নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিধ্বনি না হয়ে কণ্ঠস্বর হও.....
ভার্চুয়াল সম্পর্কগুলো কিছুদিন যেতে না যেতেই ফিকে হয়ে যায়। আপনি কোন ধরনের সম্পর্কের দিকে যাচ্ছেন ভেবে দেখেছেন তো?
নাকি বন্ধু,বান্ধবি,ভাই,বোন,বফ,গফ নাকি অন্য কোনো সম্পর্কে জড়িয়ে আছেন? বাস্তবে হয়তো একটা মানুষের কোনো বন্ধু নাই, কিন্তু ভার্চুয়াল জগতে সে খুবই আনন্দের ও কোলাহলপূর্ণ জীবন-যাপন করছে ঠিকই কিন্তু ভার্চুয়াল জগৎ আসলে একটি বায়বীয় জগৎ। এ জগতের প্রেম, বন্ধুত্ব, ভালোবাসা সবই খুব সহজেই গড়ে ওঠে আবার খুব সহজেই ভেঙে যায়। এটা শুধু আবেগ আর সময়ের দাবী ছাড়া আর কিছুই নয়। এ সম্পর্ক একটা মোহ মায়ার সম্পর্ক।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দুর্বল পারিবারিক সম্পর্কের কারণে ভার্চুয়াল জগতের প্রতি আমাদের আসক্তি কাজ করে; তবে মাঝে মাঝে এমনও দেখা যাই, ভার্চুয়াল জগতে অতিরিক্ত বিচরণ করতে করতে মানুষ নিজেকে নিজের পরিবারকে ভুলে যায়। আবেগের বশে কারো নীলপরী,আদনান না হয়ে বাস্তবে মায়ের ছোট্ট বাবু হয়ে দেখেন না সেখানে চির স্বতেজ প্রফুল্লতা খুজে পাবেন।
এটা শুধু আবেগের মায়াজালে আবদ্ধ খুবই ঠুনকো একটা সম্পর্ক। এটা খুবিই রোমান্সকর এবং খুবিই ক্ষণস্থায়ী একটা সম্পর্ক।
"যদি সারাদিন তাঁকে কাছে পাওয়া যেতো
শুনেছি ছিলেন তিনি গাছের বাকলে গা এলিয়ে
যতটুকু ছায়া তাঁর প্রয়োজন, ছিলো ততটুকু
দক্ষিণ হাওয়ায় উড়ে শুকনো পাতা আসে তাঁর কাছে
কাকে বা কাদের যে প্রতিদিন সকালে ঘুম ভেঙ্গে খুঁজে যাই ফেসবুকেতে এসে।
এইসব ভার্চুয়াল সম্পর্কের গন্ধরা কেমন গন্ধহীন হয়ে যায় অবশেষে
তবে কি শরীরের সাথে শরীরের সম্পর্কই সব??"
যদি বলি তাই।
জুই,হাবা,পাখি,স্বর্ন,আসাদ,ইমু,পলি,রিম,পদ্ম,মাঝি এরা দুদিনেই ফিকে হয়ে গেছে বা যাবে। থেকে যাবে আপনার বাস্তবিক আসাদ,ইমু,পলি,ইমুরা। তারা যখন নিঃসঙ্গ থাকবে আপনাকে নক করে আনন্দ দিবে, কল্পনায় বাইকে করে ঘুরাবে,রেললাইনে হাতে হাত রেখে হাটবে,দামী গাড়িতে করে চড়াবে, মিট টুগেদার করবে আরো কত কি।
রাত ৩টায় ঘুম ভেঙে গেলে জান কি করো? জানো আমি না আজ খুবিই খারাপ একটা দূস্বপ্ন দেখেছি না বলে আম্মুকে ফোন করে বলে দেখেন মোবাইলেই দোয়া পড়ে ফুক দিয়ে দেবে। ভালবাসার প্রকৃত মানে খুজে পাবেন। আজ যাকে জান,ভাইজান,আপুনি বলে বলে ট্যাগাইয়া ফেবুতে স্ট্যাটাস দিতেছেন আপনি মারা গেলে তারা খবরও নিবে না আপনার। ডাটা বেজের এক কোনে পড়ে থাকবে আপনার শখের আইডিখানা। ২ মাস পার হতে না হতেই আপনার আইডিখানা তাদের ফ্রেন্ডলিস্টেও থাকবে না।
এদের জন্মদিন,বার্ষিকী না মনে রেখে বাবা-মায়ের বিবাহ বার্ষিকীতে মাকে সামান্য কিছু অথবা একটা আদরের চিহ্ন এঁকে দিন না একবার, কসম করে বলছি দিলে চির প্রশান্তি পাবেন। হাত খরচ থেকে টাকা বাঁচিয়ে একদিন বাবার হাত থেকে ঔষধের পিসক্রিপশ টা কেড়ে নিয়ে দু-পাতা ঔষধ কিনে দিন না একদিন আরো ১০০ বছর বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করবে।
মা কে সপ্তাহে ১ দিন ফোন না দিয়ে ২দিন পর পর কল দিয়ে মায়ের শরীরের খোজ নিয়ে দেখেন না জীবনের মানে খুজে পাবেন। কদিনই বা থাকবেন আর এজগতে যেতে তো হবেই একদিন। যাওয়ার আগে প্রকৃত ভালবাসার প্রস্ফুটিত করতে না পারলে মরেও শান্তি পাবেন না।
ছবিঃ- ইন্টারনেট
২৪ শে জুন, ২০১৮ রাত ১০:১১
ইএম সেলিম আহমেদ বলেছেন: ধন্যযোগ
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর বিষয় তুলে ধরেছেন।
তবুও অনেকের মোহ ভাঙ্গেনা।