই করবে।
আর কেউ যদি রক্ষণশীলতা নিয়ে বেশী বিচলিত হয় তাহলে বলতে হবে বাংলা সাহিত্য সম্পর্কে তার ধারনা নেই। আমাদের পথের পাঁচালী সিরিজ, সেখানেও বিভূতি ভূষন রক্ষণশীল ভালোবাসার গল্পই বলেছেন। বলেছেন আত্মনিয়ন্ত্রণ আর কঠোর রক্ষনশীলতার মাঝে জন্ম নেয়া প্রেম ভালোবাসার গল্প! সেসময়ের প্রায় সব উপন্যাস্‌ই এমন ছিলো, হুমায়ুন আহমেদের প্রথম কয়েক দশকের উপন্যাসেও কখনও অশ্লীলতা ছিলো এমন মনে করতে পারছিনা!


ইসলাম জানার জন্য আসিয়া বেগম সৈকতকে "বিশ্ব নবী" পড়তে বলাটাই বরং আপত্তইকর মনে হয়েছে, ইসলাম জানতে সবচেয়ে প্রথম পড়তে হবে কুরআন। আরবী পড়তে না চাইলে শুধু বাংলা :-)

কৌতুহলী হয়েছিলাম লেখক ও তাঁর সৃষ্টি নিয়ে, আপনার রিভিইউটি সংক্ষেপ হলেও একটি ধারনা দিয়েছে- আন্তরিক ধন্যবাদ এডওয়ার্ড মায়া।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪১

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: রিভিউ পড়ে আহামরী কিছু মনে হলোনা। খুব ভিন্ন কোন পটভূমি বা ঘটনা নয়, বিতর্ক বা নেতিবাচক সমালোচনা করার মতোও কোন উপাদান নেই মনে হলো। গল্পের একটি চরিত্র বোরখা পড়ে, শুধুমাত্র একারনে এটা নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি শুধু নির্বোধরাই করবে।

আমি ঊনার যত গুলা লেখা পড়েছি আসলেই আহামরি কিছু নেই।গ্রামীন রক্ষনশীল মুসলিম সমাজের অতি সাধামাঠা চরিত্র।
তার উপন্যাসের চত্রিত্রে ইসলামি ভাবধারা স্পষ্ট। বাংলা সাহিত্যের উপন্যাসের হাদিস/কোরানের যে উদ্ধৃতি দিয়েছেন সেজন্যই বিতর্ক হচ্ছে।কেননা তিনি তার উপন্যাসে নায়িকাকে বোরকা পড়িয়েছেন।বোরকা পড়ে ডেটিংয়ে যাওয়া জায়েজ।এরকম বহু উদ্ধৃতির জন্য তিনি স্যাকুলার কাছে হাস্যরসে বিতর্ক হচ্ছেন।

ইসলাম জানার জন্য আসিয়া বেগম সৈকতকে "বিশ্ব নবী" পড়তে বলাটাই বরং আপত্তইকর মনে হয়েছে, ইসলাম জানতে সবচেয়ে প্রথম পড়তে হবে কুরআন। আরবী পড়তে না চাইলে শুধু বাংলা :-)

উপন্যাসের নায়িকা ইসলামি ভাব ধারার।সৈকত যখন আসিয়াকে ভাল লেগে যায় তখন আসিয়া বেগম বলেছিল গোলাম মোস্তফার বিশ্বনবী পড়তে।আসিয়া বেগম চেয়েছে বিশ্ব নবীর চরিত্রের মত সৈকতও যেন নিজেকে ঐ ভাবে গড়ে তোলে।তখন সৈকত আসিয়াকে জিজ্ঞেস করে -
-বিশ্ব নবীর পর কোন বই পড়ব ?
আসিয়া উত্তর দিয়েছিল -
-বিশ্ব নবীর পর কোন বই পড়বেন তা বিশ্ব নবী পড়ার পর বোঝতে পারবেন।
কাসেম বিন আবু বাকার তার উপন্যাসে ইসলামিষ্ট চরিত্র দাঁড় করানোর যুক্তি ছিল-
তার উপন্যাসের ইসলামিষ্ট চরিত্র গুলা বাস্তবিক জীবনেও তরুন তরুণীরা ফলো করে।
কাসেম বিন আবু বাকার তার সাক্ষাৎকারে বলেন-আমি কলম ধরেছিলাম তরুন তরুনীরা যেন ইসলামি ভাব ধারায় জীবন যাপন করে নিজেকে সুন্দর চরিত্র গঠন করে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করে।তিনি বলেন সেখানে আমি সফল।আমি যে জন্য কলম হাতে তুলে নিয়েছিলাম সেখানে কিছুটা হলেও আলো দিতে পেরেছি।
৭১ টিভিতে দেয়া একটা সাক্ষাৎকার আছে -দেখে নিতে পারেন।
ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা জানবেন ।


২২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪১

অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: আবু বকরদের সে সময়ে ধর্মান্ধ কে কাজে লাগানোর ব্যপক সুযোগ ছিলো ,

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: তিনি তা কাজে লাগান নি।তিনি তার উপন্যাসের ইসলামিক চত্রিত্রের ্মাধ্যমে বাস্তবে তরুন তরুনীদের সুন্দর চরিত্র গঠনে চেষ্টা চালিয়ে গেছেন।
ধন্যবাদ

২৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৩১

মেটাফেজ বলেছেন: B-)) ভক্করবাঈয়ের তরিকায় আপনাকে বিসমিল্লাহ বলে একটা লম্বা লিপকিস দিতে ইচ্ছা কর্তাসে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: মুখে দূর্গন্ধ ! দাঁত ব্রাশ করে আইসেন -
ধন্যবাদ

২৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:২৬

ইসফানদিয়র বলেছেন: কাসেমকে নিয়ে সরগরম অবস্থা সর্বত্র

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৮

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: সমালোচনা হলে জানব কি করে।
ধন্যবাদ

২৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ২:৩২

মোঃআনারুল ইসলাম বলেছেন: ভালো মন্দ দোষগুণে মানুষের তৈরি, সেক্ষেত্রে কাসেম বিন আবু বক্করও কোন ছার? তবে এটা সত্য সেই সময়কার যুবক হিসেবে এই বই অনেকবার পড়েছি। তাই বলা যেতে পারে তিনি আমার প্রথম যৌবনের ভালো লাগা লেখক।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৫০

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: বাব্বাহ ।
আমি ত শুনেছি কম টাকায় সেসময় আবু বাকারের বই পাওয়া যেত।তাই প্রেমিকা কে গিফট দেওয়ার জন্য আবু বাকার পত্তমে :)
ধন্যবাদ আনারুল ভাই।ভাল থাকবেন।

২৬| ১৭ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পরীর চাকুরী (পর্ব-২) পোষ্ট করেছি যদি পড়েন। দুঃখিত, আমার লেখা প্রথম পাতায় যায়না বলে দাওয়াত দিতে হলো।

২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৩৪

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: আহা রে
এই টান টান উত্তেজনাময় লেখা কেউ পড়ে না।

২৭| ২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ১:১৭

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: সাধারন মানূষ যা পছন্দ করে উনি তাই লিখছেন। কাটতি বেশি হইছে বইর। মমতাজের ক্যাসেট অনেক পরিমান সেল হইছে কারন অনেক পরিমান মানুষ কিনছে , আর ভালো না লাগলে কিনতো না । উনার বইর বেপারটাও সেরকম।

২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৩৩

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: ইস রে দৌড়াদৌড়ি শ্যাষ হৈয়া গেছেগা।
সবার পত্তমে আপ্নের লজিকখানা কাজে লাগাইতে পার্তাম।নিজের খাইয়া মাইনষ্যরে আর কত বোঝামু হেরপরো খালি গ্যাজায়
অফটপিকে যাইগা
আপ্নের ২০০ টেহার বিজনেস কিরাম চলে

২৮| ২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৩৪

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: খিচ্চা চলতাছে , অডার ডেলিভারী দিয়া কুলাইতে ফারি নো ! :(

২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৩৯

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: মা শা আল্লাহ -খিচ্চা আগাইয়া যান।
টেকাটুকা নাই ভাই হাতভর্তি দোয়া দিলাম

২৯| ২৪ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


কাশেম সাহেবকে কারা যেন পরিচিত করার চেস্টা করেছিলেন; সুবিধা হয়নি

০১ লা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: চাঁদগাজী সাব তিনি তিনি তার স্বকর্মে এমনি পরচিত-আমরাই চিনতে পারিনি

৩০| ০১ লা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনার বুক রিভিউর পাঠক ৮০০ + কাসেম বিন আবু বাকারের জনপ্রিয়তা প্রমান করে ।তার কোন লেখা এখনো পড়িনি বা নামও জানি না ।

০১ লা জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: সেলিম ভাই শহুরে পাঠকরা লেখকের সাথে পরিচিত নন !
মফস্বলের ছেলে/মেয়েদের কাছে তিনি ব্যাপক পরিচিত।
ধন্যবাদ কবি

৩১| ০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ৯:৫৪

জুন বলেছেন: এই সব বই অথবা লেখকদের সম্পর্কে আমাদের ধারনা না থাকলেও শহরের বাইরে এরা তুমুল জনপ্রিয় এডওয়ার্ড মায়া । ব্যতিক্রমী লেখক আবু বাকার সম্পর্কে জেনে ভালোলাগলো ।
+

০২ রা জুন, ২০১৭ রাত ১১:২১

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: যথার্থ জুনপু ;)
এই সব বই অথবা লেখকদের সম্পর্কে আমাদের ধারনা না থাকলেও শহরের বাইরে এরা তুমুল জনপ্রিয়
ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা আপু ।
ভাল আছেন নিশ্চয় ।

৩২| ১০ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪

বিজন রয় বলেছেন: নতুন পোস্ট দিন।

১০ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৭

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: আপনাদের পোষ্ট পড়তেই স্বার্চ্ছন্দবোধ করি ।
ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা বিজন দা।
ভাল থাকুন।

৩৩| ১০ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি তো অনেক লম্বা ছুটি নিলেন!

১০ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: আপনাদের লেখা পড়ছি এই ত বেশ ।
ধন্যবাদ চাঁদগাজী সাব।ভাল থাকবেন

৩৪| ০৯ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭

গেম চেঞ্জার বলেছেন: কাশেম সাহেবের বই পড়ে অন্য দশজন মুসলমনা বাঙালির ভাল লাগতে পারে, আমার কাছে অখাদ্য বৈ কিছুই মনে হয়নি। যাইহোক, একটা কিউরিসিটিঃ
আপনি কি উনার দ্বারা প্রভাবিত? (আমি অবশ্য উনার একজন ফ্যান-- :) )

১১ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ১:০৫

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: আমরা যারা মফস্বলে শৈশব কাটিয়েছি -তাদের প্রায় পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রীদের বইয়ের তাকে কাসেম্বিন আবু বাকার ছিল।
আপ্নারা আধুনিক শহুরে পাঠক এই অখাদ্যকে খোঁজে বের করে লাইম লাইটে এনেছে।
এটাই কাসেম বিন আবু বাকারের বড় প্রাপ্তি ;)

আপনি কি উনার দ্বারা প্রভাবিত? (আমি অবশ্য উনার একজন ফ্যান-- :) )
সামুতে একটা সময় প্রায় ব্লগার ছদ্ম নামে ব্লগিং করত।তাদের নাম গুলাও কাব্যিক এবং ছিল অদ্ভুত।
যেমন-ঘুড্ডির পাইল্ট ,
একদিন ইউটুবে এডওয়ার্ড মায়া র গান শুন্তেছিলাম-বাংলায় নামটা কে আমার কাছে ছাইয়া প্লাস কাব্যিক প্লাস ফানি সব কিছুর উপাদান পাওয়া যাচ্ছে তাই নামটা নিজের করে রেখে দিলাম ।

ধন্যবাদ

৩৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ২:৫৭

রিদওয়ান হাসান বলেছেন: কাসেম বিন আবুবাকার একজন সৃষ্টিমান লেখক। তার কলমে বেশি চর্চিত হয়েছে প্রেম এবং বিরহ। উভয়টি তার লেখায় উঠে এসেছে গ্রামীন প্রকৃতির হাত ধরাধরি করে। এরচে’ বড় কথা, তিনি তার সবকটি উপন্যাসে ইসলামকে ব্যবহার করেছেন কলাকে ছোলার মতো করে।
বিষয়টা দুধভাতের মতো সরল যে, রোমা্ন্স জিনিসটা কোনো ধর্মীয় বোধের নয়, সেটা মানবিক সহজাত একটি অনুভূতি। এটাকে ইসলামিকিকরণ করতে চাইলে সেখানে হাজারটা আঙুল উঠবে। পাশ্চাত্য কেন্দ্রিক ‘বিশ্ব মিডিয়া’ কাসেম বিন আবুবাকারকে নিউজ করার পেছনে তার বইগুলোকে ইসলামের বলে সংজ্ঞায়িত করার ধুরন্ধর চাল চালতে পারে। তাই সাধু সাবধান।

১৬ ই জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:১৭

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: দারুন বিশ্লেষন।
মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ

৩৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৫৩

প্রামানিক বলেছেন: পড়ার আগ্রহ দেখা দিল।

০৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩০

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: বইতে আহামরি কিছু নাই প্রামানিক দা
ধন্যবাদ
ভাল থাকবেন

৩৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:২৩

একলা ফড়িং বলেছেন: কাসেম বিন আবু বাকারের বেশ কিছু বই পড়া হয়েছিল এসএসসি'র পর দীর্ঘ ছুটিতে দাদাবাড়ি বেড়াতে গিয়ে। তখনও তিন গোয়েন্দা, হরর সিরিজ বা শার্লক হোমসের বাইরে খুব বেশি বই পড়া হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই খুব ভালো না লাগলেও নেহাত মন্দও লাগেনি। চাচাতো বোনদের সংগ্রহে লেখকের যতগুলো উপন্যাস ছিল সবগুলোই পড়ে ফেলেছিলাম একে একে। নব্বই এর দশকের দিকে গ্রামে বা মফস্বলে রক্ষণশীল পরিবারে বড় হওয়া ছেলেমেয়েরাই সম্ভবত ওনার আসল পাঠক ছিলেন। আজকাল তথাকথিত কিছু নাকউঁচু, ওভারস্মার্ট পাঠকেরা কাসেম বিন আবু বাকারকে বেশ তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে, তাকে নিয়ে হাস্যকর পোস্ট বা ট্রল তৈরি করে। ব্যাপারটা খুব খারাপ লাগে। কোন কোন লেখকের লেখা আমার ভালো না-ই লাগতে পারে কিন্তু তাই বলে তাকে অশ্রদ্ধা করব কেন?

১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:০০

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: মুগ্ধ মন্তব্য ।
খুব গুছিয়ে কাসেম বিন আবু বাকার নিয়ে লিখেছেন।
ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা ।
নব্বই এর দশকের দিকে গ্রামে বা মফস্বলে রক্ষণশীল পরিবারে বড় হওয়া ছেলেমেয়েরাই সম্ভবত ওনার আসল পাঠক ছিলেন। আজকাল তথাকথিত কিছু নাকউঁচু, ওভারস্মার্ট পাঠকেরা কাসেম বিন আবু বাকারকে বেশ তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে, তাকে নিয়ে হাস্যকর পোস্ট বা ট্রল তৈরি করে। ব্যাপারটা খুব খারাপ লাগে। কোন কোন লেখকের লেখা আমার ভালো না-ই লাগতে পারে কিন্তু তাই বলে তাকে অশ্রদ্ধা করব কেন?

৩৮| ২১ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৪২

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বইটা সে সময় পড়েছিলাম, এখন আপনার রিভিউ পড়ে কাহিনী মনে পড়লো।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৯

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: আপনি সব সময়ই এগিয়ে থাকেন।
শুভেচ্ছা লিটন দা।
ভাল থাকবেন।

৩৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২০

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: দিলদার ভাই কে মিস করি.....

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৭

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: ভালবাসা ভাই।
সামু আমার প্রাক্তন প্রেমিকা।
মাঝে মাঝে এসে দেখে যাই।
আজকাল কিছু লিখতে পারি না।আসে না লেখা।
জীবন বাবুর মত বলতে ইচ্ছে করে

সব কাজ তুচ্ছ হয়,__পণ্ড মনে হয়,
সব চিন্তা__প্রার্থনার সকল সময়
শূন্য মনে হয়,
শূন্য মনে হয়!


(ফেসবুকে এই নামেই আছি-ইচ্ছে হলে ঘুতা দিয়েন)

৪০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: কতগুলো সংস্করণ বাইর হইলো বা বইয়ের কাটতি কত , এইডা দিয়া যদি লেখকরে মূল্যায়ন করা যাইতো , তাহা হইলে রসময় গুপ্ত হইতো বাঙ্গালীগো সবচেয়ে বড় লেখক ! বুইড়া না হইলে কইতাম এই ভামডার পশ্চাৎদেশে বংশ দিয়া গুলিস্তানে খাড়া কইরা রাখা হউক ! বেডা চোনার (পিরিত) মধ্যে দুধ (ইসলাম) মেশাইয়া আবালদের গেলাইতেছে !

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪২

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: হরিদাস বলিলেন -কেষ্ট ব্যাটা চোর !! তাহাকে লাত্তি মারো।
আমি লাথি মারিলাম না।কুত্তার ল্যাজটাই বাঁকা ।সে না হয় লেজ বাঁকা করিয়াই পথ চলুক।
ধন্যবাদ

৪১| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি আবার প্রমোশান পেয়ে জেনারেল, মার্শাল বা এই ধরণের কিছু হয়ে যাননি তো?

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৩৯

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: কি বুলচেন দাদা -আমি আবার কি কর্লাম।
মাঝে মইধ্যে আপনাদের এসে দেখে যাই এই যা !!!!

৪২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩৭

নীরদ অর্ণব বলেছেন: তার কোন লেখা পড়া হয় নাই।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪০

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: প্রশ্ন বোঝি নাই গো !

৪৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪২

নীরদ অর্ণব বলেছেন: উনার কোন বই পড়ি নাই।

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৯

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: আমি পড়ছি- তার কোন লেখাপড়া হয় নাই ????
:) কি মুস্কিল
ধন্যবাদ

৪৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৫২

নীরদ অর্ণব বলেছেন: তাকে যেভাবে ইসলামি লেখক হিসেবে বলা হচ্ছে, আসলে ইসলাম কি তার গল্পকে বলা প্রেম স্টাইল কি সমর্থন করে?

০২ রা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:০০

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: লেখক যে স্টাইলে মানুষকে গল্প খাইয়েছেন সেখানে ইসলাম সমর্থন করে না।
প্রেম ভালবাসা আটকে রাখা যায় না।
প্রেম পিরিতি করেও অন্তত নিজের চত্রিত্র ,মানবিক গুণ এগুলা যেন হারিয়ে না যায় লেখক মনে হয় সে দিকটা রক্ষা করেছেন।

৪৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশের মানুষের কথা লিখুন।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:১২

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: ব্লগিং আমার জন্য বিলাসিতা !!!

৪৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৪৫

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: লেখক বলেছেন: ব্লগিং আমার জন্য বিলাসিতা !!! কেন রে ভাই ?
মন যা চায় তাই লিখুন । হয়ত তাতে মনে শান্তি পেতে পারেন ।
শুভেচ্ছা রইল ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৬

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: আপনাদের লেখা পড়ছি এই ত বেশ যাচ্ছে আবার লেখার দরকার কি ;)

৪৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:১৯

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: লেখক বলেছেন: লেখক যে স্টাইলে মানুষকে গল্প খাইয়েছেন সেখানে ইসলাম সমর্থন করে না।
প্রেম ভালবাসা আটকে রাখা যায় না।
প্রেম পিরিতি করেও অন্তত নিজের চত্রিত্র ,মানবিক গুণ এগুলা যেন হারিয়ে না যায় লেখক মনে হয় সে দিকটা রক্ষা করেছেন।


দেখুন, অাপনি যদি সূরা নুর এবং মুমিনুন পড়েন তবে বুঝতে পারবেন কাশেম বিন অাবুবকর যা করেছেন সেটা ইসলামের অাদর্শের পরিপন্থী লেখনী। ভালোকে ভালো এবং খারাপকে খারাপ বলা উচিৎ।

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৭

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৪৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি অনেক বড় ছুটি নিলেন, এবার লিখুন

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৫

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: লেখা টেখা আসে না ভাই।
যন্ত্রনায় আছি ।
ধন্যবাদ

৪৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪

শামচুল হক বলেছেন: বইটি পড়া হয় নাই সুযোগ পেলে পড়ে নেব।

০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৬

এডওয়ার্ড মায়া বলেছেন: ধন্যবাদ শামচুল হক

৫০| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫০

তামান্না তাবাসসুম বলেছেন: পড়ে দেখবো বইটা :)

৫১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি তো বড় ছুটিতে আছেন

৫২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

বিজন রয় বলেছেন: বিদায় ২০১৭, স্বাগতম ২০১৮,......... নতুনের শুভেচ্ছা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.