নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাস্তব জীবনের কিছু কথা তুলে ধরার প্রয়াস আমার। জানিনা কতটুকু পারবো। যাতে লেখার মাধ্যমে কিছু শেখাতে পারি মানুষকে তার জন্য দোয়া করবেন। ধন্যবাদ

ইলিয়াছ শুভ্র

জুনিয়র শুভ্র

ইলিয়াছ শুভ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

সম্পর্ক (অনুগল্প) | ইলিয়াছ শুভ্র

১৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২৯

নীল টিশার্ট, কালো একটা প্যান্ট আর পায়ে একজোড়া স্যান্ডেল পরে একাএকা হাঁটা-হাটি করতেছে সায়েম। তার পেছনে কারণ আছে। কারণটা হলো- আজকে তার আদরের ছোটবোন রাইয়া তাকে মায়ের বকা শুনিয়েছে। রাইয়াকে আদর করে সে দুষ্টুমির ছলে মাথার দুটো চুল টেনে দিয়েছিল। আর রাইয়া কিনা কাঁদতে কাঁদতে তার মায়ের কাছে গিয়ে সায়েমের নামে অভিযোগ করে যে, সায়েম নাকি রাইয়াকে মেরেছে। সায়েম যেহেতু রাইয়ার বড় তাই তার এমনটা করা উচিত হয় নি। তাই তাদের মা এসে সায়েমকে ইচ্ছেমত বকে দিলো। আর তাই আজ সায়েমের মন ভীষণ খারাপ।
.
সায়েম রাস্তার পাশদিয়ে হাঁটার সময় দেখে, কিছু মেয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ফুচকা, চটপটি ও আইসক্রিম খাচ্ছে। এইসব দেখে সায়েমের ভীষণ মন খারাপ হয়েছে। কারণ, সায়েম তার ছোটবোন রাইয়াকে নিয়ে অনেক সময়ই এইসব দোকানে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ফুচকা, চটপটি ও আইসক্রিম খেতো।আজ সায়েমের খুব ইচ্ছে করতেছে রাইয়াকে নিয়ে ফুচকা খেতে, চটপটি খেতে, আইসক্রিম খেতে।কিন্তু উপায় কি আজ তো সে রাইয়ার সাথে রাগ করেছে তাই হয়ত ইচ্ছে থাকলেও খাওয়া হবে না।
.
সায়েম একটু রাগ নিয়ে বোনকে বাদ দিয়ে আইসক্রিম খেতে গেলো। কিন্তু, কোনোভাবেই আইসক্রিমের স্বাদ পাচ্ছে না। সে দোকানদারকে বলে যে,
-এই আইসক্রিম এমন কেনো, কোনো স্বাদ নেই কিচ্ছু নেই।
-কি বলেন ভাইজান সবাই তো মজা করেই খাচ্ছে দেখছেন না! আপনার কাছে কেনো স্বাদ লাগছে না সেটা আমি কি করে বলবো।
.
সায়েম আসলে নিজেই বুঝতে পেরেছে, কেনো আইসক্রিমের স্বাদ পাচ্ছে না, কেনোই বা মজা করে খেতে পারছে না। কারণটা তার ছোটবোন রাইয়া। আইসক্রিম হয়ত মজার কিন্তু রাইয়া নেই সেইজন্য সায়েমের আইসক্রিমের মজা নিতে পারছে না, কোনো স্বাদ নিতে পারছে না। সায়েম সে সময়টায় খুব মিস করছিলো তার সে ছোটবোন রাইয়াকে। সায়েম কোনো উপায় না পেয়ে রাইয়ার সাথে খাওয়ার জন্য দুটো আইসক্রিম নিয়ে বাসায় চলে গেলো।
.
বাসায় ঢোকবার সময়ও তার মুখে কোনো হাসি নেই। কিন্তু হাতে দুটো আইসক্রিম ছিলো। সায়েম বাসায় ঢুকে রাইয়ার রুমে চিলে যায় আইসক্রিম নিয়ে। ভাইয়াকে আইসক্রিম হাতে দেখে রাইয়া মিষ্টি হেসে বলে,
-ভাইয়া তুই আমার জন্য আইসক্রিম আনতে গেছিস?
রাইয়া কথাটা এমনভাবে বললো যে মনে হয় তার সাথে আজ আমার কিছুই হয় নি। আর আমি কত রাগ নিয়ে বসে আছি। সায়েমের হাত থেকে আইসক্রিম দুটো একটানে নিয়ে যায় রাইয়া। তারপর দুটো আইসক্রিমে একটা করে কামড় দিয়ে দেয়। তারপর বলে,
-ভাইয়া তুই কোনটা খাবি?
সায়েমের রাগ কোথায় চলে গিয়েছিলো সে নিজেই জানে না। সায়েম বলে,
-তুই যেটা দিবি সেটাই খাবো।
-কিরে ভাইয়া আজ এত ভাল হয়ে গেছি, কারণ কি?
-কোনো কারণ নেই, এমনি। যা তোরটা তুই খা আরেকটা আমাকে দে।
ভাইয়া তুই এইরকম ভাল হওয়ার জন্য যা তোকে একটা উপহার দিবো। এইবলে রাইয়া তার রাফখাতাটা নিয়ে আসে। রাফখাতা থেকে একটা পাতা ছিঁড়ে সায়েমকে দিয়ে বলে,
-এই নে তোর ভাল হওয়ার উপহার।
সায়েম পাতাটা মেলে দেখে যে তার ছবি আঁকা! সায়েম অবাক হয়ে বলে যে,
-তুই এত সুন্দর ছবি আঁকা কোথায় শিখেছিস?
-আরে তোর ছবি আঁকতে কি আবার আর্ট শেখা লাগে নাকি! তুই আমার ভাইয়া না! তোর মত ভাইয়ার ছবি এমনিতেই আঁকা যায়।
-পাকনিবুড়ি!
এই বলে রাইয়ার দুটো চুল টেনে সায়েম দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়।।।

অনুগল্প: সম্পর্ক
লেখক: ইলিয়াছ শুভ্র

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার সুন্দর একটি গল্প দিয়ে ব্লগিং শুরু করলেন।
ব্লগে স্বাগতম। শুভ কামনা আপনার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.